নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহ.কেনো ৩০০০ আলেমকে হত্যা করেন?
================================>
সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহ. বাইতুল মুকাদ্দাস জয় করার পরে সবাই যখন বিজয় উৎসব পালনে ব্যস্ত, তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী গভীর চিন্তায় নিমগ্ন। তার চিন্তার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, বাইতুল মুকাদ্দাস জয় হয়েছে কিন্তু এখনও এমন শত্রু আমাদের মাঝে রয়ে গেছে যাদেরকে খুঁজে বের করতে না পারলে বাইতুল মুকাদ্দাস আমরা বেশিদিন আমাদের কাছে রাখতে পারবো না।
তার কথার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করতে পারলনা। সালাউদ্দীন আইয়ুবী তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনাদের নিয়ে খুবই গোপনে নতুন একটি গোয়েন্দা বিভাগ গঠন করলেন। যাদেরকে আটককৃত ইহুদিদের গোয়েন্দা বিভাগের সেনাদের থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে ট্রেনিং দিলেন। সেনারা ফিলিস্তিনে এক ইমামের কাছে গেলেন, লোকজন যার প্রশংসায় ভরপুর,ইসলামি স্কলার, শায়েখ এবং অত্যন্ত আমলদার ও পরহেজগার হিসেবে তার সুখ্যাতি পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে।
একদিন তিনি তাফসিরের আলোচনা করছিলেন তার মসজিদে। এ সময় দুজন অপরিচিত আগন্তুক আসলো। তারাও খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে তার তাফসির আলোচনা শুনলো। আলোচনা শেষে তারা ইমামের সামনে গিয়ে প্রশ্ন করলো, সূর্য কখন ওঠে? ইমাম জবাব দিল, যখন বৃষ্টি থেমে যায়। অপরিচিত আগন্তুক আবার প্রশ্ন করলো, বৃষ্টি কোন দিক থেকে আসে? ইমাম উত্তর দিল, ঝড়ো হাওয়ার দিক থেকে। এভাবে আরো কয়েকটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর নিল।
উপস্থিত মুসল্লিরা এগুলো বুঝলো না। তারা চলে যাওয়ার পর ইমাম সাহেব আগন্তুকদের নিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করলেন। ঘরে গিয়ে ইমাম তাদের সাথে তার নিজের পরিচয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। ইমামের স্ত্রী আগন্তুকদের মদ পরিবেশন করতে দিলেন। আগন্তুকরা ইমামের সাথে বিস্তারিত কথা বলা শুরু করলো। ইমাম কবে থেকে এখানে, মানুষের মধ্যে কি কি ফিৎনা ছড়িয়েছে, মানুষের ঈমানের মধ্যে চিড় ধরাতে কতটুকু সক্ষম হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে কথা হতে লাগলো।
ইমামও অত্যন্ত আগ্রহের সাথে কিভাবে মানুষের মাঝে ফিৎনা তৈরি করেছে, কিভাবে মাসআলাগত বিরোধ লাগাচ্ছে, কিভাবে এর মাঝেও ইহুদি পণ্ডিতের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে, কিভাবে মানুষকে জিহাদ থেকে বিমুখল রাখছে, কিভাবে ইহুদিদের ক্ষমতার ভয় মুসলিমদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে— সব বলতে লাগলো। মোটামুটি প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পরে আগন্তুকরা তাদের মাথার পাগড়ি খুললো এবং উপরের জামা খুললো। এটা দেখে ইমাম এবার ভয়ে পালাতে চাইলো কারণ এই আগন্তুকরা ছিল হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবীর সেই গোয়েন্দা বিভাগের সেনা। তারা তাকে ধরে নিয়ে গেল এবং তাকে হত্যা করলো।
এভাবে হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবী তিন হাজার ইহুদি আলেম হত্যা করেছিল। যারা মূলত ইহুদি কিন্তু ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মধ্যে ফিৎনা ছড়ানোই ছিল তাদের মূল কাজ। যদি হাজার বছর আগে ইসলামি খেলাফতে তিন হাজার ইমাম থাকতে পারে, তাহলে বর্তমানে কেমন রয়েছে তা একটু অনুমান করুন। আমাদের দেশেও এমন কিছু আলেমকে আমরা দেখতে পাই, যারা ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে না, মানববন্ধন না করে ঘরে বসে গাজাবাসীর জন্য দোয়া করতে বলে।
ঈসরাইলের ব্যাপারে একেবারেই কোনো কথা যাদের মুখ থেকে বের হয় না, এমন আলেম আমাদের দেশেও আনাচে-কানাচে রয়েছে। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হন হে মুসলিম ভাইয়েরা।
আল্লাহ আমাদেরকে ঈমান আমল হেফাজত করুন। আমিন
©somewhere in net ltd.