![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।
আমাদের সমাজে ভুয়া শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার ইদানিং লক্ষ্য করা গেছে। যেমন ভুয়া ডিবি, ভুয়া সিআইডি, ভুয়া সাংবাদিক ইত্যাদি। কিন্তু ভুয়া বলতে আমরা কি বুঝি। যাহা সঠিক নয় তাহাই ভুয়া। যেমন কোন সাধারণ ব্যক্তি যিনি ডিবি পুলিশের চাকুরী করেন না, তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের কাছে সুযোগ-সুবিধা ভোগের জন্য ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দেন। তখন ডিবি ভুয়া হয় কিভাবে। ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়দানকারী হবে। তিনি আসলেই ভুয়া নাকি সঠিক তা জানার জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ফোনে বা লিখিতভাবে জানতে চাওয়া যে, তিনি ডিবি পুলিশের সদস্য কিনা? উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি নিশ্চিত করেন যে, পরিচয়দানকারী ব্যক্তি ডিবি পুলিশের সদস্য নন, তখন সেই ব্যক্তি ভুয়া হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আমি এই কথাটি বলার পেছনে একটি কারণ রয়েছে। কারণটি হলো এই যে, বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় যে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখা যায় ........... স্থানে ভুয়া সাংবাদিক আটক।
সম্প্রতি একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম “সরাইলে দুই ভূয়া সাংবাদিক আটক”। সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় প্রতারণা করে অর্থ আদায় ঘটনায় দুই ভূয়া সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকা থেকে বুধবার বিকালে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা এলাকার মৃতঃ জয়ধর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার খারাসার গ্রামের মৃতঃ বদিউজ্জামানের ছেলে জাকির হোসেন (৫০)।
এখানে উল্লেখিত আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা এলাকার মৃতঃ জয়ধর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) বাঙ্গালীর একুশে নামক একটি মাসিক পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক। যাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেজি: নং- ৬৭০
এখানে একটি বিষয় বলা প্রয়োজন যে, কোন একজন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ভুয়া নাকি সঠিক সেটা জানার জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা। কারণ প্রত্যেক জেলার সংবাদপত্রগুলোই সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ডিক্লারেশন প্রদান করেন। উনারাই সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন উনি সঠিক নাকি ভুয়া। আর কোন সাংবাদিক যিনি কোন প্রতিনিধি বা রিপোর্টার তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে গেলে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট মিডিয়া বা যে পত্রিকা/ চ্যানেলে কাজ করেন সেই পত্রিকা/ চ্যানেলে যোগাযোগ করে নিশ্চত হওয়া যে তিনি আসলেই সেই পত্রিকা/ চ্যানেলে কাজ করেন কিনা? যদি পত্রিকা/ চ্যানেল নিশ্চিত করেন যে হ্যা তিনি এখানে কাজ করেন তবেই তিনি বৈধ, আর যদি বলেন যে না তিনি আমাদের সাথে যুক্ত নন তাহলেই তিনি ভুয়া হবেন। এছাড়া কেউ যদি তাদের পরিচয় সনাক্তের জন্য কোন প্রেস ক্লাবে যোগাযোগ করেন তাহলে সেটা হবে ভুল। কারণ সকল সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের সাথে যুক্ত নাও থাকতে পারেন। আর প্রেস ক্লাবে যুক্ত থাকাটা বাধ্যতামূলক নয়। প্রেসক্লাব “সাংবাদিক সৃষ্টি করে না বরং সাংবাদিকরাই প্রেসক্লাব সৃষ্টি করে। প্রেসক্লাব মূলত সাংবাদিকদের একটি সংগঠন। ইহা সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নয়।
ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সরাইল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, সংবাদ প্রকাশের কথা বলে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি সাংবাদিক পরিচয়দানকারী হাবিবুর রহমান স্বীকার করেছে। সাংবাদিক হিসেবে তারা তাদের বৈধ কোনো পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা স্পষ্টতই প্রতারণা।
এখানে স্বভাবতই দেখা যায় যে, সম্পাদকদের কোন পরিচয়পত্র থাকে না। কিন্তু সরাইল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা ম্যাডাম কি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, তারা ভুয়া। তা না হলে তাদেরকে তিনি ভুয়া নিশ্চিত করলেন কিভাবে এই প্রশ্ন আমার সকলের কাছে।
তিনি যদি চাঁদাবাজী বা প্রতারণা করে থাকেন তাহলে তাকে চাঁদাবাজীর মামলা বা প্রতারণার মামলা দেয়া উচিৎ ছিল। ৫০০ টাকা চাঁদাবাজী বা ৫০০ টাকা প্রতারণা একজন সাংবাদিকের গায়ে দেয়া দেশের সকল সাংবাদিকের জন্য কলঙ্ক। যদি তিনি চাঁদাবাজী বা প্রতারণা করে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই বিচারের আওতায় আসবেন। সেদিন কি তিনি কারো কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল? নাকি কোন অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাদের উপর চাঁদাদাবী ও প্রতারণার অভিযোগ তোলেন? আসলে ঘটনাটি সেই দিন কি ঘটেছিল সেটা তদন্ত করে দেখা এখন সময়ের দাবী।
আমরা জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকে ভূয়া সাংবাদিক হিসেবে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি এ ঘটনায় যারা দোষী রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
লেখক: সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
কাজী জহির উদ্দিন তিতাস বলেছেন: ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একজন পীর কখনো ভন্ড হয়না।
যে ভন্ডামী করে সে পীর নয়।
আমরা ভন্ড আর পীরের লেবাসধারীকে
ভন্ড পীর আখ্যা দিতে পারিনা। তেমনি
ভূয়া সাংবাদিক বলে কিছু নাই। সাংবাদিকরা
কখনো ভূয়া হয়না। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে
যারা প্রতারণা করে তারা প্রতারক, ভূয়া সাংবাদিক নয়।
আসলে আমাদের বুঝবার ও জানবার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
পত্রিকায় কি ভাবে এসব নিউজ প্রকাশ পায়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
কাজী জহির উদ্দিন তিতাস বলেছেন: খুব সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশের বহু লোক ভূয়া। কিন্তু আমরা জানি না। জানি না বলেই ঝামেলা কম।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
কাজী জহির উদ্দিন তিতাস বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইজান।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭
নুরহোসেন নুর বলেছেন: যারাই প্রতিবাদী তারাই ভুয়া।
যারা ভুয়া তারাই আসলদের ভুয়া আখ্যা দিচ্ছে!