![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও মনুষ্য শরীর, তবু সে চেয়েছিল পাখির জীবন।
এই যে শক্ত করে বাঁধছো অন্তর্বাস
খুলে যাচ্ছে চোখের ইশারায়
প্রেমে আর সন্দেহে—
যেহেতু মাটির গভীরে দাঁড়িয়ে যে গাছ
সে মূলত প্রার্থনা করছে আকাশের।
যেভাবে তুষারের অপেক্ষায়
লতা আর মহীরুহ
খুলে ফেলছে তাদের সমস্ত...
কোনো কোনো চিঠি কখনোই ডাকবাক্সের স্পর্শ পাবে না
তবুও খুলে রাখে প্রতীক্ষার ভাজ;
আগুনের কাছে রাখে হৃদয়ের প্রার্থনা, মোমের শরীরের যত কারুকাজ।
দরোজা বন্ধ— তবু এইসব বৃষ্টির রাতে, কে যেন দাড়ায়ে...
‘বিশ্বাস’ হয়ে তোমাকে ছুঁতে পারিনি
মানুষ হয়ে কী করে ছোঁবো?
নতমুখে হেঁটে আসে যে সমগ্র জীবন
নখের ডগায় তার ঢের বিদ্রোহ!
দ্যাখা হলে বহুকাল পর আঙুলে উড়ে যাবে মাছরাঙা প্রেম
হলদে আলোর রঙ...
সিনোরিতা, আমি দীঘির জলের মতো ফরাসি চুম্বন জানি না
তুমি কি আমাকে অস্বীকার করবে?
আমি মানুষের মিছিলে এক পায়ের চিহ্নমাত্র
যে তোমার স্পর্শ দিয়ে সময় পরিমাপ করে
বলে— মৃত্যুর থেকেও অধিক বিচ্ছেদ...
স্কুলছুটির পর ঘড়ির বিপরীতে হাঁটে মেয়েটির পথ
বোতামখোলা ছেলেগুলো আঙুলে অন্ধকার নিয়ে আসে রোজ
হাতের চেটো দিয়ে একদিন তারা পরিশ্রমী ঘাম মুছে নেয়
মেয়েটির কাছে অমন কোন তোয়ালে নেই লজ্জা মুছবার;
আমরা...
মৃত্যুর প্রয়োজনে বেড়ে উঠছি
তাই তোমাকে পেলাম;
এই উৎসবের কালে যারা যেতে চায়— যাক
আমি মূলত উপভোগ করি বিষণ্ণতা,
যদিও তুমি তাকালে আজও নিজেকে মাদকাসক্ত মনে হয়।
তোমার...
দুটো খড়ের জামা আর ব্যালকনিতে খসে পড়া নক্ষত্র নিয়ে
জীবিত পাখিদের সংসার। কোকিলের শ্বাসনালী দেখে
একটা হারমোনিকার শখ হয়েছিল সেবার।
তুমি বরং দুটো অর্কিড লাগাতে পারতে?
বিছানায় অন্যভস্ত শুয়ে বলেছিল...
বই রিভিউঃ “ বিষাদ লিখি না, তোমাকে লিখি ”
লিখেছেনঃ ঋদ্ধি সরকার
‘যে বালিকা মরে গেল তার প্রেমিকের হৃদয়ে
অমরত্বের কৌশল তার চেয়ে ভালো আর কে জানে?’
(কবিতাংশঃ সুভা একটি কবিতার নাম)
কবিতা...
বলতেই পারতাম—
এভাবে ডানা ফেলে পৃথিবীতে আসতে নেই
বলেছিলাম শুভ্র তুষার
লুটপাট আকাশে বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘদল।
বলতেই পারতাম—
এভাবে ভুলভাল পা ফেলে আমাকে গুছিয়ে তুলবেন না
যেহেতু মানুষের হৃদয় এক অফেরতযোগ্য জেলখানার...
লোকটার ঘরে খবরের কাগজ আসা বারণ
এতে ব্যস্ততা বাড়ে—
নিজ স্ত্রীকে চুমু খেলে রক্ত লেগে থাকে ঠোঁটে, চোখে।
লোকটা চোখে কবর নিয়ে হাঁটে
উত্তর থেকে দক্ষিণে
দক্ষিণ থেকে উত্তরে
এতসব গোলাপ...
ছেলে বড় চাকুরীজীবী হলে বাবার গল্প হয়ে ওঠে
আর যদি হয় কোন বিদেশফেরত ভদ্রলোক
তবে চায়ের কাপে নেমে আসে শীতকাল
তিনি উড়ুক্কু বিমানের কথা বলেন—
ছেলের চোখে বলতে থাকেন বিলাতের বিত্ত-বৈভব...
তোমাকে দেখবো বলে দাঁড়িয়ে ছিলাম একটি সম্পূর্ণ শরৎ
রবীন্দ্র রচনাবলীর মতোই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি
নাকের ঘাম, চোখের পতনের সময়কাল এবং ঘন নিঃশ্বাসের মধ্যবর্তী দূরত্ব।
অথচ, শেষচুম্বনের সময় আমার কাছে...
এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে, তবু আমাকে কবিতাই কেন লিখতে হবে জানি না। তাই সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে আসা দুঃসাহসও বটে। এই জীবন বেছে নিতে হলে...
গল্পটা বরং শুরু করা যেতো এভাবে—
এই বোলে কাগজটা দখল কোরে নেয় চারু
পুরোনাম চারু মিত্র—
হেমন্তের রোদ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
\'চওড়া ঠোঁটে আপনাকে বড্ড বেমানান লাগে বুঝলেন
ওতে আমার...
©somewhere in net ltd.