নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কে ত ন

কে ত ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়েশা (রা) এর বিয়ের বয়েস বিষয়ক বিতর্ক

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

রাসূল (সা) এর বৃদ্ধ বয়েসে আয়েশা (রা) এর মত একজন কচি বালিকাকে বিয়ে করা নিয়ে অনেক মু'মিন মুসলিমই অস্বস্তিতে ভূগে থাকেন। বিশেষ করে নাস্তিক সম্প্রদায় যখন প্রিয় নবীর 'পেডোফিলিয়া'র মত বিষয়ে (নাউযুবিল্লাহ) প্রশ্ন তোলে, স্বভাবতই তারা লা জওয়াব হয়ে যান। মু'মিন মুসলিমদের শায়েস্তা করার জন্য নাস্তিকেরা আরও কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন তীরের মত ছুড়ে দেয়। যেমনঃ

- নিজে ১১ বিয়ে করে অনুসারীদেরকে ৪ টায় সীমাবদ্ধ করল কেন?
- স্ত্রী থাকতে দাসী নিয়ে পড়ে থাকত কেন?

আরও অনেক আছে। রুচিতে বাধছে, তাই এখানেই থেমে গেলাম। সমস্যা হচ্ছে মুমিনদের মন তারা এমনভাবে বিষিয়ে দেয়, যে তারা তারা নবীজির (সা) ইজ্জত হানির ভয়ে এই কুতর্ক আর এগিয়ে নিতে চান না। 'আল্লাহ অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন' টাইপ অজুহাত দেখিয়ে তারা থেমে যান এবং যুক্তিতে পরাস্ত ভেবে নাস্তিকেরা যখন জয়ের আনন্দে নতুন শিকার খুঁজতে থাকে। গুপী গায়েন একজন পুরনো ব্লগার। তিনিও মনে হয় এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন, তাই নবীজির (স) দায় মোচনের (?) ভাগীদার হতে এই নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে বিয়ের সময়ে আয়েশা (রা) এর বয়েস কোন মতেই ৬ বছর ছিলনা। এই দাবির পক্ষে তিনি কিছু যুক্তি ও দলিল দস্তাবেজও হাজির করেছেন।

কথা হচ্ছে, এই বিষয়গুলো কি তর্ক করার মত? রাসূল (স) যদি ৬ বছরের বালিকাকে বিয়ে করেই থাকেন, তাতে অসুবিধা কি? হ্যা, একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের সাথে একটি মেয়ে শিশুর বিবাহে দুইটি সমস্যা আছেঃ
১ - শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, যদি পুরুষটি সাবধান না হয়, তবে মেয়েটি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২ - সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে, যৌবন প্রাপ্তির আগে সন্তান ধারণ করলে গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দেয়।

দ্বিতীয় সমস্যাটি যে আয়েশা (রা) এর ক্ষেত্রে হয়নি, সেটা তো আমরা জানিই। ৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি যখন মারা যান, তখন তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। রাসূল (সা) এর সাথে বিবাহিত জীবনেও তিনি গর্ভধারণ করেননি। তাহলে এটা পরিষ্কার যে, রাসূল (স) এর সাথে বৈবাহিক জীবনে তিনি কোন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হননি।

প্রথম সমস্যার ক্ষেত্রে বলা যায়, তিনি ৯ বছর বয়েসে নবীজির (সা) সাথে সংসার জীবন শুরু করেন। এই বয়েসে একটি মেয়ে লম্বায় স্বাস্থে পরিপূর্ণ নারীর মতই হয়ে যায়। তারপরেও শারীরিক বয়োপ্রাপ্তির একটা ব্যাপার থাকে। রাসূলের (স) বিভিন্ন হাদীস থেকে আমরা দেখতে পাই, তিনি সন্তান বয়ঃপ্রাপ্তির পরেই বিবাহ দিতে বলেছেন, তার আগে নয়। আর তিনি যে কাজ না করে কথা বলেননা, তা তো আমরা চিনি খাবার ঘটনা থেকেই জানি। কাজেই মা আয়েশার শারীরিক বয়োপ্রাপ্তির আগে তিনি যে শারীরিক সম্পর্ক করেননি, সে কথাও নিঃসন্দেহে বিশ্বাসযোগ্য। শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তিনি অবশ্যই আপত্তি করতেন, আবু বকর (রা) এর কন্যা হিসেবে সেই স্বাধীনতা তাঁর ছিল। কিন্তু আপাদমস্তক তাঁকে আমরা সবসময় একজন চটপটে স্মার্ট বুদ্ধিমতি তরুণী হিসেবেই পেয়েছি।

তবে ৬ বছর বয়েসি মেয়েকে তিনি কেন বিয়ে করলেন - এ প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। নিশ্চয়ই এরও কোন যুক্তিযুক্ত কারণ আছে। আপাতত এই প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই।

তবে এত অল্প বয়েসী একটি মেয়েকে বিয়ে করায় মুসলিম উম্মাহর অনেক লাভ হয়েছে। যেমনঃ
- সাহাবীরা/তাবেঈন গণ এমন একজনকে নিজেদের শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন, যিনি রাসূল (স) এর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে ছিলেন, তার প্রতিটি কর্মকাণ্ড তিনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেসব তিনি সাহাবীদেরকে শেয়ার করেছেন।
- তিনি প্রায় আড়াই হাজারের মত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার বর্ণিত হাদীসগুলো এমন যে তিনি না হলে অন্য কেউ হয়ত সেগুলি বর্ণনা করতে পারত না।
- খলীফা আবু বকর (রা) ও উমর (রা) এর সময় তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করেছেন, তার পরামর্শ প্রতিপালন করে এই দুই খলিফা বলতে গেলে ত্রুটিহীনভাবেই তাঁদের সময় পার করতে পেরেছেন। কিন্তু ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রা) তার পরামর্শে খুব একটা গুরুত্ব দেননি বা দিতে পারেননি, তার পরিণতি তো সবারই জানা।

রাসূল (সা) এর ওফাতের পরে ইসলামী বিশ্বে নেতৃত্বের যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে মুসলিম জাতিকে আলোর দিশা দেখাতে তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন। কোন বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্দে ভুগলে বা বিতর্ক সৃষ্টি হলেও মানুষ তাঁর কাছে ছুটে যেত, তিনি যা সিদ্ধান্ত দিতেন, সবাই তা বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিত।

বলা বাহুল্য, এসব কিছুই হতনা, যদি রাসূল (সা) আয়েশা (রা) কে বিবাহ না করতেন। কাজেই এই বিবাহের সামাজিক ও রাজনৈতিক যে গুরুত্ব আছে, তাকে কোনভাবেই অবহেলা করার মত নয়। তারপরেও পর্নোগ্রাফিতে অভ্যস্ত নাস্তিক ইসলাম বিদ্বেষীদের চোখে রাসূলের (স) শিশুকামিতা ও পলিগামিই মূখ্য আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

এ প্রসঙ্গে আরও একটা কথা না বললেই নয়। মহাভারতে আছে গুরু দ্রোণাচার্যের গুরুদক্ষিণা দিতে গিয়ে ভীম ও অর্জুন যখন পাঞ্চালের রাজা ধ্রুপদকে পরাজিত করে দ্রোণের নিকট নিয়ে আসে, দ্রোণ তখন তাঁকে অপমান করে ছেড়ে দেন। এই অপমানের প্রতিশোধ নেবার জন্য রাজা ধ্রুপদ যজ্ঞাহুতি দেন এবং সেখান থেকে একটি পুত্র (ধৃষ্টদ্যুম্ন) ও একটি কন্যা (দ্রৌপদী) জন্ম নেয় কোন মা ছাড়াই। পরবর্তীতে এই কন্যাকে কিন্তু অর্জুনই বান নিক্ষেপের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বিয়ে করে এবং অন্য ভাইদের সাথে ভাগ করে নেয়। কেউ কি বলতে পারবেন, এই বিয়ের সময় দ্রৌপদীর বয়েস কত ছিল? এক বছরও নয়। কারণ সে জন্মের সময় পূর্ণ যৌবন নিয়েই জন্মেছিল। তার মানে কি দাঁড়াল? পান্ডবেরা পাঁচ ভাই মিলে যে কন্যাকে বিয়ে করেছিল, তার বয়েস তখন এক বছরেরও কম ছিল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন মৃণালিনীকে বিয়ে করেছিলেন, তখন তার বৌয়ের বয়েস কত ছিল? কন্যা প্রমীলাকে যখন বিয়ে দিয়েছিলেন, তার বয়েস তখন কত ছিল? আগেকার দিনে কত বছর বয়েসে মেয়েদের বিয়ে হত? মা ও সন্তানের বয়েসের পার্থক্য আগে কত ছিল? এগুলো ভাবুন, আর কিছু দরকার নেই।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: যারা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলে তারা আপনি যত যুক্তিই দেন না কেন, সেটা তারা মানবেন না। হযরত আলী (রাঃ) বলেছিলেন নির্বোধ দের সাথে তর্ক করো না, কারন তারা তোমাকে তাদের পর্যায়ে নিয়ে যাবে। সুন্দর একটা বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার এই কষ্ট কবুল করে নিক। আমীন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

কে ত ন বলেছেন: ভাই, আমি কোন তর্কের মধ্যে যাবনা। আয়েশা (রা) কে বিয়ে করে রাসূল (সা) কি পেয়েছেন জানিনা, কিন্তু আমরা উনার উম্মতেরা অনেক লাভবান হয়েছিল। আড়াই হাজারের মত হাদিস পেয়েছি, যেগুলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবন সংশ্লিষ্ট। এরকম একজন শিক্ষক আমরা কস্মিনকালেও পেতাম না যদি তিনি রাসূল(স) এর সংসার না করতেন।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

পলিগেমি আহমাদ বলেছেন: ৫) যুদ্ধ, পাচার হওয়া, হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারনে বর্তমান বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ আধুনিক ক্রীতদাস আছে৷এদেরকে পুরপুরি স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া কঠিন৷ আর ওরা এতো ভি.আইপি.লাইফ চায়ও না৷ দাস প্রথার উপকারিতা আছে৷ এতে দাসী প্রায় স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করে, ব্যভিচার কমে ও দাসীর সন্তান নিজ সন্তানের মতো সম্পত্তির ভাগ পায় ও শ্রেনী বৈষম্য কমে যায়৷
অথচ বর্তমান ইসলামিক সমাজ কুরআনের দাসপ্রথাকে রহিত করে৷ দাসীর সাথে যৌনকর্ম ব্যভিচার চিহ্নিত করে৷ কারন তারা হালালকে হারাম ও হারামকে হালাম মনে করে৷ হালালে বহু সমস্যা খুজে পায়৷ অথচ ব্যভিচারে দেশ ভরে গেছে কোন মাথা ব্যথা নেই৷

৬) মুহাম্মদ সঃ ও তার সাহাবীদের বহুবিবাহের প্রধান কারন ছিল উম্মতকে বহুবিবাহে উৎসাহিত করার জন্যে৷ কারন বহুবিবাহ ইসলামের নেয়ামত৷ শ্রেনী বৈষম্য কমানো , পুরুষের চাহিদা পূরন ও ব্যভিচার দূর করা, বিধবাদের কষ্টদূর করা ইত্যাদি সমাধান একবিবাহে সম্ভব নয়৷
অথচ বর্তমান ইসলামিক সমাজ মনে করে কুরআন মূলত একটি বিবাহকেই উৎসাহ দেয় ও বহুবিবাহ অনুমোদিত থাকলেও কুরআন নিরুৎসাহিত করে কেননা মানুষ সমতা বিধান করতে পারে না৷ কেয়ামতের আলামত হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল মনে করা৷

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

কে ত ন বলেছেন: আপনি যতই ইসলামের পক্ষে আছেন বলে জাহির করেন না কেন, আপনার মনে কি আছে সেটা প্রায় সবাই জানে। মহামতি এরস্টোটল দাস প্রথার পক্ষে অনেক কঠিন কঠিন যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু এই যুগে সেগুলো অচল। যাই হোক, আপনার চিন্তার সীমাবদ্ধতা ধরিয়ে দেইঃ
- দাসী কখোনই স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেনি, দাসী দাসীর জায়গাতেই থেকেছে।
- প্রাচীন ইউরোপে যখন দাসীপ্রথা ছিল, তখন ব্যাভিচার কমেনি, বরং কোন কোন ক্ষেত্রে যৌন বিকৃতি সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল।
- কোন সমাজেই দাসীর সন্তান সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়নি, পিতা দয়া করলে কোথাও হয়তবা ছিটে ফোটা মিলত। এই উত্তারাধিকারের ব্যাপারটা আপনার উদ্দেশ্যমূলক চাপাবাজি।
-ব্যাভিচারে দেশ ভরে গেছে তাতে মাথা ব্যাথা নেই, একথাও ঠিক নয়। যারা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত, তারা এই ব্যাপারে অনেক সচেতন। নিজেরা ব্যাভিচারে জড়ায় না, পরিবারেও নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয়। আপনি জানেন কিনা, স্কুলের ড্রেস পরা দুই ছাত্রছাত্রীকে প্রকাশ্যে চুম্বনরত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় তাদেরকে স্কুল থেকে রাস্টিকেট করা হয়েছে। এই দুজনের ঠিকানা এখন কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে।

রাসুল (সা) বা তাঁর সাহাবীদের কোন কর্মকান্ডেই কখনো মনে হয়নি যে তারা বহু বিবাহে উৎসাহী। বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদেরকে বহু বিবাহ করতে হয়েছে। সেসময়কার বাস্তবতা এখনকার মত ছিলনা। বহু বিবাহের পক্ষে আপনি যেসব যুক্তি দিলেন এগুলো তর্ক করার ব্যাপারে একেবারেই উপযুক্ত নয় বিধায় আমি উৎসাহিত বোধ করছিনা।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ কে ত ন - জনাব, এই 2018 সালে এসেও যখন ছয়/নয় বছর শিশু বিবাহকে জায়েজ/লাভজনক ভাবেন তবে সরাসরি একটি প্রশ্নের উত্তর দিন- আপনি কি নিজের ছয়/নয় বছরের কন্যাকে আপনার একান্ন বৎসর বয়সী বন্ধু/নেতার কাছে বিয়ে দিবেন ? আপনার বিবেকে সায় দিবে ? রবীন্দ্রনাথ নবীও ছিল না, নতুন ধর্মের প্রবক্তাও ছিলেন না, বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসাবে নিজেকে দাবীও করেননি । তার প্রসঙ্গ টেনে শিশু বিবাহকে কিভাবে justify করেন ?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

কে ত ন বলেছেন: হ্যা, আমার বিবেকে সায় দেবে। যদিঃ
- আমার কন্যার সেই বিয়েতে কোন আপত্তি না থাকে।
- এই বিয়ের মধ্যে আমি বৃহত্তর কোন স্বার্থ দেখতে পাই।

প্রথম পয়েন্টের ব্যাপারে একটু কথা আছে। এখনকার বাস্তবতা হচ্ছে মেয়েকে আগে নিজের ভালো বোঝার মত বয়েসে পৌঁছতে হয়। মেয়ের জীবনের মালিক যেহেতু আমি নই, কাজেই তাকে এমন বয়েসে পৌঁছতে দেব, যাতে সে নিজের ভালো অনুধাবন করতে পারে। দেড় হাজার বছর আগের বাস্তবতা নিশ্চয়ই এরকম ছিলনা।

রবীন্দ্রনাথ নবী বা নতুন ধর্মের প্রবক্তা না হলেও তিনি একজন গণমান্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি খুব বেশি আগের মানুষও ছিলেন না। যে জাতি আমাদেরকে তথাকথিত আধুনিকতা শিখিয়েছে, তিনি সেই জাতির একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। তাঁর কবিতা, গান, গল্প ও উপন্যাস বাঙালি জীবন যাপন ও সংস্কৃতিকে অনেকভাবেই প্রভাবিত করে। তাই তার প্র্যাকটিসকে justify করা অপ্রাসঙ্গিক কোন বিষয় নয়।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলামে বাল্য-বিবাহ ??

দেশে বাল্যবিবাহের দড়ি-টানাটানি চলছে তো চলছেই। একদিকে এর বিরুদ্ধে মানবাধিকার-কর্মীদের আন্দোলন, আইন ও তার প্রয়োগ, অন্যদিকে এর পক্ষে কিছু আলেমদের অবস্থান। তাঁদের প্রধান যুক্তি সহি বুখারীর হাদিস, নবীজি(স) আয়েশা(র)-কে বিয়ে করেছিলেন ৬ বছর বয়সে, নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন ৯ বছর বয়সে- বুখারী ৭ম খণ্ড-৬৪, ৫ম খণ্ড-২৩৪, ২৩৬। এর ভিত্তিতে ইসলাম-বিরোধী অনেকেই আবার নবীজি(স)কে শিশু- ধর্ষক বলে।এই "ছয় বছর-নয় বছর" দলিলের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দলিলগুলো দেখা দরকার যাতে জাতি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বলা দরকার, আয়েশা (র)-এর জন্মসাল নিয়ে বিতর্ক থাকার ফলে বিয়ে সহ বিয়ে সহ বাকি সবকিছুর সময়/সাল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে।(বদর যুদ্ধ হয়েছিল ৬২৪ সালে)।

1. “শিশু¬ ধর্ষক” মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি (সাধারণত: পুরুষ) কম বয়সের বালিকাদের সাথে সংসর্গ করতে সর্বক্ষণ ব্যাকুল হয়ে থাকে। সমাজে ওটা চিরকালই ছিল, আছে এবং থাকবে।কিন্তু নবীজীর জীবন খুঁটিয়ে দেখলে আমরা সংযমের চিত্রই পাই। পঁচিশ বছরের দুরন্ত যৌবনে তাঁর প্রথম বিয়েই ছিল ৪০ বছরের বিধবা বিবি খাদিজার সাথে। মনে রাখতে হবে মানুষের ইতিহাসে সমাজ, পরিবার, অর্থনীতি, রাজনীতি, যুদ্ধনীতি এমনকি প্রতিটি মানুষের মনোজগতের ওপর এমন সার্বিক ও সর্বগ্রাসী রাজত্ব আর কেউই করেনি। যাঁর অনুসারীরা তাঁর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন ও নিয়েছেন, যাঁর জন্য সর্বক্ষণ নিজেদের "পিতামাতা উৎসর্গ" বলতেন, তিনি চাইলে অবশ্যই অনায়াসে শত শত নয় বরং হাজার হাজার বালিকা-সংসর্গ করতে পারতেন। অথচ তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র আয়েশা (র) ছিলেন কুমারী, বাকিরা বিধবা বা তালাক-প্রাপ্তা, কেউ কেউ আবার তেমন সুন্দরীও ছিলেন না। কাজেই “শিশু¬ ধর্ষক” তত্বটা তাঁর বেলায় একেবারেই খাটেনা।

2. বয়স ১৪ থাকার জন্য ইবনে ওমরকে রাসুল (স) ওহুদ যুদ্ধে যোগ দিতে দেননি কিন্তু খন্দক যুদ্ধে যোগ দিতে দিয়েছিলেন কারণ তখন তাঁর বয়স ১৫। সহি বুখারী ও মুসলিমে আমরা দেখি বিবি আয়েশা (রাঃ) বদর যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। সে হিসেবে ৬২৪ সালে তাঁর বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর হবার কথা।

3. কিছু সুত্রে আয়েশা (রাঃ)-এর জন্ম ৬১৩ সালে পাওয়া যায় কিন্তু ইবনে হিশাম/ইসহাক এর বিখ্যাত সিরাত কেতাব বলছে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৬১০ সালে। ধর্মান্তরিত হবার জন্য ভালোমন্দ বোঝার কিছুটা ক্ষমতা থাকবে বলেই আশা করা যায়। ৬১০ সালে যদি তাঁর বয়স তিন বছরও (খুব সম্ভব তার চাইতে বেশি) হয়ে থাকে তবে ৬২২ সালে তিনি ছিলেন অন্তত পনের বছরের।

4. অতীতে অনেক দেশে এবং অনেক সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে (এমনকি বর্তমানেও কিছু কিছু অনুন্নত এলাকায়), সময় এবং বয়স মনে রাখার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রথা চালু ছিল না। তখন তারা কোনো বিশেষ ঘটনার সাহায্যে, যেমন যুদ্ধ, খরা, অথবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বয়স অথবা সময় মনে রাখত। এমনকি ইতিহাসের পাতায় সভ্যতার শীর্ষে যে রোমান জাতি, তাদের মাঝেও এই প্রথা চালু ছিল। নবী(সাঃ)-এর জন্মের বছরে আবরাহা তার হাতির বহর নিয়ে মক্কা আক্রমন করে। তাই সেই বছরকে বোঝাতে মক্কার লোকেরা "হস্তীর বৎসর” উল্লেখ করত। এই প্রথা স্মৃতির ওপরে নির্ভরশীল, তাই বয়সের এবং সময়ের হিসেবে অনিচ্ছাকৃত ভুল ইতিহাসে ধরা পড়ে।

5. ১৪০০ বছর আগে নয় বছরের বালিকার বিয়ে স্বাভাবিকই ধরা হত। বাইবেলেও এর ইঙ্গিত আমরা পাই। ইসলামের শত্রুপক্ষের লোকেরা রাসুল (সাঃ)এর অনেক সমালোচনা করেছে কিনতু এ বিষয়ে কখনো কোনো কটু মন্তব্য অথবা আলোচনা করেনি। তখনকার সামাজিক ব্যবস্থা, জীবন যাপন প্রণালী, প্রাকৃতিক অবস্থা এবং রূঢ় আবহাওয়া এর কারণ হতে পারে।

6. ৬১৫ সালে হজরত আবু বকর (রাঃ) মুত'আম এর পুত্রের সাথে আয়েশার (রাঃ) বিবাহের চিন্তা করেছিলেন। মুত'আম তার পুত্রের এই বিবাহে রাজি হয়নি কারণ তখন হজরত আবু বকর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তখন অবশ্যই বিবি আয়েশার (রাঃ) দুই এর বেশি ছিল । সেই হিসেবে ৬২২ সালে তাঁর বয়স অবশ্যই নয়ের অধিক ছিল।

7. হজরত আবু বকর (রাঃ) এর চারজন সন্তানেরই জন্ম হয়েছিল আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে, যখন ইসলাম প্রচার শুরু হয়নি। এই যুগের পরিসমাপ্তি হয় ৬১০ সালে। সেই সূত্রে, ৬২২ সিইতে বিবি আয়েশার (রাঃ) বয়স ন্যুনতম বারো বৎসর ছিল।

8. বিবি ফাতেমা (রাঃ) বিবি আয়েশার (রাঃ) পাঁচ বছরের বড় ছিলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন পয়ত্রিশ বৎসর তখন ফাতেমা (রাঃ) এর জন্ম হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী বিবি আয়েশা (রাঃ) রাসুলাল্লার (সাঃ) চাইতে চল্লিশ বছরের ছোট ছিলেন অর্থাৎ বিয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল বারো।

9. বিবি আয়েশার বড় বোন, বিবি আসমা ছিলেন তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড়। যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মদিনায় হিজরতের তিহাত্তরতম বছরে বিবি আসমার মৃত্যু হয় আনুমানিক একশ’ বছর বয়সে। খুব সম্ভবত, হিজরতের বছর বিবি আসমার বয়স ছিল ছাব্বিশ/সাতাশ এবং বিবি আয়েশার (রাঃ) ষোলো-সতের। ইবনে সা'দ এর তাবাকাত এবং আনসাব আল-আশরাফে কিছু কিছু বর্ণনায় আমরা পাই, হিজরতের দুই থেকে তিন বছর পরে বিবি আয়েশার (রাঃ) সাথে রাহুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সুতরাং সেই হিসেবে বিবাহ কালে তাঁর বয়স ছিল আঠার-উনিশ বছর।

10. বিখ্যাত ইমাম ড: সাব্বির আলী, ইমাম শেখ ইমরান হোসেন, শেখ ইয়াসির আল হাবিব সহ অজস্র ইসলামী বিশেষজ্ঞ এটা বলেন, অনেক সূত্র পাবে এখানে:- https://www.google.ca/…

11. পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াতে নারীরদের ১৯ বছরের আগে বিয়ে বেআইনী - ভিডিও - ড: জাকির নায়েক। মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কো আলজিরিয়া তো আছেই, ওখানকার মাওলানারা নিশ্চয় কোরান হাদিস কম জানেন না ! তাঁরা তো বাল্য বিবাহ বাতিল করেছেন!
12. দলিল আরো অনেক আছে, কখনো পরস্পর বিরোধী, তাই তা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। তবে এবারে কোরান। সুরা নিসা আয়াত ৬:-“এতীমদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবে যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার”।

কি মনে হয়?

"যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে......তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার" - এর অর্থ বিয়ের বয়স তখনি হবে যখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ হবে। কথাটা নাবালিকাদের ক্ষেত্রে খাটে? না, খাটে না। বাল্য-বিবাহ ওখানেই সুস্পষ্ট ভাষায় নাকচ করেছে কোরান !!

এবারে বাস্তবতা। যাঁরা বাল্যবিবাহ সমর্থন করেন, তাঁরা কি ওই কচি মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়েছেন একবার? বিশ-পঁচিশ বছরের তরুণের দেহে দুর্দান্ত প্রচণ্ড যৌবন খেলা করে, আর ওদিকে ওই বাচ্চা মেয়েটার না শরীর তৈরী, না মন। সেখানে প্রতিদিন ওই বাচ্চাটাকে কি দোজখের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার শরীরের ওপর কি মর্মান্তিক অত্যাচার হয় তা কি বাল্যবিবাহ সমর্থনকারীরা ভেবেছেন একবারও? ইসলাম-পালনের, নবীজীকে "অনুসরণ" করার উদগ্র বাসনা এভাবেই জীবন ধ্বংস করে, ইসলামের বদনাম হয়। এর ওপরে আছে ওই কচি শরীরে সময়ের আগেই মাতৃত্বের চাপ।

আরো বলতে হবে?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

কে ত ন বলেছেন: ধন্যবাদ, বিয়ের সময়ে আয়েশা (রা) এর বয়েস ৬ বছর না হওয়ার পক্ষে অনেক যুক্তি দেখিয়েছেন, যেগুলো উপেক্ষা করা মত নয়। সত্যি হতেই পারে, তবে আমার বক্তব্য হচ্ছে, সে সময় আয়েশা (রা) এর বয়েস এত অল্প হলেও আমি তাতে কোন সমস্যা দেখিনা। রাসূল (সা) অতি অল্প বয়েসের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন - এটি স্বীকার করতে আমার একটুও লজ্জা বা অস্বস্তি হবেনা।

মন্তব্যের শেষের প্যারা সম্পর্কে আমার কিছু বলার আছে। যেসব মানুষ কেবল বহু বিবাহ, বাল্য বিয়ে আর দাসী গমনের মধ্যে সুন্নত খোঁজে, তাদেরকে আমার বিকৃতকামী ছাড়া আর কিছু ভাবতে ভাল লাগেনা। রাসূল (সা) তাঁর স্ত্রীদের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন, সেটা সুন্নত নয়? স্ত্রীদেরকে কেমন মর্যাদা দিতেন - এই সব ভন্ড সুন্নতের কান্ডারিরা কোনদিন তা করে দেখাতে পারবে?

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: পলিগেমি আহমাদ---- মুহাম্মদ সঃ ও তার সাহাবীদের বহুবিবাহের প্রধান কারন ছিল উম্মতকে বহুবিবাহে উৎসাহিত করার জন্যে৷ কারন বহুবিবাহ ইসলামের নেয়ামত৷ শ্রেনী বৈষম্য কমানো , পুরুষের চাহিদা পূরন ও ব্যভিচার দূর করা, বিধবাদের কষ্টদূর করা ইত্যাদি সমাধান একবিবাহে সম্ভব নয়৷

: চার বিয়ে হালাল! কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে 'যদি' শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারলে বিয়ের অনুমতি নেই! সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরও নেই
কোরাণ একে শর্ত-সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে মাত্র একটা জায়গায়, সুরা নিসা’র ৩ নম্বর আয়াতে − “এতিমদের তাদের সম্পদ বুঝাইয়া দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করিও না। আর তাহাদের ধনসম্পদ নিজেদের ধনসম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করিয়া তাহা গ্রাস করিও না। নিশ্চয় ইহা বড়ই মন্দ কর্ম।

আর যদি তোমরা ভয় কর যে এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে যাহাদিগকে ভাল লাগে তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া নাও দুই, তিন বা চারিটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাহাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখিতে পারিবে না তবে একটিই”।

সুরা নিসার আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও” -এর ভিত্তিতে কিছু মওলানা চিরকাল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল”-এর মধ্যে পেম্র -ভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না। তাঁরা বলেন বিত্তশালী স্বামী চার বৌকে ওজনদরে সমান বাড়ি-গাড়ি দিয়ে রাখলেই বা কি ? সেখানে কি ভালবাসার তাজমহল গড়ে ওঠা সম্ভব ? ভালবাসা কি ভাগাভাগি করার জিনিস ? প্রেমে ভাগীদার গজালে তো মানুষ খুন পর্যন্ত করে ফেলে।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক শিশুকামী পেডোফাইল শুয়োরের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। এভাবেই আমরা শিশুকামী পেডোফাইল হবার হাস্যকর বাহানা আর মিথ্যা গালগল্প দেখবো। এজন্যই এসব দেশে শিশুকামীতা, ধর্ষন থেকে কোনো নারী বাদ যায় না। একেই বলে মধ্যযুগীয় বর্বরতা।
এভাবেই পেডোফাইল শুয়োরদের হাতে মেয়েরা শুধু বলির পাঠা হয়

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

কে ত ন বলেছেন: "কোন নারী বাদ যায়না" ?????
আপনার আশেপাশের কয়জন নারী এদের শিকার হয়েছে বলুন তো? আপনার কথার স্টাইল দেখে মনে হয় সব পেডোফাইল শুয়োর নবীর সুন্নত অনুসরণ করতে গিয়ে পেডোফাইল হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!

বাই দা বাই, আপনি আবার নবীজির সুন্নত অনুসরণ করতে যাবেন না যেন। নবীজি থেকে যত দূরে থাকবেন, আপনি এবং আপনার আশেপাশের নারীরা তত নিরাপদ থাকবে আশা করছি।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আসলেই এবিষয়ে কিছু লোকে অসস্ত্বিতে ভোগে। তারপর ও আমাদের এবিষয়ে মনে সন্দেহ রাখলে গুনাহগার হতে হবে। তবে সঠিক যুক্তিটা আমাদেরই বের করতে হবে। না হলে অন্য ধর্মের লোক বা নাস্তিকরা এটাকে ব্রক্ষ্মাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

কে ত ন বলেছেন: যতই যুক্তি বের করেন, তার পাল্টা যুক্তি আছে। এটা ব্রহ্মাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার মত কোন বিষয় নয়। অন্য ধর্মে এরকম উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি আছে। সেগুলো ধরে টান দিলে সেই ধর্মের অনুসারীরা বলবে - আমি বিশ্বাস করিনা। তাহলে নাস্তিক আর তার মাঝে পার্থক্য কি থাকল? কোন যুক্তি দিয়েই আপনি নাস্তিকদের সাথে পেড়ে উঠবেন না। সব যুক্তিতে হেরে গালে এমন বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করবে যে আপনার আর তর্ক না করাই সমীচিন মনে হবে।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: রবি ঠাকুরের সাথে নবীজির তুলনা (বিয়ে করার বিষয়ে) কোন হিসাবে দিলেন ? আপনি কি মর্যাদার দিক থেকে নবীজিকে উনার লেভেলের মনে করেন ?


এইভাবেই উপমা দিয়ে/ তুলনা করে নবীজির কর্মকান্ডকে সাধারণের কাতারে নামিয়ে আনতে চান বুঝি ???

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

কে ত ন বলেছেন: আমি যদি বলি যে হ্যা, আমি নবীজীকে ওনার লেভেলের মনে করি, আপনার কি বলার আছে?
রবীন্দ্রনাথ অনেক কিছু করে দেখিয়েছেন, যেটা নবীজি পারেন নি বা করেন নি।
নবীজি অনেক কিছু করেছেন, যেটা রবীন্দ্রনাথ করেন নি।

সবাই তার তার জায়গাতে শ্রেষ্ঠত্বের আসন অলংকৃত করে আছেন। এরা কেউই একে অন্যের সাথে তুলনীয় নয়। তবে যদি মর্যাদার প্রশ্ন তোলেন, তবে অবশ্যই নবীজির (স) মর্যাদা রক্ষার জন্য আমি নিজের জীবন বিপন্ন করতেও প্রস্তুত, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে আমার সেরকম কোন দায়বদ্ধতা নেই।

উপমা দিয়ে আমি আসলে দেড় হাজার ও দেড়শ বছর আগের সমাজ বাস্তবতা বুঝাতে চেয়েছি। লেভেলিং করতে চাইনি।

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুত্র মতে জানা যায় শিশুকামী নবী শ্যালক কোরান লেখক মুয়াবিয়া আয়েশাকে গভীর রাতে ডিনারের দাওয়াত দেয়। যেই চেয়ারে বসায় সেটা ছিলো একটা ফাঁদ। আয়েশা যখন চেয়ারে বসে গভীর রাতে অভিসারে এসে তখন চেয়ারটা উচিত করে মাটির নীচে দেবে যায় এবং সেখানে থাকে ভাঙ্গা জং ধরা অজস্র ঢাল তলোয়ারের আঘাতে আয়েশা বুড়ি আহত হয়। পরে সেটা ধামাচাপা দেবার মাটি দিয়ে কবর করে দেয়া হয় প্রথমে চুন ঢেলে এবং তাতে আয়েশার রাম নাম সত্য হয়ে যায়।

কারো রেফারেন্স লাগলে বইলেন, কড়াকড়া সুন্নী স্কলারদের টাটকা রেফারেন্স হাতে আছে। যদিও প্রশ্ন থাকো মাহরাব ছাড়া আয়েশা নবীর শ্যালকের ঘরে রাত বিরাতে করে কি???

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

আরোগ্য বলেছেন: |মধ্যযুগের ধর্ম ইসলাম ] পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

আরোগ্য বলেছেন: মধ্যযুগের ধর্ম ইসলাম

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

কে ত ন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা আপনার জন্য

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যা, আমার বিবেকে সায় দেবে। যদিঃ
- আমার কন্যার সেই বিয়েতে কোন আপত্তি না থাকে।
- এই বিয়ের মধ্যে আমি বৃহত্তর কোন স্বার্থ দেখতে পাই।
!!
লেখকের এই কথার পর নিশ্চয়ই আর কারো কোন কথা থাকতে পারে না।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যারা ইসলামের নামে রঙ্গ তামাশা করে তারা কি দেখে ইউরোপ আমেরিকায় পিতা, ভাই, আত্মীয় , অনাত্মীয় দ্বারা বালিকা, তরুণী, নারী ধর্ষিত হয়। মুখে স্বীকার না করলেও সেটা তাদের ভালই লাগে।

তারাই আবার ধর্মের ও নবীর দোষ খুজে বেড়ায়। এদের এক দিকে আধুনিকতা অন্যদিকে অন্ধকারে ভারা।

কোন যু্ক্তি তর্ক ছাড়াই নবীজী যা করেছেন তাতে রয়েছে কল্যান।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

কে ত ন বলেছেন: ধর্ম ও নবীর দোষ খুঁজে পায় কেবল বহুবিবাহ আর শিশু বিবাহে। আর আমার আপনার মত স্বল্প বুদ্ধির মুসলিম নওজোয়ানেরা সেগুলি নিয়েই পুতুলের মত নাচতে থাকে। রাসূলের (সা) হাদীস ঘাটলে দেখা যাবে তার জীবনে বিবাহ ১% ও নয়। বাকী ৯৯% নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথাই নেই।

রাসূল (স) এর রাজনীতি বা সমরনীতি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দেখুন, কয়জনে পড়তে আসে, আর কয়জন কমেন্ট করে! করবে কি করে, এই ব্যাপারে জ্ঞান থাকলে তো! অথচ আয়েশা (রা) এর বিয়ের বয়েস নিয়ে একটা পোস্ট দিলাম। হিট ৫০০ এর কাছাকাছি। মন্তব্যেরও অভাব নেই। এ ব্যাপারে সবাই এক একজন মস্ত জ্ঞানী।

১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



অন্ধজনেরা ব্যাপক আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহ পাক তাদের দেখার মত চোখ দান করুন।

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: তবে আমার বক্তব্য হচ্ছে, সে সময় আয়েশা (রা) এর বয়েস এত অল্প হলেও আমি তাতে কোন সমস্যা দেখিনা। রাসূল (সা) অতি অল্প বয়েসের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন - এটি স্বীকার করতে আমার একটুও লজ্জা বা অস্বস্তি হবেনা।

একটা মিথ্যা হাদিসকে ভিত্তি করে নবি জী (সা: ) পেডফাইল বলা হচ্ছে (নাউযুবিল্লাহ ) --- তাতে আপনি কি কারনে সমস্যা দেখন না ? আপনি এটা স্বীকার করতে লজ্জা পান না বা অস্বস্তি বোধ করেন না , তাহোলে উদাসী তথা ইসলাম বিদ্বেষিরা যখন পেডফাইল বলে গাল মন্দ করে তখন কেন স্বস্তি বোধ করেন না এবং কেন তাদের কে শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই লেখা পোষ্ট করেছেন ? আমার তো মনে হয় উদাসী স্বপ্ন আপনাদের ব্যপারে ঠিক কথা বলেছে যে -- অনেক শিশুকামী পেডোফাইল শুয়োরের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি
কারন নবি জী (সা: ) কে একটা প্রমাণীত মিথ্যা হাদিসকে ভিত্তি করে, যখন পেডফাইল ( নাউযুবিল্লাহ ) বলা হয় তখন আপনি লজ্জা পান না বা অস্বস্তি বোধ করেন না --- নিজেরা যেহেতু পেডফাইল তাই লজ্জা পান না বা অস্বস্তি বোধ করেন না ।

অতচ আমাদের প্রিয় নবিকে যখন একটা মিথ্যা হাদিসকে ভিত্তি করে কেউ গালমন্দ করে , তখন আমরা হাদিস খানি যে মিথ্যা
সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করি কারন নবি জী কে কেউ পেডফাইল ( নাউযুবিল্লাহ ) বল্লে আমরা লজ্জা পাই এবং অস্বস্তি বোধ করি কিন্তু আপনি লজ্জা তো দুরে থাক অস্বস্তি বোধ করেন না কারন উদাসী স্বপ্নের মতে আপনার হইলেন শিশুকামী পেডফাইল শুয়োর, তাই ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

কে ত ন বলেছেন: এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। আপনার এত বড় মন্তব্যের পেছনে আসল উদ্দেশ্য ছিল তাহলে উদাসীকে সাপোর্ট দিয়ে উস্কে দেয়া এবং আমাকেই উলটো পেডোফাইল শুয়োর প্রমাণ করা। গুড! ভালো মানুষীর পেছনে আপনার আসল চেহারাটা তাহলে খুলে গেল। যে উদাসীকে সবাই যেখানে ডাস্টবিন ভেবে স্রেফ উপেক্ষা করে যায়, তাকেও আমি ন্যুনতম সম্মান দিয়েছি তার মন্তব্যের জবাব দিয়ে। আপনি এই না খাস্তা উদাসীকে একেবারে আসমানে তুলে দিলেন? কাজটা কি ঠিক হল?

কোন হাদিসই ১০০% মিথ্যা বা সত্যি নয়। সব হাদীসই যুক্তি দিয়ে খন্ডন করা যায়। আমি তো আপনার বর্ণনা করা হাদীস অবিশ্বাস করিনি। বরং সাপোর্ট দিয়েছি এই বলে যে সেগুলো বিশ্বাস করার মত যথেষ্ট কারণ আছে। তারপরেও আমি রাসূল (স) এর বাল্য বিবাহ সমর্থন করি এই যুক্তিতে যে পেডোফাইল বলতে যা বুঝায়, রাসূল (স) কোন অবস্থাতেই সেরকম কিছু ছিলেন না। তাই আমি আমার বিশ্বাসে অটল থাকব, আপনাদের গ্রুপ বাবা মায়ের শিক্ষা ভুলে গিয়ে যতই গালাগালি করুক।

১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আমার প্রিয় নবীজীকে দঃ মক্কার লোকেরা বহু সংখ্যক সুন্দরী ললনা উপহার দেবার প্রস্তাব দিয়েছিল, শাসন ক্ষমতা দেবার লোভ দেখিয়েছিল। শুধু একটাই ছিল তাদের শর্ত যে, ইসলাম ধর্ম প্রচার করা যাবেনা। কিন্তু আমার নবীজী দঃ তাদের প্রস্তাব একথা বলে ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন, "তোমরা যদি আমার একহাতে চন্দ্র আর অন্য হাতে আকাশের ঐ সূর্যটাও এনে দাও , তবুও আমি প্রাণ দিয়ে অনুভব করা সত্য প্রচার করা থেকে বিরত হবো না"।
তাহলে এসব অসভ্য গুলো কী সাহসে আমার নবীজির উপর মিথ্যে অপবাদ দেয়?
কট্টর পন্থী ইউরোপীয় ঐতিহাসিকেরা পর্যন্ত নবীজীর চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ করেন নাই, সে ক্ষেত্রে আবার হটাৎ করে গজিয়ে ওঠা এসব ব্যাঙের ছাতা মার্কা আবু জাহেলের প্রেতাত্মারা আবার কিসের আশায় এসব বকছে? মনে হয়, এদের কোন বিশেষ এজেন্ডা আছে।
যা বাস্তবায়নের লক্ষে এরা অবিরাম ইসলাম, কোরআন, আর নবীজীকে নিয়ে আবোল তাবোল বকছে?
যেখানে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা "ইন্নাকা লা আলা খুলুকিন আযীম" আর উসওয়াতুন হাসানা'" বলে আমার নবীজীর উত্তম চরিত্রের সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তারপর আর কোন যদু মধু কদুর অভিমত নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। আপনার এত বড় মন্তব্যের পেছনে আসল উদ্দেশ্য ছিল তাহলে উদাসীকে সাপোর্ট দিয়ে উস্কে দেয়া এবং আমাকেই উলটো পেডোফাইল শুয়োর প্রমাণ করা

কত বড় বুদ্ধিমান আপনি , কি সুন্দর আমার উদ্দেশ্য ধরে ফেলেছেন ---- আপনি ঠিক ধরছেন -- আমার এত বড় মন্তব্যের পর আপনি নিজে নিজে ধরা দিয়ে বলে ফেললেন -- আমি লজ্জা পাই না , বিব্রত হই না ইত্যাদি । তো আপনি এমন মন্তব্য না করলে কোন দিন ধরতে পারতাম না যে উদাসীর কথা সত্য ।
আপনার কাছে কি আমি জানতে চেয়েছিলাম যে আপনি লজ্জা পান কিনা বা বিব্রত হন কিনা -- । আপনি ঐ কথা বলেই তো উদাসীর মন্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করে দিলেন ।
এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে
লজ্জিত হন না তিনি , বিব্রত হন না তিনি
পেডফাইল অপবাদে
( নাউযুবিল্লাহ )

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কে ত ন বলেছেন: আমাকে কেউ শুয়োর বলে গালি দিতেই পারে, আমি যেহেতু শুয়োর নই, তাই এই গালাগালিতে আমি বিব্রত হইনা।

রাসূল (স) কে যারা পেডোফাইল বলে অপবাদ দেয়, তারাসহ আমরা সকলেই জানি, তিনি পেডওফাইল নন। তাই কেউ তাঁকে এই মিথ্যা অপবাদ দিলে আমার বিব্রত হবার কোন কারণ নেই। রাসূল (স) কে পেডোফাইল বলার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে, রাসূলের (সা) এর প্রতি আমার যে প্রেম আছে, তাকে খুঁচিয়ে আমাকে উত্যক্ত করা। যেহেতু তার উদ্দেশ্য আমি জেনে গেছি, তাই এই নিয়ে আর বিব্রত হবার প্রশ্নই আসেনা।

আমি লজ্জা পাইনা, আমি বিব্রত হইনা, কারণ এক আধজন আমাকে বিব্রত করার উদ্দেশ্য কিছু না জেনে শুনেই রাসূল (সা) কে বলবে পেডোফাইল। আর আমি, আপনি - এই বিশ্বের দেড়শ' কোটি মানুষ প্রমাণ সহকারে দাবি করবে, তিনি পেডোফাইল নন। তাহলে আমার বিব্রত বা লজ্জিত হবার কি কারণ থাকতে পারে?

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আর আমি, আপনি - এই বিশ্বের দেড়শ' কোটি মানুষ প্রমাণ সহকারে দাবি করবে, তিনি পেডোফাইল নন

আর বিশ্বের ৭৫০ কোটি মানুষ একটা মিথ্যা হাদিসকে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করে কি দাবি করে ?


তাহলে আমার বিব্রত বা লজ্জিত হবার কি কারণ থাকতে পারে?

কারন আপনি মিথ্যা হাদিসটা বিশ্বাষ করে বাল্য বিবাহকে জায়েজ মনে করেন , তাই বিব্রত লজ্জিত হন না ।

রাসূল (স) কে যারা পেডোফাইল বলে অপবাদ দেয়, তারাসহ আমরা সকলেই জানি, তিনি পেডওফাইল নন।

কিন্তু ঐ মিথ্যা হাদিসটা যতদিন লালন করবেন তত দিন এই অপবাদ আসবে.

তাই কেউ তাঁকে এই মিথ্যা অপবাদ দিলে আমার বিব্রত হবার কোন কারণ নেই।

বিব্রত হয়েই তো এই পোষ্টিং দিয়েছেন ।

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মানুষের মিছা কথা কওয়ার আর কোনো লিমিট নাই। ডাকাত গুলো নারীলোভি তো পরে, ১ নম্বরের শিশুকামী ছিলো। এর বলিও হইছে তাদের স্ত্রী কন্যারা। রুকাইয়া তাই অল্প বয়সে কোঁত কইরা মরছে। মোহাম্মদ একটা ধ্বজভঙ্গ ছিলো যেইটা ইসহাকের বইতে একটু হিন্টস পাওয়া যায়। কিন্তু ১ নম্বরের শিশুকামী। কারন অনেকেই জানে না সে তার ৪-৫ বছর এক কাজিনরে দেইখাও তারে বিয়ে করতে চাইছে। কিন্তু বেশীদিন বাচে নাই, তার আগেই বিষের যন্ত্রনায় ভবলীলা সাঙ্গ করছে।

আর আয়েশা কোনো সহী কাম করে নাই। প্রথম ফিতনার যুদ্ধ ওর কারনেই হইছে। ওর পরকীয়া নিয়া আলি কথা কইলে মোহাম্মদ আয়াত ডাউনলোড করে কিন্তু এই পরকীয়ার জন্য ঠিকই কয়টারে শাস্তি দেয় ডাইরেক্টলি ইনডাইরেক্টলি। আর আয়েশার বাপ ক্ষমতার লোভে মোহাম্মদের মরার সাথে সাথে আলীর সাথে ক্ষমতা লইয়া যে চিটারী করে তার জন্যই শুরু হইছে আজকের এই শিয়া সুন্নী দ্বন্ধ। ঘাদিরে খুমের ঘোষনা অস্বীকার যখনই করছে আর জঙ্গি উমর যখনই ঝাড়ি দিয়া মোহাম্মদরে চুপ করাইছে তখনই মুসলিম বিশ্ব ভাগ শুরু হইছে।

আর সব কিছুর মূলে শিশুকামীদের মাইয়াবাজী। আর ফলাফল হাতেনাতে। পুরা বংশ খাড়ার ওপর নির্বংশ করছে ওরাই, কোথাও কোনো ইহুদী নাছাড়াদের ষড়যন্ত্র নাই। মিথ্যা ঈশ্বরের মাকাল ধর্ম তাই আজ পুরা বিশ্বে অশিক্ষিত জঙ্গি শিশুকামী শুয়োরগুলোই পালন করে।

ওয়াক থু

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মুহাম্মদ একটা ধ্বজভঙ্গ ছিলো সেটা সীরাত থেকেই জানা যায় আর বেশীর ভাগ ধ্বজভঙ্গ বুড়াকালে পেডোফাইল হয় আর তাই মুসলিম সহ বাংলাদেশে সবচে বেশী পরিমান ভায়াগ্রা কলকাতা হারবাল ব্যাবসা করে আর বাল্যবিবাহে চ্যাম্পিয়ন।

সাফিয়ার হাতে বিষ খেয়ে যখন ভুগতেছিলো ভন্ড নবী তখন উম্মুল ফাদী নামের এক পিচ্চি মাটিতে গড়াগড়িকরে খেলতেছিলো। তখন শিশুকামীটা তাকে দেখে বলে আরেকটু বড় ডাগুরডুগুড় হইলে যদি বাইচ্চা থাকি তাইলে এইটারেও বিয়া করুম।

সীরাতের নাম চাইলে হাত তুলেন। শিশুকামী ভন্ডটার আরো অনেক কাহিনী আছে। সাফিয়ার বিয়াতে কোনো নিকাহ নামা ছিলো না, ইজ্জত পালন ব্যাতিরেকেই বিয়ে করছে অথচ যেদিন কিনানরে মারছে তার দুয়েকদিন আগে ওদের বিয়ে হইছিলো। কত বড় নিষ্ঠুর ছিলো এই গনহত্যা কারী শিশুকামী নরপশুটা

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

কানিজ রিনা বলেছেন: হযরত মোহাঃ সাঃ কে নিয়ে যারা গীবদে
লিপ্ত তারা নিকৃষ্ট ইসলাম বিদ্যেশী। আর
তারা যদি সৃষ্টি কর্তাকে নুন্যতমও বিশ্বাস
করে তাহলে তাদের উদ্বেশ্যে একটা কথাই
বলতে চাই তারা হযরত মোহাঃ সাঃ পায়ের
ধুলোর সমতুল্যও নয়। তার বিরুদ্ধ চারীরা
অতি নিকৃষ্ট জঘন্য নরকের পোকা।
তারা যেন জেনে রাখে উৎকৃষ্ট আর নিকৃষ্ট
স্বর্গ নরকে পতিত হবে।
আর একথা সত্য আল্লাহ্ বলেছেন এইসব
নিকৃষ্টরা যুগে যুগে আমার প্রেরিত নবী রাসুলকে নিয়ে বিদ্রুপ উপহাস করেছে।
এদের আমার সামনে দাড়াতে হবে। সেদিন
বলবে আমরা আবার পৃথিবীতে যেতে চাই
আল্লাহর দেওয়া ন্যায়নীতি নবী রাসুলের
পথ অবলম্বন করব।
তখন নিকৃষ্টদের আর কোনও পথ খোলা
থাকবেনা। তাদের বুদ্ধির পরিধি এত কম যে
তারা বিবেক বিবেচনা হাড়িয়ে দুনিয়াবি লোভ
লালসা আরাম বিয়ামের প্রসংশায় লিপ্ত থাকবে

হয়রত মোহাঃ সাঃ যখন আয়সা রাঃ আঃ কে
স্বাদী করেন তখনকার নিয়ম বা আইন
অনুযায়ী একটা কিশোরী হায়েজ হওয়ার পরেই
স্বামীর ঘর করবে সেই হেতু আয়সা রাঃ আঃ
৯ বছর বয়সে রাসুল সাঃ ঘর করার অনুমতি
পান। এবং বয়সের তারতম্য নিয়ে তর্কের
কারন গিবোধকারী অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে।
আয়সা রাঃ আঃ বিবাহের পাঁচ বছর পর
মোহাঃ সাঃ হাফসা রাঃ আঃ কে বিবাহ
করেন এবং হাফসা রাঃ আঃ তখন বয়স
ছিল ২৩ বছর এখন হিসাব মিলালে কি
দ্বারায়। প্রাচীন যুগের আইন কি এখন চলবে?
তাছাড়া মোহাঃ সাঃ বেশীর ভাগ বিবি ছিলেন
বিধোবা স্বামী পরিত্যাক্ত সাহাবী মুমিনদের
কন্যা। নিকৃষ্টরা ভেবে দেখেনা কেন বিধোবাদের
তিনি স্বাদী মোবারক করেছিলেন আর মুমিনিনদের কন্যা কেন ছিল। কত কত মহারথী
নাস্তিক বিদ্যেশীরা যুগ যুগ ধরে আবর্জনার
স্তুপে নিপতিত হয়ছে কালে ক্রমে।
একমাত্র আল্লাহ্ই রক্ষক ইসলামের কোরআনও
মহানবী হযরত মোহাঃ সাঃ। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.