![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু বিভ্রান্তি এমন যে আপনি বুঝতেই পারবেন না আপনি এর শিকার। প্রেম এমন ই একটা বিভ্রান্তি। আবার সমুদ্রের নীল ও একই। যখন বুঝবেন তখন আপনি ডুবে গেছেন।
১:
স্কুল জীবনের ঘটনা। তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। স্কুল পালানো তখন মাত্র শিখছি। এডভেঞ্চার এডভেঞ্চার ভাব। আমি কুমিল্লা জিলা স্কুল এর ছাত্র ছিলাম। আমাদের স্কুল বাউন্ডারির পাশে কুমিল্লা স্টেডিয়াম। বাউন্ডারির এক কোনায় কয়েকটা ইট ছিল না। এই ছোট্ট ফাঁকা দিয়াই স্কুল পালাইতাম আমরা। গেটে টিচার থাকতো তাই এই সিস্টেম। আর পিচ্চি ছিলাম বলে এই খোরল দিয়া পালাইতেও বেশি একটা সমস্যা হত না। কিন্তু আমাদের এক ক্লাসমেট ছিল ব্যাপক লম্বা আর স্বাস্থ্যবান। মজার ব্যাপার হল ক্লাসে তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিল আবার খুব ছোটখাটো। আমরা তাই এই জুটিকে ডাকতাম গালিভার লিলিপুট।
গালিভারের প্রব্লেম হল বেচারা এত বড় শরীর নিয়া বাউন্ডারির ওই ছোট্ট ফাঁকা গলে স্কুল পালাইতে পারত না। তাই সে আমাদের সাথে এই বলে ভাব নিত যে পালামু রাজার মত। তার রাজার মত স্কুল পালানো ছিল অন্যপাশের তারকাটা অলা বাউন্ডারির উপর দিয়ে উঠে লাফ দেয়া। আর লিলিপুটও বুঝে না বুঝে বন্ধুকে সাপোর্ট করত।
একদিন টিফিন পিরিয়ডে সর্বসম্মতিক্রমে স্কুল পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হল। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা ছিল এজন্য। আমরা কয়জন বাউন্ডারির ফুটা দিয়ে বের হয়ে গেলেও গালিভার তার লিলিপুট বন্ধুরে নিয়ে রাজার হালে পালানোর জন্য তারকাটা অলা ওয়াল পাড়ি দিতে গেল। ওয়াল টা অনেক উঁচু তাই হাচড়েপাছড়ে কোন রকম উঠল।
কিন্তু লাফ দেয়ার সময় ঘটলো বিপত্তি। গালিভার এক লাফে নেমে গেলেও তার ছোট্ট বন্ধু লাফ দিতে গিয়ে সার্টের পিছনের অংশ আটকে গিয়ে তারকাটার সাথে ঝুলে রইল।
বেচারা হালকা পাতলা বলে সার্ট ছিঁড়ে পড়েও যায় না। আবার কিছু করতেও পারছে না। খালি চিল্লায়া চিল্লায়া কয় ওই আমারে নামা। পরে বহুত কাহিনী করে এই ঝুলন্ত পেন্ডুলাম কে নামানো লাগছে।
২:
মেরিন একাডেমি তে আমার এক বন্ধু ছিল। সব ব্যাপারেই নার্ভাস। আর মেয়েদের ব্যাপারে তো কথাই নাই। বেচারার কোন মেয়ে বন্ধু নাই। থাকবে ক্যামনে? ফোনে কথা বলতে গেলেই কাপাকাপি অবস্থা। মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও আমরা মোটামুটি সবাই মোবাইল ব্যাবহার করতাম । আমাদের কথা বলা দেখে ওর আফসোসের শেষ নাই। একদিন তিন চারজন বন্ধু মিলে তারে সাহস দিলাম। ফোনে কথা শুরু করার টিপস ও দিলাম। টিপস হল, " কথা শুরু কইরাই এক উল্টাপাল্টা মেয়ে নাম বলবি। তখন ওই মেয়ে বলবে যে না এটা আমি না। তখন তুই বলবি যে, ও সরি রংনাম্বার। এই বইলা কাইটা না দিয়া কথা চালায়া যাবি।" বন্ধু আমাদের কথায় ফুইলা সাহসের মিগ টুয়েন্টি নাইনে ভর করে দিলো ফোন। ওই প্রান্ত থেকে মেয়েটা ফোন ধরল। হ্যালো বললো। নার্ভাস বন্ধু কয়, "হ্যালো, রং নাম্বার ??
"
৩:
এবার একটা শয়তানী শেয়ার করিঃ
চট্টগ্রামে আখতারুজ্জামান সেন্টারে গেছি একটা কাজে। ৭ তলায় একটা অফিসে। সাথে এক ফ্রেন্ড। কাজ শেষে নামবো অনেকক্ষন লিফটে অপেক্ষা করতেছি। আরো ৭/৮ জন আছে। লিফট আসার নাম নেই। সিঁড়ি দিয়েও নামতে আলসি লাগতেছে। অবশেষে আসলো। কিন্তু দেখি দুইজন উঠার পরই লিফটম্যান বলতেছে, "আর কেউ আসবেন না, স্যার একা যাবে।" ধারনক্ষমতা আরো অনেক বেশি। স্যারের দিকে তাকাইলাম। ভাবলাম বলবে, না আসেন। কিন্তু ব্যাটার চোখে মুখে এমন ভাব দেখলাম একেবারে "মুই কি হনুরে" টাইপ ভাব। লিফটম্যান কে বলতেছে, "তাড়াতাড়ি যাও।" ফ্রেন্ডের দিকে তাকাইলাম। ইয়াং ব্লাড তো। আলসি মালসি কই চলে গেছে। এক দৌড়ে সিঁড়ি বাইয়া ৬ তালায়। দেখি লিফট লাইনে কেউ নাই। দিলাম টিপ। এভাবে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে প্রত্যেকটা ফ্লোরের মিশন কমপ্লিট করে নিচে। হাহ। আয় এবার তাড়াতাড়ি। ব্যাটা তুই অফিসার, আমরা কী বানের জলে ভাইসা আসছি।
ইয়াং ব্লাড।
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫১
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: নাহ। মুই খুব লক্ষ্মী ছিলাম।
২| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
স্বপনবাজ বলেছেন: আমিও কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলাম, তবে ক্লাস এইটের আগে পালানোর সাহস বা ইচ্ছা জাগেনি!
স্কুল পালানোর মজার স্মৃতি হলো দেয়াল টপকে পালানোর সময় জুতা খুলে নর্দমার পানিতে ভেসে যাচ্ছে আর আমি তখনো দেয়ালে! জীবনের মজার ঘটনার বেশিরভাগ স্কুল টাতেই!
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫২
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: হরে ভাই। ব্যাপক মিসাই (মিস করি) লাইফখান।
৩| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
কাউসার রানা বলেছেন: মাঝে মাঝে শয়তানি খারাপ না
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: হুম। চার্জ হয়।
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৯
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন:
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ভাই কি সিটিসেল ইউজার??
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১১
বড় বিলাই বলেছেন:

ভালোই শয়তানি করছেন।