![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
===কুরআনে “অলি/ আওলিয়া (অলির বহুবচন)” ===
আমরা অনেকেই বলে থাকি যে, অমুক দরবেশ, অমুক পীর আল্লাহর অলি ছিলেন। একমাত্র আল কুরআন ও সহীহ হাদীস ব্যতীত দ্বীন ইসলামের আর কোন দলীল গ্রহণ করা যেতে পারে না। যারা এই ২ (দুই) দলীলের সমর্থনের বাইরে জবরদস্ত আলেম, মহা বুজুগান, পীরানে পীর, অলিয়ে কামেল, হাদিয়ে যামান, মোহিয়ে সুন্নাত, আমিরুশ শরিয়াত, কুতুবে রাব্বানী ইত্যাদি যত “টাইটেল”ই ধারণ করুক না কেন তাদের নির্দেশের উপর আমল করা শয়তানের পায়রূবী ছাড়া আর কিছু নয়।
তাই আমাদের প্রথমে দেখা উচিত অলি/ আওলিয়া (অলির বহুবচন) দারা কুরআনে কি বুঝানো হয়েছে।
এটা কুরআনে কোথাও পাওয়া যাবে না যে “আওলিয়া” শব্দটি একটি নির্দিষ্ট মুসলিম/ মুসলমানদের দল/ বেক্তিকে বুজায় যাকে আমাদের অনুসরণ করা উচিত এমনকি আল্লাহ ও তাঁর নবী মোহাম্মদ সঃ এর নির্দেশ উপেক্ষা করে।
এমনকি, এরকম কোন আয়াত প্রমানের জন্য পাওয়া যায় না যাতে পীর/আওলিয়াগন যেমন বিদ্রূপ করে, গালিগালাজ/বকাবকি করে, একে/ একদল অন্যকে/ অন্যদলকে দোষারোপ করে, মুসলমানদের দলে বিভক্ত করে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিতর্ক/ ঘৃণা তৈরি করে ইসলাম প্রচার করে থাকে তাঁর অনুমতি দেয়।
এখন আমাদের দেখতে হবে কুরআনের “অলি/ আওলিয়া (অলির বহুবচন)” মানে কি???
কুরআন থেকে নিচের 23 আয়াতের সংক্ষিপ্ত অর্থ পড়ুন।
১। সূরা আল-বাকারাChapter 2:2/3 & 4, মুত্তাকিন এর সংজ্ঞাঃ
“এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য।
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে
এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।” সূরা আল-বাকারা Chapter 2:2/3 & 4
সুতরাং যাদের নিচের ৬টি গুন আছে তাঁদের (মুত্তাকিনদের) আল্লাহ্ হেদায়েত দান করে
১। অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
২। নামাজ পরা
৩। যে রুযী আল্লাহ্ দান করেছে তা থেকে ব্যয় করা (যাকাত দেওয়া)
৪। পবিত্র কুরআনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা
৫। পূর্ববর্তী কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা
৬। আর আখেরাতকে বিশ্বাস করা
এই আয়াত গুলতে আল্লাহ বলছেন - তিনি মুত্তাকিনদের হেদায়েত দান করেন। অতএব, সব মুসলমানকে
সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা করতে হবে আরও ভাল মুত্তাকিন হতে।
সুতরাং, প্রত্যেক বিশ্বাসী / মুসলিম কম অথবা বেশী মুত্তাকিন।)
২। সূরা আল-আনফাল, Chapter 8:34 আওলিয়া এর সংজ্ঞাঃ
কেও আওলিয়া হতে পারবেনা যতক্ষণ না সে মুত্তাকিন হয়।
“আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব দান করবেন না। অথচ তারা মসজিদে-হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাঁরা যোগ্যতা রাখেনা আওলিয়া (অভিবাবক) হওয়ার? এর যোগ্য আওলিয়া (অভিবাবক) তো তারাই যারা মুত্তাকিন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়।” সূরা আল-আনফাল, Chapter 8:34
৩। মুসলমানরা একে অপরের আওলিয়া (বন্ধু/ অভিভাবক) হয়.
“...আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের আওলিয়া...” At-Tauba -9/71
৪। আল্লাহ, রাসুল সঃ এবং মুমিনদের ছারা অন্য আওলিয়া (বন্ধু, অভিভাবক)গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
“তোমাদের বন্ধু (আওলিয়া) তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র।” সূরা আল-মায়েদা - 5/55
৫। আওলিয়ার (মুত্তাকিন)কোন ভয় এবং কোন দুঃখ নেই.
“মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু (আওলিয়ার), তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে” সূরা ইউনূছ - 10/62
৬। শুধুমাত্র কুরআন এবং নবী সঃ এর সুন্নত অনুসরণ করতে হবে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য আওলিয়া (বন্ধু বা অভিভাবক) গ্রহন করা যাবে না।
“তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য আওলিয়াদের(বন্ধু বা অভিভাবক) অনুসরণ করো না।” Al A'araf -7/3
৭। আল্লাহ ব্যতীত কোন আওলিয়া নেই।
“তারা পৃথিবীতেও আল্লাহকে অপারগ করতে পারবে না এবং আল্লাহ ব্যতীত তাদের কোন আওলিয়া (সাহায্যকারীও) নেই, তাদের জন্য দ্বিগুণ শাস্তি রয়েছে; তারা শুনতে পারত না এবং দেখতেও পেত না।” সূরা হুদ - 11/20
৮। আপনি আল্লাহ ছাড়া তাদেরকে আওলিয়া রূপে গ্রহণ করেছেন যাদের কোন ক্ষমতা নেই উপকার বা ক্ষতি করার???
“তবে কি তোমরা আল্লাহ ব্যতীত এমন আওলিয়া (অভিভাবক) স্থির করেছ, যারা নিজেদের ভাল-মন্দের ও মালিক নয়?” সূরা আর-রাদ- 13/16
৯। “তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অপরকে আওলিয়া (অভিভাবক) স্থির করেছে? পরন্তু আল্লাহই তো একমাত্র আওলিয়া (অভিভাবক)” সূরা আশ-শুরা -42 / 9
১০। আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে আওলিয়া হিসাবে গ্রহণ করে এবং অপরের নিয়ম মতো চলে তাঁদের দায়-দায়িত্ব নবী সঃ এর উপর নয়।
“যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে আওলিয়া (অভিভাবক) হিসাবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন। আপনার উপর নয় তাদের দায়-দায়িত্ব।” সূরা আশ-শুরা -42 / 6
১১। “আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তাদের কোন আওলিয়া (সাহায্যকারী) থাকবে না, যে তাদেরকে সাহায্য করবে। আল্লাহ তা’আলা যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন গতি নেই।” সূরা আশ-শুরা -42 / 46
১২। যারা বিপথে চালিত তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনও আওলিয়া (অভিভাবক) পাবেন না.
“আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, সেই তো সঠিক পথ প্রাপ্ত এবং যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন, তাদের জন্যে আপনি আল্লাহ ছাড়া কোন আওলিয়া (সাহায্যকারী)পাবেননা। আমি কেয়ামতের দিন তাদের সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, মুক অবস্থায় এবং বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম। যখনই নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে আমি তখন তাদের জন্যে অগ্নি আরও বৃদ্ধি করে দিব।” সূরা আল- ইসরা -17/97
১৩। “কাফেররা কি মনে করে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে আওলিয়া রূপে গ্রহণ করবে? আমি কাফেরদের অভ্যর্থনার জন্যে জাহান্নামকে প্রস্তুত করে রেখেছি।” সূরা আল-কাহাফ - 18/102
১৪। আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাওকে আওলিয়া (অভিভাবক) বানাতে পারবনা।
“তারা বলবে-আপনি পবিত্র, আমরা আপনার পরিবর্তে অন্যকে আওলিয়া “মুরুব্বীরূপে” গ্রহণ করতে পারতাম না; কিন্তু আপনিই তো তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলেন, ফলে তারা আপনার স্মৃতি বিস্মৃত হয়েছিল এবং তারা ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি।”সূরা আল-ফোরকান- 25/18
১৫। নিশ্চয় ধর্ম (ঈবাদত এবং আনুগত্য) শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য.
“যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে আওলিয়া রূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” সূরা আয-যুমার -39/3
১৬। “ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের আওলিয়া (অভিভাবক), সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।” সূরা ফুসসিলাত - 41/31
১৭। “তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। তারা যা উপার্জন করেছে, তা তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে আওলিয়া (সাহায্যকারী, রক্ষাকর্তা) রূপে গ্রহণ করেছে তারাও নয়। তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি।” সূরা আল-জাসিয়া- 45/10
১৮। “আল্লাহর সামনে তারা আপনার কোন উপকারে আসবে না। যালেমরা একে অপরের আওলিয়া (সাহায্যকারী, অভিভাবক) । আর আল্লাহ মুত্তাকিনদের (পরহেযগারদের) ওয়ালি (বন্ধু)।” সূরা আল-জাসিয়া- 45/19
19. “আর যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে আহবানকারীর কথা মানবে না, সে পৃথিবীতে আল্লাহকে অপারগ করতে পারবে না এবং আল্লাহ ব্যতীত তার কোন আওলিয়া (সাহায্যকারী) থাকবে না। এ ধরনের লোকই প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।” সূরা আল-আহকাফ- 46/32
২০। যখন অনুসৃতরা (তথাকথিত আওলিয়া নামে পরিচিত) তাঁদের মুরিদ দের বর্জন করবে যারা (মুরিদরা)অনুসরণ করত তথাকথিত আওলিয়া নামে পরিচিতদের। যখন তাঁরা যন্ত্রণা দেখতে পাবে তখন তাদের (আওলিয়া ও মুরিদের) মধ্যে তাদের সব সম্পর্ক বাতিল হয়ে যাবে করা হবে। তখন মুরিদরা যারা তথাকথিত আওলিয়া নামে পরিচিদের অনুসরন করত তাঁরা বলবে “কতইনা ভাল হত, যদি আমাদিগকে পৃথিবীতে ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত। তাহলে আমরাও তাদের (আওলিয়া নামে পরিচিত) প্রতি তেমনি অসন্তুষ্ট হয়ে যেতাম, যেমন তারা (আওলিয়া নামে পরিচিত) অসন্তুষ্ট হয়েছে আমাদের (মুরিদের) প্রতি। ”
“অনুসৃতরা (আওলিয়া নামে পরিচিত)যখন অনুসরণকারীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তাদের পারস্পরিক সমস্ত সম্পর্ক।
এবং অনুসারীরা )মুরিদ) বলবে, কতইনা ভাল হত, যদি আমাদিগকে পৃথিবীতে ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত। তাহলে আমরাও তাদের (আওলিয়া নামে পরিচিত) প্রতি তেমনি অসন্তুষ্ট হয়ে যেতাম, যেমন তারা (আওলিয়া নামে পরিচিত) অসন্তুষ্ট হয়েছে আমাদের)মুরিদদের) প্রতি। এভাবেই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দেখাবেন তাদের কৃতকর্ম তাদেরকে অনুতপ্ত করার জন্যে। অথচ, তারা কস্মিনকালেও আগুন থেকে বের হতে পারবে না।”সূরা আল-বাকারা - 2/166 & 167
সুতরাং আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে অনুতপ্ত করার জন্যে তাদের কৃতকর্ম দেখাবেন। এবং তারা কস্মিনকালেও আগুন থেকে বের হতে পারবে না।
হযরতআহমেদরাজাখানেরঅনুবাদ এরকম:
[সেইদিন যখন নেতারা তাদের অনুগামীদের প্রতি ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ হবে - এবং তারা তাদের শাস্তি দেখতে পাবে এবং তাদের সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে.
এবং অনুসারীর বলবে, “যদি আমাদিগকে পৃথিবীতে ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত। তাহলে আমরাও তাদের(নেতাদের) থেকে বিচ্ছিন্ন হতাম , যেমন তারা আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে”; এভাবেই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দেখাবেন তাদের কৃতকর্ম তাদেরকে অনুতপ্ত করার জন্যে; এবং তাঁরা কখনই আগুন থেকে বের হতে পারবে না।] সূরা আল-বাকারা - 2/166 & 167
২১। শেষবিচারের দিন আল্লাহ যখন তাদেরকে (যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করত) একত্রিত করবেন এবং আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করত তাদেরকে [যেমন ফেরেশতা, সাধু, সন্ন্যাসী, পীর, আওলিয়া, মরিয়ম পুত্র যিশু (PBUH) …] একত্রিত করবেন। আল্লাহ্ তখন উপাস্যদেরকে জিজ্ঞেস করবেন “তোমরাই কি আমার এই বান্দাদেরকে পথভ্রান্ত করেছিলে, না তারা নিজেরাই পথভ্রান্ত হয়েছিল?”
তাঁরা (উপাস্যরা)বলবে-আপনি (আল্লাহ্) পবিত্র, আমরা আপনার পরিবর্তে আমাদের ইবাদত করতে (আওলিয়া, অভিবাবক, সাহায্যকারী, মুরুব্বীরূপে গ্রহণ করতে) বলি নাই, কিন্তু আপনিই তো তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলেন, ফলে তারা সতর্কতা ভুলে গিয়েছিল এবং তারা ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি।
[সেদিন আল্লাহ একত্রিত করবেন তাদেরকে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করত তাদেরকে, সেদিন তিনি উপাস্যদেরকে বলবেন, তোমরাই কি আমার এই বান্দাদেরকে পথভ্রান্ত করেছিলে, না তারা নিজেরাই পথভ্রান্ত হয়েছিল?
তারা বলবে-আপনি পবিত্র, আমরা আপনার পরিবর্তে অন্যকে মুরুব্বীরূপে গ্রহণ করতে পারতাম না; কিন্তু আপনিই তো তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলেন, ফলে তারা আপনার স্মৃতি বিস্মৃত হয়েছিল এবং তারা ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি।] সূরা আল-ফোরকান -25/17+18
২২। “ যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের ওয়ালি (অভিভাবক, রক্ষক)। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা বিশ্বাস করে না তাদের আওলিয়া (অভিভাবক) হচ্ছে তাগুত (মিথ্যা দেবদেবী, মিথ্যা পথ প্রদর্শক)। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।”
সূরা আল-বাকারা - 2/257
২৩। “তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন আওলিয়া ও সাহায্যকারী নেই।” সূরা আল-বাকারা - 2/107
NOTE- উপরের আয়াত নং: 25/17+18 দারা মূর্তি বুঝায়না, কারন (যেমন কুরআনে আছে) মানুষ ও জীন ছারা প্রত্যেক বিষয় (পর্বত, পশু, পাখি ইত্যাদি সহ) কেয়ামতের দিন ধুলোয় পরিণত হবে। অতএব, কোনো সম্ভাবনা নেই মূর্তির সাথে এইরকম কথোপকথনের।
আল্লাহ এর বন্ধু (আওলিয়া) সর্বদা খুব ধার্মিক এবং নিষ্ঠাবান/ অত্যন্ত সৎকর্মশীল, / নৈতিক / ভদ্র মানুষ, যারা অসাধারণ ইবাদত ও কঠোরভাবে আল্লাহর আদেশ অনুশীলন এবং নবী সাঃ এর সুন্নাত পালনের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ের তাকওয়া অর্জন করেছেন।
তাঁরা কখনো মুসলমানদের বলেনি তাঁদের (আওলিয়াদের) অনুসরন করতে বরং তাঁরা বলেছে আল্লাহর পবিত্র বই কুরআন এবং নবী সাঃ এর সুন্নাত মেনে চলতে।
তারা সবসময় ভাল শব্দ ব্যাবহারে কথা বলতেন, যে সকল মুসলমান সঠিকভাবে ইসলাম অনুশীলন করে না তাঁদের জন্যও প্রার্থনা করতেন, এমনকি মুসলমানদের মধ্যে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতেন
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন...।।
©somewhere in net ltd.