![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুলুমের পরিনতি সমন্ধে ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেছেন-
"ন্যায় পরায়ণ কাফির রাষ্ট্র জালিম মুসলিম রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি স্থায়ী হয়"
দেখুন আজ হচ্ছেও তাই। অ্যামেরিকার মতো ইসলামের শত্রুর দেশে প্রত্যেক নাগরিক তাদের অধিকারের দাবি করতে পারে এমনকি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও যে কোনও সাধারন মানুষ বিচার চাইতে পারে।
আর আমাদের দেশে সামান্য কালো বিড়ালের বিরুদ্ধে কোনও পিয়ন, চাপরাশির বক্তব্য, সাক্ষ্য দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রহন করতে রাজি নয়।
আমেরিকা সহ অনেক কাফির রাষ্ট্রে উপার্জনে অক্ষম ব্যাক্তি বা তার পরিবারের জন্য সরকার সহায়তার ব্যাবস্থা করে, অন্যদিকে আমাদের মতো অনেক তথাকথিত মুসলিম রাষ্ট্রে শাসকদের চরিত্র হল তারা যদি জনগনের কাপড়টা খুলে নিতে পারে তবে তাই তারা নিয়ে নিবে।
একবার ভেবে দেখুন, আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো আল্লাহ ও তার রাসুলের সঃ শত্রুদের দেশে আইন আছে যা সবার জন্য সমান কিন্তু মুসলমানদের দেশ গুলতে কি অবস্থা??!! সরকার যাকে ইচ্ছ, গ্রেফতার করছে, নির্যাতন করছে, হত্যা করছে!! আবার প্রিয়জন হারানোর বেদনায় কাওকে মন খুলে কাদতে দিচ্ছে না এমনকি পিতার জানাজায় সন্তান কে শরীক হতে দিচ্ছে না!!!
আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশ গুলোতে ইসলাম ধর্মে গভির জ্ঞানের অধিকারি লোক আছে এবং তারা সেখানে সম্মানের সাথে বসবাস করে। শহীদ আবদুল্লাহ আজ্জাম (রহঃ) তার তাফসীরে সুরা তওবা তে লিখেছিলেন, তার এক বন্ধু বলেছেন, সে একবার অ্যামেরিকার এম্বাসিতে ভিসা আনতে আনতে গেলো ভ্রমনের জন্য। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি কাজ করেন?
সে বলল ধর্মীও দিক নির্দেশক। ব্যাস কেল্লা ফতে, তার কথা শুনে দায়িত্বশীল বলল, তাহলে আপনাকে শুধু ভ্রমন ভিসা দেব কেন? আপনাকে ও আপনার স্ত্রীকে অ্যামেরিকার ন্যাশনালিটি দিয়ে দিচ্ছি!!
অপর দিকে আমাদের মতো মুসলিম রাষ্ট্র গুলোতে আলেমদের পাইকারি হারে নির্যাতন করা হচ্ছে, জেলে পুরা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে, তবুও ইসলামের বানী মানুষের কাছে পৌছাতে দেওয়া হচ্ছে না!!!
মুনির দুল্লি, ইখয়ানুল মুসলিমীনের উপদেষ্টা। ৫৫ বছর বয়সে তাকে গ্রেফতার করে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলো। বিচারকরা তাকে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি চান? ইখয়ানুল মুসলিমীন কি চায়? তিনি বললেন আমরা গাধা ও খচ্চরের অধিকার চাই। গাধা ও খচ্চর খুশিতে চিৎকার করতে পারে, কিন্তু আমরা তা পারি না। আমাদের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার টুকুও নেই।
তাই যখন ইখয়ানুল মুসলিমীনের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলছিলো, তখন এর মুফতিয়ে আযম সুইজারল্যান্ডের পশু কল্যাণ সংস্থায় একটি তার বার্তা পাঠালেন। তিনি লিখেছিলেন, আমরা আপনাদের নিকট আবেদন করছি, মিশরে ইখয়ানুল মুসলিমীনের উপর যে নির্যাতন চলছে সে ক্ষেত্রে আপনারা হস্তক্ষেপ করুন। আপনারা গাধা খচ্চরের জন্য পৃথিবীতে আন্দোলন করে চলেছেন, আপনারা বিশ্বব্যাপী দাবি তুলুন যেন মিসরের জনগনের সাথে অন্তত পশুর মতো আচরন করা হয়। তাদের বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতায় যেন বাধা না দেওয়া হয়।
আজ মিশরে ইহুদীদের দালালরা ইসলামপন্থীদের সাথে যে আচরন করছে আমাদের দেশেও ভারতের দালালরা মুসলমানদের সাথে একই আচরন করছে। হয়তো কোনোদিন আমাদের কোনও নেতা দাবি তুলবেন, বাংলাদেশের জনগনের সাথে যেন অন্তত পশুর মতো আচরন করা হয়।
©somewhere in net ltd.