নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানবতায় বিশ্বাসী স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে পছন্দ করি ।

খলিলুন নাস

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

খলিলুন নাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়াশুনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কি ভাবে তৈরী করব ?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

প্রথমেই আসি যে পড়াশুনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কেন প্রয়োজন ? কেননা উপযুক্ত পরিবেশ এ জন্য প্রয়োজন যে, পড়াশুনার জন্য যদি আমরা উপযুক্ত পরিবেশ পাই বা তৈরী করে নিতে পারি তাহলে পড়াশুনায় আমরা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারি । তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে পড়াশুনার ক্ষেত্রে ভালোভাবে বা গভীরভাবে মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন কেন ? বিষয়টি হচ্ছে যদি আমরা কোন বিষয়ে ভাল ভাবে বা গভীর ভাবে মনোযোগ দিতে পারি তাহলে আমরা এই কাজে আমাদের মনের শক্তিকে ব্যাবহার করতে পারি ।
সুতরাং, আমরা জানি যে, মানুষের মনের শক্তি অনেক । এবং মানুষের মনের এই অদম্য স্পৃহা দিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষ অনেক অসাধ্য কে সাধন করে চলছে । আমাদেরও মন চায় যে, আমরাও আমাদের মনের শক্তি দিয়ে পৃথিবী জয় করে ফেলব । খুব ভালো ভাবে পড়াশুনা করব । মাঝে মাঝে অনেক জেদ আসে, অনেক অণুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যাই, খুব স্পীড নিয়ে পড়াশুনা করি । কিন্তু সব সময় কি আর সেই স্পীড আর অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে পারি !! প্রায়ই দেখা যায় যে, আমরা কোন কাজ শুরু করার পর, নিজের অজান্তেই সেই কাজ হতে সরে আসি, নেতিয়ে পড়ি, অলসতায় বা অন্য কোন কিছুতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি, ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যায় পড়ে যাই, তাহলে কেন আমরা আমাদের মনের শক্তি কে কাজে লাগিয়ে আমরা ধারাবাহিক ভাবে আমরা আমাদের পড়াশুনা বা কর্ম চালিয়ে যেতে পারছি না !?
তাহলে সমস্যা কি ?
আমরা সমস্যা হিসেবে ধরতে পারি, আমরা যে কাজ বা পড়াশুনা শুরু করি তাতেই প্রায়ই একাগ্রতা বা অখন্ড মনোযোগ দিতে পারি না !
আমরা যদি কোন চিন্তা বা কাজের প্রতি অখন্ড ও একাগ্র মনোযোগ দিতে পারি, তাতে সবসময়ই যুক্ত হয় নতুন মাত্রা, তখন কাজের স্পীড বাড়ে, কাজ নির্ভুল হয়, কাজে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে যাই ।
আবার কোন সময় আমাদের মনে হয়, আমরা পুরোপুরি ১০০% মনেযোগ দিয়ে নামলাম, কিছুক্ষণ পর দেখাগেল যে আমরা আর সেই কাজে নেই !!
আমাদের মনোযোগ ছুটে গেছে বা আমরা অন্য কিছু নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছি, বা অন্য কোন সমস্যায় পতিত হয়ে যাচ্ছি ।
অর্থাৎ, আমরা প্রায়ই সচেতন মনে কোন কাজ করার জন্য পুরোপুরি তৈরী হলেও আমাদের অবচেতন মন সেই কাজের জন্য পুরোপুরি তৈরী হয় না !
যার কারণে, আমরা প্রায়ই যখন পড়তে বসি, যদি পড়তে বসার পূর্বে খেয়াল করি যে, আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য পুরোপুরি ঠিক, রুম, ও আবহাওয়াও ঠিক, ঠিক তখন পড়তে বসলেও কিছুক্ষণ পড়লেও আমাদের মন আর পড়ার টেবিলে থাকে না! মন ছুটে বেড়ায় নানান দিকে, হয়ত বা কিছুক্ষণ পর মাঝে মাঝে অনুভব করি মাথাব্যাথা, চুলকানি, বা অন্যকোন শাররিক অনুষর্গ, ইত্যাদি ।
তো এই জন্য, এখানে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, যেহেতু নানা কারণে, নানান চলচুতোয় আমাদের মন আর নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে না, তাই আমাদের উচিত, আমাদের মন কে পড়ার টেবিলে আটকিয়ে রাখা, যাতে করে আমরা সুন্দরভাবে মনোযোগ সহ অধ্যয়নে মগ্ন হতে পারি । আর এজন্য মন যাতে পড়ার টেবিল হতে পালিয়ে না যেতে পারে, তাই আমাদের উচিত মন পালিয়ে যাবে এমন সকল পথ বন্ধ করে দেয়া !

তাহলে প্রশ্ন আসবে, মন কে আমরা কি দিয়ে বেঁধে রাখব ? মন কি আর বেঁধে রাখার জিনিস !?
মন কে কি বেঁধে রাখা যায় কিনা, সেটা আমরা জানতে পারব আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা হতে । যেমন আমরা যদি লক্ষ করি যে, বিগত সময়ে কি কি কারণে আমাদের পড়ার ডির্স্টাব হয়েছিল । তাহলে আমরা লক্ষ্য করব যে, হয়ত, প্রচন্ড গরম পড়ছিল, গরমের কারণে খুব বিরক্ত লাগছিল, এবং মাথা ব্যাথা করছিল, তাই পড়তে পারি নাই, বা পাশে কেউ এসে গল্প জুড়ে দিল, আর পড়ায় মন ধরে রাখতে পারি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি । অর্থাৎ দেখা যায় যে, কিছু ফিজিক্যাল দিক রয়েছে, আসলে যার কারণে আমরা কোন কাজ বা পড়ায় পূর্ণ বা কখনো কখনো আংশিক মনোযোগও দিতে পারি না । যদি আমরা সেই ফিজিক্যাল দিক গুলো সমাধান করতে পারি, তাহলে আশা করা যায়, আমরা অনেকাংশেই পড়াশুনায় পূর্ণমনোযোগ দিতে পুরোপুরি সক্ষম হব । তাহলে জেনে নেওয়া যাক, সেই ফিজিক্যাল দিকগুলো কি, যে সমস্যার সমাধান হলে, আমরা পড়াশুনায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে অনেকাংশেই সফল হব । তা হচ্ছে: যে শিক্ষার্থী পড়াশুনায় মনোযোগ দিবে, তার শরীর, ও পরিবেশ পরিস্থিতি কি পড়াশুনার জন্য অনুকূলে আছে নাকি প্রতিকূলে !? এটি হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যেমন কেউ এক্সিডেন্ট করল, তার হাতে প্রচন্ড ব্যাথা, হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে, সে কি এই অবস্থায় পড়তে পারবে !? না, পড়ায় মনোযোগ তো প্রশ্ন্ই আসে না । তাই চাইলেই কেই পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারে না, পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে হলে, শাররিক, মানসিক, যোগ্যতা, এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকতে হয় । আচ্ছা, আমরা ফিজিক্যাল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম, ফিজিক্যাল দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শরীর বা দৈহিক অবস্থান
 দৈহিক বা স্বাস্থ্যগত অবস্থান: শিক্ষার্থীকে শাররিক ভাবে সুস্থ্য এবং সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হয় ।কারণ, শাররিক অসুস্থতা, যেমন মাথা ব্যাথা, পেট ব্যাথা সহ ইত্যাদি ব্যাথা-বেদনা শাররিক সমস্যা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায়, বরং এহেন অবস্থায় পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়া যায় না । বরং পড়াশুনার বিভিন্ন বিষয় বুঝা, অনুধাবন করা, মুখস্থ করা ইত্যাদির জন্য প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন দরকার হয় । ব্রেন প্রচুর ভিটামিনে সম্পূরক হয়ে শক্তিশালী হতে হয় ।তাই অনেক সময় দেখা যায় যে, প্রায় রুগ্ন ও দুর্বল শিশু বা ছেলে মেয়েরা ভাল শিক্ষার্থী হতে পারে না । বরং সুস্থ ও সু-স্বাস্থের শিশু ও শিক্ষার্থীরাই ভাল শিক্ষার্থী হতে পারে । পড়াশুনায় ভাল মনোযোগ দিতে পারে । এ ক্ষেত্রে করণীয়: নিয়মিত তিন বেলায় খাবারের পাশাপাশি
- পড়ার ঘরে হালকা খাবার, যেমন মুরি, বিস্কেট ইত্যাদি রাখা পড়া কালীন সময়ে হালকা খিদে লাগলে যেন, কিছু বিস্কেট, মুরি ইত্যাদি খেয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারে ।
ক্ষুদা যেন, মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটায়, অনেক সময়ই পড়ার সময় মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে খুদার কারণেই । অনেক সময়ই মাথা ব্যাথা হলে, কিছু খেয়ে পানি পান করে নিলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যায় । অনেক সময় খুদা বুঝা যায় না, কিন্তু মাথা ব্যাথা করতে থাকে ।
- পড়ার টেবিলে সবসময়, খাবার পানি পানের ব্যাবস্থা করে রাখা, যেমন, পানির বোতল বা জগ গ্লাস । কিছুক্ষণ পর পর চুমুক চুমুক পানি শরীর কে রিফ্রেশ করে । মনোযোগে বিঘ্নতা দূর করে ।
- তাছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে, তাই শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়াশুনায় মনোনিবেশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য্য । নিয়মিত ৭ -৮ ঘন্টা ঘুম শরীর ও মস্তিস্কের জন্য খুবই উপকারী ।
- অনেক সময় অনেকের মাঝে নিয়মিত গোসলের অভ্যাস থাকে না, নিয়মিত গোসল এবং পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরে পানির চাহিদা যথাযথ ভাবে পূরণ হয় না, যার কারণে অনেক সময়ই অলসতা এবং একঘেয়েমি লাগে । তাই শিক্ষার্থীদের উচিত নিয়মিত গোসল ও বেশী বেশী খাবার পানি পান করা, এতে শরীর স্বাস্থ্য সু্স্থ্য থাকবে । আর ভালভাবে মনোযোগের জন্য সু-স্বাস্থ্য অপরিহার্য্য ।

 পড়ার কক্ষের পরিবেশ :
অনেক ক্ষেত্রেই শরীর স্বাস্থ্য পুরোপুরি ঠিক থাকলেও পড়ার কক্ষের পরিবেশ, আলো-আধার, তাপমাত্রা, শব্দ ইত্যাদি কারনে পড়শুনায় মনোযোগ দেয়া যায় না । যেমন,
- আলো: পড়ার কক্ষের আলোর মাত্রা পড়াশুনার জন্য পর্যাপ্ত হতে হয় । কম আলো চোখের জন্য ক্ষতিকর ।
খুব বেশী ঝাঁকালো এবং তীব্র আলোও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় । রঙ্গিন বা লাল আলোর চাইতে সাদা আলোই পড়ার কক্ষের জন্য উপযুক্ত । পড়ার কক্ষের লাইট এমন স্থানে হওয়া উচিত, যাতে পড়ার টেবিলে, বইতে পর্যাপ্ত আলো এসে পড়ে ।
- তাপমাত্রা : খুব বেশী গরম বা ঠান্ডা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় । তাই পড়তে বসার আগে, রুমের তাপমাত্রা শরীরের জন্য আরামদায়ক আছে কিনা, তা লক্ষ্য করে ঠিক করে নেয়া ।
যেমন, গরেমের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান স্পীডে ফ্যান চালু করে নেওয়া । রুমে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসা যাওয়ার ব্যাবস্থা করা । রুমে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসা যাওয়া করলে, তা স্বাস্থের জন্য উপকারী । শীতের সময়, যাতে শরীরের ঠান্ডার কারণে মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য, রুম এবং শরীর গরম রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা করা, যেমন, প্রয়োজনানুযায়ী, সুয়েটার, হাত মোঝা, পা মোঝা, মাপলার ইত্যাদি ব্যাবহার করা । অনেক সময় দেখা যায় যে, ঠান্ডার জন্য সুয়েটার পরিধান করলেও, পায়ে পা মোঝা, বা সু না পড়ার কারণে ঠিকই ঠান্ডা লাগতে থাকে । শীতের সময় ঠান্ডার জন্য দরজা জানালা বন্ধ করলেও মাঝে মাঝে দরজা জানালা খুলে দিতে হবে । কারণ, বাহিরের আলো বাতাস ব্যাতীত বদ্ধ ঘরের আবহাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
- শব্দ বা আওয়াজ : শব্দ দূষণ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য যেমনি ক্ষতিকর, তেমনি মনোযোগেও তীব্র বিঘ্ন ঘটায় ।
তাই পড়ার পরিবেশ বা কক্ষ হতে হয়ে নিরব নিরিবিলি স্থানে । যাতে বাহিরের চিৎকার, চেঁচামেচি, বা অন্য কোন আওয়াজে যাতে মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটায় । যথা সম্ভব, গাড়ি চলাচল বা কোলাহল পূর্ণ জায়গা হতে পড়ার কক্ষ দূরে হওয়াই ভাল । তেমনি ভাবে টিভি রুম বা অন্য রুম যেখানে শব্দ বেশী হয়, এমন রুম হতে পড়ার কক্ষ যথা সম্ভব দূরে হওয়াই ভাল । তাছাড়াও পড়ার রুমের ভিতরে যেন চিৎকার, চেঁচামেচি, গল্প গুজব, ইত্যাদি না হয় সেদিকে খুব ভালভাবে নজর রাখতে হবে । প্রয়োজনে এমন করা যায় যে, বাসায় সুবিধামত স্থানে একটি পড়ার কক্ষ নির্বাচন করা, যেখানে পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা নিরবে নিরিবিলিতে, পূর্ণ মনোযোগে অধ্যয়নের সুযোগ পান । হতে পরে সেটা পারিবারিক লাইব্রেরীও বটে । সেখানে নি:শব্দে পড়াশুনা ছাড়া, সকল প্রকার আলোচনা, গল্প বলা, কথা-বার্তা, বা যে কোন আওয়াজ করা নিষিদ্ধ থাকবে ।
খেয়াল রাখতে হবে যে, কেহ যেন পড়ার রুমে এসে কোন আলোচনা বা গল্প, ঘটনা, রটনা, সংবাদ ইত্যাদি জুড়ে না দেয়, বরং যাতে এ ধরনের সুযোগ কেহ না পায় তার ব্যাবস্থা করতে হবে । এবং সাথে সাথে নিজেকেও কারও সাথে গল্প, আলোচনা, কথা-বার্তা বলা ইত্যাদি হতে বিরত রাখতে হবে । এবং এটও খেয়াল রাখতে হবে যে, রুম যাতে এমন স্থানে না হয়, যাতে অন্য রুম বা স্থানের কারও গল্প গুজব, আলোচনা, সংবাদ ইত্যাদি যাতে পড়ার রুমে এসে না পৌঁছে । যদি রুম এত কাছা কাছি হয়েও যায়, প্রয়োজনে দরজা বন্ধ করে ব্যাবস্থা করতে হবে, যাতে বাহিরের গল্প-গুজব পড়ার রুমে এসে না পৌঁছায় ।
- আচ্ছা, তাহলে পড়ার রুম এবার পড়ার পুরোপুরি পারফেক্ট হলো, এতেই কি যথেষ্ট ?
রুম ও স্বাস্থ্য ঠিক হলেও কি, মনকে এবার পুরোপুরি পড়া টেবিলে আটকে রাখা যাবে ? না, কারণ, রুম ও স্বাস্থ্য পড়ার জন্য উপযোগী হলেও, এর মধ্যে আরও কোন ছিদ্র থেকে থাকলে সেখান দিয়েও মন পড় থেকে উবে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তা প্রায়ই হয়, আর সে ছিদ্র গুলো হলো: মোবাইল, ফেসবুক, খবরের কাগজ, ইত্যাদি ।তাই পড়তে বসার আগে -
o মোবাইল পড়ার টেবিল হতে দূরে রাখতে হবে সাইলেন্ট করে বা
বন্ধ করে,
কেহ যখন কল দেয় তখন তাদের সাথে কথা বললে পড়াথেকে মনোযোগ চলে যায়, বা মোবাইলের মেসেজ দেখলে মোবাইলের নোটিফিকেশন সামান্য ছোট ছোট আওয়াজও মনোযোগে মারাত্বক বিঘ্ন ঘটায় ।তাছাড়া মোবাইলে বেশী কথা বললে, ব্রেনের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়ে । যা স্বাস্থ্য, মেধা, ও স্বরণ শক্তির জন্য ক্ষতিকর ।
o ফেসকুক, ইমু সহ সকল প্রকার সোশ্যাল মিডিয়া এবং খবরের কাগজ পড়া বা দেখা হতে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে ।
যদি মনে করা হয় যে, সামান্য সময়ের জন্য শুধুমাত্র পত্রিকায় একটু নজর বুলাব বা ফেসবুকের শুধু কিছু নোটিফিকেশন দেখেই চলে আসব, তাহলেও ফেসবুক বা খবরের কাগজ যে কোন ফাঁকে অনেক সময়, পড়ার মন মানসিকতা খেয়ে ফেলবে টেরও পাওয়া যাবে না । ফেসবুক বা খবরের কাগজ এগুলো এক ধরনের ফাঁদ । তাই, শত খরাপ লাগলেও ফেসবুক বা খবরের কাগজ হতে বিরত থাকতে হবে । ফেসবুক বা খবরের কাগজ মূহুর্তেই পড়াশুনা থেকে মন উঠিয়ে নিয়ে, দুনিয়ার নানা আবর্জনা দিয়ে মন পরিপূর্ন করে দিবে, তাতে তো মন অসুস্থ্য হবেই পাশাপাশি আর পড়ায় মনোযোগ দেওয়া যায় না, তাই ফেসবুক বা খবরের কাগজ হতে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে । বরং খারাপ লাগলে একটু পানি পান করা যায়, বসা হতে উঠে দাঁড়ানো, পড়ার রুমে একটু হাঁটা-হাঁটি করে পড়াশুনা করা যায় । বা হালকা কিছু খেয়ে আসা যায় । কিন্তু সময় পেলেও ফেসবুক বা খবরের কাগজ হতে বিরত থাকাই ভাল, কারণ, ফেসবুক বা খবরের কাগজের খবর গুলো মনে গেঁথে যায়, মনকে অসুস্থ্য ও ভারী করে তোলে, যা পরবর্তীতেও যখন পড়ার সময়, তখন মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় ।
o বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, সহ পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ,
পড়ার টেবিলের একেবারে কাছেই রাখতে হবে,
কেননা, বই, খাতা, ইত্যাদির জন্য বারে বারে উঠতে হলে তা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় ।
এছাড়াও পড়াশুনায়, উৎসাহ দেয় অনুপ্রেরণা যোগায় এমন ধরনের উক্তি, বাক্য পড়ার রুমে নজরে পড়ে এমন স্থানে রাখা, যাতে সহজে নজরে পড়, যেন মনোযোগে বিঘ্ন ঘটলেও, আবার অনুপ্রেরণা পেয়ে পড়া শুনায় মনোনিবেশ করা যায় ।

o সর্বপরি পড়তে বসে প্রথমেই শরীর কে শান্ত ও আরামদায়ক করে নিয়ে, কেন পড়ছি, কত সময় ধরে পড়ব তা ঠিক করে নিয়ে পড়ার জন্য নিজের ভেতর অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ যুগিয়ে পড়া শুরু করা।
আর পড়া শুরু করার পর অন্য কোন কথা কাজ মনে পড়লে তা পাশে কোন কাগজে টুকে রাখা যাতে পড়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে তা করা যায়, এবং যাতে সে কাজের জন্য পড়া শুনার নির্ধারিত সময়ে যেন ভাঙ্গন সৃষ্টি না হয় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.