নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানবতায় বিশ্বাসী স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে পছন্দ করি ।

খলিলুন নাস

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

খলিলুন নাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের স্মৃতি (অর্জিত তথ্য ভান্ডার) ও দৈনন্দিন জীবনে নানান বিষয়ে আমাদের ধারণা

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩


আপনারা ছবির সাইনবোর্ডে উল্লেখিত লিখাটি নিশ্চয়ই পড়তে পারছেন, কোন অসুবিধা হচ্ছে না তাই না !?
আপনারা হয়ত বলতেছেন যে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে !? আর পড়তে না পারারই বা কি আছে !?
এখানে Food লিখা আছে । আমার প্রশ্ন হলো এখানে যে Food ই লিখা আছে, তা এত নিশ্চিত হলেন কি করে !? কারণ এখানে F এর পরের অক্ষর টি তো নেই !? তাই না !
অর্থাৎ, বিষয়টি হলো, এখানে F এর পরের অক্ষর “O” না থাকলেও, সবাই কি করছে, F এর পরে “O” না থাকলেও, সবাই “O” বসিয়েই শব্দটি পূর্ণ করে Food পড়ে যাচ্ছে অনায়েসেই, অচেতন ভাবেই ।
হ্যাঁ, তার কারণ, আমারা এফ ডাবল ও ডি থাকলে শব্দটি ফুড হয় তা সেই ছোট বেলা হতে চর্তুদিক হতে দেখতে দেখতে পড়তে পড়তে শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, আমাদের মস্তিষ্কে শব্দটি খুব ভালভাবে জমা হয়ে আছে । তাই আজ যখনই এই শব্দটির মাঝে কোন অক্ষর অপূর্ণও থাকে, আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের কে না জানিয়েই , সেই অপূর্ণ অংশটি কে তার মাঝে থাকা আগের স্মৃতি ভান্ডার হতে তথ্য নিয়ে এসে অপূর্ণ অংশটিকে পূরণ করে ফেলে।
ফলে প্রায় অনেক সময় আমরা লক্ষও করি না, যে কি অপূর্ণ আছে এখানে !? আমরা অচেতন ভাবেই অপূর্ণ অংশ কেও নিজেদের মস্তিষ্কে আগের সংরক্ষিত তথ্য দিয়ে পূর্ণ করে পড়ে ফেলি ।
এভাবেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনা, তথ্য, ইত্যাদি যখন আমরা কোথায়ও হতে শুনি, বা দেখি, তার অনেক কিছুতেই নানা অসংগতি থাকে, নানা অপূর্ণাঙ্গ অংশ থেকে থাকে । তাতে আমরা কি করি ?
আমরা আমাদের পরিবার-পরিবেশ ও সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নানা দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে বলতে বলতে নানাবিধ সত্য-মিথ্যা তথ্য, কু-সংস্কার, ইত্যাদি আমাদের মস্তিষ্কে জমা হতে থাকে।
যার ফলে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা খুব দ্রুতই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে হুকুম (সিদ্ধান্ত) দিয়ে ফেলি ! যদিও তাতে আলোকপাত করা বা ফিরে দেখার মত অনেক কিছুই অপূর্ণাঙ্গ থাকে, অনেক কিছুরই অসংগতি থাকে, তবুও আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের অচেতনেই, পূর্ব তথ্য সমূহ হতে নানাবিধ তথ্য নিয়ে এসে সে অপূর্ণাঙ্গ অংশ পূর্ণাঙ্গ করে ফেলে ।
আর এভাবেই সমাজ ও পরিবার হতে নানাবিধ অসংগত তথ্য শুনতে শুনতে বড় হলেও এক সময় সেগুলো মস্তিষ্কের কাছে স্বাভাবিক হয়ে যায়, তখন আর সেগুলো অসংগত লাগে না । বিবেকের কাছে তা স্বাভাবিক মনে হয়, পক্ষান্তরে মস্তিষ্কে যে সকল তথ্য (সত্য কিংবা মিথ্যা) জমা হয়ে আছে, তার বিপরীত কোন নতুন তথ্য এলে অনেকের ক্ষেত্রেই মস্তিষ্ক তা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারে না ।
এভাবেই অনেক সময়ই আমরা আমাদের চারপাশ সম্পর্কে নানান ধারণা পোষণ করে থাকি, যার ভিত্তিমূল হলো আমাদের পরিবার ও সমাজ হতে নেওয়া নানাবিধ সত্য-মিথ্যা তথ্য এবং কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে ।
• ছবি ও তথ্য সূত্র:- Stenberg, Karin (2012), Cognitive Psychology, Wadsworth: United State of America.
আপনারা ছবির সাইনবোর্ডে উল্লেখিত লিখাটি নিশ্চয়ই পড়তে পারছেন, কোন অসুবিধা হচ্ছে না তাই না !?
আপনারা হয়ত বলতেছেন যে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে !? আর পড়তে না পারারই বা কি আছে !?
এখানে Food লিখা আছে । আমার প্রশ্ন হলো এখানে যে Food ই লিখা আছে, তা এত নিশ্চিত হলেন কি করে !? কারণ এখানে F এর পরের অক্ষর টি তো নেই !? তাই না !
অর্থাৎ, বিষয়টি হলো, এখানে F এর পরের অক্ষর “O” না থাকলেও, সবাই কি করছে, F এর পরে “O” না থাকলেও, সবাই “O” বসিয়েই শব্দটি পূর্ণ করে Food পড়ে যাচ্ছে অনায়েসেই, অচেতন ভাবেই ।
হ্যাঁ, তার কারণ, আমারা এফ ডাবল ও ডি থাকলে শব্দটি ফুড হয় তা সেই ছোট বেলা হতে চর্তুদিক হতে দেখতে দেখতে পড়তে পড়তে শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, আমাদের মস্তিষ্কে শব্দটি খুব ভালভাবে জমা হয়ে আছে । তাই আজ যখনই এই শব্দটির মাঝে কোন অক্ষর অপূর্ণও থাকে, আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের কে না জানিয়েই , সেই অপূর্ণ অংশটি কে তার মাঝে থাকা আগের স্মৃতি ভান্ডার হতে তথ্য নিয়ে এসে অপূর্ণ অংশটিকে পূরণ করে ফেলে।
ফলে প্রায় অনেক সময় আমরা লক্ষও করি না, যে কি অপূর্ণ আছে এখানে !? আমরা অচেতন ভাবেই অপূর্ণ অংশ কেও নিজেদের মস্তিষ্কে আগের সংরক্ষিত তথ্য দিয়ে পূর্ণ করে পড়ে ফেলি ।
এভাবেই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনা, তথ্য, ইত্যাদি যখন আমরা কোথায়ও হতে শুনি, বা দেখি, তার অনেক কিছুতেই নানা অসংগতি থাকে, নানা অপূর্ণাঙ্গ অংশ থেকে থাকে । তাতে আমরা কি করি ?
আমরা আমাদের পরিবার-পরিবেশ ও সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নানা দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে বলতে বলতে নানাবিধ সত্য-মিথ্যা তথ্য, কু-সংস্কার, ইত্যাদি আমাদের মস্তিষ্কে জমা হতে থাকে।
যার ফলে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা খুব দ্রুতই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে হুকুম (সিদ্ধান্ত) দিয়ে ফেলি ! যদিও তাতে আলোকপাত করা বা ফিরে দেখার মত অনেক কিছুই অপূর্ণাঙ্গ থাকে, অনেক কিছুরই অসংগতি থাকে, তবুও আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের অচেতনেই, পূর্ব তথ্য সমূহ হতে নানাবিধ তথ্য নিয়ে এসে সে অপূর্ণাঙ্গ অংশ পূর্ণাঙ্গ করে ফেলে ।
আর এভাবেই সমাজ ও পরিবার হতে নানাবিধ অসংগত তথ্য শুনতে শুনতে বড় হলেও এক সময় সেগুলো মস্তিষ্কের কাছে স্বাভাবিক হয়ে যায়, তখন আর সেগুলো অসংগত লাগে না । বিবেকের কাছে তা স্বাভাবিক মনে হয়, পক্ষান্তরে মস্তিষ্কে যে সকল তথ্য (সত্য কিংবা মিথ্যা) জমা হয়ে আছে, তার বিপরীত কোন নতুন তথ্য এলে অনেকের ক্ষেত্রেই মস্তিষ্ক তা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারে না ।
এভাবেই অনেক সময়ই আমরা আমাদের চারপাশ সম্পর্কে নানান ধারণা পোষণ করে থাকি, যার ভিত্তিমূল হলো আমাদের পরিবার ও সমাজ হতে নেওয়া নানাবিধ সত্য-মিথ্যা তথ্য এবং কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে ।
• ছবি ও তথ্য সূত্র:- Stenberg, Karin (2012), Cognitive Psychology, Wadsworth: United State of America.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.