![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেখানে সংবিধানে সকল ধর্ম পালন করার কথা বলা হয়েছে। সেখানে কি করে বিচারপতিরা ফতোয়াকে অবৈধ বলে রায় দেয় বিচারপতিরা। এটা কি সংবিধানের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখানো নয় ???? বিচারপতিরাই যদি সংবিধানের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখান তাহলে আমরা সেখানে কি দেখাবো??? প্রশ্ন সকলের কাছে...
ফতোয়ার খুটি নাটি>>>>>>>>>>>>>
ফতোয়া কি
ফতোয়া বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন। যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা ফিকহের আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে সমস্যার সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।
ফতোয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ফতোয়ার উল্লেখিত সংজ্ঞা দ্বারা সহজেই অনুমেয় মুসলমানদের জন্য ফতোয়া কী পরিমাণ আবশ্যকীয় বিষয়। আমরা যেহেতু বিশ্বাস করি আমরা দুনিয়াতে থাকার জন্য কেউ আসিনি। আখেরাতে আমাদের ফিরে যেতে হবে। মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। দুনিয়ার আমাল তথা কাজকর্মের হিসেব দিতে হবে। তাই দুনিয়াতে যথা সম্ভব মহান আল্লাহর বিধানের উপর আমল করতে হবে। আর আমরা জানি! কোন বিষয় করার জন্য সে ব্যাপারে সম্যক অবগতি থাকা আবশ্যক। সুতরাং একজন মুসলমান যদি ইসলামী রীতি মানতে চায়, তবে তারও সে ব্যাপারে না জেনে আমল করা সম্ভব নয়, তাই বাধ্য হয়ে তিনি তা জানতে চাইবেন এ ব্যাপারে একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তির কাছে, এটাইতো স্বাভাবিক। তারপর এ বিষয়ে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি যেই সমাধান জানাবেন ইসলামী পরিভাষায় তাই হল “ফতোয়া”।
আমরা কি বলব? কেউ এভাবে ইসলামী সমাধান জানতে চাইলে তাকে সমাধান জানানো যাবেনা?! যদি তা’ই হয় তবে সাধারণ মুসলমানরা ধর্মের উপর আমল করবে কীভাবে? সকল মানুষেরা কী নিজে নিজে ধর্মীয় প্রাজ্ঞ হয়ে নিজের সমাধান নিজেই দেয়া সম্ভব? সাধারণ মুসলমানদের ফতোয়া ছাড়া মুসলমান হিসেবে টিকে থাকা কি সম্ভব?
ফতোয়া দেয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার
আমরা মুসলমান। মুসলমান হিসেবে ইসলামী বিধান যথা সম্ভব পালন করব এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, যা সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় স্বীকৃত। এখানে আমরা একটি ধারা উল্লেখ করছি-
৪১(১) আইন, জনশৃংখলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্মাবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে,(গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান)
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হল-কোন ধর্ম প্রচার কী সম্ভব তার বিধান বর্ণনা করা ছাড়া? বিধান সম্পর্কে না জেনে তা কী পালন করা যায়?
সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী সাধারণ মুসলমান একজন প্রাজ্ঞ মুফতীর কাছে ধর্মীয় বিষয়ে সমাধান জানার অধিকার রাখে, আর প্রাজ্ঞ মুফতী তার ধর্মীয় সমাধান জানানের অধিকার রাখে। নতুবা ধর্ম প্রচার সম্ভব নয়।
যেদিন থেকে ইসলাম সেদিন থেকেই ফতোয়া মহান রাব্বুল আলামীন রাসূল সা: কে যেসব দায়িত্ব দিয়েছেন তার মধ্যে একটি হল ফতোয়া তথা ইসলামী সমাধান জানানো। সুতরাং মুসলমান কী করে ফতোয়া শব্দের অপপ্রয়োগ করে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে?
ফতোয়ার পরিধি
মুসলমানদের জীবনে ফতোয়ার পরিধি খুবই ব্যাপক। একজন মুসলমানের পারিবারিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক সর্বক্ষেত্রে ফতোয়ার প্রয়োজন। নামায,রোযা, হজ্ব, যাকাত, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিবাহ-তালাক, মিরাছ সর্বত্র ফতোয়াই হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সঠিক সমাধান জানার পথ। সুতরাং ইসলামিক জীবনে ফতোয়া হল আবশ্যিক একটি অনুসঙ্গ। এছাড়া একজন মুসলমান খাঁটি মুসলমান হিসেবে টিকে থাকা অসম্ভব।
ফতোয়া কারা দিবে?
ফতোয়া দেবার অধিকার কেবল ইসলামী আইন শাস্ত্র নিয়ে যারা পড়াশোনা করে কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কৃতীত্ব সহকারে সনদ সংগ্রহ করেছেন। তিনি যখন কুরআন-হাদিস ও ইজমা-কিয়াসের ভিত্তিতে ইসলামী আইন শাস্ত্রের রীতি মেনে ফতোয়া দিবেন তখন তার ফতোয়া গ্রহণযোগ্য হবে।
বিচার ব্যবস্থা ও ফতোয়া
ইসলামী শরীয়তে বিচার ব্যবস্থা ও ফতোয়া দু’টি এক জিনিস নয়। আমাদের অজ্ঞতাবশত: দু’টিকে একসাথে গুলিয়ে ফেলার কারণেই আমাদের সমাজে এই ভুল বুঝাবুঝির মুল কারণ। সমাধান জানানো মুফতির কাজ, কিন্তু তা প্রয়োগ করার কোন অধিকার তার নেই। আর ইসলামী সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিচারক তা প্রয়োগ করবেন। সুতরাং আমাদের দেশে সংঘটিত দোর্রা মারা ও পাথর নিক্ষেপ করে কাউকে হত্যা করা কী ফতোয়ার দোষ? আর সত্যিকারর্থে কী সব ঘটনা সত্যিকার মুফতীর ফতোয়ার কারণে হচ্ছে? না গ্রাম্য মোড়লদের সালিসি সিদ্ধান্তের কারণে? একবার শান্ত মাথায় ভাবি।
গ্রাম্য সালিসি সিদ্ধান্ত ও ফতোয়া শব্দের অপপ্রয়োগ
উপরোক্ত আলোচনা মনযোগ সহকারে পড়লে আমরা নিশ্চয় বুঝে যাব আমাদের দেশে কী পরিমাণ বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে ফতোয়ার মত পবিত্র শব্দ নিয়ে। কী কৌশলে ইসলামের এই পবিত্র শব্দকে কলুষিত করা হচ্ছে গ্রাম্য মোড়লদের সালিসি দরবারী সিদ্ধান্তকে ফতোয়া বলে চালিয়ে দেয়ায়। আর এই অবৈধ মোড়লদের অবৈধ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবৈধ সরকারের অবৈধ বিচারপতিরা এ রায় দেয়ার অধিকার রাখে কি???
হাইকোর্টের রায়
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সমাজ নয় ধর্মীয় ব্যাপারে ফতোয়া দেয়া যাবে। তবে সেটা পালন করা যাবে না এটা নিছক একটি মতামত মাত্র। আর যদি কেউ পালন করে তা যদি বাংলাদেশে আইন বিরোধী হয় তার জন্য প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এখানে আমরা যদি রায়ের একটি অংশ লক্ষ্য করি তাতে দেখা যাবে ‘সমাজ নয় ধর্মীয় ব্যাপারে ফতোয়া দেয়া যাবে’ এই অংশটিতে সমাজ এবং ধর্মীয় জীবনকে আলাদা করা হয়েছে। যা ইসলামি রীতিনীতির পরিপস্থি। আমরা জানি ইসলাম একটি পূনাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা সমাজ জীবন ও ধর্মীয় জীবন আলাদা নয়। সমাজ এবং ধর্ম অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত।
বিচারপতি অসঙ্গতি
মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় মামলাটি ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ মামলায় যে বিচারপতিরা ছিলেন তারা হলেন-বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন (সাবেক প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি এসকে সিনহা (বর্তমান প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মো. ইমান আলী।
এখানে বিচারপতি এসকে সিনহা (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) যিনি একজন হিন্দু। মুসলমানদের ধর্মীয় ব্যাপারে কি করে একজন হিন্দু বিচারপতি এমন রায় দিতে পারেন। তাও আবার মুসলিম প্রধান দেশে। এটা কোন মতে মেনে নেয়া যায় না।
বিশ্বে এমন নজির আছে কি যেখানে দেশের সংখ্যাগরিস্ট মানুষের ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান অবৈধ ঘোষনা করা????
যে বিধানটি ইসলামের শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১০
জুলহাস খান বলেছেন: রায়টি আমি পড়েছি আপনাকে পড়ার অনুরোধ রইল।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ফতোয়া কারা দিবে?....এখন কথা হচ্ছে; ফতোয়া কারা দিচ্ছে? আপনার উল্লেখিত প্যারাতে যেভাবে বলা আছে, ফতোয়া কি সেভাবেই দেয়া হচ্ছে ???!!! যদি হতো তাহলে হাইকোর্টের নিশ্চই নাক গলাতে হতো না
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
জুলহাস খান বলেছেন: মাঘের নীল আকাশ তা হলে ফতোয়াকে নিষিদ্ধ কেন?? রায়টা এভাবে দেয়া উচিৎ ছিল যে যারা ফতোয়া দেয়ার যোগ্য নয় তারা ফতোয়া দিতে পারবেনা। কিন্তু সেটা না করে ফতোয়াকে অবৈধ বললেন।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
জানা বলেছেন:
পোস্টের শিরোনামটি নীতি বহির্ভূত। যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করা মানষিকতা এবং ক্ষমতা নিয়ে হাইকোর্টের রায়টি আরো মনযোগ দিয়ে পড়া এবং এর সঠিক বিশ্লেষনও প্রয়োজন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
জুলহাস খান বলেছেন: জানা পোস্টের শিরোনামটি নীতি বহির্ভূত নয় কিছুটা আপত্তিকর বটে। রায়টি আমি পড়েছি আপনাকে পড়ার অনুরোধ রইল।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক মত না বুঝেই প্যান প্যন করেন দেখেই কাঠমোল্লাদের দেখতে পারি না। আপনার মতে কি অই সৌদিরা যেভাবে ফতোয়া দেয় ওইটাই বৈধ। আর রায়ের কোন অংশে আপনি দেখলেন যে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে???????
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০২
জুলহাস খান বলেছেন: যুক্তির বদলে যুক্তি দেয়া ভদ্রতা। গালি দেয়া যুক্তিহীন মানুষের পরিচয় বহন করে। রায়টি ভাল করে পড়ুন। তারপর বলুন। অবৈধ ঘোষনা করেছে না করে নাই।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০০
যোগী বলেছেন:
আবাল আইছে হাইকোটের রায় বিশ্লেষন করতে! আজব দুনিয়া!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
জুলহাস খান বলেছেন: আবাল হাইকোর্টের রায় বিশ্লেষন করছি।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
রাফা বলেছেন: না -আপনি হাইকোর্টের রা্য়টি পড়েন নাই বিধায় এই কথা বলছেন।
রা্য়টি ভালো করে পড়ুন তারপর সমালোচনা করুন।
আপনাকে যদি ফতোয়া দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয় তাহোলে যে কি হবে এই দেশের আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা।
বুদ্ধি থাকলে আমার কমেন্টের অর্থ অনুধাবন করতে পারবেন আশা করি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
জুলহাস খান বলেছেন: হাইকোর্ট পুরো ফতোয়াকেই অবৈধ বলল। আর আমাকে অনুমতি দিবে? রায়টি পুরো পড়লেই হবেনা আইনি ভাষায় বুঝতে হবে। এর ভিতরে আইনি প্যাচ আছে। আমার মনে আপনি পুরো বোঝেন নি।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
জানা বলেছেন:
আমি আবারও বলছি, রায়টি আমি খুব যত্নের সাথে পড়েছি এবং এবং আমার যথার্থ মনে হয়েছে। আপনার পোস্টের শিরোনাম সহ পুরো পোস্টটি আমাদের ব্লগনীতিমালা বহির্ভূত। রাষ্ট্রীয়ভাবেও হাইকোর্টকে বা হাইকোর্টের রায় প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনৈতিক। আশা করি বুঝবেন।
ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
জুলহাস খান বলেছেন: রায় আপনার আপনার যথার্থ মনে হতেই পারে। সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আমার মনে হয়েছে একটি ফালতু রায় এটি। এ রায়েল মধ্য দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। যা সংবিধান পরিপন্থী।
আর বিচারপতিরাই যদি সংবিধানের বাইরে কাজ করে। তাহলে আমাদের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাড়াবে। ভেবে দেখেছেন।
আর রায় দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের মতামত কতটা মুল্যায়ন করা হয়েছে সেটাও দেখার বিষয়।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনাম সহ পুরো পোস্টটি আমাদের ব্লগনীতিমালা বহির্ভূত। রাষ্ট্রীয়ভাবেও হাইকোর্টকে বা হাইকোর্টের রায় প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনৈতিক।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
জুলহাস খান বলেছেন: হাইকোর্ট কিভাবে এত বিশাল মানুষের সেন্টিমেন্টের উপর আঘাত করল????
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
জুলহাস খান বলেছেন: হাইকোর্ট কিভাবে এত বিশাল মানুষের সেন্টিমেন্টের উপর আঘাত করল????
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথম কথা আপনার লেখাটি আর একটি লেখা থেকে প্রায় হুবহু কপি পেষ্ট। আপনার পোষ্টের শিরোনাম আপত্তিজনক নয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আদালতের রায়ের প্রতি এই ধরনের মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয়। তাই যে কোন প্রকার অপরাধেই রাষ্ট্রের নিজস্ব আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ফতোয়ার মত একটা গুরুত্বপূর্ন এবং স্পর্শকাতর ক্ষমতা সঠিক প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত না হলে বড় ধরনের ঝামেলা হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারনত যে সব শালিস অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে স্থানীয় মাতব্বররা সাধারনত কোন হুজুর বা ঈমাম সাহেবের সহায়তা নিয়ে এই কাজটি করেন। বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের হুজুরদের জানা শোনার লেভেল নিয়ে আমার ভালো সন্দেহ আছে। সেই হিসাবে এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে হাইকোর্টের রায় ঠিকই আছে।
আর আপনি একটি সংকীর্ন মনোভাবের কথা বললেন। বাংলাদেশ যেহেতু ইসলামিক প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র নয়, সেহেতু প্রধান বিচারপতি অন্য যে কোন ধর্মেরই হতে পারেন, যদি তিনি যোগ্যতা সম্পন্ন হন।
ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
জুলহাস খান বলেছেন: বর্তমান প্রধান বিচারপতি যতটা না যোগ্যতাই প্রধান বিচারপতি হযেছেন। তার চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনাটা ছিলো বেশি। সুতরাং এমনটা বলার সুযোগ নেই। আর ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে আপনি হেলায় উড়াতে চাইলেও আমি উড়াতে পারছি না। সরি.................।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
একজন মুসলিম বলেছেন: Order of the Court
By majority judgment, both the appeals are
allowed in part with the following orders:
(v) Fatwa on religious matters
only may be given by the
properly educated persons
which may be accepted only
voluntarily but any coercion
or undue influence in any form
is forbidden.
(vi) But no person can pronounce
fatwa which violates or
affects the rights or
reputation or dignity of any
person which is covered by the
laws of the land. 138
(vii) No punishment, including
physical violence and/or
mental torture in any form,
can be imposed or inflicted on
anybody in pursuance of fatwa.
(viii) The declaration of the High
Court Division that the
impugned fatwa is void and
unauthorized, is maintained.
No order as to costs.
CJ.
J.
J.
J.
J.
J.
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
জুলহাস খান বলেছেন: কপি পেস্ট নয় তবে আমি উইকিপিয়া থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর এই পোস্টটি অন্য যে জায়গায় দেখেছেন আমার মনে হয় সেখানেও আমি লিখেছি।
আমি কয়েক জায়গায় লেখেছি।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
একজন মুসলিম বলেছেন: In the light of the findings made hereinbefore,
both the appeals are allowed in part with observations
and directions made in the body of the judgment with
the following orders:
(i) Fatwa on religious matters
only may be given by the
properly educated persons
which may be accepted only
voluntarily but any coercion
or undue influence in any form
is forbidden.
(ii) But no person can pronounce
fatwa which violates or
affects the rights or
reputation or dignity of any
person which is covered by the
laws of the land.
(iii) No punishment, including
physical violence and/or
mental torture in any form,
can be imposed or inflicted on
anybody in pursuance of fatwa.
(iv) The declaration of the High
Court Division that the
impugned fatwa is void and
unauthorized, is maintained.
137
No order as to costs.
J.
Muhammad Imman Ali, J: I have had the advantage
of going through the judgments to be delivered by my
brothers, Md. Abdul Wahhab Miah,J. and Syed Mahmd
Hossain,J. I concur with the judgment to be delivered
by my brother, Syed Mahmud Hossain,J.
J.
Order of the Court
By majority judgment, both the appeals are
allowed in part with the following orders:
(v) Fatwa on religious matters
only may be given by the
properly educated persons
which may be accepted only
voluntarily but any coercion
or undue influence in any form
is forbidden.
(vi) But no person can pronounce
fatwa which violates or
affects the rights or
reputation or dignity of any
person which is covered by the
laws of the land. 138
(vii) No punishment, including
physical violence and/or
mental torture in any form,
can be imposed or inflicted on
anybody in pursuance of fatwa.
(viii) The declaration of the High
Court Division that the
impugned fatwa is void and
unauthorized, is maintained.
No order as to costs.
CJ.
J.
J.
J.
J.
J.
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
রাফা বলেছেন: আসলে আপনাকে কিছু বলে লাভ নেই।কারন আপনি ডিটার-মাইন্ড আপনি যা বুঝেছেন সেটাই সঠিক।
অনুগ্রহ করে আবার খুব ভালো করে রায়টি পড়ুন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
জুলহাস খান বলেছেন: আমাকে বলে লাভ নেই তারপরও কেন বলছেন???
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হাইকোর্টের পুরো রায়টা কি পোস্টের সাথে প্রকাশ করা যায়?
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
রামন বলেছেন: ভাই বিনা পয়সায় একটা বুদ্ধি দেই, আপনি বরং ইসলামিক স্টেটে চলে যান৷ ওটা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র দেশ যেখানে ফতোয়া দেয়া হয় এবং তা কার্যকর করা হয় ৷ আপনি চাইলে ফতোয়া দিয়ে মনের সুখে মানুষের কল্লা কাটতে পারবেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
জুলহাস খান বলেছেন: এটাই ইসলামি রাষ্ট্র আপনার পছন্দ না হলে আপনি চলে যান।
১৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
সরদার হারুন বলেছেন: রায় যা বলা হয়েছে তাতে তো বুঝায় যে শুধুমাত্র সঙশ্ল্ষ্টি বিষয়
পারদর্শী ব্যক্তিই ফতোয়া দিতে পারেবেন ।
ফতোয়া অবৈধ বলা হয়নি ।
আপনি রায় যদি পড়ে থাকেন তাহলে বুঝেন নি ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
জুলহাস খান বলেছেন: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া যা বলা বা দেয়া হয় সেটা তো আর ফতোয়া নয়। সেটাকে আমরা কোন ভাবেই ফতোয়া বলতে পারিনা।
সুতরাং যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই রায় তাতে ফতোয়ার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলনা। সেটা ছিল মোড়লদের ফাইজলামি। তারপরও ফতোয়াকে এই রায়ে নিয়ে আসা হল।
১৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
দ্যা লায়ন বলেছেন: রায় আপনি যেমন পড়েছেন তেমনি আমরাও পড়েছি,এখানে যারা আপনার বিপক্ষে বলছে তারাও পড়েছে শুধু সমস্যা হলো আপনার দৃষ্টি ভঙ্গী আমাদের মত নয় বলে আদালতের রায় আপনি পড়েও বুঝেননি,এর কারণ হলো রায়ের বাংলা রুপ আর আরবী রুপের কারণে।
যেমন ফতোয়া মানে সমাধান নয়, ফতোয়া মানে মতামত। আরবী ব্যকরণ থাকলে একটু দেখবেন আবার। আর মতামত সমাধান এক জিনিস নয়, আর মতামত কারা জানাবে যাদের জ্ঞান আছে তারা, কেমন জ্ঞান ,ইসলাম ধর্মীয় জ্ঞান।কাদের ধর্মীয় জ্ঞান আছে যারা আলেম, আলেম কাকে বলে যাদের ইলম আছে,ইলম থেকে আলেম যার বাংলা অর্থ হলো জ্ঞানী।
ধরে নিলাম একজন আলেম (জ্ঞানী) লোক একজন মানুষের অপরাধ অনুযায়ী তার সাজা নির্ধারণ করলো তাকে মৃত্যু দন্ড অথবা হাজত বাস করতে হবে, এখন এই মৃত্যু দন্ড বা হাজত কে দিবে,কোন আলেমের বাড়িতে কি হাজতবাস বা মৃত্যু দন্ড দেয়া যাবে? ঐ আলেমের বিচার জ্ঞান যতই থাকুক সে কি এই রায় কার্যকর করতে পারবে? আপনি নিজেই বলেছেন দোররা বা পাথর মারা এসব সমাজের কিছু মুর্খ মানুষের কাজ,তাহলে আপনি এই দোরাা পাথার এসব মানছেননা। তাহলে তার বিচার কোন আইনে হবে? সেটাই আদালত রায় দিয়েছেন।
আর বাকি থাকলো ধর্মীয় কর্মের মতামত,নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত এবং নামাজের নিয়ম কানুন সুরা এসব কিছু, আর সেটাতো সেইভাবেই হচ্ছে,ইসলামী ফাউন্ডেশেনে আপনাদের ভাষায় আলেমরাইতো দিচ্ছে তাইনা?
নামাজ সুরা কেরাত এসব তো সমাজের মক্তব ইমাম মুফতিরাই দিচ্ছে।
আপনার সমস্যা কোন জায়গায়?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
জুলহাস খান বলেছেন: আমার পোস্টে সংক্ষিপ্তভাবে ফতোয়ার সঙ্গা দেয়া আছে।
আর মৃত্যুদন্ড পর্যায়ের বা এর ছোট বড় অপরাধগুলো আমাদের সমাজে কোন আলেমের কাছে নিয়ে আসেনা। সেটা সর্বদাই আদালতে যায় এটাই সমাজের বর্তমান নিয়ম। তা হলে কেন এই রায়???
কি প্রয়োজন ছিল এই রায়ের।
১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
দ্যা লায়ন বলেছেন: ঐযে দোররা মারা ,পাথার মারা এসব বন্ধ করতে, যেটা এখনো দেশের গভীরে কোথাও কোথাও হচ্ছে, কিছু দিন আগেও রংপুরের দুই গৃহবধুকে শুধু মাত্র সন্দেহ করে লাঠী দিয়ে পায়ের পাতায় পিছনে নির্মম ভাবে পিটিয়েছে গ্রামের মাতব্বর হুজুররা। এটা টিভিতে প্রচার করেছে। এমন ধরনে গ্রাম্য শালিস গুলো রুখতেই নতুন করে আদালত সতর্ক করেছে মাত্র যা পুর্বেও বহাল ছিলো।
যেহেতু আপনিও এমন গ্রাম্য বিচার ব্যবস্থায় বিরুধিতা করছেন সেহেতু আদালাতের রায় নিয়ে আপনারো কোন সমস্যা নেই বলেই আমার মনে হচ্ছে।সমস্যা হলো ইসলাম এক শ্রেনীর মানুষের কাছে ইজারা দেয়া হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে আর সেই শ্রেনীর ভুল ব্যখ্যার প্রভাব পড়ছে আমাদের উপর যা আমরা মেনে নিতে পারছিনা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০২
জুলহাস খান বলেছেন: হ্যা ভাই আমার আপত্তিটা ঐ জায়গায়। যে যারা এই কাজটা করেছে তারা কেউই ফতোয়া দেয়ার উযুক্ত নন। তাহলে যারা ফতোয়া দেয়ার উপযুক্ত নন তাদের মতামতকে কেন ফতোয়া বলা হবে??
এবং রংপুরের ঐ ঘটনায় ব্যক্তিগত আক্রোস আছে বলে আমি মনে করি। তারা ইসলামের বিধিবিধান সম্পর্কে অজ্ঞ তাই তারা নিজেদের মতামতকে ফতোয়ার নামে চালিয়ে দেয়ায় মাধ্যমে ইসলামকে বিতর্কিত করতে চাইছে। যদিও তারা তাতে সফল।
১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ ধর্ম পালন করবেন; কিন্তু কোন আইন করতে পারবেন না, বিচার করতে পারবেন না; তাই ফতোয়া ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
জুলহাস খান বলেছেন: ফতোয়া দেয়া না গেলে মানুষ কিভাবে ধর্ম পালন করবে???
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
সরদার হারুন বলেছেন: আপনি কি রায়টা পড়েছেন ?
আগে ভাল করে পড়েন তারপর সমালোচনা করেন । অন্যথায় মনে হবে কাজ নেই তাই চিরা ভাজি ।