![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগ, ফেসবুক টুইটারসহ সবখানে এখন একটাই কথা বা আলোচনা ব্লগার অভিজিত রায় হত্যা। কে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত?
প্রগতিশীল এজন্য ইসলামি জঙ্গী সংগঠনকে দায়ী করছে। মৃত্যু সাথে সাথেই এই জঙ্গি সংগঠনগুলোকে দায়ী করছে প্রগতিশীলরা।
তবে অবশ্য এই হত্যাকান্ডের সাথে আনসারউল্লাহ-৭ নামে একটি জঙ্গী সংগঠন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেন প্রগতিশীলরা জঙ্গী সংগঠনকে দায়ী করছেন? কারণ কি? জঙ্গী সংগঠনের সাথে অভিজিত রায়ের শক্রতা কোথায়?? কি কারণে তাকে হত্যা করবে তারা? অন্যধর্মালম্বী বলে? তা হলে তো এদেশে লাখ লাখ অন্যধর্মালম্বী মানুষ রয়েছে তাদের রেখে অভিজিতকে কেন?
হ্যাঁ এ প্রশ্নের উত্তর একটাই এই অভিজিত রায় ইসলাম ও বিশ্বনবী (স) কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। আর এ জন্যই ইসলামি জঙ্গী সংগঠনগুলোকে দায়ী করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
এই সমস্যার সমাধান কোথায়?? এভাবে কত দিন চলবে? ইসলাম ও বিশ্বনবী (স) কে অপমান ও এর প্রতিবাদে হত্যাকান্ড। ভেবে দেখেছেন কি? কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়?
তবে এই সমস্যার সমাধান সুশীলরা ভেবেও দেখেছেন এবং বলেও দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, ইসলামকে আক্রমন করে লেখা বা এই হত্যা উভয়ই বন্ধ হওয়া উচিত। তাহলেই থামবে এই হত্যাকান্ড। কোন মানুষই হত্যাকান্ডকে (রাজনীতিবিদ ব্যাতিত) সমর্থন করতে পারে না।
আমিও তাদের সাথে একমত হত্যাকান্ড বা ইসলামকে আক্রমন করে লেখা বন্ধ করা উচিত।
কিন্তু কেউই বলছে না কোনটা আগে বন্ধ হওয়া উচিত। ইসলামকে আক্রমন করে লেখা নাকি হত্যাকান্ড ???????
মুক্তমনা নাম দিয়ে অন্য মনে আঘাত করলে এ পরিনতি ভেবে রাখতে হয় বলেই হত্যার সাথে সাথে একটি সম্প্রদায়ের উপর আঙ্গুল উঠানো গেল।
সমাজের সুশীলরা কেউই বলছে কোনটা আগে বন্ধ হওয়া উচিত। তারা উভয়কে বন্ধ হতে বলছেন। কিন্তু একসাথে কি উভয় বন্ধ করা সম্ভব?
যারা আগে শুরু করেছেন তারাই আগে বন্ধ হোন। তাহলে অন্যরও বন্ধ হবে।
আগে ইসলামকে আক্রমন করে লেখা বন্ধ হওয়া উচিত। এবং এ জন্য একটি কঠোর আইন প্রয়োজন।
(বিঃ দ্রঃ কেউ উল্টা পাল্টা বুঝলে আমার কিছু করার নেই)
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
জুলহাস খান বলেছেন: আমার মত প্রকাশের অধিকার আছে কিন্তু কাউকে আঘাত করে আমার মত প্রকাশ কেন??
অশ্লীলতা কোন যুক্তি হতে পারে না। অশ্লীলতা যদি যুক্তি হয় তাহলে যুক্তির সঙ্গা পরিবর্তন করতে হবে।
অশ্লীলতা অশ্লীলতাই।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৪
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: আমি যুক্তি ভালবাসি কিন্তু যখন দেখি বিশ্বনবীকে ্ও আয়েশা (র) কে অশ্লিল বাক্যলাপ হয় মুক্তমনায় , যখন সম্পূর্ণ না জেনে যুদ্ধ বন্দিনী নিয়ে সাহাবীদের নামে অশ্লিল বাক্যলাপ হয়। তখন খুব মর্মাহত হই। এটাকে আমি না যুক্তি বলতে পারি আর না মুক্তচিন্তা!।
যারা প্রতিটি মুসলমানের মনে আঘাত দিয়ে তার অনুভুতি কে চুরমার করে দেয় যারা আমার মত সাধারণ মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানে অন্তরকে বারবার রক্তাক্ত করে তারা কিভাবে মুক্তচিন্তার ধারকবাহক হয়?।
মুক্তচিন্তার অধিকার তাদের আছে কিন্তু সেটা কোটি মানুষের আদর্শকে আক্রমন করে নয়। যুক্তি দিয়ে কথা বলা এক কথা অশ্লিল বাক্যলাপ অন্যকথা।যুক্তি দিয়ে যুক্তি খন্ডানো যায় কিন্তু অশ্লিল!!!। এই অধিকার তাদের নাই।
আবার তাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার অধিকারও কারও নাই ইসলাম সে অধিকার কাউকেই দেয়নি।বিচরাকার্যের মাধ্যমে শাস্তি এবং অন্যায়ভাবে হত্যা করার মাঝে অনেক পার্থক্য।
একারনেই রাসূল (সঃ) বলেছেন : তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ী করোনা ।
সেই মহান ব্যক্তির শত বছর আগের শিক্ষাটা না থাকার কারণে আজ ওর মতো একজনের এভাবে মৃত্যু হলো ।
যদি এটা মুসলমান উগ্রবাদী কতৃক হয়ে থাকে তাহলে তাদের আমি মুসলিম বলতে পারি না। না তারা মুসলিম নয়। আপনি তাদের কোন বৈশিষ্ট্য কিংবা মুলনীতির দিক দিয়ে মুসলিম বলছেন??।যারা ইসলামের মূলনীতি এবং বৈশিষ্ট্যে আওতাভুক্ত তারাই মুসলিম। যেমন জন্মগত সূত্রে কোন নাস্তিককে মুসলিম বলা যায় না তেমনি কোন জঙ্গি সংগঠনকে জন্মগত সূত্রে মুসলিম বলা যায় না। কারণ যারা রসূলের শিক্ষায় দিক্ষিত নয় তারা কিভাবে মুসলিম হয়?। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা রসূলের শিক্ষা নয়, এই অন্যায়ভাবে হত্যাকে না কোন মুসলিম সমর্থন করে আর না ইসলাম সমর্থন করে। এরা ইসলাম আর মুসলিম উভয় কর্তৃক প্রত্যাখিত। তারা ইসলামের অংশ নয় বরং ইসলামের পরিত্যাজ্য ও মুসলমানদের পরিত্যাক্ত অংশ । যেমনটা কোন ভালো মান সম্মত খাবার আপনি খাওয়ার আগে সেটা আহারযোগ্য থাকে কিন্তু সেই খাবার খাওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ উচ্ছিষ্ট/এঁটু অংশটুকু পরিত্যাক্ত ও পরিতত্যাজ্য হয় এবং তার স্থান হয় ডাস্টবিনে। ঠিক তেমনি তারা ততক্ষনই মুসলিম ছিল যতক্ষণ তারা ইসলামের মূলনীতির উপর ছিল তখন তারা গ্রহনযোগ্য আর যে মাত্রই ইসলামের মূলনীতির থেকে বিচ্যুত হয়েছে তখন থেকেই তারা প্রত্যাখিত, পরিত্যাক্ত ও পরিত্যাজ্য।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০১
জুলহাস খান বলেছেন: আপনার সাথে কিছুটা একমত আবার কিছুটা দ্বিমত পোষন করছি। যেমন আপনি অভিজাত রায়ের লেখাকে অন্যায় বলেছেন আবার তার হত্যাকেও অন্যায় বলেছেন। আমার কথা হচ্ছে তার লেখা যদি অন্যায় হয়। তাহলে তাকে হত্যা ন্যায়। আর যদি তার লেখা ন্যায় হয় তাহলে তাকে হত্যা অন্যায়।
এখন আমি বলব আমি অন্যায় ও বিচার বর্হিবূত হত্যা সাপোর্ট করি না।
অভিজিতে হত্যাকান্ড বিচার বর্হিবূত হত্যাকান্ড। আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় এ সকল হত্যাকান্ড তখনই ঘটে যখন রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার থাকেনা।
সুতরাং অভিজিত হত্যাকান্ডের জন্য যতটানা হত্যাকারী দায়ী তার চেয়ে রাষ্ট্র বেশি দায়ী।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: আমার মতে সেটা তখনই ন্যায় হত যখন বিচারের মাধ্যমে হত। কিন্তু অভিজিঁতের বিচার নিয়ে কোন কথাই তো কেউ উঠাইনি । সুতরাং তাকে আচমকা হত্যা করাকে কিভাবে ন্যায় বলা যায়?।
যা হোক,
#অভিজিতে হত্যাকান্ড বিচার বর্হিবূত হত্যাকান্ড। আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় এ সকল হত্যাকান্ড তখনই ঘটে যখন রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার থাকেনা।
সুতরাং অভিজিত হত্যাকান্ডের জন্য যতটানা হত্যাকারী দায়ী তার চেয়ে রাষ্ট্র বেশি দায়ী। #
(একমত)
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
জুলহাস খান বলেছেন: আপনার সম্ভবত হেফাতের কথা মনে নেই? সে কথা ভুলে গেছেন? একটু মনে করে দেখুন সেখানে অভিজিতদের পুরষ্কার দেয়ার কথা বলা হয়েছে না বিচার করার কথা বলা হয়েছে।
হেফাজত যাদের কারণে আন্দোলনে নামলো তাদের অন্যতম এই অভিজিত রায়। সুতরাং এটা নিকট ইতিহাস কেন ভুলছি আমরা??
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কোথায় অশ্লীল? সত্যি বললেই অশ্লীল? তার কোন লেখায় অশ্লীলতা পেয়েছেন নির্দিষ্ট করে বলুন| আমি তাঁর মোটামুটি সব ব্লগ পড়েছি, বইও পড়েছি কয়েকটা| লিঙ্কদেন| খুজি একটু অশ্লীলতা
০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
জুলহাস খান বলেছেন: ওদের চলাফেরা কথা বার্তা সবই অশ্লীল।
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ধর্মবিরোধী লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই ইসলাম এবং রাসুল(সঃ) এর বিরোধিতা করে লেখালেখির অভিযোগ ছিলো। রাসুল(সঃ) এর চরিত্র হনন করে বেশ কিছু লেখা লিখেছিলেন অভিজিৎ রায়। যেগুলো এখনো তার ফেসবুক আইডিতে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গিরা এই কারনেই তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। ফারাবি শফিউর রহমান নামে আরেকজন ইসলামপন্থী ব্লগার বেশ আগে থেকেই তার এসব লেখা নিয়ে অনলাইনে অভিযোগ করে আসছিলেন এবং তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন। রাসুল(সঃ) কে নিয়ে অভিজিৎ রায়ের একটি লেখার ব্যাপারে ফারাবি তার ব্লগে যে অভিযোগটি করেন তা এইরকমঃ
" মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় দীর্ঘদিন ধরে কোরআন হাদীস বিকৃতি করে অনলাইনে প্রচার করছে। যে সব বাক্য হাদীসে বলা নাই তাও অভিজিৎ রায় উনার স্ক্রীনশটে দেয়া হাদীস গুলিতে ব্র্যাকেট আকারে দিয়ে দেয়। আমি এখন আপনাদের সামনে অভিজিৎ রায়ের কিছু হাদীস বিকৃতির নমুনা দেখাব। উম্মুল মুমেনীনদের নিয়ে লেখা অভিজিৎ রায়ের লেখায় অভিজিৎ রায় বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের ৩৬৭ নং হাদীস বর্ননা করেছেন যেখানে নাকি বলা হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মুল মুমেনীন সাফিয়ার রুপ লাবণ্য দেখে তাকে বিয়ে করতে পাগল হয়ে গেছিল। নাউযুবিল্লাহ। কিন্তু বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের ৩৬৭ নং হাদীসে সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহা কে নিয়ে কোন কথাই বলা নেই। বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের ৩৬৭ নং হাদীস টি আমি এখানে হবুহু তুলে ধরছি – “ আবূ মা’মার ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে একটা বিচিত্র রঙের পাতলা পর্দার একটা কাপড় ছিল। তিনি তা ঘরের একদিকে পর্দা হিসাবে ব্যাবহার করছিলেন। রাসূল ﷺ বললেনঃ আমার সম্মুখ থেকে এই পর্দা সরিয়ে নাও। কারণ সালাত (নামায) আদায় করার সময় এর ছবিগুলি আমার সামনে ভেসে ওঠে। ” আপনারা দেখেন এই হাদীসে আসছে ঘরের একটি পর্দার কথা কিন্তু অভিজিৎ রায় কি সুন্দর ভাবে ঘরের পর্দার জায়গায় উম্মুল মুমেনীন সাফিয়া কে টেনে নিয়ে আসছেন। হ্যা বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের ৩৬৪ নং হাদীসে সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৩৬৭ নং হাদিসে নয়। বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের ৩৬৭ নং হাদীসে সাফিয়াকে নিয়ে এই জাতীয় কোন কথাই নাই। তাই আমরা প্রথমেই বুঝলাম যে অভিজিৎ রায় হাদিসের ক্রমিক নাম্বার অনুসারে আমাদের কাছে হাদীস বর্ননা করে নি। তাই এই অভিজিৎ রায় যে একটা ভণ্ড এর প্রথম প্রমান আমরা পেলাম। উম্মুল মুমেনীনদের নিয়ে লেখা অভিজিৎ রায়ের ১ম নোটে এই কুলাঙ্গার অভিজিৎ রায় বুখারী শরীফের একটি হাদীসে নিজে থেকে কয়েক লাইন লাগিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে চরম মিথ্যাচার করেছে। অভিজিৎ রায়ের ১ম নোটে সে লিখেছে- “৬২৮ সালের মে মাসে খাইবার দখলের পর যেদিন মোহাম্মদের দল সাফিয়ার পিতা, স্বামী, ভাই এদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে, ঠিক সেদিনই মোহাম্মদ সাফিয়াকে নিয়ে নিজের তাবুতে রাত কাটান। প্রথমে অবশ্য দিহাইয়া নামের এক জিহাদী সৈনিক সাফিয়াকে পছন্দ করেছিলেন উপভোগের জন্য। পরে আরেকজন সাহাবির মুখে নবীজী যখন সাফিয়ার রূপলাবণ্যের কথা শুনলেন, আল্লাহর রাসুল তাকে সামনে নিয়ে আসার জন্যে আদেশ দিলেন। নবীজী ভালভাবে তাকিয়ে দেখলেন এই অপূর্ব সুন্দর দেহবল্লরী তো তারই উপযুক্ত। নবী সেই সাহাবীকে বললেন, ‘একে আমার জন্যে রেখে তুমি অন্য কাউকে নিয়ে যাও’, এরপরই মহানবী সাফিয়াকে নিজের ‘স্ত্রী হিসেবে’ নির্বাচিত করে তার শয্যাসঙ্গি হন। বুখারী শরীফের ১:৮ :৩৬৭”
আমি আগেই আপনাদের কে বলছি যে বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের সালাত অধ্যায়ের ৩৬৪ নং হাদীসে সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার কথা বলা হয়েছে, ৩৬৭ নং হাদিসে নয়। এখন দেখি তো বুখারী শরীফের ৩৬৪ নং হাদিসে কি বলা হয়েছে- “‘‘দিহাইয়া এসে বললেন- হে নবী , আমাকে বন্দিনী নারীদের মধ্য হতে একজন দাসীকে দিন। নবী বললেন- যাও তোমার যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে নাও। উনি তখন সাফিয়া বিনতে হুইকে নিলেন। এক লোক এসে বললেন- হে নবী আপনি দাহিয়াকে সেই নারী দিয়েছেন যে নাকি খায়বারের সর্দারের স্ত্রী এবং সে কেবল আপনারই উপযুক্ত। নবী তখন তাকে সাফিয়াকে তাঁর কাছে আনার জন্য হুকুম করলেন। সাফিয়াকে তার সামনে আনা হলে, তিনি দেখে দিহাইয়াকে অন্য নারী নিতে বললেন ও সাফিয়াকে নিজের কাছে রেখে দিলেন এবং বিয়ে করলেন’ (বুখারী, বই ১, ভলিয়ুম-৮, হাদিস-৩৬৭)।’
এবার খেয়াল করুন- বুখারী শরীফের এই হাদিসে সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহা কে বিবাহের কারন কি বর্ণিত আছে? এই হাদিসে এটা স্পষ্ট যে, গোত্রের সবচাইতে সম্মানিত ও সম্ভ্রান্ত মহিলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিজের জন্য গ্রহন করার সুপারিশ করা হয়, এখানে রুপযৌবনের কোনও কথা বলে সুপারিশ করা হয় নি। অথচ মালাউন অভিজিৎ রায় লিখলঃ
‘‘আরেকজন সাহাবির মুখে নবীজি যখন সাফিয়ার রূপলাবণ্যের কথা শুনলেন, আল্লাহর রাসুল তাকে সামনে নিয়ে আসার জন্যে আদেশ দিলেন। নবীজী ভালভাবে তাকিয়ে দেখলেন এই অপূর্ব সুন্দর দেহবল্লরী তো তারই উপযুক্ত। নবী সেই সাহাবীকে বললেন, ‘একে আমার জন্যে রেখে তুমি অন্য কাউকে নিয়ে যাও’। (নাউজুবিল্লাহ)
দেখেন আপনারা হাদীসে কোথাও বলা নাই যে সাফিয়ার রুপ লাবণ্য দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আকৃষ্ট হয়েছিলেন কিন্তু এই মালাউন অভিজিৎ রায় বুখারী শরীফের হাদীস বিকৃতি করে বলল যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি সাফিয়ার রুপ দেখে পাগল হয়ে গেছিল। নাউযুবিল্লাহ। শুধু তাই নয় এই অভিজিৎ রায় তার নোটে ও ব্লগে এই কথাও বলেছে যে সাফিয়া নাকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রক্ষিতা ছিল। নাউযুবিল্লাহ।"
এর স্কিন শট দেয়া দুটি ছবি আছে লিংকে যান....
https://www.facebook.com/ferdousur.rahman.7/posts/351850965019269
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
জুলহাস খান বলেছেন: আরণ্যক রাখাল এর জবাব। আপনি অভিজিরায়ের অশ্লীলতা প্রমাণ চেয়েছেন দিলাম । এখানে তার লেখার স্কিন শট দেয়া আছে দেখুন পড়ুন এবং বুঝুন
এখানে ক্লিক করুন.........।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বাধিনতার মানে যমেন যা খূশি তাই করা নয়-
মুক্তমনার মানেও তেমনি যা খুশি তাই বলা নয়।
অথচ তারা তেমনটিই চাইছে। অন্য কোন ক্ষেত্রে যেমন তেমন- ইসলাম আর তার নবী সা: কে নিয়ে তাদের খুঁচাখুচি করার ক্ষেতেই যেন তা বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
যারা মুক্তচিন্তার নামে মহানবী সা: এর ব্যাঙ্গ, তার নামে ব্যাক্তিক মিথ্যা বুঝ, অনুভবকে নিয়মিত করতে চান- এবং মিথ্যা, অশ্লীলতা এবং নোংরামেকো, এবং ধর্ম বিদ্বেষ বিশেষত ইসলাম বিদ্বেষকে মুক্তমনা হবার ব্যান্ড হিসাবে ভাবেন তাদের জন্য করুনা।
দুটো পয়সার জন্য মানুষ এসবও করে! ছিঃ
০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
জুলহাস খান বলেছেন: ওদের অপরাধ বোধটুকুই নেই কাদের কি বলছি ।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
এনামুল রেজা বলেছেন: হত্যা বন্ধ করা উচিত। এই ধরণের হত্যা আমাদের অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অভিজিৎ রায় মুক্তমনা ছিলনে, ছিলেন ধর্মবিদ্বেষীও। কিন্তু কতজন তাকে পড়তো? মুক্তমনা খুব জনপ্রিয় ব্লগ কিন্তু ছিলনা, অন্তত আপামর জনগণ মুক্তমণার ভিজিটর কখনই ছিলো না।
তার হত্যার পরেই কিন্তু তার রেখে যাওয়া আন্দোলনটা আরও বেগবান হয়ে যাবে। আরও আগ্রহী হবে মানুষ তাকে পড়তে। যারা তাকে খুন করেছে, তারা জংলী, তাদের মগজ নেই।
অভিজিৎ রায়ের সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল, বিজ্ঞান নিয়ে তার লেখাগুলো। একজন মানুষ তার নাস্তিক্যের জন্য মরতে পারেন না। কারও অধিকার নেই তা করার।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জুলহাস খান বলেছেন: কিছু টা একমত
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১২
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা বন্ধ হওয়া উচিত ,
ঢোলে বারি না দিলে শব্দ হয় না ,
৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @এনামুল রেজা সে নাস্তিক্যের জন্য মরেছে আপনাকে কে বলেছে?
ইসলাম বিদ্বেষ আর নাস্তিকতা কি এক জিনিষ?
তারপর তার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা আছে- কিনা জানেন?
কিংবা সম্পত্তি নিয়ে কোন বিরোধ?
কিংবা অর্থলেনদেনগত কোন পার্টির সাথে সমস্যা?
অথবা আরও অনেক কারণেই একটা মানুষ হতাহত হতে পারে!
কিন্তু শুরুতেই ইসলামিস্ট আর নির্দিষ্ট একটা গ্রুপকে টার্গেট টাই কেমন সন্দেহজনক! নয়?
যেমনটি আমাদের দেশে প্রায়ই হয়-
.জামি নিয়ে বিরোধ- মুসলমান -মুসলমান! সেটা কেবলই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ!
একই ঘটনা ঘটনাচক্রে যদি হয় হিন্দু -মুসলমান! ব্যাস হয়ে গেল সাম্প্রদায়িক নির্যাতন!
এইসব ফালতু প্রিকনসেপ্ট থেকে বেরিয়ে অপরাধ এবং প্রকৃত অপরাধীদের খুজে বের করার মাঝেই শান্তি নিহীত!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার মত প্রকাশের অধিকার আছে কিন্তু আমার ছুরি চালানোর অধিকার নেই| মুক্তমনা যা লেখে যুক্তি দিয়ে লেখে| যুক্তিখন্ডন করতে পারেনা বলে ধার্মিকরা ওদের হত্যা করে| পারলে ওদের যুক্তি খন্ডন করুন| তা তো ওরা পারবে না কখোনো| মাথাব্যথা হলে মাথাটাই কেটে ফেলা কোন সমাধান নয়, পেইনকিলার দরকার| এই পেইনদের মানে ধার্মিকদের শিক্ষিত করতে হবে| তাতেই আছে সমাধান| আর যা বিরোধিতা সহ্য করতে পারে না তার পৃথিবীতে টিকে থাকার অধিকার ও যোগ্যতা নেই