বিশ্বচোর তারেক জিয়া দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

বাংলাদেশে কি হচ্ছে ও কেন হচ্ছে তা জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে একটু অতীতে। মিয়ানমারের সাথে আমাদের সমুদ্রসীমা বিরোধ থেকেই এর সুত্রপাত। যা পরবর্তিতে আদালত পর্যন্ত গড়ায় । বাংলাদেশ তার ন্যায হিস্সা বুঝে নেয়। এদিকে ঐ সমুদ্রসীমা প্রাপ্তির কারনে ভারতের মটকা গরম হয়ে যায়। কারণটা খুবই ছোট ভারতের সাথেও এই নিয়ে আমাদের একটা বিরোধ আছে যা নিয়ে বেকুব আওয়ামী লীগ সরকার আর্ন্তজাতীক আদালতে একটি মামলা রজ্জু করে রেখেছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা RAW র এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে মামলা লড়তে গিয়ে যা পেয়েছে তার চাইতে অনেক বেশী হাড়িয়েছে। আমরা ভাদা বলতে সাধারনত আওয়ামী লীগকেই বুঝি। র কেনইবা হঠাৎ করে ভাদাদের পক্ষ পরিবর্তন করে জামাতবিএনপির মত কথা বলতে শুরু করলো। সেটাই চিন্তার।



সেটার ইতিহাসটা আবার অন্যরকম। একটু বেশী মাত্রায় সহজ সরল। দীপুমনিই মুলত এই সমস্ত অঘটনগুলির জন্য একমাত্র দায়ী ব্যাক্তি। ভারত দীপুমনিকে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে যে টুকু ভুলবোঝাবুঝি রয়েছে তা তারা আলোচনার টেবিলেই শেষ করে ফেলার অনুরোধ জানালে দীপুমনি ভাদার মতই ইয়েস স্যার বলে দাড়িয়ে যান এবং বলেন আসুন আমরা আলোচনা করে বিবাদ মিটিয়ে ফেলি। কিন্তু ভারত দীপুমনিকে আলোচনার পুর্বে মামলাটি উঠিয়ে নেবার পরামর্শ দিলে দুষ্টদীপুমনি উত্তরে বলেন বিবাদ মিটে গেলেই তো ঐ মামলার আর কোন অর্থই বহন করবে না। আর্ন্তরজাতিক আদালতে দুটি পক্ষ না গেলেই তো মামলাটি তার স্থায়িত্ব হাড়াবে। এখানেই লাগলো যত গোল।



শেখ হাছিনা ওয়াজেদ শহীদ জিয়ার পর তারই পদাঙ্ক অনুসরন করে ধর্মরাষ্ট্র, ধর্মরাজনীতির পুর্নবহাল করে আক্ষা মুসলিম বিশ্বে বেগম খালেদা জিয়াকে হাড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী জামাতের আমির হয়ে সংবিধানের পঞ্চদশতম সংশোধনি দিয়ে জামাতকে ও ধর্মরানীতিকে আবার প্রতিষ্ঠিত করলেন। কিন্তু চোরে কি শোনে ধর্মের কথা, তিনি দীপুমনির কোন ব্যাবস্থা না নিয়েই মেতে উঠলেন খালেদা বধের নেশায় শুরু হলো যুদ্ধাপরাধীর বিচার যা শহীদ জিয়া ধর্মিও চেতনায় উদ্বজীবিত হয়ে বিভিন্ন অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিল করে দিয়ে রাজাকারদের জন্য অভয়অরন্য উন্মোচন করে দিয়েছিলেন। বিএনপির একান্ত বাধ্যগত মৌলবাদি সংগঠনটির উচু স্তরের প্রায় সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলেন তিনি। দেশে শুরু হলো বিচার প্রক্রিয়া সাথে সাথে শুরু হলো নাশকতা।



এমতবস্থায় ভারতের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায় বিভিন্ন ফোরামে চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন কারন দুই হাজার চোদ্দতে সম্ভবত ভাদা সংগঠনটি আর ক্ষমতায় আসতে পারছে না। তাই তারা বেগম সাহেবাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি বর্তমানে ভারতের একজন অকৃত্তিম বন্ধু। ক্ষমতায় অধীষ্ঠিত হতে হলে যা যা করতে হবে তার সমস্ত গুটিই তাকে পড়িয়ে দেয়া হয়। যার সুন্দর প্রকাশ ঘটলো তার বর্তমান বিবৃতিতে উনত্রিশ জামাতশিবিরের মত্যুকে তিনি গনহত্যা বলে বসলেন। উনি তা বলতেই পারেন। উনি তো আর শিক্ষিত নন যে গন্হত্যার সঙ্গা তিনি জানবেন।



গোদের উপর বিষফোড়া শাহাবাগ এটাও শেখ হাসিনার ভুলের ফসল। ট্যাইবুনালের তাবর তাবর প্রসিকিউটার বাবুরা যারা দিনের খাবার জোটাতে গলদঘর্ম হতেন তারা এখন ঠান্ডা গাড়ীতে ঘুড়ে বেড়ান পরম শান্তিতে বউ বাচ্চা দেখে "মেরে ফটো চিপকালো তেরা শিনামে ফেব্রিকলসে"। যে পালিয়ে যায় তাকে দেয়ে দেয়া হয় ফাসি। কারন পরিস্কার এখানে আইন কার্যকর করা যাবে না। কাদের মোল্লার পাচটা গিট্ঠুতেই এই শাহাবাগের জন্ম দিল। হাসিনারই ভুলে।



ভারতের অনুকুলে যেন হাওয়া একটু ঘুরে গেল। একদিকে জামাতবিএনপির ক্ষমতা না পাওয়ার সম্ভাবনাটাই যেখানে এক প্রকার স্থির হয়ে গেছে সেখানে শাহাবাগে উত্তাল তরঙ্গকে কাজে লাগেতে পারলে দুই দুই এ চার হতে বেশী সময় লাগবে না। ছোট খাট একটি গৃহযুদ্ধের অভিনয় ঘটানো গেলেই কুল্লে খালাশ। সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে ও দশের সাহায্যে এগিয়ে এলেই দুইহাজার চোদ্দের মামলা নিয়ে জেনারেলরা মাথা ঘামাবেন না। বিচার টিচারও শেষ। ভারতও পগার পাড়। আম্বারা্ সব পলাতক দুই বৎসর পর নির্বাচন বিশ্বচোর তারেক জিয়া দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী। চোর হইলেও বাঙ্গালী পুরুষ শাসকতো পাইল। এইটাই বা কম কি?

৮ টি +০/-০