মইনউদ্দিন খান বাদল এর তর্জন গর্জন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

মইনউদ্দিন খান বাদল কখনো বাঘের বাচ্চা ছিলেন না। তিনি যা ছিলেন বা আছেন তা তো আমরা পরিস্কার দেখতে পারছি। তিনি বংশীবাদকের একজন অনুসরনকারী মাএ। সংসদের শেষ ভাষনে তিনি যা যা বলেছেন তার পুরোটা গাজাখুড়ি গপ্প। তিনি কি করে ভাবলেন বাংলাদেশের সবাই ভুদাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধা বলে তিনি যাই বলবেন তাই লোকে বিশ্বাস করে নেবে। হা অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার। জয় বাংলা আমার অহংকারের প্রকাশ। আর প্রতিটি মুহুর্তে আমি বাঙ্গালী এইখানে কোন আপোস নেই।



তিনি ভাষনটি শুরুই করে ছিলেন আপোষকারীর সমালোচনা করে কিন্তু তিনি বা তার সংসদ জাতীকে কি উপহার দিলেন এই মহান সংসদে বসে। সংবিধানকে রীতিমত অপমান করে একটি খিচুরী জাতীয় গরুর রচনা উপহার দিলেন। যা ভদ্র সমাজে উপস্থাপন করার অযোগ্য। যে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে সর্বউচ্চ স্থান দেয়া হয়েছে সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নটা আসে কি ভাবে সেটা উনি একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? কেউ যদি সংবিধান নিয়ে কোন প্রকার কারচুপি করে থাকে সেটা এবার করেছেন শেখ হাসিনার মৌলবাদি সরকার। ধর্মরাজনীতি অক্ষুন্ন রেখে ধর্মনিরপেক্ষতা আসবে কিভাবে অনুগ্রহ করে এতটু বলবেন কি? ধর্মরাজনীতি অক্ষুন্ন রেখে জামাতকে নিষিদ্ধ করতে চান কোন অধিকারে।



যুগান্তরে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার সর্ম্পকে যা বললেন তা যদি সত্য হয় তাহলে বলবো আপনি একজন মিথাবাদী রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কথাও বেশ জোরের সাথেই উচ্চারন করেছিলেন। প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বঙ্গবন্ধুকে একা হত্যা করেনি সাথে সাথে হত্যা করেছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকেও। আপনারা সংসদে এসেই শুরু করলেন সেই আপোষ আর হিংশার রাজনীতি যা জাতী বাংলেদেশ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কখনো প্রত্যাশা করেনি। আপনারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সাথে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ যুক্ত করে জিয়ামুজিবকে একটি সরলরেখায় উৎকৃর্ন করে দিলেন। যা সত্য সত্যই অনভিপ্রেত। এই গাজা খোরদের সংবিধানটি পুরিয়ে ফেলুন আমাদের আদি ও অকৃত্তিম সংবিধান১৯৭২ সালের সংবিধান ফিরিয়ে আনুন। শুধুমাত্র এটা করলেই বঙ্গবন্ধু বা তার বাংলাদেশকে সম্মান জনকস্থানে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে নচেৎ আপনাদের সমস্ত তর্জন গর্জনই বিফলে যাবে।

০ টি +০/-০