নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনাটি ঘটেছিলো ১৭১৪ সালে। নরওয়েজিয়ান ক্যাপ্টেন আর ইংলিশ ক্যাপ্টেনের মাঝে প্রায় বিশ ঘন্টা ব্যাপি একটানা সীপফাইট হয়। গোলাগুলিতে দুপক্ষেরই যুদ্ধজাহাজ বিধ্বস্ত। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো- নরওয়েজিয়ান যুদ্ধজাহাজের। তাদের গোলাবারুদ শেষ।
এখন কি করা যায়। নরওয়েজিয়ান ক্যাপ্টেন তাঁর এনভয়কে ইংলিশ জাহাজে পাঠালেন। যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেছেন-সেই খবর জানানোর জন্য নয়। বরং- যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইংলিশ জাহাজ থেকে কিছু গোলাবারুদ ধার করা যায় কিনা -সেটা জানার জন্য।
ইংলিশ ক্যাপ্টেন নরওয়েজিয়ান এনভয়ের দিকে গরম চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বললেন- না সেটা যায়না।
গত তিন দশক ধরে হ্যানস আইল্যান্ডের অধিকার নিয়ে কানাডা আর ডেনমার্কের মাঝে প্রায়ই যুদ্ধ হয়। তবে এটা এক অন্যরকমের যুদ্ধ। কানাডা যখন হ্যানস আইল্যান্ডের অধিকার নেয় তখন তারা সেখানে একটা কানাডা ক্লাবের বোতল রেখে দেয় আর সাইন লাগায় ওয়েলকাম টু কানাডা। আর ড্যানিশরা অধিকার নিলে রেখে দেয় একটা ড্যানিশ স্ন্যাপস। আর লিখে রাখে ওয়েলকাম টু ডেনমার্ক। তিন দশক ধরে এই দ্বীপের অধিকার নিয়ে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু কোনো গোলা বারুদ ফোটেনি। শুধু ওয়াইন, জুসের বোতল আর সাইন বিনিময়ই হয়েছে।
ইউরোপিয়রা পুরো দুনিয়া লুঠ করে বেরিয়েছে। জলদস্যু ছিলো। পৃথিবীর কোনো জাতিই সভ্য ছিলোনা। ধীরে ধীরে সভ্য হয়েছে। পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া আর কানাডায়। যে জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা যত উন্নত সে জাতি তত বেশী সভ্য। শিক্ষা দীক্ষায় সভ্য বলে এরা মানুষের সাথে ও সভ্য আচরণ করে। শুধু ধনী দেশ বলেই কিন্তু না। পূর্ব ইউরোেপের অনেক দেশগুলোই বেশ গরীব। কিন্তু এই গরীব মানুষগুলো যখন পেটের দায়ে ধনী ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করে তখন গুলি করে মেরে ফেলেনা। দু দেশের দু সীমান্তে পা রেখে এরা জমিয়ে আড্ডা মারে। এদের সীমান্তে ফুল ফোটে আর আমাদের বর্ডারে গুলি ফোটে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের চর্চা করে আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণের ওপর টর্চার করে। সীমান্ত, ক্যাম্পাস দুটোই আজ ভয়ঙ্কর দস্যুদের কবলে।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোন ভাবনা-চিন্তা?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: ৩৩০ জনের সাথে দশ বারোজন মেয়র দুয়েকশো ডিসি এসপি, কয়েকটি টিভি চ্যানেলের টকশো ওয়ালারাই ভালো বলতে পারবে।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৩
শের শায়রী বলেছেন: পার্থক্যটুকু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। জাতিতে জাতিতে এই জন্যই তফাত। পোষ্টে ভালো লাগা।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের বর্ডার এর অপারে সবসময় হীনমন্যতায় ভোগে,
তাই হাতের নিশানা ঠিক করে মানুষ মেরে ।
...........................................................................................
ওদের পাছায় লাথি মেরে বলা উচিৎ , আইন করে দেশ ভাগকরা যায়
মানুষের মন ভাগ করা যায় না ।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গরু চুরি করতে এত রিস্কি কাঁটাতার পার হওয়ার দরকারটা কি?
দেশে কি গরুর অভাব?
আবার গুলি না করে ঘাড় ধরে এপারে ঠেলে দিলেও আরেক বিপদ।
BBC ও DW ১০ টা ক্যামেরা হাজির হয়ে যাবে। বলবে 'দেখেন প্রমান! সব মোসলমান বের করে দিচ্ছে মোদি'!
চিকিৎসা ট্রাভেল বাদই দিলাম। গত ঈদে পকেট ভর্তি ডলার নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে মজা করতে ৬ লাখের বেশী মানুষ গেছিল ভারতে। বেকার রাজিবনুরও গেছিল। খারাপ ভারতে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১২
খেয়া ঘাট বলেছেন: শুধু মোদি খারাপ না এটাই প্রমান করার জন্য মানুষ গুলি করে মেরে ফেলতে হবে।
গরু এক পক্ষ সাপ্লাই দেয় আরেক পক্ষ সাপ্লাই নেয়। কিন্তু মরে শুধু এক পক্ষ কেন?
কোনো হত্যাই কাম্য নয়। না ভারতীয় না বাংলাদেশি।
মানুষইতো মরে নাকি ?????
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু বর্ডারে না। বঙ্গোপসাগরে জেলেদের হত্যা করা হয়। এই কাজ মায়ানমার বেশি করে।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: কারণ খুব সোজা, ইউরোপীয় দেশ গুলির পাশে থাকে মানুষ। আর আমদের পাশে থাকে জানোয়ার, খুনি সাম্রাজ্যবাদী নিষ্ঠুরতম পশুদের সমাবেশ।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
একাল-সেকাল বলেছেন:
আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধুরা গুলিতে অভ্যস্ত হওয়ায় ফুল ফুটানো আর হয়ে ওঠেনা।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নতজানু আমরা ।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৪
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বন্ধু রাষ্ট্র বলে কথা।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখা ও দুটি মন্তব্যই প্রখর হয়েছে।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: ইউরোপের কোন বর্ডার ধর্মিয় কারনে বিভক্ত নয় , অথচ আমাদের বর্ডার গুল তৈরি হয়েছে ধর্মিয় বিভেদের কারনে। এটাই এক মাত্র কারন।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বড় প্রতিবেশী হিসেবে বর্ডারে ভারত মোটেও ভাল কাজ করছে না। অপরাধী হলেও তাদের মেরে ফেলা উচিত নয় যতক্ষণ মৃত্যুর আশংকা তৈরি না হয়। যে লোক গরু আনতে যাচ্ছে, সে ভারতের দালালের কাছেই যাচ্ছে। সেটাও বিএসএফ কে ভাবতে হবে। বিশ্বের আর কোন বর্ডারে এত হত্যা হয় না...
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মানুষের বুকের মাঝ খানে গুলিনে নিশার ঠিক আছে না নেই পরিক্ষা করে।