নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় সামু অমর হোক।

যত দিন থাকবে পৃথীবি ততদিন থাকবে সামু।

ছৈয়দ সালাহউদ্দীন

বাংলার ভাষার আকাশে সামুএকটি উজ্জল নক্ষত্র।

ছৈয়দ সালাহউদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তত্ত্ববধায়ক সরকার যেন খালেদা জিয়ার হাতের মোয়া, চাইলে পাওয়া যাবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৪

আমার এক ছোট ভাগ্নে ছিল সারাক্ষণ বাহানা করে কিছু না কিছু একটা জিনিস এর জন্য, কখনো খেলনা, কখনো সাইকেল, কখনো তার পচন্দের খাবার, চকলেট, আইক্রিম, চিপস, কখন তার ইচ্ছমত পড়ার সময় খেলা করা, তার ইচ্ছা মত বেড়াতে যাওয়া ইথ্যাদি,



তার বাহান আর চাহিদা পুরণ করতে হতো তার বাবাকে, এটাই স্বাভাবিক, বাচ্চার যাবতীয় বরণ পোষণ ও চাহিদা পুরণের দায়ীত্ব পরিবারের কর্তার হয়,



আমার ভাগ্নের এতগুলো দাবী আর চাহিদা পুরন করার পরও তার চাহিদার শেষ হয়না, তারপও ভাগ্নে সারাক্ষণ তার বাবার বিরুদ্ধে অসুন্তষ্টু প্রকাশ করে, বাবা এটা দিলনা, ঐ টা দিলনা, অমুক জায়গায় বেড়াতে নিলনা, সেটা খেতে দিলনা, একটু খেলতে দিলনা, ইথ্যাদি ইথ্যাদি হাজারো অভিযোগ।



কিন্তু বাস্তবে ভাগ্নের জন্য সাইকেল, প্রতিদিন আইক্রিম, প্রতিদিন ক্রিকেট বল, এটা সেটা ইথ্যদি পুরণ করতে তার বাবার কত কষ্ট হয় সেটা একমাত্র তার বাবাই জনেন,



বর্তমানে আমাদের বিরুধী দল বি,এন,পির অবস্থাও আমার শিশু ভাগ্নে মত, সারাক্ষণ এটা সেটার জন্য নানা সময় নানা বাহানা, বি,এন,পি কখনো চিন্তা করনা তাদের বাহানা বা চাহিদা কতটুকু আইন সঙ্গত ও যু্ক্তি যুক্ত, তারা চিন্তা করেনা বাচ্চার মত কিছু চাইলে তা সরকারের পুরণ করা সম্ভব কিনা, বর্তমানে বি,এন,পি যে তত্ত্ববধায় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবী করতেছে তা পরিষ্কার একটি বাচ্চার হাতের মোয়ার জন্য দাবীর মত।



আরে বি,এন,পি আপনারাই তো সবচেয়ে বেশী সমালোচনা করেন তত্ত্ববধায় সরকরের বিরুদ্ধে, এখনো সারাক্ষণ বলে বেড়ান ফকরুদ্দীনের জন্য আপনাদের ২০০৮ নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে, আপনারাই বলেন ফকরুদ্দীনের বিচার চায়।



যে তত্ত্ববয়াক সরকার প্রদ্ধতির জন্য নিজেরা বাশ খেয়েছেন এবং এখন নিজেরা সেই ফকরুদ্দীনের পেচনে উল্টো বাশ দেবার চেষ্টা করতেছেন, তাহলে প্রশ্ন হলো এখন কেন আবার সেই বাশখাওয়া প্রদ্ধতির তত্ত্বধায়ক সরকার দাবী করেন?





তত্ত্ববধায় সরকারকে সবচেয়ে বির্তকিত করেছেন আপনারা বি,এন,পি। ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময়,





হে বি,এন,পি বাচ্চার মত সারাক্ষণ বাহানা করবে না , চিন্তু করুন আপনাদের চাহিদা কতটুকু যুক্তি যুক্ত আর আইন সম্মাত, ১৯৯৬ আওয়ামীলীগ তত্ত্ববয়াক প্রদ্ধতি দাবী করেছিল কারণ আপনাদের ( বি,এন,পির ) সেই ১৯৯১ আমলে মাগুরা উপনির্বাচনে পুকুর চুরির জন্য, সেই ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগে তত্ত্ববয়াক সরকারের সাথে সমর্তন ছিল সাবার, তখন বি,এন,পি ছিল সম্পূর্ণ এককী, কিন্তু বর্তমানে আপনাদের তত্ত্ববধায়ক সরকারে দাবীর পক্ষে সমর্তন আছে শুধু মাত্র বি,এন,পি ও রাজাকার জামাতি শিবিরের,

আর আওয়ামীলীগের পক্ষে আছে আপনাদের চেয়ে বেশী জনসমর্তিত জনপ্রিয় প্রাপ্ত দল।





তবে এটা সত্য যে বিরুধীদল দেশে তাদের যে কোন দাবীর জন্য সহজে বিশৃঙ্কলা আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে কারণ তাদের কোন জবাব দিহিতা নেই কারো কাছে, কারণ তারা বিরুধী দল।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: এই ভিডিওটা দেখেন। তারপরে মুখে বলদের বিচি ভইরা চুপ মাইরা থাকেন।
Click This Link

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০২

মুশে হক বলেছেন: দলীয় পক্ষপাতমূলক সরকার গঠনের জন্য চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন! চাকরীতে নিয়োগ, প্রমোশন, ব্যবসা বানিজ্য সবকিছু চলবে দলীয় বিবেচনায় পক্ষপাতিত্ব করে; শুধু বির্বাচন চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ।
কি চমৎকার গণতন্ত্র; সততার বাহার!

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
** দৈনিক বাংলা: ১৭ নভেম্বর ১৯৯৫ -

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছাড়া অন্য ফর্মুলা মানব না: হাসিনা’

নিজস্ব সংবাদদাতা: গাইবান্ধা ১৬ নভেম্বর।- জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে তার দল আন্দোলনে নেমেছে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি আজ পর্যুদস্ত। তিনি আজ গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানা সদরে এসএম হাই স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির কারণে এরশাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনগণ আশা করেছিল তাদের ভোটে নির্বাচিত বিএনপি সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হবে। কিন্তু এই সরকার কখনো ভোট ডাকাতি এবং কখনো ভোট চুরি করে সেই বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করেছে। এই সরকারের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয় বলে তিনি উলে-খ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে জনগণ আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। অন্য কোনো ফর্মুলা গ্রহণযোগ্য হবে না।

** দৈনিক বাংলা: ২৮ জুন, ১৯৯৪ -

আওয়ামী লীগ জাপা জামায়াতের প্রেস ব্রিফিং

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার

আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সংসদের পাঁচটি বিরোধী দল সোমবার সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেত্রীর সম্মেলন কক্ষে রাত পৌনে দশটায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেছে।.. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণাকালে শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য ছিল একটি অবাধ সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করা। এ লক্ষ্য অর্জন করার জন্য দেশের আপামর জনসাধারণ বার বার বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন করে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার একটি অন্যতম পূর্বশর্ত হলো অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং প্রতিনিধিত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক একটি সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমাদের দেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক চর্চা যেহেতু এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েয়ে সেহেতু গণতন্ত্রকে সুসংহত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রণয়ণ করার তাগিদ এখন একটি জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।

বিএনপির প্রত্যাখ্যান, ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত, ৫৭ কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ, জাল ভোট সহিংসতা - মানবজমিন

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
Click This Link

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

ভিটামিন সি বলেছেন: আরে বুকচুদ, তত্বাবধায়ক, বিএনপি আর হাম্বালীগ কি সেটা আগে বুইজ্জা আয়। তারপর মোয়া খাওয়া দেহিস।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: সর্বদলীয় সরকার প্রবর্তন করা গেলে সব ঝামেলাই সমাধান হয়ে যেত ....

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

ভোরের সূর্য বলেছেন: যে জেগে জেগে ঘুমায় তাকে কখনও জাগানো যায়না।লেখক ভাই এবং সাথে সাথে আোয়ামীলিগের অবস্থাও এক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.