নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় ৮ ফিট উঁচু ঝং ধরা লোহার গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম । গেট স্পর্শ করার পর মনে হলো এখানে হয়তো মানুষের নাম গন্ধ'ও পাওয়া যাবে না।
ঝং গুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে আর প্রচন্ড ধুলো জমে আছে।
ভেতরে দেখি আধো রঙ খসা একটা হসপিটাল টাইপ বাংলো বাড়ি ।
হাসনাহেনা, গাধা আর গোলাপ ভরা সামনের মস্ত বাগান ।
ঝোপের ন্যায় বড় হওয়া হাসনাহেনা গাছগুলো বাগানের সৌন্দর্য কিছুটা বিনষ্ট করেছে । ব্যাপারটা চোখে না লাগার মতো কিন্তু আমার যথেষ্ট চোখে লেগেছে । আমি আর আমার দুজন বন্ধু গিয়ে উঠেছি সেখানে ।
কারণটা অজ্ঞাত !
প্রকাশ্য দিনের আলো চারদিকে । লোক জন সকলেই ব্যাস্ত যার যার কাজে ।
খানিক পর সন্ধ্যে ঢলে এলো এবং এক এক করে টিউবলাইট গুলো জ্বলে উঠলো। টিউবলাইটের বাতিগুলো জ্বলো নিভু করছিলো । মাঝে মাঝে আচমকা আলো বন্ধ হয় আবার জ্বলে উঠে।
ধীরে ধীরে একটা ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেলো । চোখের পলকে দিনের ধবধবা আলো'কে রজনীর ঘোর অন্ধকার ''হা'' করে গিলে খেয়ে ফেলেছে।
আঁধারের প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মরত সকল কর্মকর্তা আর লোকস্বরাগম সকলের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি । সকলে হিংস্র হয়ে উঠছে ।
অতঃপর এরা একে অপরের মস্তিষ্ক ছেদ করে ছির ছির রক্তে বন্যা বইয়ে দিচ্ছে ।
প্রচন্ড ভীত হয়ে তিনজন একদিকে দৌড় দিলাম ।
শহুরে অলিগলির মতো এ বাড়িতে'ও বহু অলিগলি রয়েছে ।
দৌড়ে এগিয়ে থাকা বন্ধুটি পা পিছলে পড়ে গেছে তৎক্ষণাৎ ধরা পড়ে গেছে দু'জন জুম্বি'র হাতে আমরা বাকি দুজন প্রাণভয়ে কোনো রকম ছুটে পালিয়ে এসেছি । দুজনে ছুটছি একদিকে । ছুটতে ছুটতে একটা অন্ধকার বদ্ধ রুমে ঢুকে পড়েছি । আমরা রুমে ঢুকতেই আচমকা আলো জ্বলে উঠলো । দেখলাম সে বন্ধুটি চেয়ারে মুখ হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে।
কপাল থেকে রক্ত ঝরছে ।
দু'হাতে ধারালো ইয়া লম্বা চাপাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে দুজন জুম্বি। যারা তাকে ধরেছিলো।
আমাদের চোখের সামনে তার দু'হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয় । গা শির শির করে উঠলো মনে হচ্ছে এখন'ই মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। হয়তো আমাদের দেখানোর জন্য'ই পূর্বে তার কব্জি কাটে'নি ।
চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালাই আমরা দুজন ।
পেছন থেকে তাড়া করছে ক'জন জুম্বি । দৌড়োতে দৌড়োতে ফায়ার এক্সিটে বেরুবার পথ খুঁজে পাই কিন্তু সেখানে টকটকা লাল চোখে একরোখা দৃষ্টি'তে আমাদের দিকে চেয়ে আছে ইয়া মোটা এক জুম্বি।
আমাদের হালাল করার অপেক্ষায় বসে আছে ।
উপস্থিতবুদ্ধি খাঁটিয়ে দু'জনে দিলাম ছুট । এক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দিলাম জুম্বি'কে ।
বাগানে এসে খানিকটা সতর্কতা অবলম্বন করলাম ভাবলাম কোন ঝোপ থেকে শয়তানের দল ছোঁ মারে , কে জানে !
দৌড়ে গেলাম ঝং ধরা গেটে । একি, গেট তালা বদ্ধ !
মাথায় বাজ পড়লো !
মস্ত এক ঝং ধরা তালা ঝুলে আছে গেটে ।
তৎক্ষণাৎ নজর পড়লো গেট ডিঙ্গিয়ে পার হবার জন্য গেটে সুন্দর লোহার খাঁজ দেয়া আছে তাতে পা রেখে আমরা আরাম'সে পার হতে পারবো।
কলিজায় পানি এলো।
দুজনে একসাথে উঠছি গেট বেয়ে;
আমি একটু আগে ।
আমি ঠিক গেটের মাঝখানে তৎক্ষণাৎ এক ধাক্কায় মাটিতে লুটিয়ে পড়া সে জুম্বি'টা আমার বন্ধুর পা ধরে ছিটকে টান মারে । আমি ওপাশে পড়ে যাই আর বন্ধু জুম্বিদের হাতে ।
আমি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে চারদিক দিনের আলোয় ঝলমল শুরু করে আর আমার বাবা গা ঠেলে জোরে জোরে বলছে-
''রুদ্রু উঠ, উঠ, ঘুমের মধ্যে চিল্লাস ক্যান" ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: হা হা, বাস্তবে হলে স্ট্রোক করে মরে পড়ে থাকতাম।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
হাবিব বলেছেন: ভুতের গল্প আগে খুব পরতাম। ভয় ভয় লাগে পড়তে......
আপনার জন্য শুভকামনা ......
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: আমি ও প্রচন্ড ভয় পাই।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ক্ষুদ্র মানব আপনার জম্বি ভূতের গল্পের জন্য।
লেখায় বানানের দিকে বিশেষ নজর দিবেন। সাধারণ
বানানগুলো ভুল হলে লেখার ব্যারোমিটার নীচের দিকে
নামতে বাধ্য। উপদেশ মনপুত না হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আমি তাল গাছ ধরা পাবলিক না । পৃথিবীতে আমি শিখতে এসেছি। বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
চিত্রাভ বলেছেন: গ্রামবাংলায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ছড়া বলে --- ভুত আমার পুত লক্ষী আমার ঝি, রাম লক্ষণ সাথে আছে করবি আমার কি ? ছোট বেলায় ভূতেদের তাড়াতে আমরা এই ছড়া বলতাম ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: আল্লাহ্র নাম নিলে ভুত নাকি মানুষকে ৭০ হাত লম্বা দেখে তাই আমি সব সময় ভয় পেলে আল্লাহ্র নাম নিতাম।
৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভুতটুতে আমি বিশ্বাস করি না।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: আমিও না কিন্তু স্বপ্ন তো আমার নিয়ন্ত্রণে হয় না তাই ভুত এসে পড়ে ।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮
বর্ণিল হিমু বলেছেন: আপনার বন্ধুটির অবস্থা কেমন.....।?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: ঘুমের করুণ অবস্থার দরুন তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারছি না।
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
জুম্বিস ইন ড্রিম - বলে বাঁচা! ভাগ্যিস বাবা জোরে ধাক্কা দিয়েছিল
ভাল লাগল