নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাংবাদকি ও কলামিস্ট খোরশেদ মাহমুদ , জন্ম:- রাজধানী ঢাকা উপকন্ঠে কেরানীগঞ্জে। বড় হয়েছি ঢাকায় । পড়াশোনা করেছি ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , গান, উপসম্পাদকীয় লিখতে পড়তে অজানাকে জানতে । আমি এখানে www.kalerrakhal.com

খোরশেদ মাহমুদ

আমার ভেতরে প্রবেশ করার জন্য ধন্যবাদ যদিও দেখার মত কিছু নেই

খোরশেদ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবাক করা ঘটনাঃ সাপকে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেফতার তরুণ

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬



বিয়ের তারিখ : ৪ এপ্রিল ২০১৫

মন্ডপ : শিবমন্দির – বড়য়াপুর, ফুলপুর, উত্তরপ্রদেশ

পাত্র : সন্দীপ পটেল

পাত্রী : জনৈক কিং কোবরা (নাগিন)

এমন বিবাহের কথা জানলে যা হতে পারে তাই ঘটেছিল সেদিন | এমন বিয়ের সাক্ষী থাকতে হাজির হয়েছিলেন আশেপাশের গ্রামের ছেলে, বুড়ো, মেয়ে নির্বিশেষে প্রায় ১২০০০ থেকে ১৫০০০ মানুষ | গ্রামের ছেলে সন্দীপের সেদিনই বিয়ের করার কথা তার আগের জন্মের প্রেয়সী নাগিন-কে |

ওই তো সন্দীপকে নিয়ে মন্দিরের দিকে এগিয়ে আসছে তার বাবা দয়াশংকর আর মা | পুরোহিতও প্রস্তুত বিয়ের সব আয়োজন সেরে | ভেঙে পড়েছে দশ গ্রামের লোক | বিশেষত মহিলারা উপস্থিত করজোড়ে, কেউ নতজানু, কেউ স্থানু | এমন সময় হঠাৎ করে অনাহুতের মতো হাজির পুলিশ | শান্তিভঙ্গের দায়ে গ্রেফাতার করল হবু বর আর তার বাবাকে | এদিকে ততক্ষণে সুযোগ বুঝে পিঠটান দিয়েছে পুরুত | ফলে ভেস্তে গেল বিয়ে | রে রে করে উঠল হাজির জনতা | ওদিকে পুলিশও নাছোড়বান্দা | শেষমেষ সকাল আটটা থেকে হাজির হওয়া সব লোককে সরিয়ে দিতে বেজে গেল প্রায় দুপুর আড়ইটে |

ঘটনার শুরু ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ | সেদিনই বাড়ি ফিরে এসেছিল সন্দীপ | বছর খানেক আগে রোজগারের আশায় পাড়ি দিয়েছিল সুরাটে | তারপর যখন বাড়ি ফিরল তখন সে অসুস্থ, খানিকটা নেশাগ্রস্তের মতো | চাল-চলন কেমন যেন সাপের মতো | যেন ভর হয়েছে কারো | বলতে লাগল সে আসলে ‘ইচ্ছাধারী নাগ’, চাইলেই ফিরতে পারে সাপের শরীরে | বলল গ্রামেরই এক শিবমন্দিরে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে এক নাগিনের, যে তার পূর্ব জন্মের প্রণয়ী | তাকে দেখেই সব কথা মনে পড়ে গেছে সন্দীপের | আর সেই নাগিনের ইচ্ছাতেই ওই শিব মন্দিরেই বিয়ে হবে তাদের | বাতাসের হলকা লাগা আগুনের মতোই ছড়িয়ে পড়ল কথাটা | আর তারই ফল এই আয়োজন, এই জনসমাগম |

কথাটা পুলিশের কানেও গিয়েছিল | তারা দেখা করলেন হবু বরের বাবা দয়াশংকরের সঙ্গে | পুলিশি চাপে সে লিখিত ভাবে কথা দিলো কোনো রকম সমস্যা তৈরি করবে না তারা | সে কথা রাখেনি সন্দীপ আর তার বাবা-মা | তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ |

এই ভাবেই আর প্রেয়সী সাপিনীকে আর বিয়ে করা হয়নি সন্দীপের | যাঁরা এখনো ভাবছেন বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর তাঁদের জন্য আর একটি তথ্য – পুলিশি তদন্তে জানা গেছে DDU হাসপাতালে মানসিক রোগের ট্রিটমেন্ট চলছিল সন্দীপের | সেই সব মেডিক্যাল রিপোর্ট আর প্রেসক্রিপশন এখন পুলিশের হস্তগত |

তবে এতে করে পুলিশের সাপ-শাপান্ত করছেন বিয়েতে উপস্থিত সবাই |

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



দারিদ্রতা মানুষের ভারসাম্য হারানোর কারণ হচ্ছে!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৭

খোরশেদ মাহমুদ বলেছেন: দাদা তা কথা ঠিক বলেছেন ! এতাই প্রধান সমস্যা , এবং বিভিন্ন ঘটনার জন্ম দেয়

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সাপের ছবিটা তো জোস লাগতেছে।

অদ্ভুত বিয়ে। বিয়ের আগেই বর শ্বশুড় বাড়িতে চলে গেল, বউ ছাড়াই।
আমি বুঝলাম না, নাগিন তাকে ছোবল দেয় নাই ক্যান?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪৬

খোরশেদ মাহমুদ বলেছেন: কিভাবে বলবো ভাই , নাকি নাগিন তার প্রেমে পড়ছে

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৫

আনিসা নাসরীন বলেছেন: কত কাহিনী

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২০

খোরশেদ মাহমুদ বলেছেন: হুম

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

সজীব মোহন্ত বলেছেন: অন্ধের দল!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

খোরশেদ মাহমুদ বলেছেন: ঠিক বলেচেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.