![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন ছিল ছুটির দিন। স্বভাবতই কাজ কাম নাই তাই ঘুরাফিরা করাই আমাদের কাজ,তাই হাটতে হাটতে চলে গিয়েছিলাম ইংলিশ টিলায়। আপন মহিমায় স্বগৌরবে আজো মাথা উচিয়ে দাড়িয়ে আছে সাহেব মিনার। ইংলিশ টিলায় আগে আসতাম ঘুরি উড়াতে,ঘুরির সিজন আসলে টিলায় ছেলেপেলেদের ভীড় লেগে থাকে! খেলতে আসলেও এই প্রথম চর্চা করার জন্য আসা। বিশেষ করে এর মিথ আমাদের টেনে আনে। কিংবদন্তী আছে,জর্জ ইংলিশ এর প্রিয়তমা স্ত্রীর সমাধিস্থ এই সাহেব মিনারের নিচে গুপ্তধন আছে আর যা পাহারা দিচ্ছে একটি বিড়াল ও একটি কুকুরের যক্ষ!
তা সত্যি কিনা জানিনা কিন্তু মা দাদির কাছে এটাই শুনে এসেছি।
সত্য আবিষ্কার করার জন্য লেগে রইলাম,স্থানিয় পত্রিকা,ম্যাগাজিন থেকে অবশেষে জানতে পারলাম সেই ইতিহাস!
তাই পত্রস্থ করলাম সামুর পাঠকদের জন্য।
ইংরেজদের ক্ষমতা দখলের পূর্বে বাংলার নবাবদের সাথে এখানকার চুনা শিল্পের মালিক ও পরিচালকদের মধ্যে চুক্তি হয়। ১৭৭৪ খ্রিঃ এইচ টি রাইট এবং জর্জ ইংলিশ নামের দুইজন ব্যবসায়ী ছাতকে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে রাইট-ইংলিশ কোম্পানি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
তারা এ কোম্পানির মাধ্যমে এ দেশ থেকে পাথর, চুন, তেজপাতা ও কমলালেবু সরবরাহ করতেন। মূলত ব্যবসার কারণেই ব্রিটিশ দুই ইংরেজের বসবাস ছিল ছাতকে। ১৮১৯ সালে এইচটি রাইট নামে এক ইংরেজ ছাতকে মারা যান। পরে রাইটের স্ত্রীর কাছ থেকে ব্যবসার অংশীদারিত্ব কেনেন জর্জ ইংলিশ নামে এক ইংরেজ। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির 'জর্জ ইংলিশ কোম্পানি' নামে নামকরণ করা হয়। পরে জর্জ ইংলিশ মারা যাওয়ার পর তার ছেলে হেনরি ইংলিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এই মিনারটির সাথে জড়িয়ে আছে প্রায় দুই শতাধিক বছরের ইতিহাস। চার কোণাকৃতি অনুমানিক ২৫ ফুট উঁচু "সাহেব মিনার" দুই অংশে বিভক্ত। সিড়িযুক্ত ভিত্তিভূমি উপর প্রায় ১০ ফুট উপরে কার্ণিশে চতুর্দিকে ঘেরা চারিদিক প্রথম অংশ। এই কার্ণিশ থেকে শুরু হয়েছে প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দ্বিতীয় অংশ। এ অংশ চোকোণ আকৃতির এবং ক্রমশ উপরের দিকে শরু হয়েছে। মিনারের চারিদিক রেলিং এ ঘেরা।
এই সাহেব মিনার আজ অক্ষত নেই। ১৮৯৭ খ্রিঃ এক ভূমিকম্পে মিনারটির কয়েক জায়গায় ফাটল ধরে এবং মাঝখান ধ্বসে পড়ে গেছে।
যদিও এটি রিস্কি পজিশনে আছে তথাপি আশেপাশের লোকের ভ্রূক্ষেপ নেই,তারা টিলা কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে আর ক্রমেই সাহেব মিনার ধ্বংসের দিকে আগায় যাচ্ছে।
জানিনা আর কয়দিন থাকবে এই মিনার।
অনাদর অবহেলায় ইতিহাস এভাবেই হারিয়ে যায়!
সেদিন অবশ্য কোনো গুপ্তধন টুপ্তধন পাইনি আমরা কিন্তু এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরি!!!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
কিশোর মাহমুদ বলেছেন: ইংলিশ সাহেব এই মিনার তৈরি করেন বলেই মূলত নাম পড়ে গেছে সাহেব মিনার।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাকে রক্ষা করার জন্য স্হানীয়দের উৎসাহিত করুন; আপনি ইতিহাসর অংশ হয়ে যাবেন, সন্দেহ নেই; রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিন।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
তানজিল পি কে বলেছেন: সাহেব মিনার, এটা কোথায় অবস্থিত?
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কিংবদন্তী আছে,জর্জ ইংলিশ এর প্রিয়তমা স্ত্রীর সমাধিস্থ এই সাহেব মিনারের নিচে গুপ্তধন আছে আর যা পাহারা দিচ্ছে একটি বিড়াল ও একটি কুকুরের যক্ষ!
তা সত্যি কিনা জানিনা কিন্তু মা দাদির কাছে এটাই শুনে এসেছি। - রুপকথা।
কিন্তু,
যদিও এটি রিস্কি পজিশনে আছে তথাপি আশেপাশের লোকের ভ্রূক্ষেপ নেই,তারা টিলা কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে আর ক্রমেই সাহেব মিনার ধ্বংসের দিকে আগায় যাচ্ছে। - বাস্তবতা।
এটা স্বীকার করে সরকার কে এগিয়ে আসতে হবে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
কিশোর মাহমুদ বলেছেন: জ্বি আপনি ঠিকই বলেছেন।
আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এই ইতিহাস সংরক্ষনে।
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
আশফাক ওশান বলেছেন: এটা কথায় আর কিভাবে যাওয়া যায় বললে ভালো হতো।
লেখাটা ভালো হয়েছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
কিশোর মাহমুদ বলেছেন: এটি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতল উপজেলার বৃহত্তর বাগবাড়ি আবাসিক এলাকার মধ্যেই অবস্থিত।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১
কিশোর মাহমুদ বলেছেন: এটি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক* উপজেলার বৃহত্তর বাগবাড়ি আবাসিক এলাকার মধ্যেই অবস্থিত।
যদি আপনি আসতে চান তাহলে আপনার যা করতে হবে,,
আপনার এলাকা থেকে প্রথমে সিলেট চলে আসতে হবে। সিলেট থেকে সিএনজি বা বাসে ছাতক শহরে চলে আসবেন দেড় ঘন্টায়। ছাতক শহরের ঠিক কেন্দ্র থেকে ৫ মিনিটের রাস্তা ধরেই হাটলে দেখা মিলবে সাহেব মিনারের।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১
কিশোর মাহমুদ বলেছেন: এটি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক* উপজেলার বৃহত্তর বাগবাড়ি আবাসিক এলাকার মধ্যেই অবস্থিত।
যদি আপনি আসতে চান তাহলে আপনার যা করতে হবে,,
আপনার এলাকা থেকে প্রথমে সিলেট চলে আসতে হবে। সিলেট থেকে সিএনজি বা বাসে ছাতক শহরে চলে আসবেন দেড় ঘন্টায়। ছাতক শহরের ঠিক কেন্দ্র থেকে ৫ মিনিটের রাস্তা ধরেই হাটলে দেখা মিলবে সাহেব মিনারের।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯
সুমন কর বলেছেন: আগে জানা ছিল না, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১
সিগনেচার নসিব বলেছেন: ছবিই বলে দিচ্ছে বেশি দিন টিকবে না
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: নতুন বিষয় জানলাম।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নতুন একটি স্থান সম্পর্কে জানলাম। এজন্যে লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভকামনা জানবেন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১
কিশোর মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
গ্যাব্রিয়ল বলেছেন: সাহেব মিনার নামে যে একটা মিনার আছে জানতাম না। ধন্যবাদ লেখককে।