![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনাব ফজলুর রহমান সাহেব। সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ একজন পুলিশ অফিসার। জীবনের অনেকগুলো অধ্যায় অতিক্রম করে এখন তিনি মাঝ বয়সে অবস্থান কেরেছেন। মিসেস রহমান একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। পাশাপাশি তিনি একজন ভালো গৃহিণী। সংসারের সকল কাজ এখনও তিনি দক্ষ হাতে সামলে নেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের মাঝে রূপা কাইয়েমের তিন বছরের বড়। গেল বছর খুব ঘটা করেই তার বিবাহ হয়েছে। স্বামী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আর রূপাও পুলিশ বিভাগে জয়েন্ট করেছে। সে শান্ত সরল হলেও তার ছোট ভাই কাইয়ুম পরিবারের কারও স্বভাব পায়নি। এলাকার মাস্তানদের সাথে তার চলাফেরা। চৌমূহনীর অপরাধ ফিল্ডের সবাই তাকে এক নামে চেনে। ধর্ষণে হাফ সেঞ্চুরিয়ান কাইয়ুম সব সময় পুলিশকে ফাকি পালিয়ে বেড়ালেও সমাজে মুখ দেখাতে পারেনা তার বাবা-মা। অবশেষে রহমান সাহেবের অনুরোধে তার বন্ধুবর আশফাকুজ্জামান (ডিআইজি) ২০০০ সালে কাইয়ুমকে ঢাকা বিভাগ আর্মড পুলিশে নিয়োগ দেন। এইবার যদি ছেলেটা একটু ভদ্র হয়, তবেই শান্তি। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা যাকে বলে আর কী? কিন্তু ঘুণে ধরা ঢেঁকি যেমন বেশিদিন টিকেনা তেমনি স্বভাবের দোষে বেচারা কাইয়ুমের চাকুরীটাও খুব বেশীদিন টিকলনা। কোনও এক ওসির একমাত্র কন্যাকে র্যাপ করার মাধ্যমে নতুন করে অপরাধে জড়িয়ে ফেলে নিজেকে। তাকে বরখাস্ত করা হয়। বাড়িতেও আর মুখ দেখাতে পারেনা। ভাগ্যগুণে পুরানে এক বন্ধুর প্রাইভেট ফার্মে চাকুরী নেয়। বন্ধু সজল খুব নরম মনের মানুষ। বিশ্বাস করে তাকে নিজের বাড়িতেই থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
একদিন সজল ব্যবসায়িক কাজে সিঙ্গাপুর গেল। ফিরবে প্রায় এক সপ্তাহ পর। কুকুরের পেটে সয়না ঘি বলে একটা কথা আছে। মরলেও যার স্বভাব পাল্টায়না সময় মতো নিজের মীর জাফরি চেহারাটা সে ঠিকই প্রকাশ করে ফেলে। কাইয়ুমও এর ব্যতিক্রম করেনি।
খুব তাড়াতাড়ি লোক জানাজানি হবার ভয় নেই তেমন একটা। সজল দেশে ফিরতে ফিরতে লাশটা পঁচে যাবে। ধর্ষণের আলামতগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে ততোদিনে। কাইয়ুম পালিয়ে যাবে অনেক দূর। তাকে গা ঢাকা দিতে হবে। পরিবর্তন করে ফেলতে হবে সব।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
ক্ষয়ে যাওয়া মনের দরজা খোলা আছে বলেছেন:
থ্যাংক্স. আপনার পাশের দোকানে মিষ্টির অর্ডার দেয়া আছে। কিনে খেয়ে নিন
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং
শুভ অভিনন্দন , মিষ্টি কই