নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা জানাতে চাই

বিজ্ঞান হলো প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চলমান প্রক্রিয়া, নিরেট সত্য নয়।

বৈজ্ঞানীক

যে কোন জ্ঞানের পদ্ধতিগত বিশ্লেষণই বিজ্ঞান। বৈজ্ঞানীকগণ প্রকৃতি ও সমাজের নানা মৌলিক বিধি ও সাধারণ সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।

বৈজ্ঞানীক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলোর পথের যাত্রী

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

মুহাম্মাদ।

সেই ৫৭০ খৃস্টাব্দ।

জন্ম নিল এক মহান সমাজ সংস্কারক।

মহান যোদ্ধা। যিনি লড়ে গেছেন অন্ধকারের বিরুদ্ধে।

আমরা আজ যেই আলোর পথের যাত্রী সেই পথটা হারিয়ে গিয়েছিল।



সেই প্রথম মানুষ যে পথটা ধরে হাঁটা শুরু করেছিলেন- যেই পথে হেঁটে গেছেন বহু আলোকপথযাত্রী- সেই পথটা ধরে হাঁটতে শুরু করলেন।

শুরু হল নির্যাতন আর নিন্দাবাদ। আজো চলছে। কিন্তু তার পথ চলা থামেনি। থামেনি দৃঢ় কন্ঠস্বর।

মানুষের দাসত্ব থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে চাইলেন। বদলাতে চাইলেন সামাজিক প্রেক্ষাপট। মানুষে মানুষে সাম্য আনতে চাইলেন। সকলকে ডাক দিলেন এক ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আনতে।



নিগৃহীত হচ্ছিল নারীরা। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হচ্ছিল। আরবদের ইতিহাস হল, তারা নিজেদের আত্মমর্যাদা ও ইজ্জত সম্মানের দিকটি অধিক বিবেচনা করার কারণে, তাদের নারীদের প্রতি কোন প্রকার অশুভ ও অসম্মানজনক আচরণ হতে পারে এ আশঙ্কায় তারা তাদের কন্যা সন্তানদের হত্যা করে ফেলত। বিশেষ করে, তাদের মধ্যে যারা সম্ভ্রান্ত পরিবার বলে পরিচিত ছিল, তারা তাদের সম্মান ও মর্যাদাহানিকে কোনক্রমেই মেনে নিতে পারত না। তারা মনে করত, কন্যা সন্তানদের হত্যার কোন বিকল্প নাই। অন্যথায় হতে হবে পদে পদে অসম্মান। তাদের মধ্যে কতক এমন ছিল, যারা তাদের কন্যা সন্তানের কান-নাক কাটা, অত্যধিক কালো, অন্ধ, খোঁড়া, বোবা ও বধির হওয়ার কারণে হত্যা করত। প্রতিনিয়তই নারীদের ইজ্জত ও সম্মান লুণ্ঠিত হত এবং তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হত। তিনি এর বিরুদ্ধাচারণ করলেন, উচ্চারণ করলেন স্রষ্টার বাণী, “যখন জীবন্ত গোরস্থ কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?” [সূরা তাকওয়ীর:৮-৯]



আরবের যারা খুব গরীব ও অসহায় গোত্র ছিল, তারা তাদের কন্যা সন্তানদের দরিদ্রতা, অভাব ও তাদের জন্য ব্যয় করার মত কিছু না থাকার কারণে হত্যা করত। আল্লাহ তাদের এসব কারণে হত্যা করতে সম্পূর্ণ নিষেধ করে মুহাম্মাদের কণ্ঠে বলেন— “অভাব-অনটনের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিযক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ”। [সূরা আল ইসরা: ৩১]



নারীরা তাদের নিজদের ধন-সম্পদ ভোগ করতে পারত না। আপন সম্পত্তিতে তাদের কোন অধিকার ছিল না। মোহরানা হিসেবে তাদের যে টাকা-অর্থ কড়ি- দেয়া হত, তাও স্বামীরা আত্মসাৎ করে নিয়ে নিত। তাদের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করত, গৃহাভ্যন্তরে আটক করে রাখত। মন বলে হয়ত তাদের কিছুই যেন ছিল না, ফলে তারা অন্য কারো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেও পারত না। মুহাম্মাদের কণ্ঠে স্রষ্টার কথা,

“হে বিশ্বাসিগণ, তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা জোর করে নারীদের ওয়ারিশ হবে। আর তোমরা তাদেরকে আবদ্ধ করে রেখো না, তাদেরকে যা দিয়েছ তা থেকে তোমরা কিছু নিয়ে নেয়ার জন্য, তবে যদি তারা প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন”। [সূরা নিসা: ১৯]



মুহাম্মাদের পূর্বে নারীদের তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি ও মিরাস হতে বঞ্চিত করা হত। তাদের কোন সম্পত্তি দেয়া হত না। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে করীমে যা এরশাদ করেন হুবহু মুহাম্মাদ ঘোষণা করলেন- “পুরুষদের জন্য মাতা পিতা ও নিকটাত্মীয়রা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে একটি অংশ রয়েছে। আর নারীদের জন্য রয়েছে মাতা পিতা ও নিকটাত্মীয়রা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে একটি অংশ— তা থেকে কম হোক বা বেশি হোক— নির্ধারিত হারে”। [সূরা নিসা: ৭]



অন্ধকার যুগে কিছু কিছু খাদ্য শুধু পুরুষরা খেতে পারত নারীরা পারত না। নারীদের জন্য তা ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র বাণী শোনালেন - “তারা বলে, এই চতুষ্পদ জন্তুগুলোর পেটে যা আছে, তা আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট এবং আমাদের স্ত্রীদের জন্য হারাম। আর যদি তা মৃত হয়, তবে তারা সবাই তাতে শরীক। অচিরেই তিনি তাদেরকে তাদের কথার প্রতিদান দেবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাবান, জ্ঞানী”। [সূরা আনআম: ১৩৯]



তাদের বিবাহ করার কোন নির্ধারিত সংখ্যা ছিল না। তারা তাদের ইচ্ছামত একাধিক বিবাহ করত এবং দুই বোনকে একত্রে এক সাথে বিবাহ করা তাদের সমাজে নিষিদ্ধ ছিল না। ইসলামের আগমনের পর দু বোনকে একত্র করা এবং এক সাথে চারের অধিক বিবাহ করা নিষিদ্ধ হয়। যার ফলে পুরুষদের জন্য যা ইচ্ছা তা করার যে একটা প্রবণতা তাদের সমাজে অব্যাহত ছিল, তা একটি নিয়মনীতি আওতায় চলে আসে।

আরবদের অবস্থা ছিল এই যে, তাদের কারো পিতা মারা গেলে অথবা তার সহযোগী কেউ মারা গেলে, তার স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব অন্যদের তুলনায় তাঁরই বেশী হত। সে ইচ্ছা করলে তাকে আটকে রাখতে পারত অথবা তার মোহরানা বা ধন— সম্পত্তি দ্বারা মুক্তিপণ না দেয়া পর্যন্ত তাকে করায়ত্ত করে রাখতে পারত অথবা তার মৃত্যু পর্যন্ত ধরে রাখতে পারত। আর যখন মারা যায় তখন সে তার ধন-সম্পদসহ যাবতীয় সবকিছুর মালিক হত। আতা ইবন আবি রাবাহ বলেন— জাহিলিয়্যাতের যুগে যদি কোন মানুষ মারা যেত, তখন তাদের মধ্যে কোন ছোট বাচ্চা থাকলে, তার লালন-পালনের জন্য তার পরিবারের লোকেরা স্ত্রীটিকে আটক করে রাখত। অন্য কোথাও বিবাহ বসার অনুমতি দিত না। তাদের মধ্যে আরেকটি বর্বরতা ও কুসংস্কার বিরাজ করছিল যে, পিতা তার স্ত্রীদের তালাক দিলে, অথবা মারা গেলে সন্তানরা পিতার স্ত্রীদের বিবাহ করতে পারত। এ ধরনের মানবতা বিরোধী ও ঘৃণিত কাজটি করতে তাদের সমাজে কোন অপরাধ ছিল না এবং তারা কোন প্রকার দ্বিধা-বোধও করত না। তবে ইসলামের আগমনের পর আল্লাহ তা‘আলা এ ধরনের নিন্দিত ও ঘৃণিত কাজটিকে চিরতরে রহিত করে দেন এবং হারাম ঘোষণা করেন।

“আর তোমরা বিবাহ করো না নারীদের মধ্য থেকে যাদেরকে বিবাহ করেছে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ। তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে [তা ক্ষমা করা হল]। নিশ্চয় তা হল অশ্লীলতা ও ঘৃণিত বিষয় এবং নিকৃষ্ট পথ”। [সূরা নিসা: ২২] “তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নিদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধ-পান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোনদেরকে, তোমাদের শাশুড়িদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা [তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে]। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা নিসা: ২৩]



দাসীদের বাধ্য করা হতো ব্যভিচারে। মুহাম্মাদ শোনালেন প্রভুর বাণী - “আর যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাব-মুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে। আর তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায় তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর, যদি তোমরা তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে বলে জানতে পার এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তোমরা তাদেরকে দাও। তোমাদের দাসীরা সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের কামনায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। আর যারা তাদেরকে বাধ্য করবে, নিশ্চয় তাদেরকে বাধ্য করার পর আল্লাহ তাদের প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। [সূরা আন-নূর:৩৩]



যারা সম্ভ্রান্ত ও উচ্চ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং মধ্যম শ্রেণীর লোক তাদের মধ্যে নারীদের সাথে বিভিন্ন রকমের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, যার আলোচনা আয়েশা রা. করেছেন, তিনি বলেন- “জাহিলিয়্যাতের যুগে বিবাহ ছিল চার প্রকার। এক— বর্তমানে মানুষ যেভাবে বিবাহ করে— কোন ব্যক্তি কারো অভিভাবকের নিকট তার অভিভাকত্বের অধীন কোন মেয়েকে অথবা সে অভিভাবকের নিকট তার মেয়ের জন্য বিবাহের প্রস্তাব করত। তারপর সে রাজি হলে, তাকে মোহরানা দিয়ে বিবাহ করবে। দুই— স্বামী তার স্ত্রীকে বলত, তুমি তোমার অপবিত্রতা হতে পবিত্র হলে অমুকের নিকট গিয়ে, তার কাছ থেকে তুমি উপভোগ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ কর। তারপর তার স্বামী তাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখত এবং যতদিন পর্যন্ত ঐ লোক যার সাথে সে যৌনাচারে লিপ্ত হয়েছিল, তার থেকে গর্ভধারণ না করা পর্যন্ত সে তাকে স্পর্শ করত না। আর যখন সে গর্ভধারণ করত তখন চাইলে সে তার সাথে সংসার করত অথবা ইচ্ছা করলে সে নাও করতে পারত। আর তাদের এ ধরনের অনৈতিক কাজ করার উদ্দেশ্য হল, যাতে তাদের গর্ভে যে সন্তান আসবে তা মোটা তাজা ও সুঠাম দেহের অধিকারী হয়। এ বিবাহকে জাহিলিয়্যাতের যুগে নিকাহে ইস্তেবজা বলা হত।

তিন— দশজনের চেয়ে কম সংখ্যক লোক একত্র হত, তারা সকলেই পালাক্রমে একজন মহিলার সাথে সঙ্গম করত। সে তাদের থেকে গর্ভধারণ করার পর যখন সন্তান প্রসব করত এবং কয়েক দিন অতিবাহিত হত, তখন সে প্রতিটি লোকের নিকট তার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য খবর পাঠাতো। নিয়ম হল, সে যাদের নিকট সংবাদ পাঠাতো কেউ তা অস্বীকার করতে পারতো না। ফলে তারা সকলে তার সামনে একত্র হত। তখন সে তাদের বলত তোমরা অবশ্যই তোমাদের বিষয়ে অবগত আছ। আমি এখন সন্তান প্রসব করেছি এর দায়িত্ব তোমাদের যে কোন একজনকে নিতে হবে। তারপর সে যাকে পছন্দ করত তার নাম ধরে তাকে বলত এটি তোমার সন্তান। এভাবেই সে তার সন্তানকে তাদের একজনের সাথে সম্পৃক্ত করে দিত। লোকটি তাকে কোনভাবেই নিষেধ করতে পারত না।

চার— অনেক মানুষ কোন একই মহিলার সাথে যৌন কর্মে মিলিত হত। তার অভ্যাস হল, যেই তার নিকট খারাব উদ্দেশ্য আসতো, সে কাউকে নিষেধ করত না এবং বাধা দিত না। এ ধরনের মহিলারা হল, ব্যভিচারী মহিলা। তারা বাড়ির দরজায় নিদর্শন স্থাপন করত, যাতে মানুষ বুঝতে পারত যে, এখানে কোন যৌনাচারী মহিলা আছে। যে কেউ ইচ্ছা করে সে এখানে প্রবেশ করতে পারে। তারপর যখন তারা গর্ভবতী হত এবং সন্তান প্রসব করত, তারা সবাই তার নিকট একত্র হত এবং একজন গণককে ডাকা হত। সে যাকে ভালো মনে করত, তার সাথে সন্তানটিকে সম্পৃক্ত করে দিত। নিয়ম হল গণক যাকে পছন্দ করবে সে তাকে অস্বীকার করতে পারত না।



এভাবেই চলছিল আরবদের সামাজিক অবস্থা ও তাদের নারীদের করুণ পরিণতি। তারপর যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সত্যের বাণী নিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হল, রাসূল জাহিলিয়্যাতের যুগের সব বিবাহ প্রথাকে বাদ দিয়ে দিলেন একমাত্র বর্তমানে প্রচলিত বিবাহ ছাড়া”। [বুখারী: ৫১২৭]



অনেকেই ভেবে থাকে মুহাম্মাদ যে বানীসম্ভার পেয়েছেন তাতে নারীদের পরজীবনের জন্য কোন সমাধিকার নেই। কথাটা হয়ত ঠিকভাবে না জেনে বলা। তিনি বলেছেন আমাদের সুমহান স্রষ্টার কথা- “যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব”। [সূরা আন-নাহাল: ৯৭] “আল্লাহ মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন, যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ, তাতে তারা চিরদিন থাকবে এবং [ওয়াদা দিচ্ছেন] স্থায়ী জান্নাতসমূহে পবিত্র বাসস্থানসমূহের। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড়। এটাই মহা-সফলতা”। [সূরা আত-তাওবা: ৭২] “আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, আর তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই দয়া করবেন, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”। [সূরা আত-তাওবা: ৭১]



তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চাইলে করতে পারেন। নইলে কোন জবরদস্তি নেই।

এগিয়ে চলুন সত্য আর ন্যায়ের আলোকিত পথে। এটাই চাওয়া।

নিশ্চয় সত্য স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। [সূরা বাকারা: ২৫৬]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শ্রাবণ জল বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আল্লাহ্‌ সত্য আর সুন্দরের পথে চলার তৌফিক দিন সকলকে। আমীন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

বৈজ্ঞানীক বলেছেন: ধন্যবাদ |
আল্লাহ্‌ সত্য আর সুন্দরের পথে চলার তৌফিক দিন সকলকে। আমীন।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

কষ্টসখা বলেছেন: লেখাটা অনেক ভাল হইছে তবে একটা বিষয় খুবই দৃষ্টিকটু লাগছে ,আমি জানি না আপনি সেটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করছেন কিনা,সেটা হলো আপনি মুহাম্মাদ(সা) এর যায়গায় বারবার দুরুদটি বাদ দিয়ে শুধু তাঁর নাম লিখেছেন যা অগ্রহনযোগ্য।আশাকরি ভুলটা শুধরে নিবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

বৈজ্ঞানীক বলেছেন: সালাম।
লিখাটা সবার জন্য। একারনেই দরূদ বাদ দিয়েই লিখে গেছি। এটুকু বিশ্বাস আছে, যে কোন মুসলিমই রাসুল (সাঃ) এর নাম পড়ার সময়ই দরূদ শরীফ অবশ্যই পাঠ করবেন।
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.