নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরমাত্মীয় পৃষ্টা ১৪-১৭

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪



পৃষ্টা ১১-১৩

‘ঠিকাছে আর হাঁকাহাঁকি করব না। এখন তোর দাদিকে নিয়ে দেশান্তরে চলে যা নইলে সক্কালে উঠে আমি উদাসিনীকে বিয়ে করব। উদাসিনীর চিন্তায় তোর দাদির মগজ বিকল হয়েছে। হাত ধরে অন্য কামরায় যা নইলে আমি পাগল হয়ে যাব।’ বলে মাতিনের বাবা দাঁত খিঁচিয়ে চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘আমার কামরা থেকে বেরিয়ে যাও নইলে মামলা করব।’
‘যাচ্ছি তো, দাবড়াচ্ছেন কেন? বিয়ের কথা বললে চেত লাগে গো।’ বলে মাতিনের মা আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ভেংচিয়ে চলে যান এবং মাতিনের বাবা শুয়ে পড়েন। পরদিন ঘুম থেকে উঠে বিয়ের আয়োজনে সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত হন। নয় মাস পর দিনের তৃতীয় প্রহরে খালিবাড়ির ধারিতে বসে উদাসিনী পাথর দিয়ে আঁকিবুকি করে। বাড়ি এখন অবোলা পশুপাখির অভয়ারণ্য। মাঝে মাঝে উদাসিনী যেয়ে পশুপাখির সাথে কথা বলে। হঠাৎ হু হু শব্দে দমকা হাওয়া ওর আউলা চুল এলোমেলো করলে চোখ তুলে রুষ্টকণ্ঠে বলল, ‘হুমড়ি খেয়ে পড়ে মর।’
ওর হাঁকে পশুপাখিরা ডাকাডাকি শুরু করে। পাথর মাটিতে রেখে হাতে হাত ঝেড়ে মৃদু হেসে সান্ত্বনা-সূচক শব্দ করলে ওরা শান্ত হয়। পাথর হাতে নেবে এমন সময় মনের কানে শুনে, ‘মালীহা, তুমি এসেছ?’
‘মাসুম, তুমি কোথায়?’ উদাসিনী চমকে উঠে চিৎকার করে বলে চারপাশে তাকায়। এমন সময় কারণবশত খালিবাড়ির পাশ দিয়ে আরমান যায়। তাকে ডেকে উদাসিনী বলল, ‘বাজান, কয়েকটা আম পেড়ে দেবে?’
গাছের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে আরমান বলল, ‘নিশ্চয়।’
‘বাজান, আপনার ভয় হয়নি?’ বলে উদাসিনী অবাকদৃষ্টে তাকায়। আরমান ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে পাথর হাতে নিয়ে উদাসিনীর মুখের দিকে তাকিয়ে আমগাছে ঢিল মেরে বলল, ‘কেন?’
‘এমনি বলেছিলাম। আমাকে দেখলে লোকজন দৌড়ে পালায়। বাজান, মা কেমন আছেন?’ বলে উদাসিনী হাসার চেষ্টা করে। আরমান ধীরে ধীরে হেঁটে মাটি থেকে আম তুলে উদাসিনীর দিকে এগিয়ে দিয়ে মৃদু হেসে বলল, ‘ও ভালো আছে। আমাদের জন্য দোয়া করবে। আমার বাড়ি যাও না কেন?’
‘জানো বাজান? আপনার মন আয়নার মত। আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি আমার মুখ দেখতে পেয়েছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’ বলে উদাসিনী হাত পাতে। ওর হাতে আম দিয়ে মৃদু হেসে আরমান বলল, ‘আমার একটু আজ আছে। আমি এখন যেতে পারব?’
‘চিন্তা করো না বাজান সব ঠিকঠাক হবে। আপনি যান আমিও চলে যাব।’ বলে উদাসিনী হাত নাড়ে। আরমান মৃদু হেসে হাত নেড়ে দ্রুত হেঁটে বাজারে যেয়ে কাজ সেরে চা’র দোকানে বসে চা পান করে। তাকে দেখে মাতিন যেয়ে চেয়ার টেনে বসে কপাল কুঁচকে বলল, ‘আজ তোর কী হয়েছে?’
আরমান কিছু না বলে এদিক-ওদিক তাকায়। মৃদু হেসে মাতিন বলল, ‘মনের কথা খুলে বল, চিন্তাভাবনা করে চিন্তা-রোগের সর্বনাশ করার বৃথা চেষ্টা করব।’
আরমান কপাল কুঁচকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মাথা নেড়ে বলল, ‘সব সময় হেয়ালি ভালো লাগে না তা শিয়ালীও ভালো জানে। তোর তো সুখে দিন কাটছে, কিন্তু আমার…?’
‘তোর কী হয়েছে, না বললে বুঝব কেমনে? আহাম্মক কোথাকার।'
‘মাস কয়েক পর বছর হবে। যেমন এসেছিল বউ আজো তেমন আছে।’
‘তাতে কী হয়েছে?’
‘কী হয়েছে?’
‘ওই, মনের কথা বুঝিয়ে বলতে তোর এত কষ্ট হয় কেন?’
‘কারণ, কানা-খোঁড়ারা আমাকে আঁটকুড়া ডাকতে শুরু করেছে।’
‘জানিস…।’
‘আমি কিচ্ছু জানি না। কিছু জানাতে চাইলে বল।’
‘ছোটকালে আমি যখন ঘুমাতে পারতাম না, তখন আমার প্রদাদি রূপকথার গল্প শুনিয়ে আমাকে ঘুম পাড়াতেন।’ বলে মাতিন শরীর কাঁপিয়ে হাসলে আরমান কপাল কুঁচকে বলল, ‘মাতিন, এখন গুলতানির সময় নয়।’
মাতিন নড়েচড়ে বসে বলল, ‘গল্পটা শোন, মনে রং লাগবে। প্রদাদি আমার পিঠে গায়ের জোরে কিল বসিয়ে খিলখিল করে হেসে বলতেন, জানিস, অন্ধেরযষ্টি আঁটকুড়ার নাতনী আমি আঁটকুড়ির প্রনাতি হলে তুই বীরপুরুষ। আমার প্রদাদির কথা তুইও মনে রাখিস, আঁটকুড়া একটা শব্দটা মাত্র। যে শব্দের কোনো অর্থ নেই। কুঁড়া শব্দের অর্থ ধান, কুঁড়ি শব্দের অর্থ কলি এবং আটের স্ত্রীলিঙ্গ অষ্টমী।’
‘ওরে বুদ্ধিভোঁতা, বুদ্ধিমানের মত বুঝিয়ে বল।’
‘আট এবং কুঁড়াকে এক করলে আঁটকুড়ির পুংলিঙ্গ আঁটকুড়া হয়।’
‘থামলে কেন?’
‘থামার কারণ, আঁটকুড়া ঢিলা আর আঁটকুড়ি ল্যালা। ভয়ে ওরা বিবাহবিচ্ছেদ করে না, বিধায় আজীবন নিঃসন্তান থাকে।’
‘মাতিন, কী বলতে চাস?’
‘অজ্ঞতা হল অভিশাপ, অজ্ঞরা অভিশপ্ত এবং মূর্খরা কুসংস্কারে বিশ্বাসী।’
‘মাতিন, আমি এখন রাগতে চাই না। বুঝিয়ে বল।’
‘সক্ষম নর নারী সংগমে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হলে, সংগমসাথি বদলানো তাদের জন্য গত্যন্তর মাত্র।’
‘এসব কী বলছিস?’
‘বলছি, বিবাহবিচ্ছেদ করে অন্যের সাথে বিবাহবদ্ধ হওয়া উচিৎ।’
‘বছর কয়েক পর আরেক বিয়ে করব।’ বলে আরমান অধরদংশে তাকালে মাতিন চোখ বুজে মাথা দিয়ে ইশারা করে বলল, ‘খামোখা দুশ্চিন্তা না করে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। এমন সুযোগ সবাই পায় না। বাড়ি যেয়ে সশরীরে স্বর্গভোগ কর, বিমনা মন চনচনে হবে।’
‘কার অভিশাপে অভিশপ্ত হলাম?’
‘পাপ শাপ অভিসন্তাপ ভুলে ধর্মকর্মের সাথে গ্রামধর্ম পালন করলে তুই আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে ইন শা আল্লাহ। মনে রাখিস, আজীবন কেউ দুঃখভোগ করেনি।’
আরমান অনুতপ্ত হলে মাতিন বলল, ‘বাড়ি যেয়ে বউর সাথে লটরপটর করলে বংশঝাড়ে ফল ধরবে, এখানে বসে হুঁকা টানলে ফুসফুসে সমস্যা হবে। দৌড়ে বাড়ি যা।’
মাথা দুলিয়ে আরমান চলে যায়। মাতিন বাড়ি যেয়ে কামরায় প্রবেশ করে দরজায় খিলি দিয়ে স্ত্রীর পাশে বসে। স্ত্রী মৃদু হাসলে পেটে কান লাগিয়ে কিছু শুনতে না পেয়ে মাথা তুলে বলল, ‘ও বউ, ছেলে আমাকে বাপ ডাকছে না কেন?’
‘কোলে আসলে ডাকবে।’
‘কবে আসবে?’
‘ভাবী বলেছে ইদানীং আসবে।’
‘ভাবীর জন্য এখুনি হাজিরির সমন জারি করব।’ বলে মাতিন দাঁড়িয়ে পিছু হেঁটে পিছমোড় দিতে চাইলে স্ত্রী অধীরকণ্ঠে ডেকে বলল, ‘এই যে, ব্যথা শুরু হয়েছে। এখন কোথাও যাবেন না।’
‘কী হয়েছে?’
‘ব্যথা শুরু হয়েছে। ভাবীকে ডাকলে চিল্লাচিল্লি করতে হবে না। ভাবী আমাকে বলেছিলেন।’ বলে স্ত্রী কোঁকাতে শুরু করে। মাতিন দরজার খুলে ভাবীকে ডাকে। ভাবী দৌড়ে যেয়ে মাথা দিয়ে ইশারা করে বললেন, ‘জলদি ধাই-বুড়িকে নিয়ে আসো।’
মাতিন দৌড়ে যায় এবং ধাত্রী সাথে ফিরে বারান্দায় পায়চারি করে। হঠাৎ শিশুর কান্না শুনে দরজার পাশে যায়। ভাবী দরজা খুলে খিল খিল করে হেসে বললেন, ‘ষণ্ডার বউ অবলা ছেলেসন্তান প্রসব করেছে।’
‘তোমার কোথায় যে চুমু দেই? কপোলে না কপালে দেব?’ বলে মাতিন মথা দিয়ে ইশারা করলে ভাবী শিউরে একপাশে সরে বললেন, ‘কমপক্ষে অন্তত মাস দুয়েক দূরত্ব বজায় রাখবে, নইলে তাড়ু তেড়ে মারবে।’
‘ঠিকাছে, এখন দরত্ব বজায় রেখে বলো আমার ছেলে কোথায়?’
‘ছেলের মুখ পরে দেখবে আগে আজান দাও। আজানের ধ্বনি কানে প্রতিধ্বনিত হলে ধর্মাত্মা হবে।’ ভাবী মৃদু হেসে বললে, চোখের দিকে তাকিয়ে সবিনয়ে মাতিন বলল, ‘তোমার রাঙা পায়ে চুমু দিতে হবে। ভাবী, আমার ছেলের জন্য দোয়া করো, তোমার ছেলেদেরকে বুকে আগলে রাখব।’
‘আজান দাও, তোমার ছেলেকে গোসল করাব।’ বলে ভাবী চলে যান। মাতিন আজান দিয়ে দরজার পাশে যেয়ে উঁকিঝুকি শুরু করলে ভাবী বললেন, ‘এখন ভিতরে আসলে কেউ মারধর করবে না।’
ভাবীর কথা শুনে আনন্দে অধীর হয়ে কী করবে ভেবে না পেয়ে দরজার পাশে বসে স্ত্রীর ব্যথাক্লিষ্ট কোঁকানি শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘জীবনের মালিক আল্লাহ তুমি জীবন দান করো। সত্যাসত্য বুঝতে আমরা এত অক্ষম কেন?’
ছেলেকে স্ত্রীর কোলে দিয়ে ভাবী তার সামনে যেয়ে বললেন, ‘অজ্ঞরা বুঝতে চায় না। তাকিয়ে দেখো, ব্যথায় কোঁকাচ্ছে তবুও চোখে আনন্দাশ্রু।’
মাতিন অশ্রু মুছে ভাবীর দিকে তাকিয়ে বিচলিত হয়ে বলল, ‘আজ আমি বাবা হয়েছি তাই না ভাবী?’
‘ধাই আসার আগে কপাল কপোলে চুমু দিলে আঁচলে মুখ লুকিয়ে বলব, ও ধাইমা গো আমি কিচ্ছু দেখিনি গো।’
‘ঠিকাছে, তুমি পাহারা দাও আমি কয়েকটা চুমু দেই।’ বলে মাতিন স্ত্রীর পাশে বসে মৃদু হেসে বলল, ‘এখন আর যন্ত্রণা করব না।’
কথা না বলে স্ত্রী হাসার চেষ্টা করে। স্ত্রীর কপালে চুমু দিয়ে ছেলেকে কোলে নিয়ে সাদরে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে মৃদু হেসে মাতিন বলল, ‘আজ আমি বাপ হয়েছি।’
এমন সময় ধাত্রী যেয়ে ব্যস্তকণ্ঠে বললেন, ‘এই বউআ, বউর বগলে বসেছিন কেন?’
‘ও ধাইমা গো, বউকে একটা উম্মা দিতে পারব?’ মাতিন মিনতি করে বললে ধাই দাঁত কটমট করে বললেন, ‘দাঁড়া, বাগ পেয়েছি আজ তোকে দুরস্ত করব।’
‘আদুরে বউকে একটু আদর করলে তোমার এত জ্বলে কেন?’ পিছু হেঁটে বলে মাতিন দৌড়ে বাজারে যেয়ে মিঠাই মন্ডা কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রী ভাবী এবং ধাইর মুখ মিঠা করে দৌড়ে আরমানের বাড়ি যেয়ে ধারীতে বসে হেঁকে বলল, ‘আরমান, দৌড়ে আয়।’
আরমান বেরিয়ে বলল, ‘কী হয়েছে, চিল্লাছিস কেন?’
‘আমার ছেলে হয়েছে এবং স্ত্রী সুস্থ আছে।’ বলে মাতিন দুহাত প্রসারিত করলে আরমান তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’
মাথা দিয়ে ইশারা করে মাতিন বলল, ‘ভাবীকে তৈরী হওয়ার জন্য বল, ফুফুকে আমি বলব। তোমরা আমার সাথে যাবে।’
‘মাতিন।’
‘কী হয়েছে, কাঁদছিস কেন?’
‘অপয়া আমরা অনামুখো।’ বলে আরমান মাথা নত করলে মাতিন রেগে চটে তার বুকে ধাক্কা মেরে বলল, ‘আমার সম্মুখ থেকে সরে যা, শপ্ত শব্দ আবার উচ্চারণ করলে জানে মেরে ফেলব।’
আরমান চিৎ হয়ে মাটিতে পড়ে ডুকরে কেঁদে বলল, ‘মারতে মারতে সক্ষম বানা, আপত্তি করব না।’
‘তুই কাঁদতে থাক, ক্লান্ত হলে আরেক চোপ দেব।’ বলে মাতিন আরমানের মাকে ডেকে বলল, ‘ফুফু, আমি জানি আপনি এখন যাবেন না। আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার ছেলেকে পাঠাব।’
‘খবরদার, তোর ফুফাকে ডাক দে।’
‘ফুফাকে ডাকতে হলে আমাদের বাড়ি যেতে হবে।’
‘ঠিকাছে, আরমানের সাথে গল্প কর বউমাকে আমি বলব।’ বলে আদিলের মা দ্রুত চলে যান। মাতিন বেরিয়ে আরমানকে ডেকে বলল, ‘ওই, আরেকটা দেই?’
‘নাম রেখেছিস?’ বলে আরমান অশ্রু মুছে।
‘এখনো রাখিনি। আব্বা আম্মা রাখবেন। তুই একটা ডাক নাম দে।’ বলে মাতিন মাথা দিয়ে ইশারা করলে আরমান চোখ পাকিয়ে বলল, ‘আমার উরে আসলে ধাক্কা মেরে দূরে ফেলব, আরেকটা কথা বললে নাকের ডগায় টুসি মারব।’
‘ঠিকাছে, আমি তাকে ভালো নামে ডাকব। মিষ্টি খেয়েছিস?’
‘হ্যাঁ, পেট ভরে খেয়েছি।’ বলে আরমান ডানে বাঁয়ে তাকায়। বসন্তের বাতাসে ফুলের সুবাস। বুক ভরে শ্বাস টেনে আরমান বলল, ‘এই মাতিন, এটা কোন মাস?’
মাতিন উত্তেজিত হয়ে বলল, ‘ওরে বাসরে, আমার ছেলের জন্ম বসন্তে হয়েছে। তুই না বললে আমি জানতাম না। তোকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
‘অনেক বছর হয় প্রভাতফেরিতে যাইনি। আগামী বছর তোর ছেলেকে নিয়ে যাব। মাতিন, একটা কথা বলি, রাগ করবে না তো?’
‘বল, আজ আর রাগ করব না।’
‘আমার মেয়ে হলে তোর ছেলেকে দামান্দ ডাকতে পারব?’ বলে আরমান দু হাতে মুখ লুকিয়ে ডুকরে কাঁদলে মাতিন দাঁত কটমট করে বলল, ‘কবে যে তোর ভোঁতাবুদ্ধি ক্ষুরধার হবে?’
‘মার, মারতে মারতে বুদ্ধিধর বানা।’

এই বই দুই খন্ডে আমাজনে প্রকাশ করেছি
Poromatthio: Volume 1 (Bengali) Paperback – 21 Jun 2016
by Mohammed Abdulhaque (Author)
Product details
Paperback: 596 pages
First edition (21 Jun. 2016)
Language: Bengali
ISBN-10: 1534824596
ISBN-13: 978-1534824591
Product Dimensions: 12.7 x 3.4 x 20.3 cm
এক সাথে পড়তে চাইলে আমাজন থেকে কিনতে পারবেন
অথবা অনলাইন পড়তে চাইলে আমার সাইটে আছে

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ‘অজ্ঞতা হল অভিশাপ, অজ্ঞরা অভিশপ্ত এবং মূর্খরা কুসংস্কারে বিশ্বাসী।’

একমত প্রকাশ করলাম।

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি কেমন আছেন?

প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার দিন শুভ হোক।

২| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

ওমেরা বলেছেন: যদি ও অনেক শব্দের অর্থ বুঝি না তবে গল্পটা একটু একটু বুঝতে শুরু করেছি । ধন্যবাদ নানাজান ।

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ নানাভাই, আমি জানি বুঝতে কষ্ট হবে, কারণ লেখার আমার অনেক কষ্ট হয়েছে।

মাত্র আসল চরিত্রের জন্ম হয়েছে।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি ভালো আছি, অনেক ধন্যবাদ জিজ্ঞাসা করার জন্যে। আপনি কেমন আছেন?

একটি জিজ্ঞাসা- ''আফনার কয়জন দামান্দ আছোইন? তাইন তাইন লন্ডনো থাকোইন নি?''

আর একটা অনুরোধঃ ''প্যারাগুলো'র মাঝে একটু স্পেইস দিয়ে লিখলে পড়তে অনেক সুবিধে হবে।''

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি ভালাছি। আমার তুই মেয়ে। বড় ময়ের বিয়ে হয়েছে, দুই নাতনি। দামান্দর জন্ম লন্ডন। ছোট মেয়ে এখনও লেখা পড়া করছে।


ঠিকাছে পরের পর্বে স্পেইস দেওয়ার চেষ্টা করব।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

সত্যের ছায়া বলেছেন: আস্তে আস্তে গভীরে প্রবেশ করছে।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, আপনি ধরতে পেরেছেন।

শুরু বেশি কঠিন হওয়ার কারণ, সত্যাসত্য এবং বিচিত্রতা বিশ্লেষণ করতে হয়েছিল। আমারই মাথা ঘুরায় |-)

৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

সত্যের ছায়া বলেছেন: কালকে মনে হয় ব্লগে বেশিক্ষণ ছিলেন না? শরীর অবস্হা খারাপ নাকি?

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আসলে ব্লগিং ছাড়ার চেষ্টায় আছি। ব্লগে যে সব পোস্ট আসে তা দেখলে সত্যি ঘৃণা হয়। তারপরেও আসি মনের টানে।

(আমি আসলে নিজেই জানি আমার দেহের ভিতর কী হচ্ছে। আগামী সপ্তা রক্ত পরিক্ষার জন্য আবার পাঠাব। কোমরে এবং পিঠে বিষব্যথা)

৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

সত্যের ছায়া বলেছেন: ভয়ের বিষয়, আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন। সাহস এবং মনোবল থাকলে শরীর চাঙ্গা থাকে। আপাতত ডাক্তারের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন। হাতে যে চারটি ইংলিশ উপন্যাস রয়েছে তার কি অবস্হা?

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: একটা প্রকাশ করেছি।
আমার সাইটে এবং আমাজেন।

ভেবেছিলাম বাংলা যে কয়টা আছে তা শেষ করে ইংলিস নিয়ে বসব। এখন সত্যি ভয় হয়। এই মন্তব্য লেখার সময় চিন্তা করছি এখন কী করব, হাঁটতে যাব না আর কিছু করব। বসতে এখন ভয় হয়।

ইংলিসগুলা আসলে লাইনে আছে। কয়েকবার পড়লে ঠিকঠাক হয়ে যাবে। বাংলা আমার সর্বনাশ করেছে।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা বেড়েই চলেছে। অবিরত থাকুক প্রত্যাশা।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি ধন্যবাদেই খুশি। গুরুজনের দর্শনেই তৃপ্তি লাগে মনে।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবেন।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সাথে আমাকেও রাখলে খুশি হব, প্রিয় ভাই। চলুন, আমরা রিটায়ার্ড করি। ব্লগের যে হাল! আর ব্লগের কথা বলে কি লাভ? সমাজের যে অবক্ষয়! মানবতার যে অবক্ষয়! লজ্জা শরম বলতে আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকল না। ছি! ছি!

বাবা মা যাদের ভদ্রতা আদব কায়দা ধর্ম জ্ঞান শেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, সেইসব নরপশুরাই বেআদবিতে পারদর্শী হয়ে থাকে। এরা ব্লগে এসে বেআদবি করে। বাড়ি ঘরে বাবা মা বলে কাউকে সম্বোধন করে না। বুড়ো বুড়ি ইত্যাকার জঘন্য কদর্য ভাষায় তাদের কলজে ছিঁড়ে ফেলে। সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। ধর্ম ধার্মিকদের পেছনে শয়তানের মত লেগে থাকে।

আপনার সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে দোআ করছি।

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এই বইয়ে আমি অনেক কিছু বিশ্লেষণ করেছি। দোষ আমাদেরও আছে। আপনি নিশ্চয় জানেন গজব আসলে আমরাও নিস্তার পাব না।

আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন এই দোয়া করি, এবং আপনার মঙ্গল কামনা করি।

১০| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

সত্যের ছায়া বলেছেন: গতকাল দেখলাম এক ব্লগার বিদায়ী কবিতা লিখে অভিমান করে চলে যাওয়ার ঘোষ না দিয়েছে। সে নাকি ন্যায় বিচায় চেয়েছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার অপেক্ষা করতে করতে সে অধৈর্য হয়ে পড়েছে। তার মত এভাবে অভিমান করে চলে গেলে আমাদের প্রিয় মুখগুলো হারাতে থাকব।

মনে রাখবেন ভন্ড, প্রত্যারক এবং চক্ররা হাসি তামাসা করতে অধিক মজা পায়।

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পলাশমিঞাকে জেনারেল করে রেখেছে, কোথাও মন্তব্য করতে পারছি না। এখন আপনি বলুন অন্যদের জন্য ভেবে কী করব?
ব্লগে যথেষ্ট নিক আছে ঝামেলা করার জন্য। এখানে শান্তির সাথে কখনও ব্লগিং করা যায়নি এবং যাবেও না কারণ শান্তিতে ব্লগিং করলে ব্লগ গরম হয় না, ট্রাফিক কমে যায়। লোকজন মজা করতে চায়। সমস্যা হলো আচকা কিন্তু সব বেমজা হয়ে যাবে। এখন মামরা করা যায়, কখন কে মামলা করবে আর বাঁশ ঝাড়ে আগুন লাগবে।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার মাথায় 'বর্তমান কাল' এমনভাবে কাজ করছে যে, আমি পেছনের দিনগুলোকে কোনভাবে যেন কল্পনা করতে পারছি না।

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মজার বিষয় বলি, আমি লন্ডন শহরে বড় হয়েছি কিন্তু আমার মাথায় এখনও ১৯৭৬/৭৭। তবে তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি, শুধু গাছ কাটা হয়েছে জমিনে আগের মত ধান হয় না, মানুষ আরও হিংস্র হয়েছে। বইটা কিন্তু অতীত থেকে শুরু, চাইলে সব উলট পালট করতে পারব, বা ছিল, অনেক কষ্টে এভাবে লিখেছি। গল্পের প্লট কিন্তু আমা গ্রামে। আমার গ্রাম তখন বেশি বড় ছিল না।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পরীর চাকুরী (পর্ব-২) পোষ্ট করেছি যদি পড়েন। দুঃখিত, আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়না বলে দাওয়াত দিতে হলো।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি চৌধুরী পড়ব। আপনার গলায়ও দা লাগিয়েছে নাকি? কখন যে আমার গলায় লাগাবে তা আল্লাহ মালুম।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: এই পর্ব বুঝতে কষ্ট হয়নি। সাবলীলভাবে এগিয়েছে। আগেরগুলো বুঝতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না। শুভ কামনা পলাশমিঞা ভাই।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: প্রথম কয়েক পৃষ্টা পড়লে আমারই মাথার ভিতরে সমস্যা হয় |-)

পরে যা আছে তা আন্দাজ করলে বুঝতে পারবেন। (ভাষা আমি আমার অঞ্চলের আশে পাশে রেখেছি যা কারণ আমাকে আরও বেশি কষ্ট করতে হয়েছিল।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১২

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনি অনেক পুরাতন। অনেক ঝড়ঝঞ্জা দেখেছেন। আপনার মুখ দিয়ে এ সমস্ত কথা মানায় না। লেখালেখি নেশার মত। নেশা না থাকলে এত বড় মহাপন্যাস লিখতে পারতেন না।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাইজান, আমি সাধারণ মুসলমান, খামো‌খা বাড়াবাড়ি পছন্দ করি না। ইসলাম ধর্ম কী আমি জানি। লণ্ডনের মত শহরে বড় হয়েছি এবং আল্লাহর দয়ায় আমি ধর্ম পালন করি। মসজিদের ইমাম সাহেবরা আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেন। ব্লগে যা হয় তা কেন হয় তা আমি জানি। ওরা জানে দেশের লোকজন ধর্ম বিষয়ে অজ্ঞ, এবং মুল্লারা খামোখা হাঁইহুই শুরু করে।
যে কয়টাকে মারা হয়েছে ওরা জানতা না, তবে আমি ব্লগেও বলেছিলাম, কুত্তা মরা মরবে। কারণ আমি জানি, এবং জানার কারণ এসব আগেও হয়েছে এবং হবে।

যাক, ইসলাম ধর্ম সবার জন্য, মানা না মানা অন্য বিষয়।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫২

সত্যের ছায়া বলেছেন: ওরা জানে দেশের লোকজন ধর্ম বিষয়ে অজ্ঞ, এবং মুল্লারা খামোখা হাঁইহুই শুরু করে।

ব্লগে অনেক দিন পর একটা দামী কথা পাইছি।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাইজান, ব্লগে লগিন করার পর দেশের হাল আহাল সব বুঝা যায়। ব্লগে ধর্ষণ এবং ধর্ম বিনোদন, চটি প্রথম পাতায় থাকে, নেংটা ছবি প্রথম পাতায় থাকে, রিপট করলে উলটা সাজা দেয়। কদ্দিন আগে আমার পোস্ট একটা হাওয়া করেছিল, কারণ তার আগে আমি এক পোস্ট রিপট করেছিলাম।

বলবেন তাইলে মহোপন্যাস পোস্ট করার কারণ কী? কারণ হলো, এই ব্লগে অনেকে হাসাহাসি করেছিল, ভেবেছিল আমি খালি বকবক করি, আমি শুধু প্রমাণ দিলাম, বাংলা ইংলিসে আমি একাধিক উপন্যাস লিখেছি। জানি ওরা আমার বই কিনে পড়তে পারবে না, দাম অনেক, তাই ফ্রি করে দিয়েছি।

সবার মঙ্গল হোক।

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আগের পবের চেয়ে সহজ আছে ....ভালো লাগলো ।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
পরে আমি ঠিকঠাক করার চেষ্টা করব।

১৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আচ্ছা, ঠিক আছে ভাইজান , কেমন আছেন ?

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আসলে সত্যি এখন চিন্তিত, কী করলাম আর কী করব নিয়ে ভাবলে মাথায় খিলি মারে। জীবনে অনেক করেছি, কিন্তু যা করেছি তা কিন্তু আমাকে এখন কোনো সাহায্য করছে না। কী করব তাও জানি কারণ, যা ভেবে যা করেছিলাম তা এখন কল্পনা হয়েছে।

যাক, সাবধানে থাকবেন, মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন, লেখালেখি পরে করা যাবে। আমি আসলে আস্ত একটা বোকা, মানে গবেট!

তো আপনার খবর কী?

১৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার কথা শুনে মজা পেলাম ! B-)

জি ভাই আমি ভালো আছি !

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার দুঃখের কথা পড়ে আপনি হাসলেন :((

১৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দেরী না করে এই পর্বও পড়ে নিয়েছি গুরু। দেশে আসার যাওয়ার প্রস্তুতিতে আগের পর্বগুলো ডে টু ডে পড়া হয়নি। তাই আজ একসাতে পড়ছি। অবশ্যই পি ডি এফ নামিয়ে নিয়েছি।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মতামত দিলে সবাই উপকৃত হব। প্রয়োজন হলে আবার রিরাইট করব।

আল্লাহ আপনার সময়ে বরকত দেবেন, আমিন।

২০| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনি আমার জন্য দোয়া করেছেন। আমিন। আমিও আপনার জন্য দোয়া করি মহান রবের নিকট ওনি আপনার সকল কষ্ট-ক্লান্তি দূর করে দিন।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিন। আল্লাহ আমাদের মনের সকল নেক আশা পূরণ করবেন, আমিন।

২১| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়ে গেলাম।।
কেমন আছেন।।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আমি ভালো আছি, আপনিও নিশ্চয় ভালো?

২২| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ সময় লাগিয়ে পড়লাম । লেখার স্টাইল সুন্দর , প্রকাশ ও বাক্যের গঠনশৈলী ভাল লেগেছে । গল্পের চরিত্রগুলির সাথে তাদের কথোপকথন ভঙ্গিমা সামঞ্জস্যপুর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়েছে ।

যেহেতু পর্ব আকারে দিচ্ছেন সেহেতু পর্বগুলি আরো একটু ছোট হলে ভাল হতো বলে মনে হয় , যদিউ আমার নীজের পোষ্টগুলি বেশ লম্বা হয়। আমি চেষ্টা করলেও আমার লেখাগুলিকে ছোট করতে পারিনা আমার নীজের ক্ষমতার জন্য ।

আরো একটি বিষয় লেখাটকে প্যারা আকারে দিলে পাঠে সুবিধা হত । গল্পের একটা স্তর হতে পরের স্তরে উত্তরনের বিষয়গুলি বুঝতে সুবিধা হয় । যাহোক লেখাটি একান্তই আপনার নীজের , আপনার সুবিধামত যেমন খুশী তেমনভাবে উপস্থাপন করতে পারেন । লেখকের স্বাধিনতাই সবচেয়ে বড় কথা ।

পোষ্টে দেয়া এই পুস্তকটি আপনার সাইট হতে ডাউনলোড করে নিয়েছি । বিশাল আকারের ১৩৭৩ পৃষ্ঠার এত বড় উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয়টি আছে কিনা জানা নাই । প্রায় বছর ত্রিশেক আগে খন্দকার মো ইলিয়াস নিখিত কত ছবি কত গান নামে একটি প্রায় হাজার পৃষ্টার (এখন মনে নাই সেটা আসলে কত পৃষ্ঠার ছিল তবে মনে পড়ে সেটা বিশাল আকারের ছিল )
উপন্যাস দেখেছিলাম বলে মনে পড়ে , যদিউ পুস্তকটি নেই এখন আমার সংগ্রহে ।

যাহোক, ডাউনলোড করা আপনার বইটিতে দেখলাম সেখানেও লেখার কোন প্যারা গেপ নেই । তার পরেও প্রায় ঘন্টা খানেক লাগিয়ে অনেকটুকু পাঠ করলাম । এতি বিশাল মাপের পুস্তকের উপরে মন্তব্য দেয়া সেকি চাট্টিখানি কথা :) । এটা মনে হয় চাঁগগাজী ভাই এর পক্ষেই সম্ভব , উনার মত অল্পকথায় কোন লিখার বিষয়ে কথা বলার ক্ষমতা খুব কম লেখকের মধ্যেই দেখা যায় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ডক্টর সাহেব আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি আপনাকে সম্মান করি, এবং আপনার মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য।
আমি আসলে পর্বের বই লেখি না, চাইলে পারতাম। পর্বের বইয়ে একটা সমস্যা হলো, এক পর্বের সাথে আরেক পর্বের মিল না থাকলে কোনো সমস্যা হয় না। শুধু চিরত্রের নামে টানা। এক টানে লিখতে আমারও অনেক সমস্যা হয়েছে। ২৫ বছরে এই বই শেষ করেছি। নিজে ফর্মাটিং করার ১৩৭৩ পৃষ্টা হয়েছে, বিজয় দিয়ে করলে ১৫ পৃষ্টার বেশি হয়। অনেক কষ্টে দুই খন্ডে আমাজনে প্রকাশ করেছি। ওরা ৬ শো পৃষ্টা বেশি ছাপায় না। এই বই একজনের জীবনী।

আপনার মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ।

২৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখা মান উত্তীর্ণ। সময় কাটানোর জন্য বেশ ভাল।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চৌধুরী সাহেব।

২৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



//ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পরীর চাকুরী (পর্ব-২) পোষ্ট করেছি যদি পড়েন। দুঃখিত, আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়না বলে দাওয়াত দিতে হলো।//

-ফরিদ ভাই তো নতুন পোস্টে দাওয়াত দিলেন। আমিও কি দাওয়াত দিব? আমার কাছে কেন যেন এই জাতীয় কাজে শরম শরম একটা জিনিষ কাজ করে। নিজের ঢোল নিজে পেটানো টাইপ কাজ অনুভূত হয়। অবশ্য একথা ঠিক, সামুর যথাযথ ইনসাফ থাকলে আমাদের এগুলো করার প্রশ্নই আসতো না।

যদিও আমিও তার মতই। আমার পোস্টও প্রথম পাতায় যায় না। গতকাল যে পোস্টটি দিয়েছিলাম তার লিঙ্কটিই এখানে তুলে দিই। যাতে ইজিলি দেখে আসতে পারেন।

শাফায়াতের অধিকার হাতেতে আপনার

সকলের জন্য শুভ কামনা।

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করব।

২৫| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ ভাল একটি লিখা মনে হচ্ছে। অনলাইনেই যাচ্ছি --- :)

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, মতামত জানাবেন এত সবাই উপকৃত হব।

২৬| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পোস্টে ++
বেশ ভালো কিছু আছে শেখার মত। ধন্যবাদ।

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দাদা, মতামত জানাবেন। আমি কোনো পণ্ডিত নয়। নিজে নিজে শিখেছি। ভুল অথবা অসংগতি ধরা পড়লে বলবেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৭| ১৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খালিদ১২২ বলেছেন: ভাইজান, আমি সাধারণ মুসলমান, খামো‌খা বাড়াবাড়ি পছন্দ করি না। ইসলাম ধর্ম কী আমি জানি। লণ্ডনের মত শহরে বড় হয়েছি এবং আল্লাহর দয়ায় আমি ধর্ম পালন করি। মসজিদের ইমাম সাহেবরা আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেন। ব্লগে যা হয় তা কেন হয় তা আমি জানি। ওরা জানে দেশের লোকজন ধর্ম বিষয়ে অজ্ঞ, এবং মুল্লারা খামোখা হাঁইহুই শুরু করে।
যে কয়টাকে মারা হয়েছে ওরা জানতা না, তবে আমি ব্লগেও বলেছিলাম, কুত্তা মরা মরবে। কারণ আমি জানি, এবং জানার কারণ এসব আগেও হয়েছে এবং হবে।

যাক, ইসলাম ধর্ম সবার জন্য, মানা না মানা অন্য বিষয়। =GOOD MESSAGE

১৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সবার মঙ্গল হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.