নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরমাত্মীয় পৃষ্টা ২০-২২

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১১



পৃষ্টা ১৮-১৯

‘নানাজান।’ বলে রাহীম অপলকদৃষ্টে তাকালে তার চোখ ছলছল করে। গায়ের জোরে তাকে জরিয়ে ধরে বুক ভরে শ্বাস টেনে নানা বললেন, ‘পাঞ্জা অথবা কুস্তিতে দাদাকে হারাতে পারিনি। দাদাকে হারাতে পারলে তুই কুস্তিগির হবে। তোর সাথে পাঞ্জা ধরলে কবজি ভাঙবে।’
দাদা হাসতে হাসতে বললেন, ‘বেয়াই, কী হয়েছে?’
‘গূঢ়তত্ত্ব শুধু আপনি আমি জানি।’
‘রাহীম, আমাদের সাথে আয় তোর সাথে কুস্তি করব।’ বলে দাদা হাঁটতে শুরু করলে নানা উনাকে অনুসরণ করেন। নদীর ঘাটে যেয়ে নানার দিকে তাকিয়ে দাদা বললেন, ‘আমার তিন নাতি।’
‘তা আমি জানি।’ বলে নানা হাসার চেষ্টা করেন। দাদা এবং নানার দিকে রাহীম স্বগতোক্তি করে, ‘আজ আমার টেংরি ভাঙবে। দিনমান ও মাই গো জপতে হবে।’
অকস্মাৎ দাদা আক্রমণ করলে সাধনচাতুর্যে রাহীম আত্মরক্ষা করে। নানা হাসতে শুরু করলে অপলকদৃষ্টে রাহীমের দিকে তাকিয়ে দাদা বললেন, ‘অবিশ্বাস্য, আমি বিশ্বাস করতে চাই না।’
‘আমরা বিশ্বাসী।’ বলে নানা রাহীমের পাশে যেয়ে তাকে বুকে টেনে চোখ বুজে কিছু পড়ে দু হাতে তার বাজু ধরে মৃদু হেসে বললেন, ‘আত্মার সর্ম্পক আত্মীয়ের সাথে। আত্মীয়তায় অনাত্মীয়রা পরমাত্মিয় হয়। আত্মার মালিক হলেন আল্লাহ। কে কখন মৃত্যুবরণ করব আমরা জানি না।’
‘আজ আপনাদের কী হয়েছে?’ বলে রাহীম কাঁধ ঝুলালে বুক ভরে শ্বাস টেনে হাঁফ ছেড়ে দাদা বললেন, ‘আজ আমরা আশ্বস্ত হয়েছি এবং তুই বিশ্বস্ত হয়েছিস।’
‘জয়োস্তু।’ বলে রাহীম পিছু হেঁটে শিউরে ওঠে। আর কথা না বলে দাদা এবং নানা বাড়ির ভিতর চলে যান এবং খাবার খেয়ে বিদায় হলে সে তার কাজে ব্যস্ত হয়। রাত বারোটায় কাকের নীড় থেকে ছানা মাটিতে পড়ে কাতরাতে শুরু করে। আলগোছে দোয়ার খুলে টর্চ হাতে নিয়ে বেরিয়ে বাবার গলা খাঁকারি শুনে চমকে ওঠে। ডরের চোটে কী করবে ভেবে না পেয়ে গুঁড়িশুঁড়ি মেরে লাউতলে বসে দোয়া ইউনুস জপতে শুরু করে। হঠাৎ শিয়ালের আর্তনাদ বাতাসে প্রতিধ্বনিত হলে আক্ষেপ করে বলল, ‘রে শিয়ালের পাল, তোদের যন্ত্রণায় না পারি মুরগি পোষতে, না পারি কোকিল পোষতে। বাগুরায় ঘুরে মর, সক্কালে উঠে বিস্কুটের শিরনি করব।’
বাবা ভিতরে চলে গেলে মাথা নেড়ে হেঁটে ছাঁইচের পাশে গেলে তার চেয়ে আধহাত লম্বা একজনের সাথে মুখোমুখি হয়। সভয়ে দুজন দুদিকে দৌড়ে পালায়। সে তার কামরায় প্রবেশ করে দরজায় ছিটকানি লাগিয়ে কাঁথামুড়ি দেয়। ভোরে কোকিলের ডাক শুনে ধড়মড় করে উঠে হাতশ হয়ে মাথা নেড়ে রাহীম বলল, ‘ইস, মাস্টর ভাই কেন যে যাত্রায় গিয়েছিলেন?’
দরজায় কেউ কড়া নাড়লে আবার কাঁথামুড়ি দেয়।
‘রাহীম, দরজা খুল।’
‘দরজা খুলতে পারব না।’
‘দরজা খুল নইলে চাচাজানকে ডাকব।’
‘যাত্রার খবর ভাইজান এবং দাদাজান জানেন। আব্বাজান এবং চাচাজান জানেন না। জানাতে চাও নাকি?’
‘আমার লক্ষ্মীভাই দরজা খুল।’
রাহীম অপারগ হয়ে দরজা খুললে পেটে ধরে সকাতরে মাস্টার বলল, ‘আর কোনোদিন যাত্রায় যাব না। বেশি ভুখ লেগেছে। কিছু এনে দে। ভুখে পেট আমলিয়ে মাথা ঘুরাচ্ছে।’
‘শাষালে চিৎকার করে বলব, যাত্রায় গিয়েছিলে কেন? আজ যাত্রা অশুভ হবে। এখন বলো কী চাও?’ বলে রাহীম মাথা দিয়ে ইশারা করলে মাস্টার হতাশ হয়ে হাবার মত হেসে মাথা নেড়ে বলল, ‘পেটের ভিতর জ্বালাপোড়া হচ্ছে। চা বিস্কুট খেলে গ্যাস্টিক হবে। পাঁঠার মাংস দিয়ে পিঠা খেলে গ্যাস্টিক হয় না। এক আধখান বর্তন ভাঙ যেয়ে, ঝাড়ু মলম আনার জন্য বাজারে যাব।’
‘না গো মাস্টর ভাই, থাল বর্তন ভাঙতে পারব না। গতকালকের দুইখান এ মাসের জন্য যথেষ্ট। আজ বর্তন ভাঙলে আম্মাজান আমার কল্লা ভাঙবেন। তুমি পারলে না চিনে চিনের একখান ভাঙো যেয়ে। আমি হাত মুখ ধুয়ে আসি।’ বলে রাহীম দৌড়ে পাকঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে ছোট চাচিকে দেখে পাশে যেয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে পেটুকের মত সবিনয়ে বলল, ‘ছোট-চাচি আম্মা গো, পিঠা বানাতে পারবে? পাঁঠার মাংস দিয়ে পিঠা খেতে চাই।’
‘হাত মুখ ধুয়ে আসো, পিঠা বানিয়ে দেব।’ চাচি সভয়ে বলে তাড়াহুড়ো করে পাকঘরে যেয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে মনের চোখে তার কাণ্ড কারখানা দেখতে শুরু করেন। উনাদের পোষ্য কুকুর। যে কুকুরের ভয়ে চোর ডাকু বাড়িতে হানা দিত না। এত ভয়ংকর ছিল। সেই কুকুরকে শিয়ালের মত মেরেছিল। তারোপর কিছু না পেলে বর্তনবাটি ভাঙতে শুরু করে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সে যা চায় তা দিয়ে পাকঘর থেকে আলাই বার করেন। এসব চিন্তা করে উনি পিঠা বনাতে শুরু করেন। তার মা পাকঘরে প্রবেশ করে দু চোখ কপালে তুলে বললেন, ‘এই ছোটবউ, পিঠা বানাচ্ছিস কেন?’
‘আমাদের সাতরাজার ধন পাঁঠার মাংস দিয়ে পিঠা খেতে চেয়েছেন। আপনি তরকারি গরম করুন, আমি পিঠা সেকব। তওবা আসতাগফার শোনা যাচ্ছে। এ কেমন পিরাকি আমার ছোট শ্বশুর পেয়েছেন, বর্ষায় গেলে মাকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
‘ওর ভয়ে ভয়ার্ত হলে বিপাকে পড়ব। তার হাতের পিছে মাস্টরপুতের হাত থাকে।’ বলে মা যখন তরকারি গরম করেন তখন রাহীম কষ্টে কাষ্টহাসি হেসে বলল, ‘চাচি আম্মা, পিঠা হয়েছে?’
‘হ্যাঁ হয়েছে।’ চাচি চমকে বলে থালে দুইটা পিঠা দিয়ে বললেন, ‘তোমার মাকে বলো তরকারি দেবেন।’
পিঠার দিকে তাকিয়ে হতাশ হয়ে রাহীম বলল, ‘চাচি আম্মা, মাত্র দুইটা পিঠায় মাস্টর ভাইর গ্যাস্টিক কমবে না। উনি একলা চারটা খাবেন, ছয়টা দাও।’
মা ধমকে বললেন, ‘চোপচাপ বসে অপেক্ষা কর নইলে তোর বাপকে ডাকব।’
রাহীম থাল উঁচিয়ে নিচের দিকে তাকায়।
‘মাত্র দুইখান বাকি। এই নাও, সব নিয়ে যাও। সবগুলো তোমার জন্য বানিয়েছি। ভাবী, তরকারি দিচ্ছ না কেন?’ বলে চাচি তাড়া দিলে মা চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘তোর বাপকে ডাকব?’
‘মায়, আমি এখন কী করলাম? থালের তলায় ময়লা আছে কি না আমি দেখছিলাম।’ বলে রাহীম থাল ছেড়ে দেয়।
‘দাঁড়া, আজ তোর বাপকে সব বলব। কই শোনছ, এসে দেখ আদুরে পুত কী শুরু করেছে?’ মা রেগে অনুচ্চসুরে বললে চাচি থাল হাতে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পিঠা তরকারি দিয়ে বললেন, ‘ভাবী ভাঙেনি। ভাইজানকে ডেকে লাভ হবে না। ভাবীরপুত এই নাও, তোমার বাবা আসার আগে ভাগো।’
থাল হাতে নিয়ে রাহীম উঠে পড়ে দৌড়ে পড়াঘরে যেয়ে ভুখে মাস্টারকে ছটফট করতে দেখে মাথা নেড়ে বলল, ‘এই নাও।’
‘ধন্যবাদ।’ বলে মাস্টার দু হাতে নাকে মুখে গুঁজতে শুরু করে। চেয়ারে বসে ভ্রূ দিয়ে ইশারা করে রাহীম বলল, ‘আমার মনের-কানে ঠুংরির ঠুংঠু প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।’
মাস্টার চিবাতে চিবাতে মথা দিয়ে ইশারা করে বলল, ‘আগামী বছর চিন্তাভাবনা করব এখন মুখ বুজে পেট ভরে খা নইলে আমার মত গ্যাস্টিক হবে।’
‘এর মানে আমার পিঁজরায় বসে কোকিলা সুখের গান গাইবে না?’ রাহীম হতাশ হয়ে বললে মাস্টার বিরক্ত হয়ে বলল, ‘তুই আর তোর কোকিলা। চাচাজান টের পেলে তোর পিঁজরায় আমাকে বসিয়ে আলাহিয়া বিলাওল গাওয়াবেন।’
‘মনে রেখো, আগামী বছর কোকিলাকে শিয়ালে খেলে হাউ মাউ করেও গেস্টিক বেমারের দাওয়াই পাবে না।’ গম্ভীরকণ্ঠে বলে রাহীম নাস্তা খেয়ে বাউণ্ডুলের মত হেঁটে খালিবাড়ি গেলে পুরুষকণ্ঠ বলল, ‘অমরাত্মা হতে চাই, কী করতে হবে?’
রাহীম চমকে ডানে বাঁয়ে তাকালে পুরুষকণ্ঠ বলল, ‘আমি জানি তুই অবিশঙ্ক।’
‘অশঙ্ক হতে চাই না আমি শঙ্কিত হয়েছি।’
‘আমি প্রশ্ন করেছিলাম।’
‘আত্মসাধনায় আত্মশুদ্ধি হয়। পরিশুদ্ধ শব্দের বিশদ বিশ্লেষণ করলে সঠিক উত্তর দিতে পারব।’
‘পরিশ্রম করলে পরিশীলনে পরিশিষ্ট বিশ্লেষিত হয়।’
‘আমি পরিশ্রান্ত হতে চাই না।’
‘পরিষদে দাঁড়িয়েছি। পরিষেবা প্রয়োজ্য।’
‘আপনি নিশ্চয় জানেন পরিলক্ষিত বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে হলে পরিরক্ষণ করতে হয়।’
‘ভাই রে, আমাকে সাহায্য কর। মারাত্মক দূরবস্থায় আছি।’
‘আপনি কে বা কী? আপনাকে আমি দেখতে পাচ্ছি না।’
‘জাদুকর হতে চেয়ে আমি অদৃশ্য হয়েছি। দিনমান ধেয়ানচিন্তা করে একমাত্র তোকে বিশ্বাস করতে পেরেছি।’
‘সবাই জানে আমি অশিষ্ট।’
‘আমি জানি তুই বিশিষ্ট।’
‘আমি আদিষ্ট হতে চাই না।’
‘উপদিষ্ট আমি তোকে আদেশ অথবা উপদেশ করতে পারব না।’
রাহীম চিন্তিত হয়ে ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে নিম্নকণ্ঠে বলল, ‘মাই গো মাই, একলা পেয়ে আজ আমাকে ভূতে বেড়েছে।’
‘বেড়াজালে ঢুকলে মাছের কী আহাল হয় নিশ্চয় জানিস?’
‘ওহে ভূতভ্রতা, আমাকে নিস্তার দাও। আমার পেটের ভিতর বুদবুদ শব্দ হচ্ছে, আচকা দাস্ত হবে। এই বাড়িতে বদনা নেই।’
পুরুষকণ্ঠে হাসতে শুরু করলে ইনিয়ে বিনিয়ে রাহীম বলল, ‘এত মারাত্মক ভুল আর কখনো করব না। দুপুরবেলা আমি আর এই বাড়িতে আসব না।’
‘আমি ভূত নয়।’
‘সর্বনাশ।’
‘কী হয়েছে?’

এই বই দুই খন্ডে আমাজনে প্রকাশ করেছি
Poromatthio: Volume 1 (Bengali) Paperback – 21 Jun 2016
by Mohammed Abdulhaque (Author)
Product details
Paperback: 596 pages
First edition (21 Jun. 2016)
Language: Bengali
ISBN-10: 1534824596
ISBN-13: 978-1534824591
Product Dimensions: 12.7 x 3.4 x 20.3 cm
এক সাথে পড়তে চাইলে আমাজন থেকে কিনতে পারবেন
অথবা অনলাইন পড়তে চাইলে আমার সাইটে আছে

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: খেলা দেখার ফাঁকে পড়ে গেলাম।

আমার ব্লগে দাওয়াত রইলো।

শুভেচ্ছা।

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দাওয়াতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দেখে গেলাম। ভালো লাগলো এবারও।

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: পড়লাম। তবে চরিত্রগুলো ফোকাস পাওয়া শুরু করছে।

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: প্রথম কিন্তু সাহিত্যিক হতে চেয়ে লিখেছিলাম। কিন্তু শেষ করেছি অন্যভাবে। আমার বিশ্বাস হয়েছে, আমি কখনো সাহিত্যিক হতে পারব না। আমি শুধু আমার মনের ভাব প্রকাশ করেছি। এখন আপনাদের পালা।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লেখার এত বিস্তৃত বর্ণনা, হয়তো আপনার এলাকার লোকদের জন্য অনেক কিছুই

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি বিশ্বাস করেত শুরু করে‌ছি, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। যা শুরু করেছিলাম তা শুধু শেষ করেছি।

মাত্র ১৩৭৩ পৃষ্টায় একটু আধটু থাকবেই তাই না? :P

আপনি কেমন আছেন?

৫| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

সত্যের ছায়া বলেছেন: সাহিত্য কে নির্দিষ্ট মানদন্ডে ফেলা খুব কঠিন। পাঠক হলো সাহিত্যের প্রাণ। যে সাহিত্য মনের পিপাসা মিটাতে পারে সেটিই আসল সাহিত্য। সাহিত্যে সম সাময়িক বিষয় উঠে আসা উচিৎ।

১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।
সমস্যা হলো, বর্তমান বলতে কলকব্জা বেশি। আমি সবসময় এসব থেকে দূরে থাকি।
বর্তমানে যা হচ্ছে তা নিয়ে আমি অন্তত লিখতে পারব না।

৬| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

সত্যের ছায়া বলেছেন: প্রত্যেক লেখকের নিজস্ব সাইকোলজি আছে, আপনার সাইকোলজি নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।

১৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মনে রাখবেন, সাইনে আমি ব্লগিং শুরু করেছিলাম মানে, কলিজা পাথর না হলে অনেক কিছু সহ্য করতে পারি।

বললে সত্যি উপকৃত হব, মন্দ হলে ভদ্র হওয়ার চেষ্টা করব যদিও আমি আর ভালোমানুষ হতে পারব না। :(

৭| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লাগলো। চলুক

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার নতুন লেখাটা পড়তে চেয়েও পড়তে পারিনি মন্তব্য করতে চেয়েও মন্তব করতে পারিনি, কারণ শিরোনাম।

৮| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ২:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আত্মীয়তায় অনাত্মীয়রা পরমাত্মিয় হয়। বিশ্বাস করেন কি?? আমি রক্তেও করি না।।

২০ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আপনার জন্য দোয়া করেছি। আপনিও আমার জন্য দোয়া করেছেন। আমার খোঁজখবর নেন। এই মন্তব্য করেছেন। আপনাদের টানে আমি ব্লগে এসেছি, নিজনামে ব্লগিং করছি। আমিতো ছেড়ে দিয়েছিলাম। পলাশামিঞার পোস্টে আপনি আমাকে অধিকার খাঁটিয়ে কড়া কথা শুনিয়েছেন। তা কী? ভণ্ডামি, বাটপাড়ি, না আত্মার টান?

৯| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৫৬

ওমেরা বলেছেন: পড়লাম । আচ্ছা নানাজান পুরা উপন্যাসটাই ব্লগে দিবেন । এভাবে দিলেই অবশ্য আমার জন্য ভাল । ধন্যবাদ নানাজান ।

২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আর বেশি হয়তো দেব না। আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম, ভিড়ে হারাতে কয়দিন লাগে।
হারিয়ে যাচ্ছে, আমার সাইটে আছে।
যাক তোমার খবর কী?
আমার জন্য দোয়া করবে। জানি না কী হয়েছে আমি রুজি করতে পারি না। খালি ঝামেলা লাগে :(

১০| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:১৮

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ ! আমি ভাল আছি নানাজান তবে পড়াশুনা আবার স্যামার জব শুরু করেছি তাই একটু ব্যাস্ত।

২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নানাভাই, ব্লগে সময় দেওয়ার কোনোই প্রয়োজন নেই, লাভ হয় না। মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করো, কাজ করো। অবসর সময় ব্লগে আড্ডা দিলে তেমন ক্ষতি হবে না। নইলে আমার মত বারোটা বাজবে।

ভালো থেকো।

১১| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: নানাভাই কেমন আছেন?
আপনার উপন্যাস ‘জাতে বাংলাদেশী’ শেষ করেছি। সামী আর পাপিয়ার রসায়ন বেশ জমজমাট ছিল। এখন ‘পরমাত্মীয়’ ধরেছি। ৪৮ পৃষ্ঠায় আছি। আগেরটার চেয়ে এইটা বেশী ভালো লাগছে।
বিশেষ করে এই জায়গাটায় বেশী আকৃষ্ট হয়েছি।
“ ‘আমাকে উপদে শ করুন।’
‘আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, নবিজি সঃ জ্ঞানে র শহর এবং আলি রাঃ হলে ন সদর দরজা।
আধ্যাত্মিক সাধনায় আল্লাহকে জানার এবং ব�োঝ ার চেষ্টা করলে তুমি গঢ়ূ তত্ত্ব
জানতে পারবে । জানতে হলে পড়তে হয় এবং জ্ঞানীরা বি চক্ষণ। মনে রাখবে ,
প্রাণে র চেয়ে ঈমানে র মল্যূ অনে ক বেশি এবং বে ঈমানরা দ�ো জখে যাবে ।
সত্যাসত্য জেনে সত্য বলবে । মিথ্যা হল পাপে র কারখানা। নমাজ কখন�ো ছাড়বে
না। নমাজ সত্যব াদী বানায় এবং ভাগ্য সপ্রু সন্ন করে । নমাজি রা ধল�োু -মঠিু ধরলে
স�ো না-মঠিু হয়। অন্যায় ভাবে সত্য এবং কার�ো অধি কার নষ্ট করবে না। পাপ
করলে সাথে সাথে তওবা করবে । সামর্থ্য হলে হজে যাবে । মা বাবার মনে কখন�ো
কষ্ট দেবে না। মা বাবার অবাধ্যরা আল্লাহর অবাধ্যতা করে । আত্মীয়স্বজনদে র
সাথে সম্পর্কচ্ ছেদ করবে না। প্রতিবে শীর সাথে সদ্ব্যবহার করবে । অনাথ বি ধবাকে
আদর এবং সাহায্য করবে । মনে রাখবে , আল্লাহ সর্বক্ষণ আমাদে র সাথে এবং
সর্বত্র বি রাজমান। সবসময় সাত্ত্বিক ভাবে আল্লাহর নাম জপবে । কলম দিয়ে
শাব্দিক প্রকাশ 36 http://www.bookorebook.com
সর্বপ্রথ ম আল্লাহর আদে শ এবং নিষে ধ কাগজে লে খা হয়েছিল । কলম দিয়ে এমন
কি ছু লিখবে না, যা পাঠে পাঠক ত�ো মাকে মর্খূ এবং দাম্ভিক ভাববে । ল�ো ক-
দে খানরু জন্য তুমি এমন কি ছু করতে যেয় না, যার প্রতিফল ভ�ো গ করতে তুমি
নিজে অনিচ্ছু ক।’
‘দয়া করে আমার জন্য দ�োয়া করবে ন।’
তার মাথায় হাত বলু িয়ে সালাম করে হাঁটতে শুরু করে উনি বললে ন, ‘আল্লাহর
রং গ্রহণ কর�ো , আল্লাহর রং-এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে ? এবং
আমরা তাঁরই এবাদত করি ।”

২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নানাভাই, কদ্দিন ধরে আমি দুশ্চিন্তায় ভোগছিলাম, তোমার মন্তব্য পড়ে দুশ্চিন্তা দূর হয়ে, মন ভালো হয়েছে কারণ তুমি এমন এক অংশ পছন্দ করেছ যা আমাকে দুনিয়া আখেরাতে সফল করবে।
পরমাত্মীয় পড়ে শেষ করার পর তুমিও পরমাত্মীয় হবে।
আল্লাহ মহান, সর্বশক্তিমান। তোমার জন্য দোয়া করি, তোমার সময়ে আল্লাহ বরকত দেবেন। তোমার বিবেক জাগ্রত হবে, তোমার মন পবিত্র হবে, তুমি সফল হবে দুনিয়া আখেরাতে। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত করবেন, আমিন।

১২| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

জেন রসি বলেছেন: আপনি মোট কয়টা উপন্যাস লিখেছেন?

২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ১৩ টা প্রকাশ করেছি, একটা মহোপন্যাস, একটা ইংলিস, একটা আঞ্চলিক, একটা বাংলা ইংলিস আঞ্চলিক, এবং অন্যগুলা চলিত বাংলা। আরও দুইটা শেষ করিছি, এখনও ইংলিস তিনটা হাতে সম্পাদনা করে প্রকশ করব, আরও দুইটাতে কাজ চলছে।
এত সব বলার কারণ আপনি জানতে চেয়েছেন তাই বলেছি।

দোয়া করবেন আমার জন্য, টানাটানিতে আছি। লে‌খালে‌খি যে অভিশাপ আগে জানতাম না।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

জেন রসি বলেছেন: অভিশাপ হবে কেন? আপনি লেখালেখি উপভোগ করেন বলেই মনে হচ্ছে। :)

২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখালেখি করে লোকজন ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে, আমার কপালে ঠাঠা পড়ছে! আমি ফতুর হয়েছি। এখন কাজ করতে পারিনা, অসুস্থ। কিডনি ৩০ ভাগ কাজ করে না, সব লেখালেখির সুবাদে।
হয়তো হাসবেন তবুও লিখছি, উঠলে বসতে পারি না, বসলে উঠতে পারি না, ও মাই গো বলতে হয়।


হ্যাঁ, লেখালেখি আমার জন্য সাধনা, প্রাণারম, লেখায় বসলে আমি সব ভুলে যাই।

দোয়া করবেন আমার জন্য। আপনার সফলতা কামনা করি।

১৪| ২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: নানাভাই (মা-বাবার কথা বাদ দিলে), এমন করে আমাকে কেউ কখনো আশির্বাদ করেছে বলে আমার মনে পড়েনা। আমি যারপরনাই খুশি আপনার মহানুভবতায়। দোজাহানে আল্লাহ আপনারও মঙ্গল করুন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু দান করুন।

(নানাভাই কেমন হয় সে অভিজ্ঞতা আমার নাই। কারণ, আমার শ্রদ্ধেয় পিতা তাঁর শশুর মহাশয়কে দেখার সুযোগ পাননি। তাই আপনাকে নানাভাই ডাকতে পেরে সত্যিই আমি আহ্লাদিত।)

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আজ তোমাকে তা বলি যা শুনার পর ইংলিস মহিলা আমাকে বলেছিলেন, তুমি সাহসী পুরুষ।
আমি দুই মেয়ের জন্য দোয়া করেছিলাম। আল্লাহ আমাকে দুই মেয়ে দিয়েছেন। অনেক কথা শুনেছি, তাতে আমার তেমন ক্ষতি হয়নি। নবি করিম সঃ এর চার মেয়ে ছিলেন। নবি করিম সঃ বলেছিলেন যার দুই মেয়ে আছে এবং খুশি মনে তাদের লালন পালন করে সে আমার সাথে বেহেস্তে যাবে। আমি খুশি মনে আমার মেয়েদেরকে লালন পালন করেছি। আমার মেয়েও একই দোয়া করেছিল, ওকেও আল্লাহ যমজ মেয়ে দিয়েছেন।
ভাইরে ভাই, নাতনিরা আমার দাড়ি চুলে ধরে টানে আর খিল খিল করে হাসে। :P
নানা ডাক আমার কাছে খুব প্রিয়। আমার স্ত্রীকে আমি নানুবেগম ডাকি (হাহাহাহাহা)
মনে রেখ, তোমাকে আমি নাতি ডেকেছি। আমি গরিব মানুষ, লেখালেখি করে ফতুর হয়েছি। আমি শুধু দোয়া করতে পারব। দোয়া করতে কিচ্ছু লাগে না, এই জন্য দোয়া করার সময় কার্পণ্য করি না। দেশে আসলে সত্যি লোকাচার পালন করব।
মা বাবার কাছে আমার সালাম দেবে। আরকেটা সিকরেট, যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের মঙ্গল হয়। দোয়া হলো ভালোবাসার সর্বোত্তম প্রকাশ।
আল্লাহ তোমাকে দুনিয়া আখেরাতে সফল করবেন। আল্লাহর আদেশ এবং নবি সঃ এর আদর্শ যারা পালন করে ওরাই প্রকৃত সফল হয়। সত্যের পথে চলতে কষ্ট হলেও সহজে গন্তব্যে পৌঁছা যায়। আল্লাহ আমাদের জন্য সত্যের চলা সহজ করে দেবেন, আমিন।

১৫| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: জ্বী নানাভাই। আল্লাহ আমাদের জন্য সত্যের চলা সহজ করে দেবেন। আমিন।
আমিও গরীব ঘরের স্বন্তান। কিন্তু নিজেকে অভাবী মনে করিনা কখনো। কারন আমার যিনি পালনকর্তা তিনি তো অভাব মুক্ত। সুতরাং আমি নির্ভাবনায় থাকি। আমার জন্য তিনিই যথেষ্ট। নানাভাই, আ্ল্লাহ যে আমাকে ভালোবাসেন আমি তা টের পাই। অন্তরের অন্তস্থল থেকে তার ভালোবাসা আমি উপলব্ধি করি। সকলেই তা পারে কিনা আমি জানি না।
নানাভাই, আপনি আমার জন্য প্রাণখুলে এমন দোয়া করলেন, এর চেয়ে উত্তম সম্পদ দোজাহানে আর কি হতে পারে? এতেই আমি ধন্য, আর কিছু চাই না। আমার ব্লগার জীবন সার্থক আপনাকে খুঁজে পেয়ে।

নানীজান, নাতি-নাতনি আর লেখালেখি করে আনন্দময় কাটুক আপনার আগামীর দিনগুলি।
নিরন্তর শুভকামনা।

২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জান্নাতুল ফেরদাউস হোক আমাদের শেষ গন্তব্য, আল্লাহর দয়া, ক্ষমা হোক আমাদের আসল প্রাপ্তি। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.