নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৭-৯

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৯





অনিল... ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন হলেও বড়লোকের ধার ধারি না। বড়লোকদের হাবভাব আমি বুঝি না, আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়।’
নুরি... ‘দোয়া করি, তোমার মন সোনাচড়ুইর মত চনচনে হোক। তুমি সুখি হও। সুখিনী তোমার সঙ্গিনী হোক।’
অনিল... ‘আমি কিচ্ছু বলিনি। খালি খাইখাই আর হাঁইহুই। কাজের কাজ কিচ্ছু হয় না। কপালে লেখা থাকলে না চাইলেও সুখিত হতে হয়।’
নুরি... ‘আমি বিশ্বাস করি, শত্রু চিনতে পারলে মানুষ বিশ্বস্ত হয়।’
অনিল… ‘মানুষ অকৃতজ্ঞ এবং বিশ্বাসঘাতক, বিধায় খুব সহজে শয়তান মানুষকে সর্বস্বান্ত করে।’
নুরি... ‘চিন্তায় ফেললে। পিপড়া দেখে কি ভয় পাও? আমি পিপড়া ডরাই। ওরা আমার চেয়ে অনেক সেয়ানা।’
অনিল... ‘একটা খুন হয়েছিল। লেখক তখন লিখছিলেন। তা উনি বলেছিলেন। জানালা খুলা ছিল। রক্তাক্ত চাকু চুলার পারে। পাকঘরে কেউ কখনো প্রবেশ করেনি। পুলিস উনাকে প্রশ্ন করেছিল, আপনি কখন চা বানিয়েছেন? উত্তরে লেখক বলেছিলেন, এই তো একটু আগে।’
নুরি... ‘ইয়া আল্লাহ, এই লোকটাকে সত্য উপলব্দির শক্তি দাও। এতে তার মনের সব দুঃখ কষ্ট সিক্ত হবে নোনা জলে।’
অনিল... ‘সেই অনেক আগে আমি একবার বল্কলধারী সন্ন্যাসী দেখে বিত্রস্ত হয়ে মত বদলিয়েছিলাম। এখন আবার সন্ন্যাসী মার্কা চিন্তায় চিন্তিত হয়েছি। পূণ্যস্নানে পাপমোচন হয় কি না জানি না তবে বনাচরী নিষাধ হলে নির্ঘাত বাঘের ভোজন হব।’
‘আমার হাত ধরো, পলকে স্বর্গে নিয়ে যাব।’
‘তোর সংসর্গে স্বর্গে যাব না। মারামারি কামড়াকামড়ি আমি ডরাই।’ বলে অনিল মাথা নাড়লে নুরি বিচলিত হয়ে বলল, ‘আশমানে দিয়েছি ভাসাই মন মাঝির নাও, আশার ঢেউয়ে দোলে দোলে নিরাশা হয়েছে কালবৈশাখী বাও।’
অনিল... ‘দক্ষরা কখনো বিফল হয় না। জ্ঞান এবং দক্ষতা আমাদেরকে স্বর্গে নিয়ে যাবে। তবে সত্যের পথে চলতে হবে। আমি বনবাসে যেতে চাই। কালাপানিতে আর যাব না। কালাপানির অনেক গল্প শুনেছিলাম। আমি এখন আর ছোট্ট ছেলে নই। জল আমাকে গিলে খাবে না। আমি সাঁতরাতে পারি। নিরাপত্তার জন্য জংলায় যেতে চাই। হিংস্র জীবরা আমার বন্ধু। ওরা আল্লাহর গজব ডরায়। মানুষ তা তোয়াক্কা করে না। আমি গরিব, দোয়া ছাড়া আর কিচ্ছু তোকে দিতে পারব না।’
নুরি... ‘আমি অন্ধ হয়েছি। আঁধলা আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। অমাবস্যায় মরা গাঙে নাও বাইতে যাই না। কটালে ডুবার আশংকা আছে। বিবেক যে আত্মহত্যা করেছে তা দেখার জন্য কেন যে ত্রিসন্ধ্যায় পারঘাটে গিয়েছিলাম? তবে কি আলাই আমাকে ডেকেছিল? হয়তো।’
অনিল... ‘ভূতের ভয়ে ত্রস্ত হয়ে সড়িষার স্তূপে বসে সাধনা করেছি। মারধর করলেও ভূতরা আমার ধারেপাশে আসবে না।’
নুরি... ‘আমি এমন বান্ধব চাই যার সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করব, অলস সময়ে গল্প করব এবং অসহায় সময়ে সাহায্য চাইব, সেই বান্ধব কি হবে?’
অনিল... ‘আমি তোর বান্ধব হলে বান্দররা আমাকে দৌড়াবে।’
নুরি... ‘এই সত্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে শামুকের মত হয়েছি। আমি জানি আজকাল বাতাসেও খাজনা চায়। সবার জীবনে যথেষ্ট কষ্ট আছে। একটু শান্তির জন্য আমরা মনের দোয়ার খুলি। আবেগ এবং দূর্বলতাকে যারা ব্যবহার করে তাদেরকে সত্যি ঘৃণা করি।’
অনিল... ‘আমি একাই আমার কবরে থাকব, বিধায় মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে ভয় পাই না। সত্য নিশ্বাসের মত, অবিশ্বাস করা যায় না।’
নুরি... ‘অনেকে মনে করে কেউ কিছু দেখে না। সমস্যা হলো কানারাও অনেক কিছু দেখে। অনেকের মত আমরাও হয়েছি। একে অন্যকে সাহায্য না করে বিশেষ শক্তি অথবা অন্যের পিছে দৌড়ি। আমি আবার একা হতে চাই।’
অনিল... ‘সহজ বাংলা এবং সরল সংজ্ঞায় গূঢ়ৈষণার গূঢ়তত্ত্ব বিশ্লেষণ করলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় শব্দের অর্থ আলুথালু হয়। মানে বাক স্বাধীনতা।’
নুরি... ‘ও বন্ধু গো! আম খাইও জাম খাইও, কাঁঠাল খাইও না, কাঁঠাল খাইলে আঁটা লাগব, গরমের দিন শান্তি পাইবে না।’
অনিল... ‘অস্তোদয়। আক্ষরিক আকর্ষণ। আকৃষ্যমাণ এবং অন্যাকর্ষণে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি! ইস্পাতের ইস্তিরি ইস্তামালের ইস্তাহার দেওয়ার পর থেকে ইলিশকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
নুরি... ‘শিয়ালরা নেকড়ে দেখলে চিল্লায় এবং মানুষ দেখলে দৌড়ায়। মজার বিষয় বেমজা হলে মেজবানরা মুখ ফিরায়।’
অনিল... ‘পৃথিবীতে চালাক বেশি, বিধায় বোকা মানুষের অভাব। আমি বোকাদের দলে যোগ দেব, এতে অন্য বোকারা নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারবে, তাদের দলে অন্তত বোকা একটা আছে।’
নুরি... ‘বাক্য এবং ভাষায় ভদ্রতার পরিচয় মিলে। আমরা সবাই ভদ্র। তা আমরা বলি। তারপরেও বাক্যে সমস্যা হয় কেন? হায়! আমি কি তাইলে দুষ্প্রবেশ্য পাগলা-গারদে প্রবেশ করেছি?’
অনিল... ‘মাঝে মাঝে মন খুব খারাপ হয়, আড্ডাবাজদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য ছোটকালে হারিয়ে যেতে চাই। সমস্যা হলো, বড় হলে আর ছোট হওয়া যায় না।’
নুরি... ‘ঠকা খাওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষ চিনা যায় না।’
অনিল... ‘লাভে লোভে আলু-থালু হলেও লোকসান কেউ চায় না।’
নুরি... ‘বেসুরো বাঁশি বাজিয়ে বেসুরো গান গায় অসুরে, বাঁশ বাগানে ভূতরা নাচে। মাঘের অমাবস্যায় আয়নায় মুখ দেখার জন্য বাঁশের পাতায় আগুন জ্বেলেছি। পূর্ণিমার রাত বেসুরে বাজলে বাঁশের ঝাড়ে আগুন জ্বালাব, উদাসীর বাঁশিরে রাত নিশায় উদাস করলে আমারে।’
অনিল... ‘কষ্টে উৎকৃষ্ট হয় অতিষ্টে নিকৃষ্ট। কাঁচা আমে কামড় মেরে মন হয় তুষ্ট।’
নুরি... ‘সাতসাগর সাঁতরিয়ে তীক্ষ্ণায়সে সাঁতারুর মুত্যু হয়েছিল। নিশ্চয় ইষ্টি-কুটুমরা তার অনিষ্টকামনা করেছিল?’
অনিল... ‘বরাবর বারোটায় ঠাঠা পড়বে। আমি আর আগ বাড়তে পাব না। ভূতের বান্ধবি পেতনীর ভর ঘাড়ে পড়বে।’
নুরি... ‘আজকাল ছাগল একটা ভয়ঙ্কর জীব হয়েছে এবং কিছু লিখতে পারলেই মহালেখক হওয়া যায়।’
অনিল... ‘আসলে কী হয়েছে, আমি একটু ভার মানুষ তো তাই হয়তো কথা ভারী হয়। প্রামাণিক না হলেও সত্য, বাঁওড় এবং ভাঁড়ের অর্থ জেনে আমি ভারি এবং ভারী নিয়ে কেঁড়েলি করি।’
নুরি... ‘ও গো বাতাস বন্ধু! আমাকে বরণ করো। তোমাকে বিয়ে করে বরয়িতা হতে চাই।’
অনিল... ‘বাতাসে ভাব থাকে। বাতাস গিলে ভাবুক হলে মনের ভাব প্রকাশ হয়। সমস্যা হলো আমার মতো অভাবী লোক চাইলেও ভাবুক হতে পারে না। অভাবে ভিবোর অভাবী ভাবুকের জন্য অভাব্য অভিবাদনের প্রত্যভিবাদন হলো সানন্দে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।’
নুরি... ‘ভয়াবেগে বেগার্ত হয়ে বোড়া সাপের মাথায় পাড়া মারলে পাপ হয় না, লেজে পাড়া মারলে সর্বনাশ হয়।’

প্রথম প্রকোশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই বইটা কত পৃষ্টা?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ১১৫ পৃষ্টা। তবে এখানে ডকুমেণ্ট থেকে দিচ্ছি তাই কম হবে।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাজন আর ছাপায়?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এখন আর বাংলা বই ওরা চাপায় না, আমি একবার ফোন করেছিলাম, বাংলা বই বিক্রি হয় না।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় খুব সুন্দর লিখেছেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবভাই।

আপনি কেমন আছেন?

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

নজসু বলেছেন:



ভাইজান কেমন আছেন? আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা পেয়েছি। সব লেখাগুলো পড়ে নিবো।
আমি আগে আপনার লেখার অন্ধ ভক্ত ছিলাম। এখনো আছি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ সুজনভাই, আপনার মঙ্গল হবে। আপনাদের মন্তব্য পড়ে আমার মন খুশি হয়েছে আল্লাহ আপনাদেরকে খুশি করবেন।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

নিভৃতা বলেছেন: আপনার গল্পে আমাদের সিলেটী অনেক শব্দ আছে। এগুলো কি অভিধানে আছে? জানা ছিল না আমার।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিতো সিলটি, আমার জন্ম লাউতলাত। আঞ্চলিক ভাষায় উপন্যাস একখান লেখছি। অভিধান পড়তে শুরু করে আমি বুঝেছি আমি যে চলিত ভাষায় কথা কই।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নিভৃতা বলেছেন: ও আইচ্ছা! আফনে সিলটী নি? হুনিয়া মনখান খুশ ওই গেলো। :)
চলিত ভাষায় তো সবাই ই কথা বলে। ব্যাপারটা বুঝলাম না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এই উপন্যাসও কিন্তু চলিত ভাষায় লিখেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.