নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ২৫-২৭

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮



‘একপায় দাঁড়াতে হবে না। শোন, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মোৎসর্গে আদর্শ হওয়া যায় এবং আমি বিশ্বাস করি সচেষ্টরা সফল হয়। সমস্যা হলো, সাফল্যের পিছনে স্বার্থ থাকে এবং নিঃস্বার্থে কেউ আত্মহত্যাও করে না, তাইলে স্বার্থপর কে? পরার্থে কেউ কিছু করে না তবে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য ত্যাগ শ্রম এবং সাধনা করে। নামধামের জন্য রমরমা কারবার করতে হয়। মৃত্যুর পর আসল জীবন শুরু হবে, সেই জীবনের সফলতা নির্ভর করে মৃত্যুর আগের জীবনে। আত্মহত্যা এবং আত্মত্যাগ দুই বিষয়। আদা এবং কাঁচকলা দিয়ে চাটনি বানিয়ে খাওয়া যায় না তদ্রুপ পরার্থে কিছু করা যায় না। সবকিছুতে নিজের স্বার্থ থাকে। এতসব জানার পর আমি নিঃস্বার্থে কিছু করতে চাই, যদিও তাতে আমার স্বার্থ আছে। আমি স্বর্গে যেতে চাই। মুখে বললেই স্বর্গে যাওয়া যাবে না। স্বর্গে যেতে হলে ধর্মাত্মা হতে হয়। ধর্মাত্মা হতে হলে ধর্মপালন করতে হয়। আজকাল ধর্মাধ্যক্ষরাও ধর্মসংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা করে। ধাপ্পাবাজি করে স্বর্গে যাওয়া যাবে না। স্বর্গে যেতে হলে যা করতে হবে তা হলো, একেশ্বরবাদী, সত্যবাদী এবং বাস্তববাদী হতে হবে। ধীরোদাত্ত এবং ধৈর্যশীলরা সহজে ধর্মপালন করতে পারে। নিরহংকার হওয়ার জন্য আজীবন সাধনা করতে হয়। দৌড়ালে ধুঁকনি বাড়ে। নিজে অভুক্ত থেকে অতিথিকে আপ্যায়ন করার সময় অন্তত আমার বুকে ধুকধুক করবে। অভেদাত্মা এবং অভেদকল্পনা উচ্চারণেরও সমস্যা হয়। অভোগ্য এবং অভোজ্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হলে দুর্বোদ এবং দুর্ভেদ্য বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞানের প্রয়োজন। আত্মোন্নতির জন্য আত্মোৎসর্গ আত্যয়িক জেনেও যারা আত্মত্যাগী হতে চায় তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।’
‘দাদাজান, কাল্পনিক গল্পে অস্থানিক জীবরা পৃথিবী ধ্বংস করে মানুষকে দাস বানাতে চায়। তা কি সম্ভব?’
‘আমাদের মনে জানার আগ্রহ আছে। বিগ্রহে আমরা মারামারি করে মরি। অন্য গ্রহে জীবন নেই এবং রক্ত হলো জীবনীশক্তি। বাতাস থামলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। কাল্পনিক গল্পে অস্থানিকরা মাটির পৃথিবী ধ্বংস করে মানুষকে দাস বানাতে চায়। তা সত্যি হাস্যকর। শুধুমাত্র মাটির পৃথিবীতে জীবনীশক্তি এবং মাধ্যার্কষণ আছে। মাটির পৃথিবী ধ্বংস হলে অন্য সব গ্রহ পলকে খসে পড়বে। তিক্তসত্য হলো, অন্যগ্রহে প্রাণ অথবা প্রাণী নেই। বিকল্পের জন্য যারা কাল্পনিক গল্প লেখে ওরা জানে না, অন্য গ্রহের জীবরা বাধ্য হয়ে মানুষের বশ্য হবে। মারামারিতে মানুষের সাথে অন্য গ্রহের জীবরা পারবে না। মানুষের মত হিংস্র চরাচরে আর কিচ্ছু নেই।’
‘বুঝেছি, মারাত্মক রোগের নাম জ্বর এবং নুরি হলো বিশ্ব সুন্দরী। মানে এক্কেবারে কানের গোড়ায় বিষফোঁড়া।’
‘এসব তোকে কে বলেছে?’
‘দাদিজান বলেছিলেন। এখন চলুন নাস্তা খেতে হবে।’
‘মনে রাখিস, অভাবাত্মক চিন্তায় মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে স্বাস্থ্যহানি হয়। ধনাত্মক চিন্তায় শান্তি স্বস্তি বহাল থাকে। নিশ্চিন্তে কাজ করতে হলে ধনাত্মক চিন্তা করতে হয়। ধনাত্মক চিন্তা করতে হলে বাস্তবিক হতে হয়। আমি জেনেছি এবং দেখেছি বয়সের সাথে বিষয়াসক্তি বাড়ে। বিষয়ান্তরেও বিষয়-আশয় চিন্তার খোরাক হয়। প্রেম ভালোবাসা, আদর আহ্লাদ, মায়া টান আমাদেরকে পিছনে টানে। সামনে যেতে হলে ত্যাগ তপস্যায় বাস্তবকি হতে হয় এবং কর্মিষ্ঠরা আবেগপ্রবণ হয় না। কর্মাধ্যক্ষরা অন্যকে দোষারোপ করে না। সকলের ভুল হয়। ভুল থেকে শিখত হয়। শিখতে আগ্রহীরাই অগ্রগামী।’ বলে দাদা মানচিত্র ভাজ করে অভিধানের ভিতর লুকিয়ে তাকে অনুসরণ করেন। নাস্তা খেয়ে অনিল বাড়ি থেকে বেরোলে নুরি হেঁকে বলল, ‘বাতাস বন্ধু, পূরব পশ্চিমে না যেয়ে আমার বাসরে আয়। তোকে গরম করে বেলুনে ভরে শূন্যে ভাসতে চাই।’
অনিল... ‘অবলাকে ভালোবেসে অসুস্থ হয়েছিলাম, ডাক্তাররা আমার বুক কেটে হৃদয় দেখেছিল। ঘুম থেকে জেগে জানতে চাইলে নার্সরা বলেছিল, প্রেম থেকে দূরে থাকলে আরো অনেকদিন বাঁচবে। উপদিষ্ট হতে চাইলে দাদাজান বলেছিলেন, অভাবাত্মক চিন্তায় স্বাস্থ্যহানি হয়। আমি ব্রত করেছি আজ থেকে শু‍ধু ধনাত্মক চিন্তা করব।’
নুরি… ‘অবশেষে বুঝেছি, বাচিক বাচন বাচ্যে বাচাট বাচাস্পতি হয়েছে বাচক।’
অনিল… ‘আমাকে কিছু বলছিস নাকি?’
নুরি… ‘বলতে চেয়েছিলাম, পালে হাওয়া লাগলে হাল ধরতে হয়, বৈটা বাইতে হয় না। ইতি নেতি বাদ দিয়ে আমার উরে আয়, মনানন্দে পাল উড়াব।’
অনিল... ‘ফাঁসিতে জীবনের অন্ত হয়। যারা অন্যের মৃত্যুর কারণ তাদের জন্য ফাঁসি। ফাঁসি কেন দিতে হয় তা কি কেউ জানে? আমার মতে অনেকে জানে না, না জেনেই ফাঁসিতে লটকায়।’
নুরি... ‘মৃত্যুকে বারণ করা যায় না, বরণ করতে হয়।’
অনিল... ‘সুখি হতে হলে এক হতে হবে। আমরা এক হলে আকাশ কাঁদবে।’
নুরি... ‘দুঃখ প্রকাশ করলে যারা শুনে, ওরা দুঃখিত হয়। আমি সুখিত হতে চাই। নির্ঘুম রাত জেগে জেনেছি চোখের জলে ক্ষার আছে। নিরালায় একলা বসে কেঁদে অক্ষার কামনার বাগে আশার ফুল ফুটিয়েছি।’
অনিল... ‘আমিও পুকুর পারে বাগান বানিয়েছি। বাঁশের বাগান। চিন্তার কারণ নেই, যথেষ্ট দাম দিলে সরবরাহ করব।’
নুরি... ‘ঠাঠা পড়ে বাঁশঝাড়ে আগুন লাগার পর বুঝেছিলাম মাটির তলে তেলের খনি ছিল।’
অনিল... ‘ও গো সাগরিকা, নাগরিককে একটু ঠাণ্ডা পানি দাও, দিনমান হেঁটে বেচারা ক্লান্ত হয়েছে। এই চড়ুই পাখি, বেশি হুটহাট করিস না, পথিককে শান্তিবিশ্রাম করতে দে, কতদিন হয় ভাতের সাথে করল্লা ভর্তা খায়নি।’
নুরি... ‘সুন্দর ভাব প্রকাশ। ভাবের জোরে ভণ্ডরাও ভাবুক এবং আবেগপ্রবণ হয়। এমন বান্দর বন্ধুর দরকার নাই।’
অনিল... ‘মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি, টানের টান ছিঁড়ব কেমনে?’
নুরি... ‘অনন্যার সাথে নিশ্চয় দেখা হয়েছে?’
অনিল... ‘আমি কিছু বলিনি, বলার প্রয়োজনও নেই। প্রার্থিকার প্রার্থনীয় সুখে সুখিত হওয়ার জন্য চিত্তের বিশুদ্ধতাসাধন করতে চাই। তনু ধরে টানাটানি করলে সাধকরা বলবে তুই অলস, অলসরা দোজখে যাবে। তাওবা তাওবা।’
নুরি... ‘পাপচোমনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত এবং শাপচোমচনের কৃচ্ছ্রব্রত করতে হয়। গতকালের পাপ আগামীকালকে বিপর্যস্ত করে। অনেকে জানেনা কাল সময়ে বন্দি। কালাকালের অর্থ না জেনে আমি কালে বন্দিনী হয়েছি। কালে কত কাল আছে জানার জন্য মহাকালকে প্রশ্ন করে বিপাকে পড়েছিলাম।’
অনিল... ‘কালের ষোলোকলা জানতে হলে, অনন্তকালের অর্থ জানতে হবে। কালে কালে প্রমাণিত হয়েছে, নিরন্ত কাল নিরত্যয় এবং নিরন্তরাল।’
নুরি… ‘আমরা নিশ্চয় কালের পুতুল?’
অনিল... ‘বিশেষ কারণে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। মৃত্যু হলো তিক্তসত্য, চাইলেও আমরা মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। মৃত্যু আমাদেরকে বাস্তবিক বানায় জেনেও আমি ব্যস্ত থাকার জন্য কালে-ভাদ্রে কালস্রোতে ভাসতে চাই।’
নুরি... ‘দা দিয়ে অনেক ভালো কাজ করা যায়। দা হাতে নিয়ে পাগলের মত ছেদাতে শুরু করলে পাগলরা দৌড়ে পালায়। পাগল হতে চাস নাকি?’
অনিল... ‘আমি তখন অবাক হই যখন খুনিরা হাসে আর বলে আমরা হলাম হর্তাকার্তা।’
নুরি... ‘বুঝেছি, দুঃখ কষ্ট ভুলার জন্য সানন্দে আড্ডা দিতে হবে।’

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকটা বাংলার আদি যুগের লেখার মতো!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, এটা আমার রোগ হয়েছে। আমি নিজেকে অনুবাদ করার চেষ্টা করি। আমি বাংলা শব্দ ব্যবহার করার চেষ্টা করি :(

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। লেখায় গভীরতা আছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.