নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।
অনিল... ‘কিছু করার নেই তো তাই নায়ে বসে ঢেউয়ের সাথে গল্প করি আর দিশেহারার মত পানির উপর হাঁটি। আমি বিশ্বাস করি সচেষ্টের আশা বাস্তব হয়। ভাবাবেগে বাক্য বানানো কিবদের কাজ। পচা ভাতের পানি পান করলে আমি তাল সামাল দিতে পারি না।’
নুরি... ‘এই বাতাস বন্ধু, তোর কী হয়েছে?’
‘আমার কিচ্ছু হয়নি, তুই বাড়ি যা।’ বলে অনিল দৌড়ে বাসে উঠে। নুরি বাগানে যেয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রজাপতির পিছে দৌড়ে। অনিল সিলেট পৌঁছে বাস থেকে নামলে তার মোবাইল বাজে। নীলার নাম দেখে অবাক এবং চিন্তিতকণ্ঠে অনিল বলল, ‘হ্যাঁ নীলা বলো, তুমি কেমন আছ?’
‘গতকাল থেকে তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ। কখন আসবে?’
‘মায়, আমার জন্য অপেক্ষা করবে কেন?’
‘গতকাল ঠিক বারোটায় ফোন করে বলেছিলে আজ তুমি নীলাচল আসবে। তুমি এখন কোথায়?’
‘আমি এখন সিলেট। বাড়ি থেকে এই মাত্র এসেছি। এখন বাসায় যাব।’
‘আজ তুমি না আসলে আমি বাসায় যাব না। বান্ধবীরা হাসাহাসি করবে।’ বলে নীলা লাইন কাটে এবং অনিলের সামনে টেক্সি থামে। চালকের মুখের দিকে না তাকিয়ে বাসার ঠিকানা বলে উঠে বসে এবং চোখ বুজে মানচিত্র দেখার চেষ্টা করে। বনাঞ্চলের পাশে গাড়ি থামিয়ে তাকে ডেকে চালক বলল, ‘অনিল, আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছেছি।’
অনিল চোখ মেলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়। নিঝুম বিজনে নিস্তব্ধ পরিবেশ। গাড়িতে চালক নেই এবং সামনে পুষ্পোচ্চয়ে সুসজ্জিত প্রবেশপথ। গাড়ি থেকে নেমে চোখ বুজে বুক ভরে শ্বাস টানে এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে পা বাড়ালে, অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক নারী আকৃতি তার দিকে ধেয়ে আসে এবং পরিপার্শ্বে নারীকণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়, ‘আনীল, আমার ডাকে সাড়া দিয়ে তুমি এসেছ?’
অনিল থমকে দাঁড়ালে নারীকণ্ঠ প্রতিধ্বিনত হয়, ‘তুমি কে? তুমি আনীল নও।’
‘আমি অনিল। অলৌকিভাবে অলিকবনে এসেছি। আপনি কে?’ বলে অনিল ডানে বাঁয়ে তাকায়। তার প্রশ্নে পরিবেশ নিস্তব্দ হয়। বিস্ময়বিমুগ্ধ হয়ে অনিল হাঁটতে শুরু করলে অদ্ভুতাকৃতির সাপ ত্বরিতগতিতে তার সামন দিয়ে যায়। তা দেখে তার গায়ে কাঁটা দেয়। দু হাত বাজুতে ঘেষে সামনে অগ্রসর হয়। মনোময় বাগানে মনোরম পরিবেশ। ফুলের সুবাসে বাতাস সুবাসিত। ফোয়ারার নীল জলে শত শত নীলপদ্ম। দৃষ্টিসীমায় একচালা মাটিরঘর। আসিল সত্য বলেছিল, বন নয় যেন বিস্ময়াবিষ্ট অভয়ারণ্য। হেঁটে ক্লান্ত হলে নীলগাছে হেলান দিয়ে বসে তন্দ্রাবিষ্ট হয়। ত্রিসন্ধ্যায় নারীকণ্ঠে তার ঘুম ভাঙে, ‘তমালতলে বসেছ কেন, মাথালে তাল পড়লে কী করবে?’
অনিল ধড়মড় করে দাঁড়ায় এবং চোখ রগড়ে ভালো করে তাকায়। কোথাও কেউ না। বাতাস নিস্তব্ধ। থমথমে পরিবেশ।
‘ধারে কাছে কেউ থাকলে দয়া করে সামনে আসুন। আমি গোবেচারা, গুপ্তচর অথবা রহস্যসন্ধানী নই। আমি জানিনা কেমনে এখানে এসেছি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। সত্যি ভয়ত্রস্ত হয়েছি। সাপবিচ্ছু খুব ভয় পাই।’
‘নীলবনে তোমার অমঙ্গল হবে না। বিত্রস্ত হওয়ার কারণ নেই।’
‘ত্রস্ত আমি স্বস্তি এবং নিশ্চয়তা চাই।’
‘এই বনে আলাই বালাই আসে না। তুমি পিটপিটে স্বভাবের লোক। অপচ্ছায়ারা তোমাকে স্পর্শ করবে না।’
‘দয়া করে সামনে আসুন। ভয়ে গা ছমছম করছে।’
‘নুরিকে ভালোবাসো?’
‘অভয় দিলে সত্য বলব। ভয়ে দাঁত কটকট করছে, শব্দ নিশ্চয় শুনতে পাচ্ছেন?’
‘আমি তোমাকে স্পর্শ করতে চাই না। দাঁতের কটকট শুনতে হলে তোমার মুখোমুখি হতে হবে। মঙ্গলার্থে দূরত্ব বজায় রাখতে চাই।’
‘নুরির দিকে তাকালে চোখের ভিতর কিরকির করে। ভাঁড়ামি একদম পছন্দ করি না। দিনমান কইলার মত তিড়িংতিড়িং করে।’
‘তুমি আমাকে হাসালে। যাক, আমার ডাকে সাড়া দিয়েছিলে কেন?’
‘আমি তখন আমার কামরায় ছিলাম এবং কেউ আমাকে ডেকেছিল। ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য আমি সাড়া দিয়েছিলাম।’
‘তুমি নিশ্চয় ভদ্রলোক?’
‘অভদ্রতার জন্য ক্ষমা চাই।’
‘আমার নাম জানতে চাও নাকি?’
‘বন্ধুরা আমাকে বেদড়া ডাকে বিধায় ভদ্রমহিলাদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখি।’
‘বুঝেছি, তোমাকে কেড়া ভেজে দিতে হবে।’
‘আসলে কী হয়েছে, কেঁড়েলি পছন্দ করি না। যাক, দয়া করে একটু সাহায্য করবেন? নীলার সাথে দেখা করতে হবে। ও নিশ্চয় আমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ।’
‘তোমার অপেক্ষায় কেউ অপেক্ষমাণ নয়। আমার ডাকে সাড়া দিয়ে তুমি বেরিয়েছিলে এবং আনীল তোমাকে নিয়ে এসেছ।’
‘কেউ আমাকে বলেনি কেন কেওড়ার ডালে যে কেউটে ছিল?’
‘তুমি নিশ্চয় জানো দিনমান ক্যাটক্যাট করলে ক্যারা পোকে কামড়ায়।’
‘কেউ আমাকে বলেছিল, মাথায় ক্যারা ঢুকলে ক্যালোরব্যালোর ভালো লাগে।’ বলে অনিল দুহাতে মাথা চেপে ধরলে নারীকণ্ঠ খিলখিল করে হেসে বলল, ‘নুরি এত ঝগড়াটে নাকি?’
‘ওটা একটা খাণ্ডারনি, ঝগড়া না করলে পেটের ভাত পচে না।’
‘ঠিকাছে। যাক, তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারব?’
‘নিশ্চয়।’
‘হাতুড়ে বাটালি বাইসখান, বারেক বাটোয়ারা হলে বাকি থাকবে কয়খান?’
‘নুরিকে জব্দ করার জন্য কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব মিলিয়েছিলাম…।’ বলে অনলি হতাশ হয়ে মাথা নাড়লে নারীকণ্ঠ বলল, ‘আমাকে জব্দ করতে চাও না?’
‘সত্যাসত্য জানতে চাই।’
‘কী জানতে চাও?’
‘গূঢ়তত্ত্ব।’
‘নিশ্চয় গূঢ়ৈষণার গূঢ়ার্থ জানো?’
‘গূঢ়মার্গে হেঁটে নিগূঢ়বনে এসেছি। নিশ্চিত হতে চাই আপনি যে জুজুবুড়ি নন।’
‘জানি আমি জোটেবুড়ি হয়েছি।’
‘দাদি ডাকতে পারব?’
‘কেন?’
‘দাদি হলেন আত্মার বান্ধবী। দাদির বগলে বসে বউকে বগলদাবা করা যায়।’
‘ঠিকাছে, আমার বগলে বসে নুরিকে বগলদাবা করতে পারবে।’
‘সর্বনাশ, নুরিকে বগলদাবা করলে আজীবন কাতুকুতু দেবে।’
প্রথম প্রকোশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সকল দোষ কিন্তু আমার একলা নয়! সকলে মিলে আমাকে এমন করেছেন। আমি প্রথম সহজ সরল ভাষায় লিখতাম। বন্ধুরা কবিতা পড়ে কাউয়ার মত হাসতো। ব্লগিং করে বাংলা শিখেছি। এখন অভিধান ব্যবহার করে লেখি। কবিতা পড়লে আপনি আমাকে দৌড়ানি দেবেন। পড়তে চাইলে মন্তব্যে দেব একটা।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় সহজ সরল ভাষায় লিখতে হয়। যেন পড়তে গিয়ে কেউ বিরক্ত না হয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস!
পরে হয়তো রিরাইট করার চেষ্টা করব।
আমার মাথার ভিতর এসব শব্দ ভেন ভেন করে।
তো আর কেমন আছেন আপনি?
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৭
নজসু বলেছেন:
প্রেমের দ্বীপ শিখা চিরদিন জ্বলে
স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: প্রেম প্রেম জপে বিপাকে পড়ে মরলে,
বিপদ একটা কমছে সকলে বলে।
স্বত্ব মো.আ.হা.
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯
নজসু বলেছেন:
তাহারে চিনিনা আমি; সে আমারে চেনে।
আমি আপনার খুব প্রিয় একজন ছিলাম।
আপনি আমার এখনো খুব প্রিয়। রাজামশাইও হৃদয়ে আছেন।
চিনলে বুঝপাতা; না চিনলে তেজপাতা
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চিকন কালারে তুই কেন বাঁশি হাতে নিলে?
রাতা নিশায় বাঁশির সুরে ঘরে বারে আনলে।
হয়তো গান হয়েছে হয়তো সুজন সখির প্রেমের গল্প আবার লিখতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন একটু স হজ মনে হচ্ছে।