নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৪৭-৫০

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৮



আনীল… ‘একটা কবিতা পড়ে যতটুকু সময় কাটে তা সুখের হলে কবির কষ্ট সার্থক হয়। আপনার কষ্ট সার্থক হয়েছে।’
দাদা… ‘সত্যা কথা বলি, কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কবিতা পড়তেও ভালো লাগে না। আধুনিক এবং অত্যাধুনিক সব কবিতা। মনে অনেক কথা এবং কষ্ট জমেছে। তা প্রকাশ করার চেষ্টা করি এবং পড়ে সম্মোহিত হই। এতে অন্যের চোখে আগুন লাগলে লাগুক, আমি বেপরোয়া হয়েছিলাম ষোলোতে। কষ্টকে কবিতা নাম দিয়ে আত্মার অপমান করা অনুচিত। আজকাল কবিতা কেউ পড়ে না। ঝালমুড়ি অথবা আচার বেচার কারবারে কবিতার বই ব্যবহৃত হয়।’
আনীল… ‘এক চাঁদিনি দুই জনকে পাগল করেছে। একজন বনারণ্যে আরেকজন জনারণ্যে। ও গো চাঁদিনি, আমাদের দিকে সদয়দৃষ্টে তাকাও, আমরা তোমার প্রেমে পড়েছি।’
দাদা… ‘সবাই চায়, আমি না হয় একটু কষ্ট পেলাম। কষ্টরা যেদিন আড়ষ্ট হবে সেদিন আমি নিথর হব। তুমি নিশ্চয় জানো, কবিতা পড়ে পেট ভরে না।’
আনীল… ‘বিরহিত হয়ে জেনেছি, আমার মতো অসহায় এবং বোকাদের জন্য দোয়া একমাত্র সম্বল। দোয়ায় দয়ার দোয়ার খুলে। বদদোয়ার চেয়ে দোয়া উত্তম। দোয়া হোক আমাদের মৌখিক এবং অন্তরিক স্বস্তিবচন। শান্তি এবং স্বস্তির প্রয়োজন।’
দাদা… ‘কুনকি হাতির প্রেমে মজে বন্য হাতি বশ্য হয়। কুনখীর কুনজরে সুন্দরীর নখ মরে। শস্যের বদলে কুনিকায় কুন্দ মাপলে পাপ হয় না। চাইলেও কুন্দলির কুন্তলে কুন্ত বাসা বানাতে পারে না।’
আনীল… ‘আমি যখন প্রেম চাই তখন আমার হাতে পোকা মারার বিষে দিয়ে বলা হয়, গিলে মর। তাই আমি ভানুকে ডেকে বলেছিলাম, পরের বার বিষ দিলে আমি তোকে মধুবনে পাঠাব।’
দাদা… ‘যারা সাধনা করে এবং অন্যকে সম্মান করে ওরা সাধক এবং সম্মানী।’
আনীল… ‘নারীরা কেন বলে নররা নারকীয় অত্যাচার করে?’
দাদা… ‘পুরুষ ছেলে হয়ে জন্মে, পরে নারীরা তাকে নর বানায়।’
আনীল… ‘আপনি মহাসাধক, আপনার সাথে আমি পারব না। আমি হলাম বকবেশধারী। সাপের পরিচয় জানতে হবে। মাঝে মাঝে নিজেকে সাপের আদলে দেখি।’
দাদা… ‘আমি যাকে খুঁজছি তার খোঁজ এখনো পাইনি।’
আনীল… ‘পাপ করে পামর হয়েছি। প্রভু ক্ষমা করো, আমি মুক্তি চাই।’
দাদা… ‘দোয়ায় ধন্য হওয়া যায়। বিধায় আমি দোয়া করি। দয়ালের দয়ায় মরু দরিয়া হয়।’
আনীল… ‘মনের মাঝে দুঃখ আছে, পাপে ইমান হাল্কা হয়েছে।’
দাদা… ‘শমদমে জিকির করলে মনের কালিমা দূর হয়। চেষ্টা সাধনায় অসাধ্য সাধিত হয়।’
আনীল… ‘সুখ-পাখিকে দেখতে হলে যোগাসনে বসতে হয়। যোগে বসার সময় নেই। ওকে দেখার জন্য পিঁজরায় বন্দি জংলি ময়নার মত মন চটপটপ করে।’
দাদা… ‘বিপাকে পড়ে জেনেছি, আগলে থাকলে বেআক্কেল বাঁচে।’
আনীল… ‘দড়িকলসে কাজ হবে না, আত্মহন্তারা রৌরবে যাবে। সুখ স্পর্শ করে জেনেছি, সানন্দে মৃত্যুে বরণ করে আমরা স্বর্গে যাব।’
দাদা… ‘জগতীর জীবন গতি শুধুমাত্র মৃত্যু রোধ করতে পারে। কামে কলঙ্ক হয় কামিনী হয় কলঙ্কিনী। সংসার সুখের হয়, সঙ্গম সুখের হলে। আত্মত্যাগেও স্বার্থ থাকে। সত্তা স্বর্গে যেতে চায়। তা অবশ্য ঠিক। যেমন পাগল পাগলামি করে, স্বার্থ বুঝে না। আমি তাকে দূরে রেখেছিলাম, আসলে মনে মনে দূরে রেখেছিলাম। ভুখ লাগলে পাগলা দৌড়ায়। আমি পাগল হতে চাই। সত্য পাগল স্বর্গে যাবে।’
আনীল… ‘মনের দুঃখকে অক্ষর বানিয়ে খাতার পাতায় লিখতাম। অনেকে বলে তা কবিতা। আমি ক‌ভু কবি হতে চাইনি। অনেক বড় লেখক হওয়ার চিন্তা করতাম। বড় লেখকের অর্থ তখন বুঝতাম না।’
দাদা… ‘ভারসাম্য হারালে পাগল যে কবি হয় তা আমিও জানতাম না। সাধনায় বসলে মন আনচান আনচান করে।’
আনীল… ‘নিজেকে জানতে হলে আয়নার দিকে তাকাতে হয়। যোগসাধনায় বসার সময় কোথায় পাবেন? এক খাবলা ভাতের জন্য তিন দিন কাজ করতে হয়।’
দাদা… ‘আয়নার দিকে তাকালে আত্মদর্শন হয়। আত্মদর্শন হলে আত্মশুদ্ধ হয়। শুদ্ধাত্মারাই সফল হয়।’
আনীল… ‘সে তা হয় যা সে হতে চায় এবং তা তার গন্তব্য।’
দাদা… ‘রূপের উপর সব নির্ভর করে। রূপাজীবার রূপে মজে হই রূপকানা। রূপসি দেখলে হায় হায় করি, অরূপকে ঘৃণা করি। ভুখ লাগলে দিনমান কাজ করে ডাইল চাউল কিনতে হয়। আত্মদর্শন অনেক কষ্টের কাজ। স্বর্গ তো আর একতারা হুটেল নয় যে কম টাকায় থাকা যাবে। ভিতের কী এবং বাহিরে কী জানতে হলে অপলকদৃষ্টে নয়ন মণির গহিন দেখতে হয়।’
আনীল… ‘সাধ্যসাধনায় নিরাকারে আকার দিয়ে সত্যকে সাকার বানিয়েছেন।’
দাদা… ‘চোখে যা দেখি তা বাস্তব। চোখে যে ভেলকি লাগায় সে ভেলকিবাজ। তিক্ত সত্য শুনতে চাও?’
আনীল… ‘আপনি বলুন আমি শুনতে চাই।’
দাদা… ‘বটগাছ বড়ো হলে অশ্বত্থ হয়, লোক বড়ো হলে কেউ হয় বড়লোক কেউ হয় জ্ঞানীগুণী। আমি সাধারণ মানুষ, বয়স বেড়ে বুড়ো হয়েছি।’
আনীল… ‘ভালোবাসা, আহা ভালোবাসা। তোমার কারণ সব ছাড়লাম আমি তোমার সাথে খেলতে পারলাম না মরণপাশা। আহা ভালোবাসা।’
দাদা… ‘আজ হাসির সাথে গোসা করেছিলাম।’
আনীল… ‘খালি ঝামেলা লাগে। কিছু বললে কিছু লোক খামোখা গোসা করে। কেন যে গোসা করে আমি জানি না।’
দাদা… ‘সবদিকে খেয়াল রাখতে হয়। একচোখোমি করলে সবকিছু দেখা যায় না।’
আনীল… ‘স্বর্ণকার খাঁটি সোনা চিনে। তদ্রুপ আপনি বিশুদ্ধ সুখের স্পর্শ পেয়েছেন। আপনি নিশ্চয় জানেন আজকাল নকল হাতের নাগালে এবং আলমারিতে খাঁটি সোনা থাকলে রাতে ঘুম হয় না।’
দাদা… ‘গরমে গলা বরফের পানি। চিন্তার কারণ নেই, সে তা চায় যা সে স্পর্শ অথবা অনুভব করে। সাগরের ফেনার মত ভেসে স্বপ্ন দূর বহুদূর চলে যায়। পাগল এবং ভদ্রলোক কি এক বিষয়?’
আনীল… ‘মারামারি কাটাকাটিতে নারীরা পুরুষের সাথে পারে না কিন্তু রতিক্রয়ায় নারীকে হারাতে হলে পুরুষের মাথায় বাড়ি পড়ে।’
দাদা… ‘গাধার পিঠে বোঝ দিলে সে বুঝেশুঝে চলে নইলে খালি লাফায়।’
আনীল… ‘যুক্তিনির্ভরে কাজ হবে না। পাঠশালায় যেতে হবে।’
দাদা… ‘চিন্তা যত বড় হয় চিন্তক তত মহান হয়।’
আনীল… ‘হ্যাঁ, শান্তিলাভের জন্য শয়নে শান্তিস্বস্ত্যয়ন হয়।’
দাদা… ‘লোকে বলে আমি নাকি বড়লোক হয়েছি, লোকে বলে আমি নাকি সবাইকে ভুলেছি। আমি বলি আমি আগের মত আছি, আমি বলি ভুলিনি আমি শুধু ভিড়ে হারিয়েছি।’
আনীল… ‘আমার স্বপ্ন আমার সত্তায় থাক। দেখি তার দেখা পাই কি না?’
দাদা… ‘আমি সত্যি পরাজয় বরণ করেছি। এখন তার তালাশে তালাশি হয়েছি, যে আমাকে পথিক বানিয়েছিল।’
আনীল… ‘ব্যর্থতা কেউ সহ্য করত পারে না, আত্মশুদ্ধি বলা সোজা, আত্মসাধন করে শুদ্ধি করা মানে কবরে শোয়া। সত্য কথা বলা ভালো। আমি আসলে প্রেম ডরাই। প্রেমে এত শক্তি, পলকে বাহুবলকে দুর্বল করতে পারে।’
দাদা… ‘আত্মশুদ্ধি হলো সব চাইতে বড়ো শুদ্ধি। আত্মা সংশুদ্ধ হলে পরমাত্মার সাথে শুদ্ধ সম্পর্ক হয়।’
আনীল… ‘সাফসুতরো থাকতে হলে ময়লা থেকে দূরে থাকতে হয়, মন সাফ হলে সত্তা সফল হয়, আত্মা হয় প্রশান্ত।’
দাদা… ‘শুঁয়াপোকারা ভয়ঙ্কর, চিমটে ধরলে কামড়ায়।’
আনীল… ‘মৌমাছিরা ফুলের মধু খায়, প্রজাপতিরা মধু খায় না। যাথাতথ্যের সত্যাসত্য আমি জানি না।’
দাদা… ‘আশা শেষ হলে জীবন ফুরায়, তাই তো মন আশায় থাকতে চায়।’
আনীল… ‘তার সাথেই রাগ অভিমান যার জন্য মনে টান।’
দাদা… ‘ঘুড়ি এবং লেখালেখি সময় থামিয়ে রাখে। দুটাই আমার প্রিয়।’
আনীল… ‘ভাব ধরে আবেগ দিয়ে লেখা আর বাস্তবিক হয়ে মনের ভাব প্রকাশ করা দুই বিষয়। সবাই চিন্তা করে, চিন্তকরাও চিন্তা করে। চিন্তকদের চিন্তায় গূঢ়তত্ত্ব থাকে। তা এমন, ডুবে জলের গভীরে যাওয়া এবং গভীর জলে ডুবে থাকার ভান করা। ডুব দিয়ে জলের গভীরে যেয়ে বেশি সময় থাকা যায় না। তবে পারে বসে ভান করে গভীর জলে ডুবে থাকা যায়। গভীর জলের মাছ বেশি সময় ভেসে থাকতে পারে না তদ্রুপ অগভীর জলের মাছ গভীর জলে যেতে পারে না। সত্যাসত্য জানতে হলে বাস্তবিক হতে হবে। ভাবুকরা অভীক হয়। অভীক শব্দের একাধিক অর্থ, নির্ভীক, কামুক এবং লোভী। সবার মনে অভীপ্সা থাকলেও সকলের অভীষ্ট লাভ হয় না।’
দাদা… ‘মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাধনা করতে হয়। সাধনা এবং কর্মফল কবরে উপভোগ করব। মনের ভাবকে ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করলে সফল হবে, তোমার মাঝে ভাষাজ্ঞান আছে।’
আনীল… ‘দুই হাতে কান ধরেছি, আপনি যা করছেন তা অন্যমাত্রার সাধনা। আর কিচ্ছু বলার সাহস নেই।’
দাদা… ‘নিশ্চিন্ত মনে আশ্বস্ত হয়ে হাত বাড়ালে ওকে স্পর্শ করতে পারবে।’
আনীল… ‘অভিজ্ঞ হতে চেয়ে আমি অবিজ্ঞ হয়েছি। এটাই নিয়তি। চিন্তার কারণ নেই। আগামী বছর বাঁচলে কর্মফলস্বরূপ আরো অজ্ঞ হব।’


প্রথম প্রকাশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ কিছু বানানে সমস্যা আছে। এডিট করে ঠিক করে নিবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, ঠিক করব। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
এই লেখা মনোযোগ দিয়ে অনেকেই পড়বেন না । যারা সর্টকাট মারবেন তাদের জন্য কিছু চুম্বক অংশ তুলে দিলামঃ
-ঝালমুড়ি অথবা আচার বেচার কারবারে কবিতার বই ব্যবহৃত হয়
-পুরুষ ছেলে হয়ে জন্মে, পরে নারীরা তাকে নর বানায়
-সংসার সুখের হয়, সঙ্গম সুখের হলে
-মারামারি কাটাকাটিতে নারীরা পুরুষের সাথে পারে না কিন্তু রতিক্রয়ায় নারীকে হারাতে হলে পুরুষের মাথায় বাড়ি পড়ে
-গভীর জলের মাছ বেশি সময় ভেসে থাকতে পারে না তদ্রুপ অগভীর জলের মাছ গভীর জলে যেতে পারে না

খুব ব্যস্ত ছিলাম। ব্লগে পড়ার সময় ছিল না। আবার এসে ঢুকলাম আপনার বই'তে। এই পর্ব ফাটাফাটি হয়েছে।
ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার মঙ্গল কামনা করি। আমার মন খুশি হয়েছে, আপনার মনও খুশি হবে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবি ও সব ধরণের সাহিত্যিকদের ব্যক্তিত্ব থাকতে হয়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আসলে শামুকের মত, দৌড়ের দূরত্ব মাত্র কয়েক গজ, তবে আপনাদের সাথে ব্লগিং করে কিছু দ্রুত হলেও ব্যক্তিত্ববান হতে পারিনি এবং হয়তো পারবওনা।

মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.