নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৫৫-৫৮

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪



নীলা… ‘যার মন পবিত্র সে মিথ্যাকে দূরে ঠেলে। যে জানে না সে বিষ পান করে। মিথ্যা যে ধ্বংসের কারণ যারা জানে ওরা দূরেই থাকে।’
আনীল… ‘সত্যের পথে আমরা পথিক। কেউ আমাদেরকে পথহারা করতে পারবে না ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের একমাত্র গন্তব্য।’
নীলা… ‘মন আমাদেরকে পাথর পর্যন্ত বানায়। আমি একবার পাথর হয়েছিলাম। আবেগপ্রবণ হয়ে যখন আপন হই, আপনজনরা তখন অপমান করে।’
আনীল… ‘কবর সামনে। মৃত্যুর সাথে বীর কুস্তি ধরে। বুজদিলরা অসহায় খুন করে। আমি অসহায় নই। চোখের সামনে অনাথ হত্যা হতে দেব না। রক্তে রঞ্জিত হাত আল্লাহর সামনে মেলে বলব, আমি পাপ করিনি। আমি খুনি নই। তুমি সব দেখেছ। তুমি সব জানো। আমাকে ক্ষমা করো।’
নীলা… ‘আত্মা প্রশান্ত হলে পরমাত্মা পরিতৃপ্ত হয়। আর তা তখন হয় যখন আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য পরিশ্রম করি কেন?’
আনীল… ‘কষ্ট হলে চিৎকার করে বলি আমার কষ্ট হচ্ছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলি, যা পাখি ওড়ে। আমার স্বপ্ন তখন পাখি হয়ে আকাশের নীলে ভাসে। অনেক সময় বোকা মন অপমান শব্দের অর্থ বুঝতে চায় না।’
নীলা… ‘কাউয়া এবং জোঁক আমি ডরাই। কাউয়ারা মানুষের মাংস খায়, জোঁকরা খায় রক্ত।’
আনীল… ‘নাছোড়বান্দারা জানে, কাউয়ারা মড়া মানুষের মাংস খাও, জোঁকরা খায় বিষাক্ত রক্ত।’
নীলা… ‘জেঁকো তুমি জোঁকের বান্ধব হয়েছ।’
আনীল… ‘জেল্লায় জ্বলে হয়েছ জেল্লাময়ী।’
নীলা… ‘আমি ভেবেছিলাম হয়তো বাঁশ বাগানের ভূত।’
আনীল… ‘কী?’
নীলা… ‘আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো ভূতের গল্প বলতে চেয়েছিলে। ভূতুড়ে গল্প এবং হাতুড়ে ডাক্তার আমি ডরাই।’
আনীল… ‘ভালোমানুষ হতে চেয়ে কল্যাণচিন্তায় ক্লান্ত হয়েছি।’
নীলা… ‘আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, বান্দরবন যেয়ে বানরের বান্ধবী হওয়ার সময় হয়েছে।’
আনীল… ‘পূবালি বাতাসে ভেসে মন যায় পূবে, পূরবী তুমি কেন কুমিরের চোখে জল হলে? তোমাকে স্পর্শ করতে চাইলেও পারি না, ভয় হয়, কুমির আমাকে খেয়ে ফেলবে, ভয় হয় খালি ভয় হয়। চালিশায় ধরছে তো, চোখে কম দেখি এবং আমার চশমায় পাওয়ার বেশি। আকাশে তাকিয়ে নিজেকে দেখা যায় না তবে প্রিয়জনে মুখ দেখা যায়। প্রিয়তমা, তোমার রূপ চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল।’
নীলা… ‘চাঁদিনি রাতে তারা জ্বালিয়ে দেখেছি, আমার মুখ কোথাও ছিল না।’
আনীল… ‘নিশাবেলা চোখের জলে ভরে আঁজলা, তোমার চাঁদমুখ দেখার জন্য মন হয়েছে আদেখলা। বোকা মন হাবভাব না বুঝে বকবক করে বাতেলা, নিদানে কঙ্কালসার হয়েছি খাবার খেয়ে আতেলা।’
নীলা… ‘জানি না কী করে পাব তোমায়, জানি না কী করলে কাছে টানবে আমায়?’
আনীল… ‘আমার হাত ধরো তনুমিলনে প্রাণবন্ত হয়ে আনন্দসাগরে ভাসব।’
নীলা… ‘তাতো আমার নাতনি জানে, কামে কামনা, প্রেমে ক্ষমা। ছয় রিপুরা আসল যন্ত্রণা, এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নিষ্কাম সত্তার আত্মা নিষ্কলুষ হয়।’
আনীল… ‘বয়সের দোষে দোষী হলাম আমি, অন্তরে কষ্ট আছে চারপাশে অমা, অনায়াসে মনের কথা বলতে পারি তোমার কাছে ওগো প্রিয়তমা।’
নীলা… ‘নিষ্কারণে তুমি নিষ্করুণ হয়েছিলে। নিষেবণে আমি নিষেবিত হতে চেয়েছিলাম।’
আনীল… ‘আমি নিষ্কর্ম হয়েছি। তুমি আজো নিষ্কলঙ্ক।’
নীলা… ‘হ্যাঁ, মন দিয়ে মানুষ মেপে জেনেছি চল্লিশ সেরে এক মণ।’
আনীল… ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর এই হাসির জন্য অনেক ত্যাগ করেছি।’
নীলা… ‘দাঁতে ব্যথা কোমরে বিষ। শখ এবং হাউসে কবিতা লেখা যায় না, কবিতা লিখতে হলে ধ্যান করতে হয় চিন্তা।’
আনীল… ‘জীবন দোরঙা ছবি এবং আমরা রংমিস্ত্ররী।’
নীলা… ‘অপেক্ষা, আহা অপেক্ষা। প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষা করতে ভালো লাগে।’
আনীল… ‘কবিতার আরেক অর্থ দর্শন।’
নীলা… ‘আকাশে এক আঁজলা মেঘ জমেছে, মেঘের ছায়া মাটিতে ছাউনি দেয়, আকাশের মন যখন বেজার হয় তখন ঝরঝর করে বৃষ্টি ঝরে, ঝরেছিল এবং নির্ঝর ঝরবে।’
আনীল… ‘ভেবেছিলাম মনে মনে যুদ্ধ করে মন জয় করব, স্বপ্নেও ভাবিনি স্বপ্নদর্শী হতে চেয়ে আমি স্বপ্নহীন হব।’
নীলা …‘মনের মাঝে মনের মানুষ থাকে, মাঘে থাকে ঠাণ্ডা, বিমনা মন বেশি তেরিমেরি করলে হাতে নিতে হয় ডাণ্ডা, গন্তব্য সামনে, দেখতে পাচ্ছি বিজয়ের ঝাণ্ডা।’
আনীল… ‘তুমি নিশ্চয় জানো, চাইলে নির্দয় হওয়া যায় না তবে দয়াপরবশ হওয়া যায়।’
নীলা… ‘তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। তোমার স্পর্শে পরিবেশ স্বপ্নীল হয়েছিল। আমি নির্দোষ এবং সকল দোষ তোমার।’
আনীল… ‘অবশেষে আমিও বিশ্বাস করেছি।’
নীলা… ‘সাধনা সিদ্ধ হলে মনে সাহস থাকবে, বাহুতে বল থাকবেই দিগ্বিজয় করার।’
আনীল… ‘সত্যাসত্য জানতে হলে ভালোবাসতে হয় এবং মনের কথা মুখে বলতে হয়।’
নীলা… ‘আহাম্মকরা আত্মহত্যা করে। কবিরা বোকা হতে পারে, আহাম্মক নয়।’
আনীল… ‘অজানা পথে হেঁটে তোমার দুয়ারে এসেছিলাম। ঠাঁই না পেয়ে আবার হাঁটতে শুরু করব, দেখি বিধি বাম হয় না নেগাবানি করে?’
নীলা… ‘সত্য কথা হলো, তোমার কবিতার সারমর্ম আমি বুঝি না, বুঝার চেষ্টা করে অতিষ্ট হতে চাই না।’
আনীল… ‘পাকে বিপাকে পড়ে জেনেছি টাকা আসলে জবর মজার কাগজ।’
নীলা… ‘আর কত টাকা আত্মসাৎ করলে তুমি টাকাওয়াল হবে, আর কত প্রাণান্তক কষ্ট দিয়ে তুমি প্রাণবন্ত হবে?’
আনীল… ‘অসম্ভব সুন্দর সংলাপ।’
নীলা… ‘বিলাতি মাটির উপর ইটের পর ইটে বসিয়ে দালান বানাতে হয়। তুমি হয়তো জান না, ময়দায় গরিবের পেট ভরে না, চাউলের প্রয়োজন।’
আনীল… ‘আজ বিশ্বাস হয়েছে, তুমি সত্যি অঘটন-ঘটন পটীয়সী।’
নীলা… ‘চালিশায় ধরার পর হাতড়াবে আর বলবে সর্বনাশ হয়েছে, আমার লাঠি কোথায়?’
আনীল… ‘জোড়হাতে বলছি আমাকে ক্ষমা করো।’
নীলা… ‘প্রেমিকরা হাতজোড় করে না, প্রেমিকরা অন্যায় করে না, তবে মাটিতে সেজদা করে ক্ষমা চায়।’
আনীল… ‘মিথ্যা এবং হত্যা ইসলামে হারাম। হাসর অনেক দূর। হাহাকার শুরু হলে মুক্তমনারা কোথায় যাবে? ইসলাম ধর্ম তাকে তা দেয় যা সে চায়। মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই। আমরা নিশ্চয় তা পাব।’
নীলা… ‘মনের মাঝে জমা কথা, অশ্রু হয়ে ঝরে ব্যথা। নির্জনে বসে সময় নষ্ট করি অযথা।’
আনীল… ‘ঘোড়ার লাগাম হাতে রাখি। ফসকিলে নিরুপায় হব। কোন দিকে ভোঁ দৌড় দেবে তখন মাটিতে পড়ে কোমর ভাঙবে।’
নীলা… ‘সাহায্য করা ভালো। গরিবের কষ্ট কমে। সমস্যা হলো, যারা সাহায্য করে ওরই গরিবের কষ্টের আসল কারণ।’
আনীল… ‘সকল সফল হতে চায়, তা জেনে আমি ব্যর্থতাকে বন্ধু মেনেছি। যা বাবা, সফল তো হতে পারব না তবে বন্ধুর সাথে অহরহ দেখা হবে। এতেই আমি খুশি। আর কিছু না পেলেও দুঃখের ভাগ সকলে পায়।’
নীলা… ‘লজ্জাকে কালি বানিয়ে কবিরা কবিতা লেখে। লজ্জায় লাল হলে কবিতায় রস মিলে। কবির মনে ভাব জাগে। কারণ, অনেক কথা আছে যা লজ্জায় বলা যায় না, তবে লেখা যায়।’
আনীল… ‘নীলে নীলিমা হয়েছ, নীলা তুমি নীলাম্বরি পরে নীলাঞ্জনা হতে পারিনি। নীলের বনে বসেছি, নীল অপরাজিতার কলি হাতে নিয়ে আমার স্বপ্ন নীল হয়েছে।’
নীলা… ‘আজ সত্যি মনে শান্তি পেয়েছি। অনেকদিন পর যেন ঠাঠাপড়া রোদে ফাটা মাটে বৃষ্টির ফোঁটা পড়েছে। আমার শান্তির বদলে আল্লাহ তোমাকে প্রশান্তি দান করবেন।’
আনীল… ‘নীলাঞ্জনার আঁচল নীলে আকাশের নীল লিন হয়। আকাশনীলের মত তোমার নীলাম্বরি, নীলাঞ্জনা তুমি স্বপ্নে দেখা নীলপরি।’
নীলা… ‘সাগরে স্নান করে পাপ করেছিলাম। হাঁটুজলে ঘটিবাটি ধোয়ে পবিত্র করা যায় না। ভাসান এবং গভীর জলে গোসল করলে তনুমন পবিত্র হয়। কেন যে ভাদ্রমাসে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিলাম? আহারে আক্ষেপ! আক্ষেপিত হওয়ার পর তুমি কেন বারংবার আমাকে স্মরণ করিয়ে দাও আমি যে অপকর্ম করেছি? তোমার কথা চিন্তা করলে আমি হতাশ হই। তবুও আক্ষেপ ছাড়া আর কিচ্ছু করার নেই।’
আনীল… ‘তোমার লাজ আছে, লজ্জায় তুমি লাল হও। লজ্জাবতিরা লজ্জায় লাল হয়, তুমি লজ্জবাতি নাকি?’
নীলা… ‘ইস, পাপিয়ার মধুরকণ্ঠ শুনলে বিমনা মন চনচনে হয়। পাপিয়া লো, ভরদুপুরে উদ্বেলিত করিস না।’
আনীল… ‘সব দোষ আমার। আমি একটা বোকা।’


প্রথম প্রকাশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে কোনো বাঙ্গালীর মনই পবিত্র না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: রাজীবভাই, পবিত্রের মাত্র আমি অন্তত মাপতে পারব না, আপনি হয়তো পারেন। পবিত্রতা অর্জন করতে হয়, কিছু বস্তু আছে পবিত্র হয় না।
যাক, কেমন আছেন আপনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.