নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৬৩-৬৬

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫




আনীল… ‘সমস্যা হলো, জংলি পাখি পোষতে চাই না। মোক্ষ হওয়ার জন্য ক্ষমা চাই। আদেশ নিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করি। পাখিরা পাখনা মেলে ওড়ে। কোথায় কখন যায় কেউ জানে না। আমি পাখি হতে চাই না। আমি হলাম সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।’
নীলা… ‘কথা দূরে গিয়ে ভ্রান্তির কারণ হলে অকারণে অনেক বিভ্রান্ত হয়।’
আনীল… ‘সাধক হতে হলে বাস্তবিক হতে হয়। বাস্তবতা দেখেও আমি বাস্তবিক হতে পারিনি। তুমি পেরেছ, তোমাকে সম্মান করি। হায় ভালোবাসা, তুমি আমাকে কাতর করলে। অকাতরে ভালোবাসতে পারলাম না।’
নীলা… ‘আহা, বরফ গলে আজ মরুতে প্লাবন হয়েছে।’
আনীল… ‘যেখানে যেমন থাকি না কেন মনে রাখবে, প্রথম বন্ধু হয়েছিলাম পরে হয়েছিলাম বান্ধব।’
নীলা… ‘জীবনের কথা সবাই বলতে পারে না এবং মনের কথা খুলে বলতে হলে কথাশিল্পী হতে হয়। মনের ভাব ব্যক্ত করার জন্য কথাশিল্প শুরু করেছি।’
আনীল… ‘ইতিকথা এবং কল্পকথা সব বাস্তব। তা একদিন বাস্তবে ঘটেছিল। আজকের সত্য আগামীকালের জন্য কল্পন হবে মাত্র। মানবের মন থেকে দিনদিন মানবতা লুপ্ত হচ্ছে।’
নীলা… ‘কিছু কবিতা আছে পড়ার পর খুঁত খোঁজতে হয়, যেমন মাত্রা, ছন্দপতন, অন্তমিল, ছন্দমিল। আধুনিক কবিতা পড়ার পর কিছু খুঁজতে হয় না। আধুনিক কবিতায় কবির মনে কথা থাকে। কবির মনে পাপ অথবা খুঁত থাকে না।’
আনীল… ‘পরিবর্তনে পুরান হারিয়ে যায়, তাই নয় কি?’
নীলা… ‘হায় হায় কাকে কী বললাম? এখন আমি কানের মাথা খেয়েছি।’
আনীল… ‘স্রষ্টা এবং সৃষ্টিতে যাওয়ার আগে নিজের ছায়া এবং প্রতিচ্ছায়ার দিকে তাকালেই বুঝা যায়, মহাকৌশলী একজন আছেন যে আমাকে নিখুঁত করে বানিয়েছেন। মায়ের পেটে এত বড় ছিলাম না।’
নীলা… ‘আমাদেরকে যে নিখুঁত করে সৃষ্টি করছেন সেই স্রষ্টার সৃষ্টিকুশলে কোনো খুঁত নেই। কানা ল্যাংড়াও নিখুঁত। তা কি কখনো খোয়াল করেছ?’
আনীল… ‘আমি আসলে অনেক সময় আহাম্মকের মত অনেক কিছু বলি বা করি যার ফল এই হয়, অনেকের মনে কষ্ট দিয়ে শপ্ত হই। তা আমার বাল্যাভ্যাস। মাথামোটা তো, সব সময় সবকিছু ঠাহর করতে পারি না। বর্তমানে সবাই ব্যস্ত থাকে, আমি হারাই পরিবেশে। কিছু করার নেই তো তাই লাউ ঝাড়ে পানি দেই আর গুনগুন করি।’
নীলা …‘বিশিষ্ট বাঁশে বিষাক্ত তেল যুক্ত করা হয়েছে। নির্মোকে বিষ থাকে না। নির্মায়িকরা নির্যাতনের অর্থ জানে না। আক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে পাপমোচন হয়। নির্মোচনে শাপমোচন হয় না। ’
আনীল… ‘জীবন্ত কিংবদন্তি। নেড়ে শব্দের অর্থ নিম্নশ্রেণির মুসলমান। এমন আজগুবি শব্দার্থ বাপের জন্মে প্রথম শুনেছি। দুনিয়ার সকলে জানে মুসলমানের শ্রেণি নেই।’
নীলা… ‘পীতজ্বরে রক্তক্ষরণ হয়। পীয়ূষ পানে পাপিষ্ট হওয়ার জন্য পুরুষরা পীনোন্নত বক্ষের দিকে তাকিয়ে কেউ হয় কামার্ত, কেউ হয় কামান্ধ। সুন্দরে কলঙ্ক যেমন ভালো লাগে না তদ্রুপ ভালো লাগার মাঝেও কষ্ট সহ্য হয় না।’
আনীল… ‘ক্রোধ এবং দুঃখ এক কারখানা‌য় উৎপাদিত।’
নীলা… ‘সবাই যেমন নিশ্বাসে বাতাস টানে, তদ্রুপ আমিও শব্দ থেকে ভাব লাভ করি।’
আনীল… ‘হে সাধনা, তুমি এতো কঠোর হও কেন?’
নীলা… ‘অপলকদৃষ্টে তাকিয়ে থাকতাম। চোখে ছিল জল, মন ছিল অপেক্ষমাণ।’
আনীল… ‘যে কথা লুকিয়ে রেখে ভুলতে চেয়েছিলাম সে কথা চোখের পানি দিয়ে লিখেছিলাম বিধায় সে এখন আর আমার সাথে আর কথা বলে না।’
নীলা… ‘অন্তর অথবা হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হয় না, অন্তর এবং হৃদয়ে কষ্ট জমে, হৃৎক্রিয়া বন্ধ হয়, অন্তর ঝিম ধরে। মনে যখন ব্যথা জমে তখন আখিজল কালি হয়, ছাই হয় সেহাই।’
আনীল… ‘কবিতা, কবিতা কী? মাঝে মাঝে এমন লাগে, কবিতা যেন ভবে নরক। কবিতার সাথে দেখা করার জন্য ছাওয়ালকালে একলা কাশবনে হারালে প্রহরার্ধে প্রহরী পহর্তা হয়েছিল।’
নীলা… ‘আমি ভয়ার্তা হই। কাশবনে ভূত থাকে।’
আনীল… ‘হায় হায়, পোড়া মুখ। রে পোড়ামোখা এ কী করলে, এখন তোর বউ তোকে ঝাড়ুপেটা করবে।’
নীলা… ‘কেন পারি না তা জানি না, একটা না একটা সমস্যা দেখা দেয় এবং সব তছনছ হয়।’
আনীল… ‘খনির কয়লায় হীরা থাকে যা শুধু দক্ষচক্ষু দেখতে পায়। সবাই চিনতে পারলে খনির কামলারা মারামারি করে মরবে।’
নীলা… ‘বিপাকে পড়লে বোকারা নাস্তিক হয়। আমি তা না পারার কারণ কদ্দিন পর আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব।’
আনীল… ‘আজকাল বেআক্কেলরা হর্তাকর্তা এবং বুদ্ধিরঢেঁকিরা বিদ্যার সাড়ে বারটা বাজাচ্ছে। ধর্ম এবং সভ্যতা সম্বন্ধে আজেবাজে কথা বলে। সত্যাসত্য হলো, নারী নেংটা হলে পুরুষ হয় হিংস্র। দোষ শুধু পুরুষের নয়। জীবজগৎ নিয়ে ধেয়ান চিন্তা করলে প্রমাণ পাওয়া যায়। মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব এবং জীবের জীবন সুন্দর করার জন্য ধর্ম এবং সভ্যতার বিস্তার হয়েছে। সমস্যা হলো, লেখাপড়া করে আমরা অসভ্য হচ্ছি। যার মন যা বলে তা করে।’
নীলা… ‘সত্যাসত্য জেনে হত্যার বিচার না করে মিথ্যার সাথে সংসার করার দায়ে জনগণরা আজীবন দায়ি থাকবে এবং আগন্তুকরাও এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে। আপোশে মিটমাট হলে পালটি থামবে, নইলে লাঠালাঠি করার জন্য লাটরা দলাদলি করবে।’
আনীল… ‘সময়ের সদ্ব্যবহারে শ্রমবিমুখ নিন্দিতরা কুবের হয়েছিল এবং আবেগে বেগার্তরা বিচারক হতে পারেনি।’
নীলা… ‘আল্লাহ বলেছেন, যে নিজেকে সাহায্য করে আমি তাকে সাহায্য করি। আমাদের সমস্যা হলো, ধর্মাধর্মের অর্থ না জেনে আমরা ধর্মাত্মা হতে চাই বিধায় ধর্মারণ্যে যাওয়ার পথে চক্রবাকে ঘুরপাক খাই, বহির্দ্বার চোখে পড়ে না।’
আনীল… ‘দুরাচারে আমি শুধু নিজেকে ধ্বংস করতে পারি। চালাক বান্দর পিচ্ছল গাছে উঠে ঠেকছিল তা নিশ্চয় জানো?’
নীলা… ‘আমি শুধু জানি, কলঙ্কের ঢোল গলায় বেঁধে নগরে নগরে হাঁটি।’
আনীল… ‘যুক্তির বিষয় হলো, বড় না হলে ছোটকে চোখে দেখা যায় না। ছোটরা বড়কে চোখে দেখে না।’
নীলা… ‘আগে ভেবেছিলাম নাবালক, বেজুত হয়ে বুঝেছি, এটা হলো সবটার বড়টা।’
আনীল… ‘তুমি আমাকে নিরেট গবেট ডাকলে? আহা, মনে জবর কষ্ট পেলাম, ক্লিষ্ট হলাম বেজার।’
নীলা… ‘আমি বাজাই টপ্পা আর সারেঙ্গে বাজে ধাধরা।’
আনীল… ‘অনুমতে রজতগিরিতে যাব।’
নীলা… ‘অনুযাত্রায় অনুযায়ী হলে অনুযোগে অনুরঞ্জিত হওয়া যায় না। শাশ্বত সত্য অবিশ্বাস করলে মৃত্যুর পর আগুনের ফিনকি তেজে চোখ পুড়ে অন্তর ছারখার হবে।’
আনীল… ‘দেয়ালে মারলে বল কপালে ঠেকে।’
নীলা… ‘আমি আমার কথা বলেছিলাম। ভালো না লাগলে ভালা মুখে বলো, খামোখা কোঁদাচ্ছ কেন? ভিখারিণীকে ভিখ দিতে না পারলে বাজারে যাও কেন?’
আনীল… ‘তোমার খবর কী? নিদানের দিনে তোমাকে পেয়েছি, এতদিন কোথায় ছিলে?’
নীলা… ‘আসলে কী হয়েছে, নিজেই টানাটানিতে আছি। নিদানের দিন, দানা পানি দিতে পারব না।’
আনীল… ‘এর মানে তুমি আমাকে মিছরির ছুরি দিয়ে আহত করেছ? কৃতজ্ঞতা।’
নীলা… ‘কেমন আছ?’
আনীল… ‘আছি আধাআধি।’
নীলা… ‘লম্বা মানুষ মোটামোটি ভালো মানে সুখেই আছ?’
আনীল… ‘নায়ের সাথে নাইয়ার সম্পর্ক, নাইয়রির নয়। নাইয়র যাওয়ার সময় নাইয়রিরা ছইয়া নাও ভাড়া করে। নাইয়ারা নাও বায়। সমস্যা হলো, নাইয়রিরা নাওকে জবরদখল করতে চাইলে তা কোন পর্যায়ে পড়ে। আমি মনে করি তা আহাম্মকি হবে। তোমার মতামত কী?’
নীলা… ‘ভুল হলো মানুষের আসল গুণ।’
আনীল… ‘আগে শুনেছিলাম পাখা ঘুরে এখন দেখি কথা ঘুরে, আমার ঠাণ্ডা লাগছে, জলদি কাঁথা দাও।’
নীলা… ‘তোমার সময় নেই আর আমি সময়কে বলি তুই এত অলস কেন?’
আনীল… ‘সুস্থ থাকতে চাইলেও দূর্বল হয়েছি অনেক আগে। বেশি খাওয়া মানে বেশি তেল। তেল খেলে মাতাল হই।’
নীলা… ‘অর্ন্তজালে শুধু মায়া, ছায়া থাকে কায়ার সাথে এবং তা শুধু বাস্তবে পাওয়া যায়।’
আনীল… ‘চৌরাস্তার পথিক নই আমি একমাত্র রাস্তায় পশ্চিমমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছি, সামনে বা পিছনে কোনো পথ নেই। আমি ডানে যেতে চাই কিন্তু বেয়াড়া মন জাঁকজমক আড়ম্বর পছন্দ করে। আয়নায় নিজের মুখ দেখে চমকে ওঠি। নিজেকে ভয় হয়। সাধক হতে পারলাম না। দিনরাত শান্তিমন্ত্র জপার পরেও অন্তরে অশান্তি।’
নীলা… ‘এই হলো আসল বোধ এবং অনুভব, এটা যখন হারিয়ে যায় মানব তখন দানব হয়। যার মাঝে মায়া প্রেম থাকে না সে লোভার্ত হয়। শুধু চায়, মিথ্যা কি বললাম? আমি বিশ্বাস করি তুমি ভাবুক।’
আনীল… ‘ভাবুকের ভাব কালবৈশাখী দমাতে পারে, তা শুনে ভাবুক ভেবে বলে এমন হওয়ারই কথা। সমস্যা হলো এ মাসের নাম বৈশাখ মাস।’
নীলা… ‘কী এত ভাবছ? আকাশে নীল আছে হাতে কলম, বাতাসের খাতায় মনের কথা লিখতে পারবে।’
আনীল… ‘বুঝছি, আমি এখন আমি হওয়ার সময় হয়েছে।’
নীলা… ‘যে ভাবে তুমি বলেছ সে ভাব হারিয়েছে ভাবের অভাবে, মনে রাখতে হবে, শব্দে অর্থ বদলে।’

প্রথম প্রকাশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আনীল থেকে অনিল নামটা বেশি সুন্দর।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, দুই চরিত্রের দুই নাম, অর্থও ভিন্ন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.