নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৭১-৭৪

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩




নীলা… ‘কষ্টে সন্তুষ্টা হয়েছি। তাল সামাল দেওয়া মুখের কথা নয়। ঢিল মারলে গাছ থেকে তাল পড়ে।’
আনীল… ‘তুমি নিশ্চয় জাননা, মানুষের ভিড়ে আমি একলা হাঁটতাম।’
নীলা… ‘নয়নজলে বনের আগুন নিবে না, আমার তো দাবানল জ্বলছে। আকাশ ভেঙে মেঘ নামলে নিবতে পারে।’
আনীল… ‘তিক্ত হলেও সত্য সত্যি সুন্দর। অসুন্দরের জন্য কোনো কিছু সুন্দর হয় না। আমার অন্তর অসুন্দরে ভরা।’
নীলা… ‘বাজিমাতের জন্য চুরি করে ধরা খেলে, হাজতে বসে বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচি দেখতে হয়।’
আনীল… ‘চোরেরও মন আছে। বেচারা, জোরাজুরি করে চুরি করলেও কারো বউ চুরি করতে পারে না।’
নীলা… ‘হাজার বছর পরেও চোর ধরা পড়ে। চোর চোরই থাকে। চোর কখনো সাউকারের সাথে বড়াই করে না।’
আনীল… ‘তুমি হয়তো জান না, যথেষ্ট ঘুম হলে মন চনচনে হয়। যথেষ্ট ঘুমে আত্মশুদ্ধি হয়। শুধু সাধকরা যথেষ্ট সময় ঘুমাতে পারেন। আত্মশুদ্ধির জন্য অতীত বৃত্তান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নীলা… ‘তোমার ভাব চিন্তা সত্যি চমৎকার। যথেষ্টের মাত্রা জানতে চাই।’
আনীল… ‘যথেষ্ট শুধু তখন হয় যখন কারো মনে কোনো প্রকার রাগ আক্ষেপ লোভ থাকে না। এমন কয়জন আছে? আমি তো সময়মত ঘুমাতেই পারি না। দুঃস্বপ্ন দেখে চমকে উঠি।’
নীলা… ‘তুমি কিছু চাও এবং তা তোমার আয়ত্তের বাইরে। মনে রেখো, সুখ শান্তি কিনা যায়। স্বস্তি অন্য বিষয়। স্বস্তির জন্য স্বস্ত্যায়ন করতে হয়। মানে যোগনসাধনা। দৈনিক পাঁচবার যোগ করেও আমাদের আত্মশুদ্ধি হয় না।’
আনীল… ‘শপ্তকে অভিশাপ দিয়ে সময় নষ্ট করতে চাই না। সাধনায় সাধক সিদ্ধ হয়। আমি সাধক হতে চাই।’
নীলা… ‘ছেড়ে দিলে ঘুড়ি উড়ে যায়। টানলে ফিরে আসে।’
আনীল… ‘রাঙামেঘে আকাশ কালো হলে ব্যথাতুর মন অভিমানে আকুলিবিকুল করে।’
নীলা… ‘কিছু বদলেছে, কী বদলেছে আমি জানি না। এখন আর ভালো লাগে না, পিঁজরার আহত পাখি হয়েছি। সাধনায় অসাধ্য সাধন হয়। নকলে বাকলও মিলে না।’
আনীল… ‘একা কিছু করা যায় না জেনে মন খারাপ হয়। যখন মন কিছু করতে চায় তখন কেউ সঙ্গ দেয় না। এতে মন আরো খারাপ হয়। তারোপর কিছু লোক আছে মন খারাপ করে। তোমার কি এমন আহাল হয়েছে?’
নীলা… ‘আম খাইও জাম খাইও কাঁঠাল খাইও না রে বন্ধু আঁটা লাগাইও না।’
আনীল… ‘কাঁঠালবাগনে কিছুদিন কাজ করেছি‌লাম। পেট ভরে কাঁঠাল খেলেও আমার হাতে ঠোঁটে আঁটা লাগে না।’
নীলা… ‘কেউ কাউকে কিছুই মাগনা দেয় না। সবকিছুর মূল্য আছে। মূল্য চুকাতে হয়, কেউ চুকায় ধনে, কেউ চুকায় জনে, কেউ চুকায় মানে।’
আনীল… ‘চুকলি যে করে তার ভাগে চুকা আম পড়ে। চুকচুক শব্দে সংকেত থাকে, আশেপাশে নিশ্চয় চুকলিখোর আছে।’
নীলা… ‘চুকা আমশি খাওয়ার জন্য বেরিয়ে আজ বিপাকে পড়েছি।’
আনীল… ‘আমধুর আমড়ায় কামড়ে স্বপ্নের ধাপে পদচিহ্ন এঁকেছি।’
নীলা… ‘ভণ্ডে করে বাটপাড়ি, সাধুর সাথে পুলিসের আড়ি।’
আনীল… ‘মৃত্যুর পর আমি একলা যাব কবরে, বউয়ে কাঁদবে, ঝিয়ে কাঁদবে, কাঁদবে আত্মীয়স্বজন।’
নীলা… ‘বিচার কে করবে? সাক্ষী হুজুগে। পাপের বোঁচকায় টাকা আছে। রায় যে দেয় তার টাকার প্রয়োজন। ধনীরা উল্লাস করে। মৃত্যুর পর সত্য প্রমাণিত হবে। তা শুধু ধর্মাত্মার বিশ্বাস।’
আনীল… ‘কলসের জলে ডুবে অলসে বলে, আগুনে আরাম নাই, আমি দোজখে যেতে চাই।’
নীলা… ‘সমাজ নষ্টে হলে, বিচারে অবিচার হয়। সাধারণ মানুষ বেয়াড়ার মত ঘোরাফেরা করে।’
আনীল… ‘উঠতিবয়সে প্রেমে মজে মন যৌবন সব দিলাম তবু তোমার পরশ পেলাম না।’
নীলা… ‘আটাংলা বাঁশির সুর করেছে উদাসী, ও লো আউলাকেশী তোর বাঁশঝাড়ে আগুন লাগাব। মুখে সত্যের মন্ত্র বাঁশিওয়ালার কাজে দুনিয়ার সকল ষড়যন্ত্র।’
আনীল… ‘ভয়ত্রস্ত হয়েছি, বান্ধব নেই। মনের কথা বলতে ভয় হয়, নাজানি কোন দল করে?’
নীলা… ‘উদাসীর বাঁশিরে উদাস সুরে উদাসিন করলে, সুরের জ্বালায় জ্বলেপুড়ে বাঁশের ঝাড়ে আগুন লেগেছে।’
আনীল… ‘আগুনে আগুন নিবাতে হয়। তনেমনে যে আগুন লেগেছে তা নিবাতে হলে আগুন জ্বালাতে হবে। আগুনে জ্বলে সোনা খাঁটি হয়।’
নীলা… ‘সফল হয়েছ তুমি জান না সেই কবে আমি সম্পূর্ণ সাফল্যমণ্ডিত হয়েছি।’
আনীল… ‘শব্দ, আহা শব্দ। তুমি যখন নীরব হও তখন পরিবেশ নিঃশব্দ হয়। প্রেমিক যখন প্রতারিত হয় তখন সে হতবাক হলেও বুঝতে পারে, প্রতারকের হাত থেকে নিস্তার পেয়েছে।’
নীলা… ‘নিশারাতে কোকিল কু ডাকলে, ডাকের কথায় সুর মিলয়ে ডাহুকে ডাকে।’
আনীল… ‘তোমাকে কবিতার ভূতে জেঁতেছে। আহা, আমি বান্ধবী পেয়েছি। মানুষ একা থাকতে পারে না বলেই বিপদে পড়ে।’
নীলা… ‘কিছু নষ্ট সুষ্টকে বিনষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়েছে। সবাইকে সাবধান করতে হবে।’
আনীল… ‘আমি শান্তি চাই। সমাস্য হলো শান্তিবেগম স্বস্তির হাত ধরে দেশান্তরী হয়েছে।’
নীলা… ‘আমাদেরকে সামনে যেতে হবে। সামনে শান্তি এবং সুখের গন্তব্য।’
আনীল… ‘বিষয় আসলে খুব সহজ, কেন বললাম জানো? তোমার বোঁচকায় নিশ্চয় টাকা আছে। দিতে থাকলে ফতুর হয়ে চাইতে শুরু করবে।’
নীলা… ‘কিছু লোক আছে, যারা শেখার জন্য কাছে আসে। তাদের কোঁচড়ে শিখা থাকে। যা শেখার শিখে ওরা শিখা ফেলে যায়। ফলাফল শিক্ষকের ঘর জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়।’
আনীল… ‘তিক্ত সত্য বলি।’
নীলা… ‘শুনতে চাই।’
আনীল… ‘আমাকে ভুলা সহজ নয়, আমি কলিজার ভিতর লুকিয়ে থাকি। নির্জনে বসলে আমি কাঁদাই।’
নীলা… ‘আমিও খুনি কোকিলের মত লুকিয়ে থাকি। কলমে কালি ভরে লজ্জিকার লজ্জার বিষয় লিখতে পছন্দ করি না।’
আনীল… ‘কামে কামনা থাকে জানি কামরূপী কামিনীর কামগন্ধে কামীন কামান্ধ হয়।’
নীলা… ‘কামরিপু নিয়ন্ত্রণ করে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে হয়। তার জন্য ত্যাগ শ্রম এবং সাধনার প্রয়োজন। সফল হব নিশ্চয়।’
আনীল… ‘বিভ্রাটে পড়ে আমি বিভ্রান্ত হয়েছি, বিমণ্ডিত হতে পারি নি। বিভেদ লক্ষিত হয়েছে।’
নীলা… ‘নিষ্কর্মারা হাভাতে হয়। হাঘরে খাই খাই ভাব থাকে। দিশারি হতে হলে অহংকারী আত্মাকে হত্যা করতে হয়।’
আনীল… ‘আজকাল যা হচ্ছে তা প্রতিরোধ করতে হলে বোমা ফাটাতে হবে। অবিশ্বাস্য হলেও বাতাসে এখন পাপ। নিশ্বাস টানতে কষ্ট হয়। ক থেকে কথা হয়, কবিতা হয়। আর তা যখন কাল্পনিক হয় তখন কল্পনা করতে ভালো লাগে। মূর্খ থাকাই উত্তম, এতে পাপ কম হয়। জানো তো, মূর্খরা ইবাদতি করে বেশি এবং পাপ করে কম। খারাপ কিছু দেখলে সভয়ে বলে, মা গো পাপ হবে।’
নীলা… ‘মূর্খের রাগ সহজে উঠে না, আঁতে ঘা লাগলে ঘোঁৎ করে উঠে।’
আনীল… ‘আজকাল হুজুগ শুরু হয়েছে। কথায় কথায় দেশপ্রেম দেখায় আর তলে তলে দালালি করে। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।’
নীলা… ‘যারা মূর্খের সাথে মূর্খামি করে ওরা গণ্ডমূর্খ।’
আনীল… ‘রাতে দেখা করতে চেয়েছিলাম। তুমি তখন ঘুমের রাজ্যে ছিলে। নিশ্চয় মহাসুখে আছ?’
নীলা… ‘সুখ শান্তি সবাইকে দিয়ে নিজের জন্য স্বস্তি সঞ্চয় করেছি। সব নিয়ে যাও আপত্তি করব না। মনে রেখো, আমার স্বস্তি কেউ নিতে পারবে না। আমার আত্মায় মিশে স্বস্ত্যয়ন হয়েছে।’
আনীল… ‘কবিতার জন্য জংলায় যেতে হয়। বাতাসের সাথে কথা বলতে হয়। ওগো কবি, বাতাস এবং ফুল কলিরা তোমার জন্য অপেক্ষমাণ।’
নীলা… ‘মৃত্যুর ভয়ে মর্মাহত হতে চাই না। মৃত্যু আমার সাথে থাকে। অপমৃত্যু চাই না। প্রশান্তাত্মা স্বর্গে যেতে চায়।’
আনীল… ‘কবরের খবর যখন পাই তখন মন বিমনা হয়ে বলে, জীবন তো প্রায় শেষ, কী করলাম জীবনে?’
নীলা… ‘পুঁটি, সুপারি এবং ভাত পচালে দাম বাড়ে, মাংস পচলে শ্বাস কষ্ট হয়।’
আনীল… ‘পারতপক্ষে এবং প্রকৃতপক্ষে আমি নিরপক্ষ।’
নীলা… ‘স্বপ্নদর্শী তুমি, স্বপ্নের ভূবনে নিয়ে যাও, বাস্তব ভূবনে স্বপ্নের বাস্তবতা দেখতে চাই।’
আনীল… ‘নারীপ্রেমে পড়ে বেঘোরে মরতে চাই না। নরকে নারী মিলবে না। নরকে দণ্ডধারীরা মারধর করবে। আমি স্বর্গে যেতে চাই। স্বর্গে সুন্দরীরা প্রমোদসঙ্গিনী হবে।’
নীলা… ‘চিন্তায় পড়ে চিন্তিত হয়েছি।’
আনীল… ‘বেশি রাগলে রাগানেলে জ্বলে দুঃখ প্রকাশ হয়।’
নীলা… ‘ডাকের কথা আছে, কানায় কান খুঁজে পায় না আর কুঁজায় কুঁজি না পেয়ে কুঁজড়া হয়। এমন আহাল হয়েছে।’
আনীল… ‘আমার মন বাতাসে ডানা মেলেছে। স্বপ্নরা নীলাকাশে ভেসে নীল হয়েছে, আমার একটা স্বপ্ন। মাত্র একটা স্বপ্ন। স্বপ্নের হাত ধরে আমি বুড়া হচ্ছি। স্বপ্ন কি বাস্তব হবে?’

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কবে শেষ হবে?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: রাজীবভাই, আমার লেখা পড়ে আপনার সময় নষ্ট হচ্ছে জেনে সত্যি কষ্ট পাচ্ছি।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৬

নজসু বলেছেন:



আপনি মাঝে মাঝে খুব দামী কথা বলেন।
আজকে ভালো লাগলো- মূর্খের রাগ সহজে ওঠেনা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সুজন ভাই, ইদানিং মূর্খ থাকাই উত্তম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.