নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৭৫-৭৮

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৬



নীলা… ‘মনের পা দড়া দিয়ে বেঁধে বলেছ তুমি মুক্ত, যেতা যেতে চাও চলে যাও।’
আনীল… ‘গন্তব্য সামনে। পথ মাত্র দুটি। হাঁটতে শুরু করে বসতে চাইলে গন্তব্য বদলাবে। অলসের জন্য ষড়রিপুরা বোঝ হয়।’
নীলা… ‘আশা যখন নিরাশ হয় তখন কী হবে? আমরণের অর্থ কী অমরত্ব। এমন আশা আমি চাই না। আমি স্বর্গে যেতে চাই।’
আনীল… ‘লোভ এবং মোহ হলো স্বার্থসিদ্ধির আকাঙ্ক্ষাশূন্যের আসল কারণ। নির্লোভ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে মানা নেই।’
নীলা… ‘চাটুকার শক্তি ভক্তি, শত্রুর শক্তি বিভক্তি।’
আনীল… ‘জিহ্বা আমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণ করলে জান্নাতে।’
নীলা… ‘গৌণ আমি গুণান্বিতা হতে চাই।’
আনীল… ‘ষড়রিপুর নিয়ন্তা আত্মা, আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে অন্তর। অন্তর হলো অন্তর্যামীর আসন।’
নীলা… ‘আজকাল শাস্তারাও শাস্তিভোগ করে।’
আনীল… ‘সূরীর দহনে সূরির খাতা কলম জ্বলে ছারখার হয়েছিল মাঘ মাসে। তবুও মনে স্বস্তি পাই। সোয়েটার একটা কিনেছিলাম।’
নীলা… ‘আবেগ এবং মায়া কাল হলে কষ্টে ক্লিষ্টে হতে হয়। মনে রেখো, মানসীর হাতে কাঁথা এবং গ্রহায়ণের শেষে পৌষ শুরু হলে কাকুতি মিনতি করে বলতে হবে, ও গো কাঁথাওয়ালী, আমাকে কাঁথা দাও, বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে।’
আনীল… ‘মস্ত মস্তকের মস্তান, মসৃণ মাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল, মসূরিকার দাগ ছিল তার কপালে, মসনদে কে যেন বসতে চেয়ে উপুড়ে পড়েছিল, ধমাৎ।’
নীলা… ‘কবে যে তুমি ছৈয়া নায়ের নাইয়া হয়ে নাইয়রিকে নিয়ে যাবে? বর্ষা মাস শেষ প্রায়।’
আনীল… ‘স্বপ্ন বাস্তব হলে স্বপ্নদর্শী অবাক হয়। আমিও তাই হয়েছি। আমার মাঝে কোনো অনুভূতি খুঁজে পাচ্ছি না। মনে অনকে চিন্তা, চিন্তিত হই কী হবে ভবিষ্যতে? আমি জানি চিরদিন মাটির উপর থাকব না, মৃত্যুর পর নিথর দেহ মাটিতে মিশবে।’
নীলা… ‘ভাবুক দেখলে হাসি পায়। ওরা নাটক করতে পারে না। খালি ধরা খায়। সময়ের সাথে সব বদলে। শুধু সূর্য বদলে না।’
আনীল… ‘বাস্তবে আমি আমাকে খুঁজে পাই না। খুব কঠিন। পলকে হাবভাব বদলে। স্বার্থসংক্রান্ত ব্যাপারে লোকজন হিংস্র হয়। আমিও তখন নিরুপায় হয়ে আক্রামক হই। হয়তো এভাবে বাঁচতে হয়।’
নীলা… ‘হাবভাবে বুঝা যায় বাঁশঝাড়ে ভূত আছে। হরিণের দৌড় দেখে বুঝা যায় বাঘ দৌড়াচ্ছে। আসলে কী হয়েছে, কেউ যখন ভাব ধরে তখন আমার খুব ভালো লাগে, দূর থেকে তাকিয়ে ভাব ধরা শিখি। ভাবুনে হতে চাই। ভাব ধরতে হবে।’
আনীল… ‘আমরা মনে মনে একে অন্যের সাথে কথা বলি। মনের মানুষ মনে থাকে এবং মন সবসময় মনের মানুষের মঙ্গল কামনা করে।’
নীলা… ‘অক্লান্ত ছিলাম এখন সত্যি ক্লান্ত হয়েছি, মানে এক্কাবারে বেআক্কেল।’
আনীল… ‘আজকাল সাঁতরাতে হয় না, জলে ডুবলেই হয়, সব রসাতলে যায়।’
নীলা… ‘জলে ভাসলে কেমন লাগে জানতে চাই।’
আনীল… ‘সমাসান্ত হলেও সমস্যার শেষ হয় না।’
নীলা… ‘আমি কখনো কদম ডালে কোকিল বসতে দেখিনি, দেখিনি কখনো নিজের ডিমে তা দিতে। অন্য পাখিরা কোকিলছানা লা‍লনপালন করে, বার বার এমন হওয়ার পরেও পাখিরা নিরাশ হয় না।’
আনীল… ‘আকাশে একটা চাঁদ আছে, জলে ঝলমল করে তারার ছায়া। চাঁদিনি, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বিশ্বাস করি, সুখে থাকতে হলে অন্যের সুখের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যে অন্যের সুখের দিকে খেয়াল রাখে আল্লাহ তার সুখের দিকে খেয়াল রাখেন।’
নীলা… ‘তোমার পাশে বসে বর্ষায় ভাসান জল ভেসে ভাটিতে ভাসতে মন চায়। বাতাসে কদমের সুবাস, কোকিলা লুকিয়েছে বনে, পারঘাটে বসে মাঝি ঝিমায়। নির্জন নিরালায় বসলে মন একলা হয়, দোকলার জন্য মন আনচান আনচান করে।’
আনীল… ‘লোকে বলে কোকিল খাওয়া হারাম। হালাল হলে সেই কবে ঝামেলা শেষ করতাম।’
নীলা… ‘নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারব আমি জোট-নিরপেক্ষ।’
আনীল… ‘ছোটোখাটো ভুলের জন্য বেঁটেখেঁটে লোকটাকে নির্বাসনদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হয়তো আইনলঙ্ঘন করেছিল?’
নীলা… ‘টাকা থাকলেও কিনা যায় না ভালো বাসার অনেক দাম। পাগল ছাগল বাগান নষ্ট করতে পারে, সাজাতে পারে না।’
আনীল… ‘ভুল না হলে শুদ্ধ করার কিচ্ছু থাকে না।’
নীলা… ‘প্রয়োজনে পুকুর ঘাটে বসে মানববন্ধব করব।’
আনীল… ‘সমস্যা হলো, ভেকে ভিক্ষা মিলে বিধায় ওরা ভেক ধরে ধর্মের ব্যবসা করে। হাভাতের পাতে ভাত দিতে হলে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। গৈয়বি খাবার আসে না। ঘুমে অচেতন আমি জাগলে হই সচেতন। ভাবটা এমন, আমি তো সব পারি। ভব সাগরের পারে, হাতে নাই পারানি, অখন যাব কার দোয়ারে?’
নীলা… ‘লিখতে পারলেও কয়জন সাহস দেখাতে পারে? ভুখা বাঘের সামনে হাঁটা বোকামি নয়, সাহস এবং সাধনার কাজ, তাই নয় কি?’
আনীল… ‘ঠাঠা পড়ে কচুপাতার কপালে আগুন লেগেছে।’
নীলা… ‘কলাপাতায় পানি লয়ে ডুবতে চাও নাকি?’
আনীল… ‘আমরা মানুষ, মানুষ সবসময় সুখে থাকতে চায়। আশায় বিশ্বাস থাকলে তা বাস্তব হয়।’
নীলা… ‘বাস্তবিক হতে হলে যথেষ্ট সময় লাগে। বুড়া হওয়ার পরেও আমরা বাস্তবিক হতে চাই না। মন ছাওয়াল হতে চায়।’
আনীল… ‘এটা একটা বিরাট সমস্যা। আমিও বোকা কাকের মত কোকিলের দিকে তাকিয়ে থাকি, কিচ্ছু করার নেই।’
নীলা… ‘প্রেম খুব ভালো, বিচ্ছেদ এবং বিরহের মত বদ পৃথিবীতে আর কিচ্ছু নেই। ভদ্রলোকরা আমাকে ধমকায়। আমি নির্বাক থাকি।’
আনীল… ‘কামিনীর কান্তি এবং গন্ধে বিভ্রান্ত হতে চাই না। কামাক্ষীর মুখোমুখি হলে ভোগবিমুখ সাধুর মনেও সম্ভোগেচ্ছা জাগে এবং স্বেচ্ছাচারীরা কামরূপী হয়। জম্ভন যদিও অভীষ্টপূরক কিন্তু কামার্তরা কামান্ধ। পাশবিক অত্যাচারে পরিবেশ নষ্ট হয়।’
নীলা… ‘হ্যাঁ, চোঙা প্যাণ্ট পিনদিতে যা কষ্ট তার চেয়ে বেশি কষ্ট হাঁটার সময় তা মনে থাকে যেন।’
আনীল… ‘দুরাশায় নিরাশ হয়ে আশারা বহিষ্ক্রান্ত হয়েছে ঘোর নিদানে। বহিস্ত্বকে তেল মেখে চাকচিক্য এবং অলীক দোষ আবিষ্কার করতে চেয়ে, নশ্বর আমি মাটির পুতুলের আদলে আবিষ্কৃত হয়েছি।’
নীলা… ‘মনে রেখো, ব্যপ-হরণ আসলে জঘণ্য পাপ এবং পরের লাভে লোভ করলে ক্ষতি হয়। লোভকে ব্যবকলন করাই উত্তম।’
আনীল… ‘প্রহেলী ফিরে আসার পর প্রহেলিকা নাচতে শুরু করেছে। ভাবছে প্রহেলী ওকে পার করবে। ও জানে না প্রহেলী নিজেই জ্বলে পুড়ে অলাত। প্রহেলী ভেবেছিল আমাকে কাবু করেছে। আমি আসলে সুর তাল নিয়ে ব্যস্ত। আর ও ভাবছে আমাকে বস্তাবন্ধি করেছে।’
নীলা… ‘ভাঙতে পারে রেগেমেগে জুড়তে পারে না কেঁদে। হায় রে জর্জেট, তোরে গতরে টেনে আমি দোটানে পড়েছি।’
আনীল… ‘অত্যাগসহন বন্ধু আমি বঁধুর বিরহে বিধুর। প্রাণচঞ্চল হতে চাই আমি সংশয় সংকটে আছি। জীবনীশক্তি ফুরাতে চায় আশার আলো নিবতে। প্রাণান্তিক বেদনায় ব্যথিত মন প্রাণাধিক প্রিয়ার বিধূবদন দেখতে চায় নীরব নিশায়।’
নীলা… ‘চাঁদে গ্রহণ লেগেছে। সূর্যের মনে অনেক কষ্ট। কী যেন কী বলেছিল বালিহাঁস, আমি ভুলেছি। রোগে জর্জর, দুঃখে জর্জর বেয়াড়া এখন কশাঘাতে জর্জরিত হবে। তাই তো বটে হু, বাজের বাজখাঁই গলার মোলায়েম সুর শোনলে পাগলা যেতে মন চায়।’
আনীল… ‘সমস্যা হলো আমি ভালোমানুষ হতে চাই এই জন্য হাজার হাজার ভক্ত নেই। নইলে সেই কবে তুলকালাম কাণ্ড ঘটতো। তো যাক, মাত্র কয়েকটা দিন, পরে কবরে ঘুমাতে হবে এই ভেবে ক্লান্তিকে বলি তুই একটু বিশ্রাম কর, সেই কবে আমি ক্ষান্ত হয়েছি।’
নীলা… ‘বারো হাত শাড়িতে মাত্র আড়াই প্যাঁচ। জিলাপিতেও আড়াই প্যাঁচ। আমি মাত্র একটা প্যাঁচ দিয়েছি। পেঁচায় বলে আমি প্যাঁচের খবর জানি না। সমস্যা হলো, নাড়িতে কত প্যাঁচ আমি জানি না তবে কেমনে গিঁট দিতে হয় তা জানি। হয়তো প্যাঁচের কারণ।’
আনীল… ‘এমন ভাব প্রকাশে অন্যরা বিভ্রান্ত হবে, আমি নিশ্চয় ভ্রান্ত পথে আছি।’
নীলা… ‘তুমি নিশ্চয় জানো, গরিবের জন্য প্রেম দণ্ডনীয়। ধনীর প্রেমে পড়লে গরিবের অকালমৃত্যু হয়।’
আনীল… ‘মৃত্যুর জাত নেই। নির্দিষ্ট সময় অজাত বজ্জাতকে স্পর্শ করে। তদ্রুপ প্রেম। প্রেম বাতাসে থাকে এবং আমরা নিশ্বাস টানি। মৃত্যু এবং প্রেমের স্রষ্টা কে?’
নীলা… ‘কী বুঝাতে চাও?’
আনীল… ‘মনকষা এবং কষাকষি ভুলেছি। আকাশের দিকে তাকিয়ে ফলাফল দেখলে মনে হয় কেউ হয়তো হিসাব মিলাতে বসেছে। হিসাবের খাতা এখন আর খুলে দেখি না। এত বাকি পড়েছে, হয়তো আরেক বছর বেসাত করতে পারব। তারপর টুকনি হাতে নিয়ে বেরোব। দয়া করে একটু বেশি ভিক্ষা দেবে।’
নীলা… ‘আমি প্রশ্ন করেছিলাম?’


প্রথম প্রকাশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: অন্য কিছু পড়তে চাইলে এখানে অনেকিছু আছে

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপন্যাসটা কি এরকম শুধু সংলাপের ভেতর দিয়েই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, তাদের লেনদেন বেশি বিধায় এভাবে কাজ করতে হয়েছে। আমারও খুব কষ্ট হয়েছে শেষ করতে।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য প্রেম শেষের দিকে। আহা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আর মাত্র কয়েকদিন তার পর মহযন্ত্রণা শুরু হবে ;)

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত ডায়ালগের ফলে, প্লট বুঝা বেশ কঠিন হতে পারে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি তা ঠিক, শেষের দিকে ঠিকাছে। সংলাপ নিয়ে আমি নিজেই বিপাকে পড়েছিলাম, কতবার যে পড়তে হয়েছে।

আপনি আসলে ভালো গল্প লিখেন। আমিতো দায়ে ঠেকে এবং মৃত্যুর ভয়ে অসমাপ্ত কাজ শেষ করেছি। এখন অন্তত কেউ না কেউ ঠিকঠাক করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.