নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য প্রেম (উপন্যাস) পৃষ্টা ৭৯-৮২

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪




আনীল… ‘শক্তি এবং সম্পদ সবাই চাই। ক্ষমতার লোভে মানুষ অক্ষম হয়। বোড়া সাপের বিষ হয়তো কয়েকজন হজম করতে পারে। আমি বিষাক্ত হতে চাই না। বাস্তবে যা হচ্ছে তা সত্যি ভয়ঙ্কর। তবে সত্য হলো, বাঘের মনেও ভয় আছে।’
নীলা… ‘তুমি হয়তো বাতাস গিলে মাতলামি করো? আড়ালে ছিলাম, আবডালে চলে যাব। আর কত দূর গেলে প্রতিকূল অনুকূল হবে?’
আনীল… ‘গান গাওয়া, শোনা এবং লেখা হারাম। সুরের জন্ম কোথায়? কোন পাখি সুরে সুরে ডাকে? মানুষ কেন গান গায়? এতসব আমি জানি না। শুধু এতটুকু জানি, সর্বহারা হলে আপসে মুখে দিয়ে কষ্টের কথা সুরছন্দে বেরোয়। তা গান হলে, সেই পাখির গলায় দা লাগাব যে পাখি সুরে সুরে ডাকে। আমি গান গাইতে পরি না। কিছু গান শুনার পর গান গাওয়ার জন্য মন বায়না ধরে। আমি তখন মনকে কানেকানে বলি, আমি সর্বহারা নই। আমার সব আছে। যারা গান গায় তাদের দুঃখ দূর হোক এই কামনা করি।’
নীলা… ‘নদীর ভাঙনে যারা সর্বহারা হয় তারা জানে প্রিয়জন এবং আপনজন হারানোর ব্যথা কী। নির্ধন হলে হারাম কেন হালাল হয়? নিরুদ্বিগ্ন নিরুক্তি চাই।’
আনীল… ‘নিরুদ্যমে নিরুত্তর হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত, এমন মারাত্মক ভুল আর হবে না। কেন যে বয়সের সাথে বুদ্ধি বাড়ে না?’
নীলা… ‘তুমি অপরাধ করেছ, কদ্দিন পর দণ্ড পাবে। আমি তোমাকে ক্ষমা করলাম। বৃদ্ধকে বুড়া বললে পাপ হয়। নিশ্চিয় বলতে পারব, তুমিও বুড়া হবে।’
আনীল… ‘সামাজিক হতে পারলাম না। আর হতেও পারব না। আফসোস করে লাভ হবে না। সামাজিক হতে হলে যথেষ্ট সম্পদের প্রয়োজন।’
নীলা… ‘শব্দের অভাবে মানুষ বোবা হয়। গান শুনতে ভালো লাগে, সবাই গান গাইতে পারে না। গান লেখা খুব সহজ, শব্দ জানা থাকলে। সুর বাতাসে ভাসে, ধরতে সাধনা লাগে।’
আনীল… ‘নিশা মহানিশা হলে লেখার নেশা চরমে উঠে। হে অভিধান, তুমি আমাকে অধম করেছ। আগে বাংলা পড়তে পারতাম এখন খালি কোঁথাই। আমার বিশ্বাস আস্তেধীরে সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। বোরার ভিতর বোড়া সাপ।’
নীলা… ‘আমি জানি না তুমি কী বুঝাতে চেয়েছ। জীবন শেষ হলে জীব নিথর হয়। মারামারি জীবের মজ্জাগত দোষ।’
আনীল… ‘ভাবতে ভাবতে অভীক হয়েছি ভাবুক আমি এখন শব্দে ভাব খুঁজে পাই। চিন্তার কারণ নাই। অন্যরা আধুনিক হয়েছে, তুমি হয়েছ অত্যাধুনিক, তা কি জানো?
নীলা… ‘ও মন, মরবে তো মর একটু নাচানাচি করে মর।’
আনীল… ‘একান্ত কামনা, তীব্র আকাঙ্ক্ষা, একান্তভাবে ইচ্ছু, অভীষ্ট লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষিত বস্তু, আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং বাঞ্ছিত শব্দের ব্যাখ্যাতে যা বুঝেছি তা হলো, তোমার প্রেমে মজে আমি মজাদার হয়েছি। চাইলে মৌজ করতে পারবে অথবা মজা দেখাতে পারবে।’
নীলা… ‘চিন্তার কারণ নেই, পরে তুমি হাড়েহাড়ে মজা টের পাবে।’
আনীল… ‘বিবেক ব্যবহারে মানুষ উচিত এবং অনুচিতের পার্থক্য নির্ণয় করে। বিশ্বসা করো, বিবেকবান হয়ে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে চাই। সমস্যা হলো এসব শুনলে আমার মাথার ভিতর ব্যথা শুরু হয়।’
নীলা… ‘নিজে নিজেকে হেনস্তা করি। তারপরেও অপবাদ পেয়ে সব মেনেছি। বিধিবাম হলে ঝামেলায় পড়তে হয়। সত্যি বলছি, শান্ত মনে স্বস্তি চাই।’
আনীল… ‘অনেকে মনে করে ভালোবাসার অর্থ সন্ন্যাস। ভালোবাসার ক্ষেতে সেই কবে আগুন লেগেছে। ভালো বাসা ভাড়া করে অবশেষে টাকা পয়সা শেষ হয়েছে।’
নীলা… ‘তাই নাকি?’
আনীল… ‘মনের সাথে মন বেঁধে সাথি হয়েছি গো সখী ভালো বাসা ভাড়া করার জন্য তোমাকে বরণ করতে চাই আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
নীলা… ‘হায়রে সন্ন্যাসী।’
আনীল… ‘মাঝে মাঝে ঠেলাঠেলি ভালো লাগে। ঠেলাঠেলি না হলে বল বুঝা যায় না। বল প্রয়োগের স্থান জংলা নয়। এখানে দক্ষতা দেখাতে হয়। আমাদের মনে আবেগ এবং বুকে বিবেক আছে। আশা দুরাশায় হতাশ্বাস হয়েও মন নিরাশ হয় না। আশার নাকি শেষ নেই।’
নীলা… ‘চায় দুর্বা পেয়ে খুশি হয়েছিলাম। বদের বদনজর লেগেছিল। চিন্তা কারণ নেই। কাজল পুড়িয়ে কপালের মধ্যখানে টিপ দিলে আলাই বালাই পালাবে। আমি টিপ দেই না বিধায় আমাকে বিপাকে ফেলে বদরা হাসে।’
আনীল… ‘যমে মানুষে টানাটানি করে নাভিশ্বাস উঠেছে। ডাক্তারের শেষ কথাও শুনা হয়েছে। তার পরেও ঘাটেরমড়া বাঁচতে চায়। এ কেমন ভেলকি, তা কেমনে সম্ভব? আমার মাথা ঘুরাচ্ছে। কাপনে আতর লাগিয়ে কী প্রমাণ করতে চাও?’
নীলা… ‘আলেয়ার হাত ধরে আলো কখনো আসতে পারবে না। লণ্ঠন জ্বালাতে হবে। আলেয়া একটা ভ্রম। তা যে অনুসরণ করে সে বিভ্রাটে পড়ে বিভ্রান্ত হয়।’
আনীল… বিধূয়মান মনে দোটান থাকলে কুঁড়াজাল ঠেলে মাছ ধরা যায় না।’
নীলা… ‘আজ জানলাম কোষ্ঠকাঠিন্যে কুঁজড়া কেন কোঁথায় এবং কোদালিয়া কেন দিনমান কোদলায়।’
আনীল… ‘অবশেষে আমিও বিশ্বাস করেছি, পাপের প্রাপ্য প্রায়শ্চিত্ত এবং প্রেমের প্রাপ্য ভর্ৎসনা।’
নীলা… ‘জীবন থামে না, সময় থামে না, থামে না জোয়ারের পানি, তাইলে আমি কেন তিরস্কৃত হয়ে থামব?’
আনীল… ‘আমি নদীর পারে বসে মনে মনে ভাবছিলাম, তুমি কেন আজ আসনি? বাতাস কানে কানে বলেছিল, ঘুরপাক খেয়ে তোর বঁধু পাকঘরে বিপাকে পড়েছে।’
নীলা… ‘ফাঁদে পড়ার আগে কাঁদলে, পা জখম হয় না। আগে নিশ্চয় নাচানাচি করেছিলে?’
আনীল… ‘চাঁদে একটা গাছ আছে, পাতাও আছে, নেই ফল, ফুল ধরে মাটিতে। আমি তাকে কতবার ছুঁয়েছি। অন্তরে যা অনুভব করেছি তা কখনো প্রকাশ করতে পারিনি। আমি অভাবি। ভাবুক হতে চেয়ে বোকা হয়েছি।’
নীলা… ‘আসল সত্য হলো, লোভ। কাম আমাদেরকে কাবু করে।’
আনীল… ‘স্বপ্নকে সোনার খাঁচায় ভরেছি। শব্দকে পাহারায় বসিয়ে বলছি, রা শব্দ শুনলে বাণ মারবে। আমি স্বপ্নদর্শী। যেকোনো মূল্যে স্বপ্নেকে সফল করতে হবে।’
নীলা… ‘কামে থেকে কামনা। পরে তা কামড় হয়। আহ কষ্ট। কষ্টে ক্লিষ্ট হলে চোখে ভেলকি লাগে।’
আনীল… ‘মানুষ ছাড়া অন্য সব জীব অন্ধকারে দেখতে পারে। আমি জানি। শুধু মানুষ পারে, অন্য জীবরা অন্ধকারে আল্লাহর মহিমা দেখতে পায় না।’
নীলা… ‘হ্যাঁ, তা আমিও জানি। তোমার কাজ তুমি করো, আমার কাজ আমি করব।’
আনীল… ‘এই জন্য তোমার সাথে আমার বনিবনা হয় না। তুমি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকো এবং মনে এমন ভাব অন্যে সব কাজ করে দেবে। আমার নিজের মন মান আছে এবং পেট পিঠ আছে। নিজের ভার বইতে পারি না।’
নীলা… ‘ভাবে ভাবার্থ এবং শব্দার্থ ঠিকাছে। যে যেমন ভাবে সে তেমন ফল পায়। আমি হিংসাত্মক কাজ করি না, যা আমাকে ধ্বংস করবে। যারা নিজেকে সম্মান করে না তাদেরকে কেউ সম্মান করে না। সব কল্পনাবন্দি করেছি। দম যখন নাকের কাছে আসে তখন সবাই সময় চায়।’
আনীল… ‘মগজ কাজে লাগালে সুখিত হবে। সুখিনীরা অসুখির বাসরে আসে না। মনে লোভ থাকলে মানুষ মোক্ষ লাভ করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে পাপ এবং শাপমোচন না করে। ক্ষমার লোভ এবং অহংকারকে ধ্বংস করার সংক্ষোভে লাভ-ই-লাভ।’
নীলা… ‘আজ বিশ্বাস হয়েছে, তুমি আসলে ভাদ্রের মেঘ।’
আনীল… ‘ভাদ্রের মেঘ গন্তব্যে পৌঁছে। আক্ষেপ না করে আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করলে ফল হবে।’
নীলা… ‘চেষ্টা করার জন্য চেষ্টা করব। তা হবে জীবনে, যা লেখা আছে আমার কপালে।’
আনীল… ‘মাঝে মাঝে সত্যি কষ্ট হয়। কষ্টকে ভুলার জন্য বেরিয়ে কষ্টে ক্লিষ্ট হই। আহ, কষ্ট হয়। কিছু করার নেই। কবর সামনে এবং কেউ সাথি হবে না।’
নীলা… ‘আচম্বিতে কথার কারণ জানতে পারব?’
আনীল… ‘স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করলে সব যান্ত্রিক হয়। কবরে ঘুমাব এবং হাসরে সবাই এককাট্টা হব। স্বর্গ অথবা নরক হবে গন্তব্য। অদ্য আমি শ্বাসসংযম করি। হাতে অনেক সময়। ধেয়ানে বসে চিন্তা করতে পারি।’
নীলা… ‘তারপর কী হয়েছিল, সে রাতে সূর্যের সাথে কারো দেখা হয়নি, তারারা অভিমান করেছিল। হায়, বাসরে বসা বরের বদন দেখা হয়নি। গন্তব্য নিশ্চয় স্বপ্নীল হবে।’
আনীল… ‘অবশেষে দেশ গণতান্ত্রিক হয়েছে এবং আমিও ভালোমানুষ হয়েছি। তারপরেও বোকারা ঠকা খায়। গরিবের জন্মই হয় ধনীর সেবা করার জন্য। আমার সাথে একমত হতে হবে না। সহিংস্রকে সিংহে সমিহ করে। অহিংসকে বানরে দৌড়ায়। এই হলো বাস্তবতা।’
নীলা… ‘ভালো মানুষের মাথায় বাড়ি মারতে পারলে বুঝতে পারবে তুমি ভালোমানুষ হতে পেরেছ।’
আনীল… ‘ভালো মানুষ এবং ভালোমানুষ দুই বিষয়। ভালোমানুষের মাথায় বাড়ি মারার আগে নিজের মাথায় বাড়ি পড়ে। ভালোমানুষ হতে হলে যথেষ্ট ত্যাগ করতে হয়। সত্য প্রতিষ্টিত করার জন্য মিথ্যাকে ব্যবহার করতে হয়। ভালোমানুষ বুক ভরে শ্বাস টেনে বলে, আমি বিশ্বাস করলাম আমার জন্ম হয়েছে অন্যের উপকার করার জন্য।’
নীলা… ‘আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, আমার মাথায় বাড়ি মারতে পারবে না। আমি মামলা করব।’
আনীল… ‘আসলে কী হয়েছে, আমার পেটের ভিতর সমস্যা হচ্ছে, গ্যাস্ট্রিক অথবা বয়সের ভার। ভাঁড়ের ভিতর কী আছে না জেনে মন খালি ভাঁড়াম ভাঁড়াম করে।’
নীলা… ‘তোমাকে এখন যা করতে হবে তা হলো, মনকে স্বাধীনতা দিয়ে কলমকে বলো, আখি জল কালি হয়েছে তুই লিখতে থাক, সত্য এবং বাস্তবতা।’


প্রথম প্রকাশ ২০/১২/২০১৭
Copyright © 2017 by Mohammed abdulhaque
ISBN-13: 978-1982087326

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: শক্তি সম্পদ আমার চাই না। এসব আমি কোনো দিনই চাই না।
দুনিয়াতে যার সম্পদ কম আখেরাতে তার হিসাব কম।

আমার কোনো সম্পদ নেই। আমি তো চ্যাল চেলাইয়ে বেহেশতে যাবো। হে হে

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: তাই যেন হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.