নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজিবাবা ৫ পর্ব

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২১


গল্পকার মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

আত্মসাধকের সার্থক ভালোবাসার গল্প ...

"আঁতুড়ঘরে আমরা কেঁদেছিলাম। আমাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মা আনন্দাশ্রু ঝরিয়ে সস্নেহে বুকে জড়িয়েছিলেন। লাশকাটা ঘরে আমাদের সাথে কেমন ব্যবহার হবে তা আমরা জানি না। জন্মের পর শিশুরা কাঁদে। মৃত্যুর পর মৃতরা নিথর হয়। জন্ম এবং মৃত্যু সম্বন্ধে আমরা জানতেও চাই না। নাবালকরা নিষ্পাপ। বালক হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় অন্তরের কুমন্ত্রণা এবং ষড়রিপুর যন্ত্রণা। অদৃশ্য শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। ষড়রিপুকে আমরা চোখে দেখি না। অন্তর আত্মাকেও আমরা চোখে দেখি না। সম্পদশালী অথবা শক্তিশালী হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয় না, পরিবেশে যথেষ্ট তথ্য এবং উপাদান আছে। তখন সমস্যার শুরু হয় যখন স্রষ্টার আদেশ নিষেধ মেনে অবশ্যকর্তব্য পালন করতে হয়। বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীর মধ্যে পার্থক্য অত্যন্ত স্পষ্ট, বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে মৃত্যুর পর শেষবিচারের জন্য পুনরুজ্জীবিত হবে। অবিশ্বাসীরা শেষবিচারে বিশ্বাস করে না। সুখশান্তি, সম্পদ এবং শক্তি সকলে চায় কিন্তু সিংহের সাথে হিংস্ররাও হাতাহাতি করে না। সাধ্যসাধনায় মানুষ সাত্ত্বিক হয় এবং সাত্ত্বিক জীবনযাপনের জন্য সাধনা করতে হয়।”

নির্বাক নদী অবাকদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে এবং দ্রুত হেঁটে হৃদয় ভিড়ে আড়াল হলে পরিবেশে গানের সুর ভাসে…

“রঙঢঙ ভাঁড়ামি করে কোমরে ধরাইলাম, শেষবয়সে কর্মদোষে দোষী হইলাম, লাভের আশায় মূলধন খোয়াইয়া হইলাম ফতুরালি। দিন থাকিতে নিদানের চিন্তা না করিলাম, ফজর পড়ার লাগি এশার পরে না ঘুমাইলাম, চোরচোট্টার লগে আড্ডা মারি ছয় রিপুরে করিলাম শক্তিশালী। রূপে মজে বউনি করিলাম কামিনীর লগে, সাউকার না চিনে পাইকারি দরে করিলাম বিকিকিনি, বিনামূল্যে নিলো বস্তা ভরি না বুঝিলাম চাতুরালি।"

গান থামলে নদী চিন্তিত হয়ে বাসায় ফিরে যায় এবং বৈকল্পিক নিয়মে দশ বছর গত হয়। পৌষের সকাল। শীতের প্রকোপে গাছের পাতারা নিস্তেজ। বাসার সামনে নয়নাবিরাম বাগান। সামান্য জমিতে মনোময় বাগানে তন্ময় হলে, পরিবেশের দৃশ্য দিগন্তের সীমায় মিশে। চিরসবুজ লতা এবং শীতকালিন ফুলগাছের দিকে তাকালে দৃষ্টিভ্রম হয়। বিভ্রমদৃষ্টে তাকালে মনে হয়, ফুলপরীরা ভ্রমরীর সাথে আড়ি দিয়ে মধুচুরের সাথে মিতালিতে মত্ত। অভিনব ফুল ফলে বাগান সুসজ্জিত। কদমতলে এক জোড়া চেয়ার এবং একটা টেবিল। অভ্রনীল শাড়ি পরিহিত নদী সিঁড়ি বেয়ে নেমে গুনগুন করে বাগানে হাঁটছিল…

"ছকড়া-নকড়া করে নিছক খেলায় সময় নষ্ট করলাম, আজো নিখুঁত আমি তার খুঁজ না পেলাম, কমনীয়তা কমতে শুরু করেছে রূপালাবণ্যে আগের মতন আর ঝলক নাই। সম্পূর্ণ নীরব পরিবেশে বাতাস নিস্পন্দ হতে চায়, তার বিরহে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন হয়ে আমি আবিষ্ট হই, নিটোল গালে টোল পড়েছে আমার বয়সে ধরেছে ভাটি, তার খুঁজে কোথায় যাই?”

পরিচাকিরা চা রেখে দ্রুত চলে যায়। বাম হাতে ধরা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে ডান হাতে চেয়ার টেনে বসে ডান হাতে কাপ ধরে মুখের কাছে নেয়। এমন সময় গেট খুলার শব্দ হয়। নদী সামনে তাকিয়ে কপাল কুঁচ করে।

“সাধ্যসাধনায় হব সত্যদ্রষ্টা, স্রষ্টাই একমাত্র উপদেষ্টা।" বলে এহরাম পরিহিত হৃদয় বাসায় প্রবেশ করে। আধহাত লম্বা দাঁড়ি। খোঁপা বাঁধা চুল। কাঁধে ঝুলি, হাতে যষ্টি। নদীর দিকে তাকিয়ে উচ্চকণ্ঠে হৃদয় বললো, "দৃষ্টি, নত হও। দৃষ্টে ধৃষ্ট হলে দুরদৃষ্টে ক্লিষ্ট হব।"
নদী চমকে উঠলে, চলকে চা কোঁচড়ে পড়ে। কাপ টেবিলের উপর রেখে, তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললো, "অনুপদিষ্ট আমি অনুদ্দিষ্টের জন্য প্রতিদিষ্ট হয়েছি।"
"অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিরুদ্দিষ্ট ছিলাম আমি নির্দিষ্ট সময় এসেছি।" বলে হৃদয় অগ্রসর হয়। অপলকদৃষ্টে তাকিয়ে নদী বললো, "ঋষির দৃষ্টিসীমায় ঋষ্টি হয়েছে। এমন হওয়ার কথা নয়।"
"উপদিষ্ট আমি অন্যের অভীষ্টলাভের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করি। উপোসে ষড়রিপু নিষ্কল হলে মহর্ষির সাথেও মনকষাকষি হয়।"
"নিশ্চয় ঋষিপ্রোক্ত বাণী?"
"দৈবদোষে ঋষি হয়েছি।"
“সর্বাদৃত হতে চেয়ে অনাদৃত হয়েছি। সর্বার্থসিদ্ধির জন্য সত্বর ধর্মকর্মে ব্রতী হতে হবে।” বলে নদী মাথা দোলায়। আকাশের দিকে তাকিয়ে হৃদয় বললো, "পিপাসী পাপিয়া বাতাসে ভেসেছে, বজ্রনির্ঘোষে মেঘ হবে বৃষ্টির ফোঁটা। হে আলতা, কবে তুমি রাঙা বধূর গালে লেপটে খিল খিল করে হাসবে? অশ্বশক্তি তুমি অভিশাপ, তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাষ্পের প্রয়োজন হয়। জলপ্লাবন হলো অসহায়ের আঁখিজল, খরা হলো অনাথিনীর দীর্ঘশ্বাস। বর্ষাকে অভিশাপ দিলে ভাদ্রে হাওর ফাটবে, মাছের ডিমে তুষ থাকবে, চাষার হাড়িতে কাঁকর করকর করবে, কাঁকরোলের ফুলে থাকবে বিষ। তোমাকে ভালোবাসে আমি বিষাক্ত হয়েছি। নির্বিষ হওয়ার জন্য খড়িশের বিষ গিলে দাঁড়াশের সাথে মিতালি করতে হবে।”
"আমি বিশ্বাস করি, কবিতা হলো পরিপক্ক মগজের কাজ।"
"কবিতা কত প্রকার এবং কী কী? যারা বিশ্লেষণ করতে পারে ওরা কবিতা পড়তে এবং লিখতে পারে না। আমি কবিতা পড়ি না। যা পড়ি তা হলো ভাবুকের ভাব অথবা আবেগ। ইদানীং হয়তো বাজারে যাওনি। কেউ হয়তো তোমাকে বলেনি, আত্মহত্যা করার জন্য কবিতারা বনবাসে অথবা কালাপনিতে গিয়েছে। হয়তো তোমার সাথে কাজিয়া করেছিল?"
"কুসংস্কার এমন এক অভিশাপ যা সভ্য এবং শিক্ষিত মানুষকেও কুঁকড়ে দে‌য়। নারী বন্দিনী নয়, নারীরা স্বাধীনতার মাধ্যম, এই সত্যে যারা বিশ্বাস করে ওরা স্বাধীনতা ভোগ করে আর যারা বিশ্বাস করে না ওরা পরাধীন। স্বামী স্ত্রীর প্রেম হলো স্বর্গিয় এবং স্ত্রী হলো প্রকৃত প্রিয়তমা, স্ত্রীর হাতে ধরে স্বামী স্বর্গে প্রবেশ করবে।”
"বাগ্বিদগ্ধ কবিতায় বিমুগ্ধ হয়েছিলাম, শব্দ এবং ছন্দের ভাবে হয়েছিলাম বিভোর, গুণীর কাছে নালিশ করেছিলাম, বেজির লেজ কবচে ভরে অবৈধ বৈদ্যে তাজিব দিয়েছিল, লীলাবতী বলেছে আমার মনে লোভ আছে, গুণ্য কবির কবিতায় আছে নেশা, আমি মাতাল হতে চাই না। ওগো গুণময়ী, গুনগুন করে তুমি আমাকে গুণ করেছ। গুণের প্রভাবে আমি তোমার ভক্ত হয়েছি, প্রগুণে গুণান্বিত হতে পারিনি।”
"বেপরোয়া পড়শিরা বলে আমার কল্লার ভিতর কেড়া ঢুকছে।”
"হাতির শুঁড়ে ছিদ্র করে বাতাসে সুর ভাসিয়ে, কানার হাতে মণি দিয়ে বাজারে পাঠিয়েছিলাম। ঝড় ঝঞ্ঝাট থামলে আধলায় বলেছিল মোহন সুরে সম্মোহিত হয়েছি, নাদাপেটা বলেছিল অনেক দিন পর আজ পেট ভরে ভাত খেয়েছি।"
"দৈবশক্তিবলে নিশ্চয় ষড়দর্শনে দার্শনিক হয়েছ?" বলে নদী অপলকদৃষ্টে তাকায়। হৃদয় চোখ বুজে বুক ভরে শ্বাস টেনে চোখে মেলে বললো, “বিদ্যাবত্তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিশয় স্ত্রীবশ্যরাও উপসেবক হয়ে বেপাড়ায় ঘুর-ঘুর করে। শণ্মাসে শাস্ত্রজ্ঞ হতে চাইলে মাথায় ঠাঠা পড়ে।"
"খটোমটো ভাষা আমি বুঝি না। মাথা নষ্টের মন্ত্রে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। রাজমিস্ত্রিরা কামতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হতে পারলেও তান্ত্রিকরা রাজমিস্ত্রি হতে পারে না।" বলে নদী মাথা নেড়ে কোঁচড় তাকিয়ে হতাশ হয়ে কাঁধ ঝোলায়। হৃদয় শরীর কাঁপিয়ে হেসে বললো, "কেমন আছ?”
"মৃত্যুর অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ হয়ে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম তুমি আর আমাকে বরণ করবে না।"
"চাইলেই গোভাগাড়ে যাওয়া যায় না। কৃতকর্মের ফলভোগ করার জন্য আমি সর্বস্বান্ত হয়েছি। তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে সফলতা তোমার সাথে প্রতারণা করেনি।"
"সব পেয়েও আমি কিছু পাইনি, আমার মন চুরি করে তুমি মনচোর হয়েছ।"
“শাস্তিভোগের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম, বাদিনী হয়ে তুমি আমার নামে মামলা করনি।"
“আজ আমি বাঁদি হয়ে তোমাকে বন্দি করব। আমার বাসরে আসো।"
"নাশবন্দি করতে চাও নাকি?"
"দীর্ঘচুলে পায়ে শৃঙ্খল দেব। দীপ্যচোখে দীপ জ্বালিয়ে চৌহদ্দার জন্য মনকে কাঁচ বানাব। নজরদারির জন্য আত্মাকে পাহারায় বসিয়ে আমি মনের মতন সেজে তোমার মনোরঞ্জন করব। আমার জেল্লায় আজ তুমি সমুজ্জ্বল হবে।"
"আমার পরাণের পরাণ, তোমারে না দেখলে আমার পরাণ তাতায়, চোখে খালি লাল নীল দেখি। আমি নিশ্চয় রঙকানা হয়েছি?"
"ভয়ের কারণ নেই, অমাবস্যায় চন্দ্রগ্রহণ হলে দিগ্দর্শনের জন্য লণ্ঠন জ্বালাব।"
"নারীরা যে অলোক সুন্দর তা আগে জানতাম না।"
"এখন বুঝলাম কল্পনারা কেন বিকল্পধারায় চলে।"
“দিনদগ্ধা ক্ষণে শুভকাজ নিষিদ্ধ জেনেও আমি প্রকাশ্যে বসে প্রতিদিনের বিবরণ খাতায় লিখতাম এবং বিশেষভাবে চিন্তা করে জেনেছি, দিনের শেষে বিশ্রাম না করলে ওঝা বৈদ্যরাও ব্যাধিগ্রস্ত হয়। অপ্রিয় হয়ে জেনেছি, দিনে দিনে তুমি প্রিয়দর্শিনী হয়েছ।”
"পরিদৃশ্যমান দৃশ্যের নির্দেশক এবং পরিদর্শক হলে তুমি। মেঘডুম্বুর শাড়ি পরে ফাঁড়ায় পড়েছি আমি।”
"তুষে অনল জ্বলে, তুষারপাত হলে দীর্ঘশ্বাস বরফ হয়। পাতে তুস দিলে হাভাতেরা সন্তুষ্ট হয় না। নোনতা পানি পান করলে তৃষ্ণা বাড়ে জেনেও আমি দুঃখের সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলাম।”
“কদ্দিন আগে বিয়েবাড়িতে প্রবেশ করে বহুড়ির পাশে বসা বাহাত্তুরে বুড়োকে আশীর্বাদ করে আক্কেলগুড়ুম হয়েছিল। গালে হাত দিয়ে চিন্তিত হলে ক্যাট ক্যাট করে কেউ বলেছিল, কাটাকাপড়ে পেটিকোট বানাতে হলে কাটারি হাতে নিতে হয়। আজ তোমাকে দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছি, চুরির উদ্দেশ্যে তোমার গাঁট কেটে সামঞ্জস্যচ্যুত হতে চাই।"
“তুমি হয়তো জাননা, তোমার রূপ তিমিরনাশক হয়েছে এবং স্মৃতিরা হয়েছে দীপ্তিশালী। ইষ্টকর্মে উদ্দিষ্ট হতে চেয়ে আমি নিজের অনিষ্ট করছি।”
“বিশ্বাস করো, তোমার ভাবপ্রকাশে আবেগপ্রবণ না হয়ে আমি কৌতূহলোদ্দীপক হয়েছি।"
"আমি এখন ফতুরালী। আমার গাঁটরিতে কানাকড়ি নেই। তুমি এখন রূপে গুণে ধনী। তোমার পাশে আমি নির্গুণ ভিখারি। শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই, দোষ কি শুধু আমার ছিল?” বলে হৃদয় অপলকদৃষ্টে তাকায়। নদী মাথা নেড়ে দৃষ্টি নত করলে গণ্ড বেয়ে অশ্রু ঝড়ে। দুহাতে অশ্রু মুছে ঠোঁট কাঁপিয়ে বললো, "না চায় দানা পানি উন্মনা মন হয়েছে অপেক্ষমাণ, বিতনুতে অপরিমেয় সৌন্দর্য আমার বুকে জমেছে ব্যথা অপরিমাণ।"
"আমার জীবন অগোছালো এবং প্রেম অপরিম্লান, নয়নজল লবণাক্ত হলেও স্মৃতিরা এখনো অম্লান।"
"তোমার অপেক্ষায় আক্ষিপ্ত হয়েছি, তোমার বিরহে কেঁদে নয়নজলে কাজল মিশিয়ে কালি বানিয়েছি। নিশুতি রাতে আক্রোশে আক্রামক হতে চাইলে, মন মিনমনে করে বলে, ছলনায় ছলিত হয়েছি।”
“অনতাপে অনুতপ্ত না হয়ে আমি অভিশপ্ত হয়েছি, আমার সাথে দূরত্ব বজায় রাখলে তুমি সুখিত হবে।"
"কণ্ঠলগ্নে কামাগ্নি জ্বালিয়ে আমাকে ছারখার করো। তোমার সংস্পর্শদোষে আমি অস্পৃশ্য হয়েছি, তোমার স্পর্শে স্পর্শা হতে চাই। তনুপরশ করে একরতি সুখ দাও, পরমান্দে অভিশপ্তা হতে চাই।”
"তোমাকে স্পর্শ করে পাপ করেছিলাম। পাপমোচন করার জন্য এক হায়ন বনবাসে ছিলাম। তোমার বিরহে বিরহিত হয়ে চোখের জলে সাগরের পানি করেছি নোনা, কিন্তু ছিটেফোঁটে আখিঁজলে ভরতে পারিনি দোনা।"
"আজ আমাকে এক ফোঁটা দিলে, আখিঁজলে আমি তোমার পাপ শাপ দোয়ে মুছে সাফ করব। দোহাই না বলো না।"

চলবে....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আমি অনেকটাই পিছিয়ে গেছি।এই সিরিজের প্রথম পর্ব আজকে পড়লাম।সময় নিয়ে বাকিগুলো পড়বো।
আপাতত লাইক দিয়ে আসন দখল করলাম....

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মতামত জনাবেন, রিরাইটিং চলছে।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪২

সোবুজ বলেছেন: নাবালকরা নিষ্পাপ।এই বিষয়ে ইসলামের কোন রেফারেন্স আছে কি?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নাবালকরা নিষ্পাপ তা তো সকলে জানে। কামরিপু সক্রিয় হওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষ নিষ্পাপ থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.