নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গূঢ়ৈষণা’ পর্ব ২

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

(অমিত্রাক্ষর)
পর্ব ২
---
সকাল বিকাল আদল বদল হয়, মানুষ বদলে না,
দেখলাম কত মানুষ ভবে শয়ে শয়ে শুদ্ধ মানুষ না দেখলাম।
দিনে জ্বলে লাল হয় সূর্য রাতে জ্বলে না,
আকাশে চাঁদ অম্লান থাকে তারা দেখা যায় না,
ঝলমলে জুনিপোকা উড়ে, চকোরি জ্যোৎস্না পান করে,
বুকের ভিতর তুষেরাগুন জ্বলে ধোঁয়া বার হয় না,
বিষণ্ণ বাতাসে আতঙ্ক, আকাশে অশ্রু,
রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বেনারসী,
শবরীর তিরে নিথর সারস, ডানা মেলেছে সারসী।
অনুস্মৃতি অনুস্মরণের জন্য মন ফিরে যায় অতীতে,
সুখ যত ছিল সব হারাতে শুরু করেছে স্মৃতিপথে,
আমি বিমনা হয়ে ভাবি, কী যেন হারিয়েছে,
কী যেন খুঁজে পাই না, কী যেন আমাকে ভাবায়,
অহর্নিশ নিমগ্ন থাকি আমি ঘুমাতে পারি না রাতে।
আজ কতদিন হয় স্মৃতি আমাকে কাঁদাতে পারেনি,
সেই কবে গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়েছি, আর ফিরেনি,
আজ কতদিন হয় আমি রাত জেগে স্মৃতিচারণ করিনি,
কবে থেকে আধার গৃহে দীপ জ্বলছে, আজো নিবেনি,
আজ কতদিন হয় বিরহের কবিতা লিখে বিরক্ত হইনি,
পাষাণ হয়ে জেনেছি আমার মনাসী হয়েছে পাষাণী।
নদীর স্রোত সাগরে যেয়ে ঘুরেফিরে নদীতে আসে,
সেও এসেছিল ফিরে তবে অপরিচিত বেশে,
তাকে চেনা হয়নি যদিও বসেছিলাম দেখার আশে,
পরিচিতজন অপরিচিত হলে মন বেজার হয়,
প্রিয়জন অচেনার মতো অভিনয় করলে,
কষ্টে ক্লিষ্ট হয়ে বরণ করতে হয় পরাজয়।
পূবালী বাতাসে শিমুলের তুলা ভেসে যায় পশ্চিমে,
আমার চটফটানি দেখে চাঁদ হাসে আষাঢ় মাসে,
বধূর মনের খবর শুনার জন্য উচাটন আমার মনে,
বধূকে নয়ন ভরে দেখার জন্য মন ভেসেছে শূন্যে।
মনে-প্রাণে চাইলাম যারে তার সাথে মোর শোয়া-বসা,
মনের মিল হলে মনের জোরে প্রকাশ হয় ভালোবাসা,
মনে পুষি অহিংসা মনের ভিতর লুকিয়ে রাখি হিংসা,
বিদ্বেষীরা গোপনে বিদ্বেষ করে মনের বিষে মরে মনসা।
রূপচাঁদকে ধনভাণ্ডারে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম,
সোনার খনি পাওয়ার পর সে অবহেলিত হয়েছে,
অষ্টধাতু গলিয়ে রূপবতীর জন্য ললন্তিকা বানাব,
চিন্তার কারণ নেই, রাজরোগে আমি আর রোগা হব না,
গুপ্তধন এবং গুপ্তব্যাধির গূঢ়তত্ত্ব মাত্র কয়েকজন জানে,
গূঢ়ৈষণার গূঢ়ার্থ জানার পর গুণ্ডার গুণ্ডি গুণ্ডিত হয়েছিল।

© Mohammed Abdulhaque
দয়া করে মতামত জানাবেন।
এটা কোনো চিরায়ত কবিতা নয়, এটা সত্যিকারের অমিত্রাক্ষর, মানে ফ্রিস্টাইল (freestyle)।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



শিরোনামে যে শব্দটা দিয়েছেন, উহার বাংলা অর্থ কি?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: গূঢ়ৈষণা [ gūḍhaiṣaṇā ] বি. 1 মনের জটিলতা; মনোভাব বা মানসিকতার দুর্জ্ঞেয়তা বা জটিলতা; 2 গূঢ় বা গোপন ইচ্ছা। [সং. গূঢ় + এষণা]।


মতামত জানালে উপকৃত হব।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



ওহ, এই জন্য একজন ব্লগার বের হয়েছে, নিক হচ্ছে জটিল ভাই; ভালো ভাই নয়, একজন জটিল ভাই

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি ভয় পেয়েছিলাম, এখনো ভয় পাই।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৯

সোবুজ বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে যারা অন্ধ বিশ্বাসী না,যুক্তি প্রমান সহ বিশ্বাস করে,তাঁরাই শুদ্ধ মানুষ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ঠিক, অন্ধকে হাত ধরে পথ দেখাতে হয়।

কবিতা পড়েছেন?

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় কবি,

মতামত দিতে বলেছেন, এজন্য মতামত দিচ্ছি। প্লিজ, সহজভাবে নেবেন।

এটা কোনো চিরাচরিত কবিতা নয় - কথাটা একটু চটকদার। কারণ, আপনি যে-ছন্দে কবিতা লিখছেন, এটাই এখন চিরাচরিত ছন্দ। নতুন কেউ কবিতা লিখতে বসলে এই ছন্দেই লিখবেন।

'অমিত্রাক্ষর' কথাটা তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত কিংবা স্বরবৃত্ত ছন্দে লেখা হবে, কিন্তু শেষে অন্ত্যমিল থাকবে না। মাইকেল এটার প্রবর্তক। ইনি আবার অমিত্রাক্ষর ছন্দের ছড়া লিখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

আপনি যে-ছন্দে লিখেছেন, এটার নাম গদ্যচ্ছন্দ। রবীন্দ্রনাথের 'হঠাৎ দেখা' একটা বিখ্যাত গদ্যকবিতা।

আপনি এভাবে লাইন ভেঙে লিখুন, আর টানা গদ্যে লিখুন, কবিতা একই থাকবে।

কবিতা যেহেতু লিখছেন, ছন্দ সম্পর্কে একটু জেনে নিলে আরো ভালো করবেন। পড়ুন ছন্দ এখানে

যে-কোনো লেখা হতে হবে সুগঠিত। এ ব্যাপারটা হলো - আপনি যে-বাক্যটা লিখছেন, ওটা যেন সঠিকভাবে গঠিত হয়, স্ট্রাকচার/ফ্রেমিং অব সেন্টেন্স। হঠাৎ ডিকশনারি থেকে একটা অপ্রচলিত শব্দ ঢুকিয়ে দিলে জ্ঞানী পাঠক সেই চাতুর্য ধরে ফেলেন, এবং লেখা এড়িয়ে এতে থাকেন।

কবিতায় কী বলতে চাই, ওটা সম্পর্কে আগে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে। প্রয়োজনে গদ্যাকারে আগে সিনপসিস লিখে নেয়া যেতে পারে। বা গদ্যের মতোই লেখা যেতে পারে।

আমার কিছু পোস্টের লিংক অনেককেই শেয়ার করি। আপনাকেও দিচ্ছি আরো দুটি।

কবিতা-১

কবি-২

কবিতার গঠন আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ব্লগারের ৩/৪ লাইনের কবিতা পড়েই বোঝা যায়, কবিতায় তার স্কিল খুব ভালো। আবার অনেকে দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন, কিন্তু উন্নতির সূচক '০'। এজন্য দরকার, প্রতিষ্ঠিত কবিদের কবিতা পড়া। ওগুলো পড়লে কবিতার গঠন, শব্দপ্রযোগ, ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা জন্মাবে, কবিতায় উৎকর্ষ ঘটবে।

শুভ কামনা থাকলো।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য থেকে যা জানলাম তা হলো এটা কিচ্ছু হয়নি এবং আপনি অনেক কিছু জানেন।

জি, আপনি ঠিক, এই জন্য আমি টাকা নষ্ট করে বই প্রকাশ করিনি।

সার কথা বলি, এই কবিতায় অনেক কবিতা আছে। অনেকটা ২/৩/৪ লাইনের কবিতা দিয়ে এটাকে করেছি।

আমি অভিধান থেকে শব্দ বার করে লেখি তা ঠিক। যাক আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.