নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অত্যন্ত অদ্ভুত"

১২ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৭


আমরা মহানন্দে, বিদেশি শব্দ ব্যবহার করে সগর্বে বলি, আমি মুক্তমনা এবং চলিত ভাষায় কথা বলি, সহজভাবে ভাবপ্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

বাস্তবে কি তা?

নিচে তিনটা শব্দ দিলাম, মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিষয় আপসে বিশ্লেষিত হবে।

মস্তিষ্ক [ mastiṣka ] বি. 1 মাথার খুলির নীচে যে নরম পদার্থ থাকে, মগ়জ, ঘিলু; 2 (গৌণ অর্থে) বুদ্ধি, বোধশক্তি। [সং. মস্ + তি = মস্তি +মুষ্ক্ + অ]।

মস্যাধার [ masyādhāra ] বি. কালি রাখার পাত্র, দোয়াত [সং. মসি + আধার]।

মহ-কুমা [ maha-kumā ] বি. কয়েকটি থানার সমষ্টি, জেলা যে প্রশাসনিক অংশে বিভক্ত [আ. মহকুমা]।

এখন বলি আমার দুঃখের কথা...

আমার লে‌খা পড়ে অনেকে অনেক জাতের মন্তব্য করে। কেউ বলে বাংলার ধারে পাশে নেই। কেউ বলে অত্যন্ত অদ্ভুত ভাষা। কেউ বলে তৎসম, তদ্ভব এবং অর্ধতৎসম এসব এখন বর্জনীয়।

তৎসম (সংস্কৃত উচ্চারণ: [tɐtsɐmɐ]; অর্থ: "তার সমান") আধুনিক বাংলা, মারাঠি, ওড়িয়া, হিন্দি, গুজরাটি ও সিংহলীর মতো ইন্দো-আর্য ভাষায় এবং মালায়ালম, কন্নড, তেলুগু ও তামিলের মতো দ্রাবিড় ভাষাসমূহে সংস্কৃত ভাষা থেকে ঋণকৃত শব্দসমূহকে বোঝায়।

তদ্ভব ও অর্ধতৎসম শব্দের পার্থক্য
তদ্ভব শব্দের জন্ম হয়েছে বিবর্তনের পথ ধরে, অপরদিকে অর্ধতৎসম শব্দ বিবর্তনের ফসল নয়। সংস্কৃত শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় ঢুকেছে, কিন্তু উচ্চারণ বিকৃত হয়েছে। তদ্ভব ও সংস্কৃত শব্দের মাঝে এক বা একাধিক বিবর্তনের স্তর পাওয়া যাবে, যেমন: হস্ত > হত্থ > হাথ > হাত।

অবর্জনীয়, অবর্জ্য [ abarjanīẏa, abarjya ] বিণ. বর্জন বা পরিত্যাগ করা যায় না বা করা উচিত নয় এমন, অপরিত্যাজ্য, অপরিহার্য (অবর্জনীয় প্রথা)। [সং. ন + বর্জনীয়, বর্জ্য]।

অপ-শব্দ [ apa-śabda ] বি. 1 অপভ্রংশ; বিকৃত শব্দ; 2 ব্যাকরণদুষ্ট শব্দ; 3 অশ্লীল শব্দ। [সং. অপ (=অপকৃষ্ট) + শব্দ]।

বাংলা সংস্কৃতের সাথে সম্পৃক্ত এবং সংস্কৃত শব্দ অবর্জ্য। যে জানে না তা তার ব্যক্তিগত সমস্যা। শব্দের অর্থ জানার জন্য অভিধান এবং শব্দকোষ আছে। ভাষাকে বুঝার জন্য ব্যাকরণ আছে।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, যে ভাষার জন্য জান মান দেওয়া হয়েছিল সে ভাষা কেন এত অবহেলিত হলো?

© Mohammed Abdulhaque
author and publisher

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সোবুজ বলেছেন: উত্তর না দিয়ে মন্তব্য মুছে দিয়েছেন।

১২ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কী বলছেন এসব? :-*

কোথায় মন্তব্য করেছেন? গতকাল এক মন্তব্য করেছিলেন তার উত্তর দিয়েছে।

২| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

সোবুজ বলেছেন: দুঃখিত,এই মন্তব্যটি ভুল হয়েছে।কালকের পোষ্টে কোন মন্তব্য করি নাই।

১২ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ন্যায়সংগত ও শালীনতাসম্মত ব্লগিং পোস্টে মন্তব্য করেছিলেন এবং উত্তর দিয়েছিলাম।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

সোবুজ বলেছেন: এখানে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নাই।শ,ষ,স,য,জ ,ন,ণ কোথায় বসে এই সূত্র আমি আজো জানি না।এতো অনেক জটিল বিষয়।জটিল সাহেব হয়তো ভলো বলতে পারবেন।বাংলা ব্যাকরণে আপনার অসাধারণ জ্ঞান।এটাও কি ভুল মন্তব্য করলাম!

১২ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আরো যোগ করি, ত এবং থ নিয় আমি অনেক মাইর খেয়েছি।

আমি আপনার লেখা পড়তে চাই। আপনি বেশি কড়া মন্তব্য করেন। আপনি হলেন একচোখা, একরোখা এবং ঠোঁটকাটা। আমার ভালো লাগলেও আমি জানতে চাই আপনি যে মজা করছেন না।

বাংলা ভাষা ঠিকছে, কিন্তু বাংলার ব্যাকরণ ঠিক নেই। একাধিক নিয়মে অনিয়ম হয় যা বাংলা ব্যাকরণে হয়েছে। আমরা যারা লেখালেখি করি অন্তত তাদের জন্য শ,ষ,স,য,জ ,ন,ণ, ত এবং থ ব্যবহার সহজ হওয়ার কথা। আপনি অনেক কিছু জানেন, আমি তার অর্ধেকেও জানি না।

ভুল হবে কেন? আমি শুধু বলেছিলাম অন্যের আলোচনা করতে হলে নিজেকে আলোচ্য করার জন্য কিছু করার দরকার।

আপনি আমাকে নেংটা করবে কিন্তু আমি আপনার নেংটি ধরতে পারব না তা ঘোর অন্যায় :(

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৩

সোবুজ বলেছেন: আমি ঘোষণা দিয়ে এসেছিলাম পোষ্ট লিখব না।দুই লাইন মন্তব্য লিখতে আমার১৫/২০ মিনিট লাগে।পোষ্ট লিখতে সারা দিন লাগবে।প্রাচীন কালের লোন । করোনা আমাকে এখানে এনেছে।নয়তো কোন দিনই আসা হতো না।ক খুঁজে পাই তো খ খুঁজে পাই না।কম্পিউটারে আমার মতো অনাড়ি দ্বিতীয় কেউ নাই।মন্তব্যই আমার পোষ্ট।আগ্রহ ছিল না জানা হয় নাই।প্রয়োজনও হয় নাই।এখন বুঝতে পারছি কতবড় ভুল করেছি।এখন হাত কাপে,চোখ ব্যেথা করে।৭০/৮০ মাঝামাঝি বয়স।

১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বুঝেছি, আপনার আমার এক দশা! আমার বয়স ৫১। ১৩ তে আমার ইংলিশ স্যার আমাকে বলেছিলেন, আব্দুল ইংল্যান্ড এসেছিস, ইংলিশ শিখতেই হবে। আমি তখন স্যারকে মনে মনে বকাবকি করেছিলাম। এখন আমি নির্জনে বসে কাঁদি। বাংলার জন্য যা সময় নষ্ট করেছি তার অর্ধেক ইংলিশের জন্য নষ্ট করলে এতদিনে মহালেখক হতে পারতাম।

ঠিকাছে, আপনাকে আর বিরক্ত করব না তবে আবদার করব, আমার সকল লেখায় মন খুলে মন্তব্য করতে হবে।
কম্পিউটার ব্যবহার করেন না মোবাইল? কোন কিবোডে লিখেন? বললে কোথায় কোন অক্ষর আছে তা বাতলে দেব অথবা ফাইল বানিয়ে দেব।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৩৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: দাদাভাই, লেখকের অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটা হলো, লেখাকে সহজবোধ্য করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা। জটিল এবং অপ্রচলিত শব্দ অবশ্যই ব্যবহৃত হবে তবে তা যদি অনিবার্য হয়ে উঠে। যেখানে সহজ শব্দ ব্যবহার করলে কাজ হয়ে যায় সেখানে অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার না করাই উত্তম। এতে পাঠকের বিরক্তি কমে।

১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:১৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কিসের পাঠক এবং কিসের অপ্রচলিত শব্দ?


৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি আমাদের ব্যাকারন শেখাতে চাচ্ছেন?

১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি না, আমি শুধু আমার দুঃখ আপনাদের সাথে ভাগ করছি।
(এই পোস্টে ব্যাকরণ বলতে কিছু নেই। ভাষার সাথে শব্দের সম্পর্ক, ব্যাকরণের সম্পর্ক সাহিত্যের সাথে। ব্যাকরণ সত্যি বিরক্তকর)

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনি মন্তব্য করেন, এটা একটা অনেক বড় গুণ। এই ব্লগে হাজারে হাজারে ব্লগার আছে যারা অন্যের পোস্টে মন্তব্য করে না। ওরা ভাব ধরে। ওরা নিজেকে অনেক বড় ভাবে। ওরা অন্যকে নিয়ে হাসাহাসি করে।

আমার মতে আপনি একনজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্লগার। আমি নিজেও সবার পোস্টে মন্তব্য করি না, আমার ভয় হয়।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কী গুরু এতো কঠিন ভাব, শব্দ নিয়ে খেলেইতো আপনি গুরু বনলেন!!

১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এটা আসলে তিক্ত বাস্তবতা।

আপনি নিজেই গুরু তাই আমাকে গুরু ভাবেন।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১৮

গরল বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় লেখা, তৎসম ও তদ্ভব এর পার্থক্য বুঝতাম না, এখন আশা করি বুঝেছি। তার মানে কি যে তৎসম শব্দগুলো আসলে সবই সংস্কৃতি থেকে উদ্ভুত। মস্যাধার শব্দটা আজকেই প্রথম জানলাম। ধারাবাহিক ভাবে আরও কিছু পোষ্ট কি দেওয়া যায় ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এই লেখাটা লিখেছিলাম, অনেকে আমাকে নিরুৎসাহিত করতে চান এই বলে যে আমি অপ্রচলিত শব্দ বেশি ব্যবহার করি।
আপনি কিছু জানতে চাইলে বলবেন, জানা থাকলে পোস্ট করব।

তৎ [ tat ] (তদ্) সর্ব. 1 সে; তিনি; 2 সেই, তা (তদবধি, তৎকালে)। [সং.তন্ + অদ্]। কাল বি. সেইসময়, সেই কাল, সেই যুগ (তৎকালে এমন হইত না)। কালীন বিণ. সেই সময়কার, তদানীন্তন (তৎকালীন অবস্থা)। ক্ষণাৎ ক্রি-বিণ. সেই মুহূর্তে, অবিলম্বে। পর ক্রি-বিণ. তারপর, তদনন্তর। বিণ. 1 পটু, দক্ষ (কর্মতৎপর); 2 যত্নবান; 3 উদ্যমী; সচেষ্ট; 4 সতর্ক। পরতা বি. পটুতা; প্রযত্ন; সচেষ্টতা, উদ্যম, সতর্কতা। পরায়ণ বিণ. তাতে মনোযোগী বা অত্যন্ত আসক্ত। বি. পরায়ণতা। পুরুষ বি. 1 পরমপুরুষ ভগবান; 2 (ব্যাক.) সমাসবিশেষ-এই সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং প্রায়শ পরপদের প্রাধান্য হয়। যেমন, গৃহ থেকে আগত = গৃহাগত, গাছে পাকা = গাছপাকা। সংক্রান্ত বিণ. সেই সম্পর্কিত, সেই বিষয় সম্পর্কিত। সদৃশ বিণ. সেইরকম, তদ্রূপ, তার তুল্য। সম বি. বিণ. তার সদৃশ, তার মতো; (ব্যাক.) সংস্কৃত থেকে গৃহীত এবং বাংলা ভাষায় অবিকৃতরূপে প্রচলিত (তৎসম শব্দ-যেমন বিদ্যা, আলোক, চন্দ্র)। স্থলাভি-ষিক্ত বিণ. তার স্থানে বা পদে নিযুক্ত বা অধিষ্ঠিত; তার প্রতিনিধিস্বরূপ। স্বরূপ বিণ. তৎসদৃশ -র অনুরূপ।
ততোধিক [ tatōdhika ] বিণ. আরত্ত বেশি; তার চেয়েও বেশি ('যত না পশ্চাত্পদ, ততোধিক বিমুখ অতীতে': সু. দ.)। [সং. ততঃ + অধিক]।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.