![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবার্ট ক্লাইভ বা লর্ড ক্লাইভ। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাপতি। ভারত উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা পালন করেন এই ব্রিটিশ সেনাপতি। ১৭২৫ খ্রীষ্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বরে তার জন্ম। আজ এই শাসকের জন্মদিন। পলাশীর যুদ্ধে তার নেতৃত্বে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাদল বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যদল কে পরাজিত করে। তার উপাধি ছিল পলাশীর প্রথম ব্যারন। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তাই পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৭৫৭ সালের জুন ২৩ তারিখে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়।
(পলাশীর প্রান্তর)
১৭৫৭ খৃস্টাব্দের ২৩ জুন সকাল থেকেই পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো।১৭৫৭ সালের ২২ জুন মধ্যরাতে রবার্ট ক্লাইভ কলকাতা থেকে তাঁর বাহিনী নিয়ে পলাশী মৌজার লক্ষ্মবাগ নামে আম্রকাননে এসে তাঁবু গাড়েন। বাগানের উত্তর-পশ্চিম দিকে গঙ্গা নদী। এর উত্তর-পূর্ব দিকে দুই বর্গমাইলব্যাপী আম্রকানন। বেলা আটটার সময় হঠাৎ করেই মিরমদন ইংরেজবাহিনীকে আক্রমণ করেন। তাঁর প্রবল আক্রমণে টিকতে না পেরে ক্লাইভ তার সেনাবাহিনী নিয়ে আমবাগানে আশ্রয় নেন। ক্লাইভ কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। মিরমদন ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু মিরজাফর, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ যেখানে সৈন্যসমাবেশ করেছিলেন সেখানেই নিস্পৃহভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাদের সামান্য সহায়তা পেলেও হয়ত মিরমদন ইংরেজদের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য করতে পারতেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে সিরাজদ্দৌলার গোলা বারুদ ভিজে যায়। তবুও সাহসী মিরমদন ইংরেজদের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে লাগলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গোলার আঘাতে মিরমদন মৃত্যুবরণ করেন।
(Clive donating the legacy of Mir Jafar to disabled soldiers and widows of the deceased EIC army soldiers. F91. © The British Library Board)
গোলান্দাজ বাহিনীর প্রধান নিহত হওয়ার পর সিরাজদ্দৌলা মীরজাফর ও রায় দুর্লভকে তাঁদের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে তীব্র বেগে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু উভয় সেনাপতি তাঁর নির্দেশ অমান্য করলেন। তাঁদের যুক্তি হলো গোলন্দাজ বাহিনীর আশ্রয় ছাড়া অগ্রসর হওয়া আত্মঘাতী ব্যাপার। কিন্তু কোম্পানি ও নবাবের বাহিনীর মধ্যে তখন দূরত্ব মাত্র কয়েক শ গজ। বিকেল পাঁচটায় সিরাজদ্দৌলা বাহিনী নির্দেশনার অভাবে এবং ইংরেজ বাহিনীর গোলন্দাজি অগ্রসরতার মুখে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেন অর্থাৎ পরাজয় স্বীকার করেন। নবাবের ছাউনি ইংরেজদের অধিকারে আসে। ইংরেজদের পক্ষে সাতজন ইউরোপিয়ান এবং ১৬ জন দেশীয় সৈন্য নিহত হয়। তখন কোন উপায় না দেখে সিরাজদ্দৌলা রাজধানী রক্ষা করার জন্য দুই হাজার সৈন্য নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
(পলাশীর যুদ্ধের পর ক্লাইভের সাথে মীরজাফর দেখা করছেন, শিল্পী ফ্রান্সিস হেম্যানের আঁকা ছবি)
মিরজাফর রাজধানীতে পৌঁছে নবাবকে খুঁজে না পেয়ে চারদিকে লোক পাঠালেন। ১৭৫৭ সালের ৩ জুলাই সিরাজদ্দৌলা মহানন্দা নদীর স্রোত অতিক্রম করে এলেও তাতে জোয়ার ভাটার ফলে হঠাৎ করে জল কমে যাওয়ায় নাজিমপুরের মোহনায় এসে তাঁর নৌকা চড়ায় আটকে যায়। তিনি নৌকা থেকে নেমে খাবার সংগ্রহের জন্য একটি মসজিদের নিকটবর্তী বাজারে আসেন। সেখানে কিছু লোক তাঁকে চিনে ফেলে অর্থের লোভে মিরকাশিমের সৈন্যবাহিনীকে খবর দেয়।এ সম্পর্কে ভিন্ন আরেকটি মত আছে যে এক ফকির এখানে নবাব কে দেখে চিনে ফেলে। উক্ত ফকির ইতিপূর্বে নবাব কতৃক শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে তার এক কান হারিয়েছিল। সেই ফকির নবাবের খবর জানিয়ে দেয়। তারা এসে সিরাজদ্দৌলাকে বন্দি করে রাজধানী মুর্শিদাবাদে পাঠিয়ে দেয়। বন্দী হবার সময় নবাবের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী লুতফা বেগম এবং চার বছর বয়সী কন্যা উম্মে জহুরা। এর পরের দিন ৪ জুলাই (মতান্তরে ৩রা জুলাই)মিরজাফরের আদেশে তার পুত্র মিরনের তত্ত্বাবধানে মুহম্মদিবেগ নামের এক ঘাতক সিরাজদ্দৌলাকে হত্যা করে। আর এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য্য।
আজ এই ব্রিটিশ শাসকের জন্মদিন। ঘৃনায় স্মরণ তার জন্মদিন
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৫
মতিলাল বলেছেন: ওদের মুখে একবার করে থুথু দেন !!!!!!
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৪
মোঃ শরিফুল বলেছেন: মতিলাল বলেছেন: ওদের মুখে একবার করে থুথু দেন !!!!!!
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২২
ইলুসন বলেছেন: তাকে থু থু দিবেন কেন? সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। থু থু দিতে হলে মির জাফরদের দিন যারা বেঈমানী করেছিল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪
কোবিদ বলেছেন:
মিরজাফর, মীরন, বেগ, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ যেখানে সৈন্যসমাবেশ করেছিলেন সেখানেই নিস্পৃহভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তার যড়যন্ত্রে বাংলার শেষ নবাবের করুন পরিণতির কথা আমাদের সকলের জানা।
তার পরেও কোন একটা সুযোগে ঘৃনা প্রকাশের জন্য এই লেখার অবতারণা। যেহেতু আজ এই ব্রিটিশ শাসকের জন্মদিন তাই তার প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করার এই সুযোগটা হাত ছাড়া করতে ইচ্ছা হলোনা। মিরজাফরের প্রতি ঘৃনা জানানো্র সময়তে পড়েই রইলো। সময় ও সুযোগ মতো তাকেও ঘৃনা জানাতে আসবো কোন একদিন।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো মন্তব্যের জন্য
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৫
লুকার বলেছেন:
স্কুলের পাঠ্যবইয়ে তো ছিল লর্ড ক্লাইভের সুশাসন ও কৃতিত্বের কথা। এখনো তাই পড়ানো হয় কিনা কে জানে। আর বৃটিশদের লেখা ইতিহাসে এঘটনা কিভাবে চিত্রিত হয়েছে, সেটা বললে ভাল হতো।
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৭
এম ইয়াছিন মজুমদার বলেছেন: ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা
শুধুই ঘৃনা
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৫
আজিজ বাংলাদেশী বলেছেন: আমরা নিজেদের দোষে পরাধীন। অন্যের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
আমরা আমাদের স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারিনি। এই ব্যার্থতা আমাদের। আমাদের ব্যক্তিগত লোভের কারনে আমরা আগেও যেমন স্বাধীনা বির্ষজন দিয়েছি ঠিক সেই ভা্বে বর্তমানে ব্যাক্তিগত স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বির্ষজন দিট্ঠি।
আমরাই দায়ী।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৩
মতামত চাই বলেছেন: শুধুই ঘৃনা।
ইতিহাস কার পিছ ছাড়েনা।।
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৬
আয়না বাবা০০৭ বলেছেন: ইতিহাসে ধ্বজভঙ্গ সিরাজদ্দৌলাকে নায়ক হিসেবে দেখানো হয়। মূলত তার অদুরদর্শিতার জন্যই ব্রিটিশ শাষন শুরু হয়। বোকাচোদা আমাদের ইতিহাসবীদরা। ব্রিটিশ শাষনের জন্য দায়ীদের তালিকা করলে ১ নম্বরে থাকবে সিরাজদ্দৌলা ২ এ মীরজাফর ৩ এ লর্ড ক্লাইভ
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৮
দক্ষিনা মলয় বলেছেন: তাকে থু থু দিবেন কেন? সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। থু থু দিতে হলে মির জাফরদের দিন যারা বেঈমানী করেছিল।
ব্রিটিশ শাষনের জন্য দায়ীদের তালিকা করলে ১ নম্বরে থাকবে সিরাজদ্দৌলা ২ এ মীরজাফর ৩ এ লর্ড ক্লাইভ
শুধুই ঘৃনা।
ইতিহাস কার পিছ ছাড়েনা।।
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
এম এম ইসলাম বলেছেন: কারো ভুল, কারো বিশ্বাসঘাতকতা, কারো প্রতারণা। আর আমাদের ২০০ বছরের গোলামি ও দারিদ্রাতা।তৎকালীন বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশ গুলোর একটি ছিলাম আমরা।আর আজ! আমাদেরকে ছাবড়া করে তবেই ছেড়েছে।
আজও ক্লাইভ আছে, মীর জাফর আছে, মোদনলাল আছে, সিরাজউদোলা আছে।এখনো ক্লাইভ - মীর জাফরদের পাল্লা ভারী।সিরাজউদৌলারা বোকামির পূনরাবৃত্তি করেই যাচ্ছেন।মোদনলালা অসহায়। আর আমরাই বা কম যাই কিসের।জনগন তখনো নীরব, এখনো তাই।
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এম ইয়াছিন মজুমদার বলেছেন: ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা ঘৃনা
১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৬
এস এইচ খান বলেছেন:
আয়না বাবা০০৭ বলেছেন: ইতিহাসে ধ্বজভঙ্গ সিরাজদ্দৌলাকে নায়ক হিসেবে দেখানো হয়। মূলত তার অদুরদর্শিতার জন্যই ব্রিটিশ শাষন শুরু হয়। বোকাচোদা আমাদের ইতিহাসবীদরা। ব্রিটিশ শাষনের জন্য দায়ীদের তালিকা করলে ১ নম্বরে থাকবে সিরাজদ্দৌলা ২ এ মীরজাফর ৩ এ লর্ড ক্লাইভ
====চো...........না বাল, তা সিরাজদ্দৌলা, মীরজাফর আর লর্ড ক্লাইভরেই শুধু দেখলা? আবাল মীর জাফররে শিখন্ডি রেখে তোমার বাবারা মানে রায় দুর্লভ, উমি চাঁদ, জগৎশেঠ আর মানিক ঘোষরা কিভাবে আসল অপকম্মটা করেছিল তা চোখে পরল না?? চোখের মধ্যে গোচনা পরেছে নাকি আবাল
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪
স্বপনীল জলরং বলেছেন: ইতিহাস কার পিছ ছাড়েনা।।
ঘৃনায় স্মরণ তার জন্মদিন ! !