নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনের যথার্থ প্রয়োগ না হওয়া, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানে অপারগতা কিংবা অবহেলা, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিরাপদে অবস্থান কিংবা প্রভাবশালী বিধায় ধর্ষণকারীর বিচার না হওয়ায় নরপশুরা দোর্দণ্ড প্রতাপে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপকর্ম। ধর্ষকদের মনে একটা কথা এখন বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে যে , ধর্ষণ করলে কিছুই হয় না। গণধর্ষণে বড়জোড় জরিমানা হয় কিংবা দোররা অথবা হাজার দশেক টাকা জরিমানা । আর ভিক্টিম মারা গেলে হয়তো বড় জোড় জেল হবে । আবার এসব কিছুই হবে না যদি ধর্ষকদের মামা – চাচা (!) থাকে । আর যদি রাজনৈতিক কর্মী হয় , তাহলে তো উল্টো ভক্টিমের পরিবারকেই হেনস্থা হতে হয় ! যে কারনেই এইসব নরপশুদের সাহস এতো বেড়ে গেছে । ডাঃ সাজিয়া আক্তার ইভার হত্যাকারী ,কিংবা ধর্ষক পরিমল অথবা মডেল তিন্নির হত্যাকারী এবং এরকম হাজারো ঘটনার নরপশুদের কেউ কেউ ধরা পড়লেও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি।
তাই আগে যা হতো লোকচক্ষুর আড়ালে রাতের অন্ধকারে তা এখন প্রকাশ্যে অনেকের সামনে দিনের আলোয় সংঘটিত হচ্ছে। অভিজাত ভাষায় বলা হয় যাকে বলা হয় গণধর্ষণ। কয়েকটি সারমেয় মিলে এক যোগে একটি কিশোরী কিংবা তরুণীর দেহ ছিন্ন ভিন্ন করে। এখানেই ক্ষ্যান্ত হয়না তারা, নারী দেহ নিয়ে হায়নাদের সেই বিভৎস উল্লাস ক্যামেরা বন্ধী হয়ে তা ছড়িয়ে দেয় বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে। যার চিত্রায়ণ দেখে তাদের স্বজাতিরা কামাতুর হয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোল; প্রলুব্ধ হয় এমন একটি কচি শরীর বাগে আনতে। ধর্ষিতা শত হাজারবার ধর্ষিতা হয় তার অজান্তে। এমনি ভাবে দিনে দিনে ধর্ষণকারী হিংস্র নরপশুদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এদের হাত থেকে নিস্কৃতি পায়নি ৫ বছরের শিশু থেকে শুরু করে কিশোরী, তরুণী, গৃহবধু, শিক্ষিকা, আইনজীবী, ডাক্তারসহ ৬০ বছরের বৃদ্ধাও। একাধিক নরপশুরা একই সাথে ছিন্নভিন্ন করছে ৫ বছরের কোমল শিশুর শরীর। এমনি হাজারো ঘটনা ঘটেছে আমাদের এই দেশে যেমনঃ
বাঁশখালীতে যুবতী ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা, মাতবরেরাই ধর্ষণের ঘটনা নিষ্পত্তি করেন কুলিয়ারচরে, কুতুবদিয়ায় ১০ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা ধামা-চাপা, ঈশ্বরদীতে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টার অভিযোগ, চবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশু হত্যা, বরিশালে গৃহবধূকে-ধর্ষণের-ঘটনা-ধামাপাচা-দেয়ার-চেষ্টা, রামগঞ্জে শিক্ষক কতৃক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, ফতুল্লায় নববধূকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার তৎপরতা, চাঞ্চল্যকর আরও ছয়টি রেইপ এর ঘটনা, তুমা চিং মারমাকে ধর্ষণের পর হত্যা, কেন্দুয়ায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা, রাঙামাটিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভিকারুন্নেসায় ছাত্রী নির্যাতন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ভট্রসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রী ধর্ষণ, ডা. সাজিয়া আরফিন ইভাকে ধর্ষণে বাধা দানে হত্যা, ৬ বছরেও তিন্নি হত্যা, মীরসরাইয়ে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ৩০০০ থেকে ৪০০০ ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট হয় । যা সরকার স্বীকার করে । অন্য সুত্রগুলো বলে এই সংখ্যা ১০,০০০ এর কাছাকাছি থাকে গড়পড়তা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে রেইপের ঘটনা ঘটেছে ১১,২৯১। ২০০৬ সালে ১১,৬৮২ টি খেয়াল করুন এইগুলা সবই রিপোর্টেড ঘটনা । রিপোর্টেড নয় এমন ঘটনা যোগ করলে এই সংখ্যা কতো হবে ধারনা করতে পারেন। প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী ২০০৭ সালে দেশে তিন হাজার ৫৮৪টি ধর্ষণ এবং ২০০৮ সালে তিন হাজার ৪৬২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালের ৯ মাসে এক হাজার ৪৭৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ।জাতীয় মহিলা পরিষদের ২০১২সালের ডিসেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিজয়ের মাসে ৪০০-এর ওপর নারী ধর্ষিত হয়েছেন। এছাড়াও ঘটে বিভিন্ন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনাও। টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীর হণ ধর্ষনের ঘটনা, বাগেরহাটে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ , গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষক কর্তৃকছাত্রীধর্ষণ , রাজধানীতে ধর্ষণের পর ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে হত্যা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ভট্রসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর এক ছাত্রী ধর্ষণ, সাভারে গণধর্ষণ; ভিডিও ধারন, সর্বশেষ শিশু চাঁদনী।
সচেতনাতার অভাব কিংবা সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই হয়তো বিচার প্রার্থী হতে পারেনা বা হয়না। তাই দেশের ধর্ষণজনিত ঘটনার কিয়াদংশই আমাদের গোঁচরে আসে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ধর্ষণের খবর রসিয়ে রসিয়ে প্রচার করেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে, কখনো্ কখনো ধর্ষীতার ছবি ও নাম পরিচয় প্রকাশ করে তাকে দর্শকদের দ্বারা ধর্ষণ করায় যা নৈতিকতা বিরুদ্ধ। সম্প্রতি ভারতে বাসে ধর্ষীতার নাম পরিচয় ও ছবি প্রকাশ না করার যে দৃষ্টান্ত ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দিয়েছে তার অনুকরণীয়। ভিক্টিমের পরিচয় গোপন করে সংবাদ প্রচার করে ধর্ষনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবার দ্বায়িত্ব প্রচার মাধ্যমের।
বেশ কয়েক বছর আগে '' এসিড সন্ত্রাস '' এতোটাই ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল যে , প্রতিদিন পত্রিকা, টিভি খুললেই গড়পড়তা ৫/৬ টা এই ধরনের ভয়াবহ নিউজ আসতো । এই এসিড সন্ত্রাস এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারন করেছিলো যে তখন নারী ও শিশুনির্যাতন বিষয়ক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত এবং কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয়েছিলো , আজ কিন্তু এসিড সন্ত্রাস প্রায় নেই বললেই চলে। জনগণ প্রতিবাদী হয়েছিলাম বলেই আমরা এসিড সন্ত্রাস রুখতে পেরেছিলাম। বর্তমানে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, সন্ত্রাস আজকে এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছে যার বিরুদ্ধে সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে একটা বড় ধরনের প্রতিবাদ প্রতিরোধ আবশ্যক এখনই।
ধর্ষণ প্রতিরোধে আমরা কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরতে পারি যেমনঃ
১। ধর্ষণের বিস্তার রোধে ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। সেই ফাঁসীর খবরগুলোর মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করতে হবে যাতে করে সেইসব নরপশুদের মনে মৃত্যুর ভয় ঢুকিয়ে দিতে হবে।
২। বিকল্প হিসেবে ধর্ষনকারীদেরকে নপুংশক করা যেতে পারে। সম্প্রতি কোরিয়াতে এই আইন পাশ করা হয়েছে।
৩। ধর্মীয় অনুশাসন, প্রচলিত আইন, রীতি নীতি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে সবাইকে।
পরিশেষে বলতে চাই, ধর্ষণকারীদের কোন দল নাই, গোষ্ঠি নাই, পরিবার পরিজন নাই। এরা আলাদা শ্রেণী, মানুষরূপী হায়েনা। ধর্ষকদের জন্য একটাই আইন চাই ,যাবজ্জীবন কিংবা জরিমানা নয় । কোন প্রকার ক্ষমা, বিশেষ ক্ষমা, সাধারণ ক্ষমা নয়। " দ্রুত বিচার আইনে ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসীর বাস্তবায়ন চাই" । আসুন আমরা প্রতিবাদ করি ভার্চুয়ালি কিংবা রাজপথে ,শান্তিপূর্ণভাবে।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
চৈতী আহমেদ বলেছেন: নয়া দিল্লীর মেয়েটি চেয়েছিলো তার ধর্ষকদের পুড়িয়ে মারা হোক! নিরুপমাকে তেমন কিছু বলে যাবার সময়টুকুও তো দিলো না ধর্ষক। আজ আমিই আমার ছোট্ট নির্বাক নিরুপমা, আমিই ওর হয়ে বলছি, ওর ধর্ষকদের চিহ্নিত করে ধরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হোক।
"আমরা কি কখনো এমন ছিলাম? কোমল সৌন্দর্যের শরীর ফালি ফালি করে এসব যাবতীয় নির্মমতা তোমরাই খুঁচিয়ে তুলছো উদ্ধত পুরুষ! আমিও চাই এক অগ্নি উৎসবে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হোক সকল অনমনীয় পৌরষের কুৎসিত অহংকার........"
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়
কবি নজরুল এর বিদ্রোহী আওয়াজ
আমি মানিনাকো কোন আইন
আমি টর্নেডো আমি ভিম ভাসমান মাইন
মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত যবে
উৎপীড়নের ক্রন্দন রোল
আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা ।
বল বীর
বল উন্নত মম শীর
শীর নেহারি নত শির ঐ শিখর হিমাত্রির ।
অর্থ অন্যায়ের নিকট কখনও মাথা নত নয় ।
আজ আইনের লোকের নিকট আইন বিকৃত ও বিচারক আজ ক্ষমতার গেঁড়াকলে আমলাদের হাতের পুতুল ।
এই যে ভারত নিয়ন্ত্রন সরকার না পারছে পার্বত্য মুক্তি বাস্তবায়ন
না পারছে সিমান্তে বিএসেফ কর্তৃক অন্যায় হত্তা বন্ধ । , না পারছে দেশকে জনগণকে সামাল দিতে ,অগ্নিদহন দ্রব্য মুল্যর উদ্ধগতি ,।হাওর বিল টিপাই মুখ খাল সুন্দরবন সহ পর্যটন প্রাকৃতিক স্থান সমুহ আজ ভারতের নিয়ন্ত্রনে । বাড়ছে প্রতিনিয়ত ঘুষ দুর্নীতি ; হত্তা ধর্ষণের অহরহ চিত্র আর হায়নাদের অবৈধ দখলের রাজনীতি ।
সাধারন মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ , দেশ আবারও পরাধীনতার শিখলে
বন্ধি হে বাঙ্গালী জাগ্রত হও সময়ে আরেকবার ।
বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।
গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।
***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন
ধর্ষক দের ফাঁসি চাই । হায়নাদের উৎপাত বন্ধ হোক , নিপাত যাক ,
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।