নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিফলেটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ! প্রতারণা বাণিজ্য বন্ধ হবে কবে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩



ইদানিং বাস, যাত্রী ছাউনী, ওয়াল ও মার্কেটের দেয়ালে লিফলেট ও চাকরির খবর প্রকাশিত হওয়া সাপ্তাহিক এমনকি প্রথম শ্রেনীর কিছু দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে চাকুরী প্রার্থী বেবার যুবক-যুবতী ও বিশষে করে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে। একথা অনস্বীকার্য যে, প্রায় ষোল কোটি জনসংখ্যার এই দেশে হাজারো সমস্যার মাঝে বেকার সমস্যা অন্যতম। যেভাবে মানুষ বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না তাদের কর্মসংস্থান। বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশে প্রতি বছর বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। একজন বেকার যুবকের কাছে একটা চাকুরী সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই ব্যাপার।



এই দুঃসময়ে যেখানে বেঁচে থাকার মতো একটা কাজ পাওয়াই কষ্টসাধ্য, সেখানে লিফলেট ছাপিয়ে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব হয়তো শহুরে মানুষের কাছে সহজে বোধগম্য কিন্তু সদ্য গ্রাম থেকে আসা একজন বেকার যুবকের কাছে এটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই ব্যাপার। প্রতিষ্ঠানগুলো বাহারি ঢংয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সহজ সরল চাকুরী প্রত্যাশি বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।



আর এই সব বিজ্ঞপ্তি এমনভাবে লাগানো হয়েছে যাতে কারো দৃষ্টি না এড়ায়। বেকার ও ছাত্রদের অগ্রাধিকার দিয়ে ছাপানো এই সব বিজ্ঞপ্তিতে বেতন কাঠামোও চোখে পড়ার মতো। বেশির ভাগক্ষেত্রে চাকরির খবর প্রকাশিত হওয়া সাপ্তাহিক পত্রিকা, বাস, যাত্রী ছাউনী, ওয়াল ও মার্কেটের দেয়ালে লিফলেট এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে দেওয়া হয় কিছু দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।



এসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে সহজে ফাঁদে ফেলে চাকরির পদের পাশে লোভনীয় বেতনের অংক দেওয়া থাকে। আর এ বিজ্ঞাপন দেখে বেকারেরা হাজির হলে বলা হয়, ‘আপনার চাকরি নিশ্চিত’। সঙ্গে সঙ্গে একটি ফরম দেওয়া হয় পূরণ করতে। এজন্য নেওয়া হয় অন্তত ৫০০ টাকা। এভাবেই প্রতারণা শুরু। পরে প্রশিক্ষণ এবং আবাসনের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয় হাজার হাজার টাকা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। নামমাত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও আবাসনের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয় না। আর চাকরি তো দূরের কথা! এদিকে চাকরির ব্যাপারে যেসব সাপ্তাহিক পত্রিকায় এসব বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, সেগুলোতে অবশ্য সতর্কীকরণ নোটিশও দেওয়া থাকে। এ নোটিশে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে বিজ্ঞাপনে প্রকাশ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করার জন্য বলা থাকে। এ ব্যাপারে কোনো নীতিমালা না থাকায় যেকোনো ভুয়া প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারণা চালিয়ে যেতে পারছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।



এসএসসি বা এইচএসসি পাস হলেই আট থেকে দশ হাজার টাকা বেতনের প্রলোভন। ভুক্তভোগীরা বলেন প্রতিষ্ঠানগুলো বাহারি ঢংয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাম অফিসে গেলে প্রথমে পাঁচশত টাকায় রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়। তারপর প্রশিক্ষণের জন্য চলে আরো টাকা আদায়।সূত্র জানায়, প্রতারণা আরও জোরদার করতে এবং চাকুরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিজেদের আড়াল করতে কয়েক মাস পর পর অফিস স্টাফও পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্টরা। অনেক দিন ঘোরানের পওে চাকরি না পেয়ে প্রতারণার শিকার বেকারেরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের উল্টো সন্ত্রাসী দিয়ে ভয় দেখিয়ে চুপ করানো হয় না হলে এক সময় প্রতারক চক্র অফিস গুটিয়ে চম্পট দেয়। এমন কী অনেক ছেলেকে টাকাসহ মোবাইল সেটও হারাতে হয়েছে। এ ভাবেই প্রতিনিয়ত চাকুরী বাণিজ্যের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার বেকার। এ ব্যাপারে প্রতারিতরা কেউ লজ্জায় মুখ খোলেন না বা থানায় কোন অভিযোগও করেন না। কারন থানা কর্তৃপক্ষ সবকিছু দেখার পরও তাদের ব্যাপারে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।



এ ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে কোন ব্যবস্থা এ পর্যন্ত গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বিষয়টাকে অনেকে অন্যচোখে দেখছেন। ভুক্তভোগীরা এমনও অভিযোগ করছেন যে, প্রতারকরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে লিয়াজোঁ করেই এই ধরনের কাজ করছে। যদিও অনেকের দৃষ্টিতে এটা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এইসব নিয়োগদাতার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এদের কর্মতৎপরতা বন্ধ করতে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সচেতন হতে হবে সকলকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

মো: রিফাত শেখ রিফাত বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই বেকার। এর প্রধান কারন কি জানেন? সঠিক সময়ে চাকরির খবরাখবর না পাওয়া। এছাড়াও আমাদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা কিন্তু সঠিক গাইড-লাইন না পাওয়ায় পড়ালেখা থেকে ঝরে পরে। এসব সমস্যার সমাধান করা হয় এমন প্রতিষ্ঠান কিন্তু খুবই সীমিত, মানে নেই বললেই চলে। তো এসব সমস্যার সমাধান এখন Day night school এ। সঠিক সময়ে সরকারি বেসরকারি সকল চাকরির খবর পাবেন এখানে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের জন্যও কিন্তু এখানে আছে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমরা সচরাচর সব যায়গায় পাই না। তো এত ধরনের সুযোগ কিন্তু বারবার আসে না, তাও আবার বিনামুল্যে। তো এখনি ভিজিট করুনঃ http://daynightschool.org/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.