নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিখ্যাত নাট্যকার, নাট্যপরিচালক ও মঞ্চাভিনেতা গিরিশ চন্দ্র ঘোষের জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০



বিশিষ্ট বাঙালি সংগীতস্রষ্টা, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ও নট গিরিশ চন্দ্র ঘোষ ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার বাগবাজারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ছিলেন তাঁর পিতামাতার অষ্টম সন্তান। গিরিশ চন্দ্র ঘোষ প্রথমে হেয়ার স্কুল ও পরে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রভাবে তিনি প্রথম গান এবং কবিতা লিখতে শুরু করেন। পরে নাট্য মঞ্চের সাথে যুক্ত হলে নাটক লিখতে শুরু করেন। আজ গিরিশ চন্দ্র ঘোষের জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।



গিরিশ চন্দ্র প্রায় চল্লিশটি নাটক রচনা করেছেন এবং ততোধিক সংখ্যক নাটক পরিচালনা করেছেন। পৌরাণিক, ঐতিহাসিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে রচিত ও পরিচালিত নাটকের সংখ্যা মোট ৮০টি। সীতার বনবাস ,সীতাহরণ , জনা ,বলিদান , সিরাজ উদ দৌলা , মীরকাশিম ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য নাটক। সামাজিক নাটক লেখার ক্ষেত্রে ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। বাংলা থিয়েটারের স্বর্ণযুগ মূলত তাঁরই অবদান। কলকাতায় ন্যাশানাল থিয়েটার নামে তাঁর একটি নাট্য কোম্পানি ছিল। ১৮৭২ সালে তিনিই প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি ন্যাশানাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নটী বিনোদিনীকে নিয়ে তিনি স্টার থিয়েটারে চৈতন্যলীলা নাটকটি মঞ্চস্থ করেন। রামকৃষ্ণ পরমহংস এই নাটক দেথতে এসেছিলেন। এরপর তিনি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। গিরিশচন্দ্র ছিলেন কুখ্যাত মদ্যপ ও স্বেচ্ছাচারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনের পরবর্তী ভাগে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের এক বিশিষ্ট শিষ্য হয়েছিলেন এবং শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম অন্তরঙ্গ শিষ্যে পরিণত পরিনত হেয়েছিলেন। "শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত" গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে, কিভাবে শ্রীরামকৃষ্ণের সংস্পর্শে আসার পর গিরিশ চন্দ্রের নৈতিক পরিবর্তন ঘটে এবং তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠতম শিষ্যদের একজন হয়ে ওঠেন।



(স্বামী অদ্ভুতানন্দ, মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত ও শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যান্য শিষ্য ও ভক্তদের মাঝে গিরিশ চন্দ্র ঘোষ)

স্যার এডুইন আর্নল্ড এর বিখ্যাত কাব্য Light of Asia গ্রন্থটি সেকালে অনেক মহাপুরুষকে অনুপ্রানিত করেছিল ! বাংলায় এই গ্রন্থটির নির্ভর করে শ্রী গিরিশ চন্দ্র ঘোষ রচনা করেছিলেন ‘বুদ্ধদেব চরিত’ নাটকটি ! এই নাটকটি সর্বপ্রথম মঞ্চস্থ হওয়ার সময় শ্রী লঙ্কার বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক এবং জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ নেতা শ্রী অনাগরিক ধর্মপাল ছিলেন দর্শক হিসেবে ! এই অভিগ্যতার উপর তিনি পরবর্তিতে ওনার ডায়েরিতে লিখেছিলেন – ‘বাঙালিরা বুদ্ধকে খুব সম্মান করে ডাকে বুদ্ধদেব বলে ! ‘ আর্নল্ড এর Light of Asia যেমন বিশ্বব্যাপী বুদ্ধের নাম এবং অমর কাহিনী পৌঁছে দিয়েছিল গিরিশ ঘোষের বুদ্ধদেব চরিত ও বাঙালির মধ্যে বুদ্ধের প্রতি নতুন ভাবে আগ্রহ সৃষ্টি করতে অনেক অবদান রেখেছে ! বাংলায় বুদ্ধ ধর্মীয় চর্চার ইতিহাসেও গ্রন্থটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।



কাজী নজরুল ইসলাম গিরিশচন্দ্রের ভক্ত ধ্রুব উপন্যাসটি চলচ্চিত্রায়িত করেন। ১৯৫৬ সালে মধু বসুর পরিচালনায় গিরিশচন্দ্রের অবলম্বনে নির্মিত মহাকবি গিরিশচন্দ্র চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।

১৯১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী এ মহান অভিনেতা ,নাট্যকার, নির্দেশক কলকাতায় মুত্যুবরন করেন।



বিখ্যাত নাট্যকার, নাট্যপরিচালক ও মঞ্চাভিনেতা গিরিশ চন্দ্র ঘোষের জন্মদিনে আমাদের শুভেচ্ছা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.