নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপমহাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাংলা ব্যঙ্গ-সাহিত্যের অগ্রদূত, রাজনীতিববিদ আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক রচয়িতা আবুল মনসুর আহমদ ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ধানীখোলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭ সালে তিনি মেট্রিক ও ১৯১৯ সালে ইন্টার মেডিয়েট পরীক্ষায় উত্তির্ন হন। এর পর ১৯২ড সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতার রিপন কলেজে আইন বিষয়ে পড়ালেখা করেন এবং ১৯২৯ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ময়মসনসিংহে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেন পেশা হিসেবে। তিনি ছিলেন আধুনিক ও প্রগতিশীল সাংবাদিকতার এক অগ্রপথিক। তিনি কৃষক ও নবযুগ পত্রিকায় কাজ করেছেন এবং ১৯৪৬-এ অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদ-এর সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিক পেশায় যুক্ত হয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগপর্যন্ত তিনি এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বহুমূখী প্রতিভার আধার আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একাধারে একজন আইনজ্ঞ, সাংবাদিক ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। তিনি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৫৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ সরকারের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে আবুল মনসুর আহমদকে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করতে হয়।
(বঙ্গবন্ধুর সাথে আবুল মনসুর আহমদ)
আবুল মনসুর আহমদের বিশাল ও বিস্তৃত কর্মজীবনে মহাত্মা গান্ধি, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, নেতাজী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, খাজা নাজিমুদ্দিন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানী, মাওলানা আকরম খাঁ প্রমুখ সহ ব্রিটিশ ভারতের ও ও পরবর্তী পাকিস্তানের প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ছিলো তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। নেতাজীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিলো ‘তুমি তুমি’ পর্যায়ের।
(জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সাথে আবুল মনসুর আহমদ)
জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সঙ্গে ছিলো খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু তাঁর কলকাতার কলেজ জীবন থেকেই তাঁকে সগৌরবে লীডার বলতেন ও নিজেকে তাঁর শিষ্য মানতেন। এসবের ফলশ্রুতিতে তিনি লিখেছিলেন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'আত্ম কথা' ও 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর'। তাঁর দীর্ঘ জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার ফসল এ দুটি গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের এক অমর কীর্তি। এ দু'টি গ্রন্থের একত্রে মিশ্রণ ঘটেছে End of a Betrayal নামক তাঁর লেখা বিশালকার ইংরেজী গ্রন্থে। এছাড়াও তাঁর স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ "শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু (১৯৭২)" উল্লেখযোগ্য।
আবুল মনসুর আহমদ বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে কঠিন যে দিকটিকে বেছে নিয়েছিলেন তা হলো ব্যঙ্গ সাহিত্য। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা বিদ্রূপাত্মক রচয়িতা। তাঁর বিদ্রূপাত্মক রচনার মধ্যে রয়েছে—আয়না, আসমানী পর্দা, ফুড কনফারেন্স ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে বাংলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর বিখ্যাত রচনাবলি। উপন্যাস সাহিত্যে তাঁর অমর দুইট কীর্তি 'জীবন ক্ষুধা' ও 'আবেহায়াত'।
সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি লাভ করেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬০), স্বাধীনতা দিবস পদক (১৯৭৯) এবং নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক। বহুমূখী প্রতিভার সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদের ৩৪তম মৃত্যুদিন আজ। তাঁর মৃত্যুদিনে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ ঘুনেপোকা পোস্টে
+++++ দেবার জন্য।
আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুদিবসে
শ্রদ্ধাঞ্জলি
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০
কোবিদ বলেছেন:
পরিবেশ বন্ধুকে সব সময়
সব পোস্টে সাথে পেয়ে দারুন
ভাবে অনুপ্রানিত হচ্ছি। ধন্যবাদ
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
শান্তা273 বলেছেন: উপমহাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুবার্ষির্কীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২২
কোবিদ বলেছেন:
বুহুধারার লেখক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ
আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধা
জানানোর জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++