নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিকান্দার আবু জাফর ছিলেন বাংলা ভাষার একজন বিশিষ্ট কবি, সঙ্গীত রচয়িতা ও নাট্যকার। শুধু সাহিত্যিক হিসেবেই নয়, সাহিত্য পত্রিকা মাসিক সমকাল-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবেও তার অবদান স্মরণীয়। তাঁর “বাংলা ছাড়ো” কবিতা ও “আমাদের সংগ্রাম চলবেই” গান সহ নানাবিধ কবিতা ও গান মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে।
সিকান্দার আবু জাফর ১৯১৯ সালের ২৯ মার্চ (মতান্তরের ১৯ মার্চ) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। সিকান্দার আবু জাফরের বাবা সৈয়দ মঈনুদ্দীন হাশেমী ছিলেন একজন কৃষিজীবী ও ব্যবসায়ী। সিকান্দার আবু জাফর স্থানীয় বি ডি ইংরেজী স্কুল হতে প্রবেশিকা পাশ করার পর কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যায়ন করেন।
কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের নবযুগ পত্রিকায় যোগ দেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে কলকাতা ত্যাগ করে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিও পাকিস্তানে চাকরি শুরু করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্তু তিনি তদানিন্তন রেডিও পাকিস্তানে স্টাফ আর্টিষ্ট ছিলেন। এর পরে ১৯৫৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৫৪ সালে তিনি দৈনিক মিল্লাতের প্রধান সম্পাদক হন। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তিনি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা সমকালের সম্পাদনা করেন। আজীবন দেশের প্রগতিশীল সাহিত্য আন্দোলনের অন্যতম মূখপাত্র সমকাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এ পত্রিকার মাধ্যমে তিনি ত্রিশোত্তর ধারার প্রগতিশীল মুক্ত সাহিত্য ধারার বিকাশ, আন্দোলন এবং নতুন লেখক সৃষ্টিতে প্রেরণা দান করেন ।
তৎকালীন পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি চর্চার যে ধারা প্রবাহিত হয় সিকান্দার আবু জাফর ছিলেন তার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টিভিতে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি তার তীব্র বিরোধিতা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা সরকারের পক্ষ নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। একজন বিপ্লবকামী কবি হিসেবে অসংখ্য গণসঙ্গীত লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার কবিতায় যুগ যন্ত্রণা বলিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হচ্ছে, কবিতাঃ প্রসন্ন প্রহর, বৈরীবৃষ্টিতে, তিমিরান্তক, কবিতা ১৩৭২, বৃশ্চিক লগ্ন ইত্যাদি।
নাটকঃ সিরাজউদ্দৌলা, শকুন্ত উপাখ্যান ইত্যাদি। উপন্যাসঃ মাটি আর অশ্রু, পূরবী, নতুন সকাল ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থঃ মতি আর অশ্রু। কিশোর উপন্যাসঃ জয়ের পথে, নবী কাহিনী ইত্যাদি। অনুবাদঃ রুবাইয়াৎ ওমর খৈয়াম, সেন্ট লুইয়ের সেতু, বারনাড মালামুডের জাদুর কলস, সিংয়ের নাটক ইত্যাদি এবং গানের মধ্যে মালব কৌশিক উল্লেখযোগ্য। সিকান্দার আবু জাফর একাধারে কবি, গীতিকার, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক এবং সর্বোপরি সাংবাদিক। তার রচিত অনধীক ২৭ খানি গ্রন্থের মধ্যে প্রসন্ন প্রহর (১৯৬৫),বাংলা ছাড় (১৯৭২),কবিতা গ্রন্থ, মালব কৌশিক (গান),মাটি আর অশ্রু (১৯৪২),নতুন সকাল (১৯৪৬),মাকড়সা (১৯৬০), মহাকবি আলাওল(১৯৬৬) সহ বার্ণাড ম্যালামুড, থর্টন, ওয়াইল্ডার, ওমর খৈয়াম ও সিঙ্গের রচনার অনুবাদ প্রসিদ্ধ ।
সিকান্দার আবু জাফর ১৯৬৬ সালে নাটকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। কবি, গীতিকার, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর ১৯৭৫ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার পি জি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ এই কবির জন্মদিন, কবির জন্মাদিনে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সূত্রঃ বিশ্বতারিখ অভিধানঃ মাহবুবুল হক
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
কোবিদ বলেছেন: বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী
সিকান্দার আবু জাফরের
জন্মদিনে শুভেচ্ছা
জানানোর জন্য
আপনাকে অনেক
অনেক ধন্যবাদ
পরিবেশ বন্ধু
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
লেখোয়াড় বলেছেন:
++++++++++
ভাল উপস্থাপনা।
শ্রদ্ধা।
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
কোবিদ বলেছেন:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
বহুধারার প্রতিভা কবি সাংবাদিক সিকান্দার
আাবু জাফরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হে কবি
ফুটিয়ে ভাষার ফুল
তুমি কি শুধুই ছবি
শ্রদ্ধা অনন্ত হে বিদ্যা রবি ।