নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের সর্বশেষ আপডেটঃ ধেয়ে আসছে মহাসেন

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩১



বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবারের ঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে তৃতীয় শতকের সিংহলি রাজা মহাসেনের নামে। আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং মংলা বন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরে সূত্র মতে ঘূর্ণিঝড়টি রোববার একই স্থানে অবস্থান করায় কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের গতিবেগ বেড়ে সেটি আবার শক্তিশালী রূপ নেয়। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।



বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ আরো শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার বা বুধবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে মার্কিন টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্র আশংকা প্রকাশ করেছে। এ সময় বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে বাংলাদেশের কোন এলাকায় এটি আঘাত হানবে তা আজ বিকেল নাগাদ জানা যাবে।



এরইমধ্যে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনার জন্য বিকেলে এক জরুরি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াজেদ সমন্বিত প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সবাইকে অবহিত করে বলেন, চার নম্বর সংকেত ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য স্থায়ী নির্দেশাবলী অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য জেলা কক্সবাজারে আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বাতিল করা হয়েছে জেলার সব কর্মকর্তার ছুটি। প্রশাসন ১১৩টি মেডিক্যাল টিম গঠন করে তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকদের নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে। এই বিপদে সতর্কতার বিকল্প নাই।



বর্তমানে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের ঝুকিপূর্ণ জেলা সদর ও সিটি কর্পোরেশনগুলির প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলগঠন আবশ্যক। স্কাউট, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিড়িয়া সাংবাদিকদেরও পর্যায়ক্রমে এ প্রশিক্ষণ প্রদান আবশ্যক। যাতে তারা দক্ষতার সাথে আক্রান্ত জনগনের দূর্দশা অবিহিত করতে পারবেন। যাতে করে সব পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় সকল দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.