নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা মুসলিম দুনিয়ায় আজি এসেছে নামিয়া ‘শবে-বরাত’
রুজি-রোজগার-জান-সালামৎ বণ্টন-করা পুণ্য রাত।
-কবি গোলাম মোস্তফা
আজ ২৪জুন সোমবার দিবসরে সূর্য অস্ত গেলেই এক অপার্থিব পবিত্রতায় আবৃত রজনীর আবির্ভাব ঘটবে এবং আগামী কাল মঙ্গলবার সূর্যোদয় অবধি এ রাতের মহিমাময় ফজিলত অব্যবহত থাকবে। মাহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহর কাছে পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিস্কৃতি লাভের পরম সৌভাগ্যের রজনী শব-ই-বরাত বা মুক্তির রাত। মধ্য-শাবান হচ্ছে আরবী শা'বান মাসের ১৫ তারিখ, যা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শবে বরাত বা শব-ই-বরাত নামে পালিত একটি পূণ্যময় রাত। ‘শব-ই-বরাত’ দু’টি শব্দের সমষ্টি। প্রথম শব্দটি ‘শব’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ রাত রজনী। দ্বিতীয় শব্দটি ‘বরাত’ আরবি শব্দ, যার অর্থ মুক্তি। এভাবে শব-ই-বরাত অর্থ মুক্তির রাত। বাংলা ভাষায় বরাত শব্দটি ব্যবহৃত ও প্রচলিত যার অর্থ ভাগ্য, অদৃষ্ট। এ ক্ষেত্রে শব-ই-বরাত অর্থ হবে ভাগ্যরজনী। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানগণ বিভিন্ন কারণে এটি পালন করেন। তবে এক এক দেশে এই মহিমান্বিত রজনীর নাম আলাদা আলাদা। ইরান ও আফগানিস্তানে শবে বরাত নিসফে শাবান, মালয় ভাষাভাষীর কাছে নিসফু শাবান এবং আরবী ভাষাভাষীর কাছে এই বরকতময় রজনী নিসফ শাবান নামে পরিচিত। কোনো কোনো অঞ্চলে লাইলাতুল দোয়াও বলা হয়। আমাদের দেশে এই রাত ‘শবেবরাত’এবং লাইলাতুল বরাত নামে পরিচিত। হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন, (হযরত মুহাম্মদ ইবনে মাইসারা ইবনে আখফাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে) তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, শাবান মাস থেকে পরবর্তী শাবান মাস পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দেয়া হয়। এমনকি লোকেরা যে বিবাহ করবে, সেই বছর তার থেকে কত জন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার তালিকা এবং তার মৃত্যুর তালিকাও প্রস্তুত করা হয় ওই বছরের অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শবেবরাতে।
হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, (হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত) তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন শা’বানের পনের তারিখ রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, “কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।” “কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান করব।” “কোন মুছিবতগ্রস্থ ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব।” এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ্, মিশকাত) হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে- ‘যারা ১৪ শাবান রজনীতে ইবাদত করবে তাদের জন্য মুক্তি। আর যে ব্যক্তি পরদিন রোজা পালন করবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।’ পবিতো এ রজনীতে ফজিলত ও ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। নবী করিম (স) স্বয়ং এ রাতের অর্ধেক সিজদার মাধ্যমে অতিবাহিত করতেন। হাদিস শরীফে এ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) এসে নবী করিম (সঃ)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি উঠুন, নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ এটি ১৪ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য একশ’টি রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। আপনি আপনার উম্মতদের জন্য দোয়া করুন। কিন্তু মাদকাসক্ত, নেশাখোর, সুদখোর, জাদুকর, গণক, কৃপণ, পিতা মাতার অবাধ্য ও দুঃখদানকারী, জেনাকারী ও হিংসা বিদ্বেষকারীদের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করবেন না। করণ এদের জন্য আল্লাহর শাস্তি নির্ধারিত আছে, এসব লোক তওবা করে নিজ নিজ বদ কার্যাবলি পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত এ রাতে ক্ষমা করবেন না।
কুরআন কারিমে শব-ই-বরাত সম্পর্কিত কোনো আয়াত পাওয়া যায় না তবে এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃ “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। যথাঃ (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।”। এ ছাড়াও সিয়াহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রাতের কথা ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, ঐ হাদিস মতে, এক রাতে আয়েশা [রাঃ] ঘুম থেকে উঠে পড়লেন কিন্তু হযরত মুহাম্মদ [সঃ] বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মহানবীকে [সঃ] খুঁজতে বের হলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দেখতে পেলেন। মহানবী [সঃ] বললেন, ১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং [আরবের] কালব্ উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন। উল্লেখ্য, সেসময় কালব্ গোত্র ছাগল পালনে প্রসিদ্ধ ছিল এবং তাদের প্রচুর ছাগল ছিল। এই হাদিসের নিচে ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন, "হযরত আবু বকরও [রাঃ] এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়। আমি (ইমাম তিরমিয়ী) শুনেছি ইমাম বুখারীকে [রঃ] বলতে এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের মাঝে একজন জায়েফ (দূর্বল বা কম গ্রহণযোগ্য) ছিলেন।" এর ভিত্তিতে বলা হয়, এই হাদিসটি সম্পুর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য না হলেও মিথ্যা নয়। এটি সত্য হবার সম্ভবনা আছে। ফিকাহ্ বিশারদদের মতে জায়েফ হাদিস যদি কুর'আন পরিপন্থী না হয় তবে তা মানা যায়।
কুরআন কারিমে শবেবরাত সম্পর্কিত কোনো আয়াত পাওয়া যায় না। তবে রাসূল (সাঃ) হাদিসে এবং প্রখ্যাত আলেম-ওলামা ও তাফসীরকারীগণ শবেবরাতের বহু তাৎপর্য এবং এই রাতের মহিমার কথা উল্লেখ করেছেন। এই রাত সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এরশাদ করেছেন, এই রাতে ইবাদতকারীদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবলমাত্র তারা ক্ষমার অযোগ্য যারা আল্লাহর সাথে শিরিককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী (মদ্যপানকারী), জিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারী।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ‘জিব্রাইল (আঃ) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানিয়ে দিন, তারা যেন শবেবরাত রাতকে জীবিত রাখে।’ অর্থাৎ তারা যেন ইবাদতের মাঝে কাটিয়ে দেয়।
রাসূল (সঃ.) আরেকটি হাদিসে বলেছেন, ‘এই রাতে আসমান থেকে ৭০ হাজার ফেরেশতা জমিনে এসে ঘুরে ফিরে ইবাদতকারীগণকে পরিদর্শন করেন এবং তাদের ইবাদতসমূহ দেখেন।’অন্য হাদিসে এসছে, ‘যে ব্যক্তি শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতে ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।’
পবিত্র শবে বরাত পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করে পরবর্তী দিনে পবিত্র রোযা রেখে মহান আল্লাহ পাক তাঁহার ও তঁহার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জন করা। পবিত্র শবে বরাতে কোন কোন ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে তা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তাঁহাদের মধ্যে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। তবে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য তাকীদ ও নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে। যেমন-
* পবিত্র শবে বরাতের নামায পড়বে। ৪, ৮, ১২ রাকায়াত। দুই দুই রাকায়াত করে।
* পবিত্র ছলাতুত তাসবীহ এর নামায পড়বে, যার দ্বারা মানুষের গুনাহখাতা ক্ষমা হয়।
* পবিত্র তাহাজ্জুদের নামায পড়বে, যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক এর নৈকট্য হাছিল হয়।
* পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে, যার দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
* মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল, হযরত মুহাম্মদ [সঃ] এর খাছ সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
* পবিত্র যিকির-আযকার করা, যার দ্বারা দিল ইছলাহ হয়।
* কবরস্থান যিয়ারত করা, যার দ্বারা মৃত্যুর কথা স্মরণ হয় এবং পবিত্র সুন্নত আদায় হয়।
* গরিব-মিসকীনকে দান ছদকা করবে ও লোকজনদের খাদ্য খাওয়ানো।
সর্বোপরি পুরো রাত্রিই অতিবাহিত করতে হবে পবিত্র যিকির-ফিকির, তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে। যাতে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক হযরত মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। আর পবিত্র শবে বরাতে আল্লাহ পাকের পূর্ণ নিয়ামত লাভের জন্য সর্বোত্তম উসীলা বা মাধ্যম হযরত মুহাম্মদ [সঃ] আলাইহিস সালাম। তাঁর পবিত্রতম ছোহবত মুবারকে থেকে সারারাত্রি জাগরণ ও পবিত্র সুন্নত মুতাবিক মক্ববুল দোয়া, মক্ববুল মুনাজাত শরীফ তাঁর মধ্যে শরীক হওয়া, অতি উত্তম ও সহজ পদ্ধতিতে পবিত্র রাত্র ইবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করা এবং পরবর্তী দিনে রোযা রাখা।
হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ১৪ শাবানের রাতে নামাজ আদায় করে, তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং সদ্য প্রসূত নবজাত শিশুর মতো গুনাহ থেকে পবিত্র হবে। যে ব্যক্তি ১৫ শাবানের দিন রোজা রাখবে, সে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি পাবে। এ রাতের ইবাদতের কোনো সীমারেখা বা নির্ধাতির কোনো নিয়ম নেই। অন্যান্য নফল নামাজের মতো ২ রাকায়াত করে নফল নামাজের নিয়তে নামাজ আদায় করলেই শব-ই-বরাতের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। পুণ্যময় শবে বরাতের নামাজের সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন-হাদীস পাঠ ও বিভিন্ন রকম দোয়া-দুরুদ এবং তাসবিহ-তাহলিল ও জিকির করলেও যথেষ্ট নেকী পাওয়া যায়।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কোরআন মজিদের অনেক সূরায় ঘোষণা করেছেন, ‘আমি সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রোতা এবং মহাপরাক্রমশালী। আবার বলেছেন, ‘আমি পরম দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।’ আল্লাহ পাক প্রতিনিয়ত আমাদের গোনাহ মাফ করে দিচ্ছেন। তবে যে গোনাহার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে আল্লাহর দরবারে মানুষ হিসেবে আমরা বুঝতেও পারছি না মহান আল্লাহ সেই অপরাধ মার্জনা করে দিয়েছেন। কিন্তু যে অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে বা হচ্ছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী যদি পুনরায় সেই অপরাধ কর্মটি করেন; তাহলে তার পূর্বের ক্ষমা তো বাতিল করাই হবে এবং এজন্য সেই ক্ষমা প্রার্থনাকারী ব্যক্তির গোনাহের পাল্লা আরও বেশি ভারী হবে। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে সেই ব্যক্তির ক্ষমা প্রার্থনার দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তাই আসুন, এই বরকতময় রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমরা আমাদের গোনাহ মাফের সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাই। এই রাতে অনেকে আতশবাজি করেন। এটা অনুচিত কাজ। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি বেদআদ কাজ। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত করুন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সব মানুষের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করছি। সেই সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার/আপনাদের শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়ে তাদের সুপথে চালিত করুন। এই রাতে ঘুমিয়ে থাকা অনেক ফজিলতের তাদের জন্য যারা এই রাতে আল্লাহর নাফরমানি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ঘুষ দুর্নিতে লিপ্ত থাকেন। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে পবিত্র শবে বরাত যথাযথ আদায় করার তাওফীক দান করুন। বিশ্বের সকল মুসলিমের পবিত্র শবে বরাতে সকল নিয়ামত অর্জিত হোক এই কামনায়..আমীন!
২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
কোবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আরমিন
পবিত্রতমরাতের
পূর্ব মূহুর্তে বিশ্বের
মুসলিম উম্মাহর
মুক্তির প্রার্থনায় যোগ
দেবার জন্য।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১০
আহলান বলেছেন: সুম্মামিন ...
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
কোবিদ বলেছেন: আমিন।-
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
চমৎকার পোস্টটির জন্য একগুচ্ছ প্লাস।
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
কোবিদ বলেছেন: অনেননননননননননননননননননননননননননননননক ধন্যবাদ
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মাদকাসক্ত, নেশাখোর, সুদখোর, জাদুকর, গণক, কৃপণ, পিতা মাতার অবাধ্য ও দুঃখদানকারী, জেনাকারী ও হিংসা বিদ্বেষকারীদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেন।
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
কোবিদ বলেছেন: আমিন।-
সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০১
মোঃ মামুনুর রশীদ বলেছেন: @সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মাদকাসক্ত, নেশাখোর, সুদখোর, জাদুকর, গণক, কৃপণ, পিতা মাতার অবাধ্য ও দুঃখদানকারী, জেনাকারী ও হিংসা বিদ্বেষকারীদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেন।---- দোয়াটা অনেক কঠিন হয়ে গেল!
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
কোবিদ বলেছেন: আল্লাহর কাছে কো্ন কিছুই বেশী ও কঠিন নয়,
তাঁর কাছে চাইলেই সব পাওয়া যায়। সুতরাং
কঠিন না ভেবে একবার বলেই ফেলুন, দেখবেন
সব সহজ হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের সকল
দোয়া কবুল করুন। আমিন-
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আতা2010 বলেছেন: আল-কুরআনে নামায রোজার কোন উল্লেখ নেই।
তাই বলে কি নামায রোজা বাদ দিতে হবে ????????
এক মাত্র কাফের আর কাফেরদের টাকায় পরিচালিত দালাল , ফকিরনীর বাচ্চা, কাঠ মোল্লারাই
মুসলমানদের বিশেষ বিশেষ ইবাদতের দিনে কুৎসা রটনা করে।
ফকিরনীর বাচ্চা, কাঠ মোল্লারা যখন রাস্তায় রাস্তায় কওমি মাদ্রাসার জন্য ভিক্ষা করে সেটা আল-কুরআনে কোথাও উল্লেখ আছে ???????
গাট্টী বোঁচকা নিয়ে মসজিদে, মসজিদে যখন পিকনিক করে বেড়ান সেটা আল-কুরআনে কোথাও উল্লেখ আছে ???????
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
কোবিদ বলেছেন: আতা2010 বলেছেন: আল-কুরআনে নামায রোজার কোন উল্লেখ নেই।
তাই বলে কি নামায রোজা বাদ দিতে হবে ????????
এমন আজগুবী ও অসত্য কথাটি আপনি কো্ত্থেকে পেলেন ?
আগে মাথা ঠাণ্ডা করুন, ভালোভাবে কথা বুঝবার চেষ্টা করেন,
নিজে না বুঝতে পারার অযুহাকে কাউকে গালি দেওয়া সংসদে চলতে
পারে কিন্তু ধর্মীয় কোন আলোচনায় এটা পরিত্যাজ্য।
৭| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
মুদ্দাকির বলেছেন: +++++++++++++++++
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
কোবিদ বলেছেন: আপনাকে সাধুবাদ
অসংখ্য প্লাস দেবার জন্য
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: “শবেবরাত“ এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী?
-------------------------------------------
সেলিম জাহাঙ্গীর
*************
এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী?
এ রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দুটির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ - سورة الدخان:৩ـ৪
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়।
এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারাআত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শাবানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।
আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে মুবারক রাত্রি বলতে লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - سورةالقدر:১
আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)।
আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ - سورة البقرة:১৮৫
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
যিনি এ রাত্রিকে শাবানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন, যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ করেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযান মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।
অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এ মত প্রকাশ করেছেন। (তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (৪/৭০৯)।
শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাজ কিভাবে এলো
এ নামাযের প্রথম প্রচলন হয় হিজরী ৪৪৮ সনে। ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের ইবনে আবিল হামরা নামীয় একলোক বায়তুল মুকাদ্দাস আসেন। তার তিলাওয়াত ছিল সুমধুর। তিনি শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাযে দাঁড়ালে তার পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ায়, তারপর তার সাথে তৃতীয় জন এসে যোগ দেয়, তারপর চতুর্থ জন। তিনি নামায শেষ করার আগেই বিরাট একদল লোক এসে তার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী বছর এলে, তার সাথে অনেকেই যোগ দেয় ও নামায আদায় করে। এতে করে মাসজিদুল আক্সাতে এ নামাযের প্রথা চালু হয়। কালক্রমে এ নামায এমনভাবে আদায় হতে লাগে যে অনেকেই তা সুন্নাত মনে করতে শুরু করে। (ত্বারতুসীঃ হাওয়াদেস ও বিদআ পৃঃ১২১, ১২২, ইবনে কাসীরঃ বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৪/২৪৭, ইবনুল কাইয়েমঃ আল-মানারুল মুনিফ পৃঃ৯৯)।
এ নামাযের পদ্ধতি
প্রথা অনুযায়ী এ নামাযের পদ্ধতি হলো, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস দশবার করে পড়ে মোট একশত রাকাত নামায পড়া। যাতে করে সূরা ইখলাস ১০০০ বার পড়া হয়। (এহইয়ায়ে উলুমুদ্দীন (১/২০৩)।
এ ধরণের নামায সম্পূর্ণ বিদআত। কারণ এ ধরণের নামাযের বর্ণনা কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি। কোন কোন বইয়ে এ সম্পর্কে যে সকল হাদীস উল্লেখ করা হয় সেগুলো কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি। আর তাই আল্লামা ইবনুল জাওযী (মাওদুআত ১/১২৭-১৩০), হাফেয ইরাকী (তাখরীজুল এহইয়া), ইমাম নববী (আল-মাজমু ৪/৫৬), আল্লামা আবু শামাহ (আল-বায়স পৃঃ৩২-৩৬), শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা, (ইকতিদায়ে ছিরাতুল মুস্তাকীম ২/৬২৮), আল্লামা ইবনে আররাক (তানযীহুশ শরীয়াহ ২/৯২), ইবনে হাজার আল-আসকালানী, আল্লামা সূয়ূতী (আল-আমর বিল ইত্তেবা পৃঃ৮১, আল-লাআলিল মাসনূআ ২/৫৭), আল্লামা শাওকানী (ফাওয়ায়েদুল মাজমু‘আ পৃঃ৫১) সহ আরো অনেকেই এ গুলোকে “বানোয়াট হাদীস” বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ধরণের নামাযের হুকুম আছে কি?
সঠিক জ্ঞানের অধিকারী আলেমগণের মতে এ ধরণের নামায বিদআত; কেননা এ ধরনের নামায আল্লাহর রাসূলও পড়েননি। তার কোন খলীফাও পড়েননি। সাহাবাগণও পড়েননি। হেদায়াতের ইমাম তথা আবু হানিফা, মালেক, শাফেয়ী, আহমাদ, সাওরী, আওযায়ী, লাইসসহ অন্যান্যগণ কেউই এ ধরণের নামায পড়েননি বা পড়তে বলেননি।
আর এ ধরণের নামাযের বর্ণনায় যে হাদীসসমূহ কেউ কেউ উল্লেখ করে থাকেন তা উম্মাতের আলেমদের ইজমা অনুযায়ী বানোয়াট। (এর জন্য দেখুনঃ ইবনে তাইমিয়ার মাজমুল ফাতাওয়া ২৩/১৩১,১৩৩,১৩৪, ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম ২/৬২৮, আবু শামাহঃ আল-বায়েছ পৃঃ ৩২-৩৬, রশীদ রিদাঃ ফাতাওয়া ১/২৮, আলী মাহফুজ, ইবদা‘ পৃঃ২৮৬,২৮৮, ইবনে বাযঃ আত্তাহযীর মিনাল বিদআ পৃঃ১১-১৬)।
আল্লাহ্ কোরআন মানুষকে দিয়েছে হাদীস নয়।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৮৮ আয়াত
قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُواْ بِمِثْلِ هَـذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا
অর্থঃ বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।
দেখুন উপরের কোরআনের আয়াত পড়ে বোঝা যায় যে, আল্লাহ্ র এই কোরআন অনুরূপ রচনা করতে কেউ পারবে না। কিন্তু হাদীস সেতো পৃথিবীতেই অনেক খন্ড। আর কোরআন সম্পর্কে সূরা হিজর ১৫:৯ আয়াতঃ
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
অর্থঃ আমি স্বয়ং এ উপদেশ (কোরআন) গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক
মূল কিতাব বাদি দয়ে উপ কিতাব চর্চায় আমাদের বেশীর ভাগ ভ্যান্তি ধারনা ও ভুল শিক্ষা দিয়েছে। আল্লাহ্ তার কিতাব সম্পর্কে অটল। সে কখনো বলেনী আমি এই হাদীস অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই তার সংরক্ষক। হাদীস সম্পর্কে বললে অনেক বলতে হয়। তবে আমরা সকলেই যেন কোরআন বুঝে পড়তে পারি, আল্লাহ্ সেই তৌফিক দান করেন----আমেন
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
কোবিদ বলেছেন: ধর্ম বিষয়ে যাঁরা বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেছেন তাঁদের মতে, " শব-ই-বরাত শব্দের ‘শব-ই-বরাত’ দু’টি শব্দের সমষ্টি। প্রথম শব্দটি ‘শব’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ রাত রজনী। দ্বিতীয় শব্দটি ‘বরাত’ আরবি শব্দ, যার অর্থ মুক্তি। এভাবে শব-ই-বরাত অর্থ মুক্তির রাত। বাংলা ভাষায় বরাত শব্দটি ব্যবহৃত ও প্রচলিত যার অর্থ ভাগ্য, অদৃষ্ট। এ ক্ষেত্রে শব-ই-বরাত অর্থ হবে ভাগ্যরজনী।
শব-ই-বরাত রাত সম্পর্কে আমার লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, "কুরআন কারিমে শবেবরাত সম্পর্কিত কোনো আয়াত পাওয়া যায় না। তবে রাসূল (সাঃ) হাদিসে এবং প্রখ্যাত আলেম-ওলামা ও তাফসীরকারীগণ শবেবরাতের বহু তাৎপর্য এবং এই রাতের মহিমার কথা উল্লেখ করেছেন। এই রাত সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এরশাদ করেছেন, এই রাতে ইবাদতকারীদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন।"
তাই কোন বিতর্ক নয় আসুন, এই বরকতময় রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমরা আমাদের গোনাহ মাফের সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাই।
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: এতবড় গুরুত্বপূর্ণ রাতের ইবাদত বন্দেগীর কথা রাসুল (সাঃ) তার উম্মতকে নির্দ্দিষ্ট করে বলে গেলেন না কেন?
আমাদের জানা মতে রাসূল (সাঃ) লাইলাতুল ক্বদরের রাতে (প্রত্যেক বেজড় রাতে) তাঁর পরিবারের সকলকে নামাজের জন্য জাগাতেন, সাহাবীদের উৎসাহ দিতেন। কিন্তু শবে বরাতের রাতে উনি হযরত আয়েশা (রাঃ) কে না বলে চুপে চুপে জান্নাতুল বাকীতে চলে গেলেন কেন? এতবড় ফযীলত কি উনি কাউকে না জানিয়ে একাই অর্জন করতে চেয়েছিল? ভাগ্যিস হযরত আয়েশা (রাঃ) ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল তা-না হলে কোন দিনই জানতেন না আল্লাহর রাসূল (সাঃ) রাতের আঁধারে শবে বরাতে ক্ববর যিয়রত করতে গিয়েছিলেন। জাল হাদীস রচনাকারী গণ সূক্ষ ভাবে না ভেবেই জাল হাদীস রচনা করে থাকেন।
লাইলাতুল ক্বদরের গুরুত্ব কমানোর জন্যই অবিশ্বাসিরা শবে বরাতের আবির্ভব ঘটিয়েছেন যেন বিশ্বাসি মুসলমান গণ এই রাতকে ক্বদরের রাতের উপরে রাখে। এবং ঘটেছেও তাই, আবিশ্বাসিদের আল্লাহ শুধু বছরে একবার শবে বরাতের রাতে প্রথম আসমানে নামে আর বিশ্বাসিদের আল্লাহ প্রতিদিন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে প্রথম আকাশে নেমে ঘোষনা করে "কেউ আছ কি যে আমার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দিব...............) বোখারীর হাদীস।
ইবনে আব্বাসের বরাতে বর্নিত হাদীসে একজন জাল হাদীস বর্ণনাকারী রয়েছে যে জাল হাসীদ তৈরীর দোষে দুষি। তার হাদীদ গ্রহণযোগ্য নয় বলে গোটা আরব বিশ্বে এই শবে বরাত বা লইলাতুল নিফসে বিন শাবান বলে কিছু নাই। এটা আল কোরআনে বর্নীত শবে ক্বদরকেই বুঝানো হয়েছে। বিশিষ্ট তফসীর কারক ইবনে কাসীর (রাঃ) একথাই বুঝিয়েছেন।
নফল নামাজ পড়ুন সর্বদা, দান খয়রাত করুন, এতিম মিসকিনদের খাওয়ান, ভাল কাজ করুন তবে কোন বেদাতী আমল না করাই উত্তম।
(শাইখ আমানুল্লাহ মাদানী, পিস টিভি বাংলা)
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
কোবিদ বলেছেন: হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃ “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। যথাঃ (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।”
সুতরাং এ রাতে নফল নামাজ পড়ুন ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত করুন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার/আপনাদের শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়ে তাদের সুপথে চালিত করুন। এই রাতে ঘুমিয়ে থাকা অনেক ফজিলতের তাদের জন্য যারা এই রাতে আল্লাহর নাফরমানি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ঘুষ দুর্নিতে লিপ্ত থাকেন। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে পবিত্র শবে বরাত যথাযথ আদায় করার তাওফীক দান করুন।
১০| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: যারা আল্লাহর নেক বান্দা তাদের আল্লাহ প্রতি রাতেই প্রথম আকাশে নেমে ঘোষনা করেন "কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দিব...................." (বোখারী হাদীস)
নামাজ পড়তে মানা করি না কারন নামাজ পড়লেই সোয়াব হয়। তবে আমাদের সাবধান হতে হবে সেই সকল নামাজ পড়া থেকে যা আমাদের নবীর নির্দেশের বাইরে। যেমন সালাতুল লাইল। আপনি একটা সহীহ হাদীস কোথাও খুঁজে পাবেন না যেখানে এই নামাজের কথা রয়েছে। শবে বরাত নিয়ে যতগুলো হাদীস আছে তার সবগুলো হয় জাল না হয় যয়ীফ। সবথেকে বড় কথা হলে টিভির পর্দায় হুজুরগণ সূরা দুখানের ২ ও ৪ নং আয়াতকে শবে বরাতের দলিল হিসাবে পেশ করে থাকেন যা সম্পূর্ণ ভুল এবং শবে ক্বদরের সাথে সাংঘর্ষিক। কোরআনের ব্যাখা আপনাকে কোরআনের মাধ্যমে দিতে হবে, কোরআনের ব্যাখ্যা আপনাকে সহীহ হাদীসের মাধ্যমে দিতে হবে। একমাত্র ইকরিমাহ (রাঃ) তার ব্যাখ্যায় শবে বরাতকে শাবানের মধ্য রাত্রির কথা উল্লেখ করেছেন বাকি সকল মুহাদ্দেস এটাকে শবে ক্বদর বলে উল্লেখ করেছেন। এরাতের নামাজ ঠিক অন্য রাতের মতই গুরুত্বপূর্ণ, এ রাতে বিশেষ কোন মহিমার কথা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বর্ণনা করেন নাই। ইবনে আব্বাসের বর্নিত হাদীসের মধ্যে এক ব্যক্তি আছেন যিনি জাল হাদিস রচনা কারী। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) শরীয়তে নতুন কিছু প্রবেশ করানোর সুযোগ রাখেন নাই। আরব বিশ্বে এই রাতে কিছুই হয় না। তারা আমাদের থেকে অনেক ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারেন আল কোরআনের। যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইবনে বাজ (রাঃ) বলেছেন এই রাতের বিশেষ কোন গুরুত্ব নাই। আরেক মুহাদ্দীস নাসিরুদ্দীন আলবানি (রঃ) অনেক গুলো দুর্বল হাসীসের বিপরীতে এটাকে অন্যান্য রাতের মত নফল ইবাদতের দিকে গুরুত্বারোপ করেছেন। শুধু হাদীস থাকলেই হবে না, এটা সহীস না যঈফ তা দেখে নিতে হবে। আমার জানা মতে, বোখারী মুসলীম বাদে সিয়াসিত্তার চারটি হাদীসের মধ্যে সহীহ যঈফ হাদীস উল্লেখ করা আছে। এটা আমালের জন্য নয় শুধু সাধারণ মুসলিমকে অবহিত করার জন্য ইমামগণ এই কাজটা করেছেন।
আপনি আমাকে দেখাতে পারবেন না এই ধর্ম প্রাণ মুসলমানগণ আজ রাতে যেমনটি করেছে ঠিক এমনটি রমজানের শেষ বেজোড় রাতে করবেন। কখনই দেখাতে পারবেন না। শুধু ২৭শে রামজানকে শবে ক্কদর মনে করে কিছু মুসলমান নামাজ পড়লেও মূলত ২৭ শে রামাজান যেই শবে ক্কদরের রাত এটা কেউ নিশ্চিত বলতে পারে না। অথচ আমাদের দেশের কাঠ মোল্লারা এই রাতকেই শবে ক্কদর বলে প্রচার এবং প্রসার ঘটিয়ে থাকে। শুধু মাত্র শবে ক্বদরের মর্যাদা কমাতেই এই শবে বরাতের আবির্ভাব। তাই আসুন আমরা আজ রাতে যেমন আশা নিয়ে আল্লাহর দরবারে দাড়িয়েছি ঠিক তেমনি রামাজানের শেষ বেজোড় রাতগুলোতে রাত জাগি এবং বেশী বেশী নফল নামাজ, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত হাদীস চর্চা মাধ্যমে পার করি।
সময় থাকলে মাদারটেক আহলে হাদীস মসজিদে যেকোন এক জুম্মায় আসুন, ওখানে পিস টিভির বিশিষ্ট বক্তা শাইখ আমানুল্লাহ মাদানী খোতবা দেন এবং খোতবা শেষে অসংখ প্রশ্ন উত্তর পর্বে প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী জবাব দিয়ে থাকেন। সহীহ এবং যঈফ হাদীসের রেখারেন্স সহ আপনাকে ইনশাআল্লাহ দেখিয়ে দিব যে শবে বরাত পুরাটাই বানোয়াট এবং বেদাতী কাজ। এছাড়াও পিসটিভির অন্যান্য বক্তা যেমনঃ শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, শাইখ মুজাফ্ফর বিন মহসীণ সহ অন্যান্য পিস টিভির বক্তাদের জুম্মার খুতবা ডাউনলোড করে শুনতে পারবেন: এখানেhttp://www.jumarkhutba.com/
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
কোবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতবাদরে জন্য।
তবে আমার বিশ্বাস,
"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু
তর্কে বহুদূর"
মহিম্বান্বিত এ রাতে যদি বেশী বেশী নফল নামাজ আদায় করা হয় তাতে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। কারণ হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, "যে ব্যক্তি ১৪ শাবানের রাতে নামাজ আদায় করে, তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং সদ্য প্রসূত নবজাত শিশুর মতো গুনাহ থেকে পবিত্র হবে। যে ব্যক্তি ১৫ শাবানের দিন রোজা রাখবে, সে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি পাবে। পুণ্যময় শবে বরাতের নামাজের সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন-হাদীস পাঠ ও বিভিন্ন রকম দোয়া-দুরুদ এবং তাসবিহ-তাহলিল ও জিকির করলেও যথেষ্ট নেকী পাওয়া যায়।"
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃ “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। যথাঃ (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।”
আপনার কথা অনুযায়ী এই পাঁচ রাত্রের বর্ণনা পাওয়া যায়। তাহলে অন্য রাত গুলো নিয়ে শবেবরাতের মত মাতামাতি হয় না কেন?
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
কোবিদ বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেনঃ তাহলে অন্য রাত গুলো নিয়ে শবেবরাতের মত মাতামাতি হয় না কেন?
আপনি মাতামাতি কোথায় দেখলেন? (!!!) আমার জানা মতে প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলান একাগ্র চিত্তে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উপরোক্ত প্রতিটি রাতে তাদের সাধ্য অনুযায়ী ইবাদত বন্দেগীতে রত থাকেন।
আর যারা মাতামাতি করে তারা গত রাতের মতোই সারা রাত পটকাবাজি আর নামাজে/সেজদারত মুসলমানদের বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
আরমিন বলেছেন: বিশ্বের সকল মুসলিমের পবিত্র শবে বরাতে সকল নিয়ামত অর্জিত হোক এই কামনায়..আমীন!