নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। পুরো নাম আর্থার ইগনেসিয়াস কোনান ডয়েল। তিনি একাধারে ছিলেন একজন আত্মিকবাদী, ইতিহাসজ্ঞ, তিমি শিকারী, ক্রীড়াবিদ, যুদ্ধ-সাংবাদিক, ডাক্তার, কবি ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার। শার্লক হোমস(Sherlock Holmes) ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৮৮৭ সালে প্রথম আবির্ভূত এই চরিত্রের স্রষ্টা স্কটিশ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। আর্থার কোনান ডয়েল পেশায় ছিলেন ডাক্তার। কিন্তু ডাক্তার হিসেবে তেমন খ্যাতি অর্জন করতে পারেননি। তবে লেখক হিসেবে তার যে কেমন খ্যাতি ছিল, তার অমর চরিত্র শার্লক হোমস-ই বড় প্রমাণ। তার আরও একটি বিখ্যাত চরিত্র আছে- "প্রফেসর চ্যালেঞ্জার"। এছাড়া তিনি আরও অনেক কিছুই লিখেছেন। এই লেখক এডগার এলেন পোই, জুলিস ভেরনি, রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের মত বিখ্যাত লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি তার শার্লক হোম্সের গল্পসমূহের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। তাঁর অন্যান্য রচনার মধ্যে আছে কল্পবিজ্ঞান গল্প, নাটক, প্রেমের উপন্যাস, কবিতা, ননফিকশন, ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং রম্যরচনা। কোনান ডয়েল দুবার ব্রিটেনে নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন যদিও তিনি দুবারই হেরেছিলে। তবে প্রতিবারই তিনি মোটামুটি ভালো ভোট-ই পেয়েছিলেন। এই অসামান্য প্রতিভাধর লেখক ১৯৩০ সালের ৭ই জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল ১৮৫৯ সালের ২২শে মে স্কটল্যাণ্ডের এডিনবারায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সাইগার হোমস আর মা ভায়োলেট শেরিন ফোর্ড। বাবার ইচ্ছে ছিলো শার্লক বড় হয়ে হবেন ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু শার্লক হয়ে গেলেন বিশ্বের একমাত্র কনসাল্টিং গোয়েন্দা। তাঁর সঙ্গী, যোগ্য সহকারী বন্ধুবর লেখক ডাক্তার ওয়াটসন রহস্যোদঘাটনের চেষ্টা করেছেন কেন তিনি এই পেশায় এলেন। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আর্থার কোনান ডয়েল জীবনের প্রথমভাগে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেষজবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং শেষতক লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। ভেষজ-ব্যবসায় গা-ছাড়া ভাবের কারণে তাঁর হাতে থাকত বিস্তর অবসর। এমনি একসময়ে তিনি সুবিখ্যাত শার্লক হোম্স সিরিজের গল্পগুলি লিখতে শুরু করেন।
আর্থার কোনান ডয়েল ডাক্তারি পাশ করে প্লাইমাউথের সাউথ সী’র ১ নম্বর বুশ ভিলাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ডাক্তারি করার পাশাপাশি লেখায় হাত দেন শার্লক হোমসের। শার্লক হোমস (Sherlock Holmes) একজন উচ্চমেধাসম্পন্ন লন্ডন-ভিত্তিক “পরামর্শদাতা গোয়েন্দা”। তিনি তাঁর নির্ভুল যুক্তিসঙ্গত কার্যকারণ অনুধাবন, যে কোনো প্রকার ছদ্মবেশ ধারণ এবং ফরেনসিক বিজ্ঞানে দক্ষতাবলে জটিল আইনি মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য তাঁর খ্যাতি ভুবনজোড়া। ডয়েলের শিক্ষক ডাক্তার জোসেফ বেল ছিলেন সত্যিকারের অপরাধবিজ্ঞানী; যাঁর কাজ ডয়েলের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিলো। ডাক্তার ওয়াটসনের জবানীতে কাহিনীগুলো বর্ণিত। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে A Tangled Skin উপন্যাসের মাধ্যমে শার্লকের জন্ম দেন তিনি; যাতে শার্লকের বয়স লেখা হয় ৩৩ বছর। তখন অবশ্য নামকরণ করেছিলেন শেরিনফোর্ড হোমস। পরে সেটা পছন্দ না হওয়ায় রাখলেন শার্লক হোমস। একই সাথে উপন্যাসের নামও বদলে দিয়ে করলেন A Study in Scarlet 'রক্তসমীক্ষা'। এটি তাঁর প্রথম সাফল্য ছিল'। একসময় ডাক্তারি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি মনোনিবেশ করলেন লেখালেখিতে। ১৮৯০ সালে 'চিহ্নচতুষ্টয়'(The Sign of Four) প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি ভেষজ-ব্যবসা ছেড়ে দেন এবং লেখা-লেখিতে পুরোমাত্রায় আত্মনিয়োগ করেন।
তিনি অনেক গল্প, কল্প-কাহিনী এবং ইতিহাস-কেন্দ্রিক রোমাঞ্চ কাহিনী লিখলেও বিখ্যাত চরিত্র শার্লক হোম্স-কে নিয়ে লেখা গোয়েন্দা-কাহিনীগুলিই তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। শার্লক হোমসকে নিয়ে লেখা তার গল্পের সংখ্যা ৫৪টি, উপন্যাস ৪টি। মজার ব্যাপার হল, এই শার্লক হোমসকে নিয়ে লিখতে লিখতেও একসময় অধৈর্য হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৮৯১ সালে মাকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি হোমসকে খুন করানোর চিন্তা করছি... সে আমার মাথা থেকে অন্যান্য জিনিসগুলোকে বের করে দিচ্ছে।” পরবর্তীতে শার্লক হোমস্ চরিত্রটির উপর একঘেয়েমি জনিত বিরক্তির কারণে ডয়েল যখন 'তার শেষ অভিবাদন'(His Last Bow)-এ হোম্স-কে মেরে ফেলেন, তবে জনতার দাবির মুখে হোমস চরিত্রটিকে অলৌকিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে বাধ্য হন।
আর্থার কোনান ডয়েল নিজে গোয়েন্দাকাহিনির লেখক হলেও তিনি অতিপ্রাকৃত শক্তিতে অর্থাৎ জাদুবিদ্যায় বিশ্বাস করতেন। ১৯১৭ সালে, ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ড শহরের কটিংলিতে দুই বোন পাঁচটি ছবি তুলেছিল। সেই ছবিগুলোতে কিছু ছোট ছোট পরিও ছিল। ওদের বাবা ছিলেন শখের ফটোগ্রাফার। পরে ওদের বাবাই বলেছিলেন, বড় বোন এলসি ছবির কিছু কিছু কারিকুরি শিখেছিল। সম্ভবত এলসি-ই ছবিগুলোতে কারিকুরি করে পরি বানিয়েছিল। কিন্তু কোনান ডয়েল কিন্তু ছবিগুলোর সত্যতা মেনে নিয়েছিলেন। সেই ছবিগুলো নিয়ে তিনি রীতিমতো একটি বই-ও লিখেছিলেন।
শুধু তাই-ই নয়, সে সময় হ্যারি হুডিনি নামের এক জাদুকর বেশ নাম করেছিল। বিশেষ করে, হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বা অন্য কোনোভাবে তাকে বন্দি করে রাখার পর একা একাই বের হয়ে আসার খেলা দেখানো তিনি-ই শুরু করেন। একবার তো জীবন্ত কবর দিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকেও বেরিয়ে আসেন তিনি। সে যাই হোক, জাদুকররা তো মূলত কৌশলে জাদু দেখায়। এ তো আর সত্যি কিছু নয়। শেষজীবনে সে কথা স্বীকারও করেছিলেন হ্যারি ‘হ্যান্ডকাফ’ হুডিনি। এ কথাও কিন্তু কোনান ডয়েল বিশ্বাস করতেন না! তার ধারণা ছিল, জাদুকরার সত্যিই জাদু জানে। এমনকি, তিনি জাদু জানেন না, কৌশলের মাধ্যমে জাদু দেখান-- এ কথা স্বীকার করার পর হ্যারি হুডিনির সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বেরও ইতি ঘটান আর্থার কোনান ডয়েল।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল সম্পর্কে একটি মজার ঘটনাঃ
এক সন্ধ্যায় প্যারিসের একটি ট্যাক্সিতে সবে চড়ে বসেছেন আর্থার কোনান ডয়েল। চালক মাথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'কোথায় যাবেন মিস্টার ডয়েল?' ডয়েল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'যতদূর মনে হয়, তোমাকে আগে কখনো দেখিনি। তা কীভাবে চিনলে আমাকে?' মুচকি হেসে চালক বললেন, 'এটা তো জলের মতো সোজা! সকালের কাগজে দেখলাম আপনি মার্সেইতে এসেছেন ছুটি কাটাতে। যে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, মার্সেইফেরত যাত্রীরা সেখান থেকেই ট্যাক্সিতে উঠেন। আপনার চামড়ার পোড়া দাগ দেখে বোঝা যাচ্ছে, কয়েকদিন ধরে বেশ ঘোরাঘুরির মধ্যে আছেন। আঙুলের কোণে লেগে থাকা কালি বলে দিচ্ছে আপনি একজন লেখক। আপনার পোশাক-আশাকও ইংরেজের মতো। সবমিলিয়ে আমি বের করে ফেললাম, আপনি আর্থার কোনান ডয়েল না হয়ে পারেন না!'
এটুকু শুনে ডয়েল তো অভিভূত। বললেন, 'তুমি তো দেখি বুদ্ধিতে আমার শার্লক হোমসকেও ছাড়িয়ে গেছ!'
শুনে চালক বললেন, 'অবশ্য আরো একটি ব্যাপার আমাকে খুব সাহায্য করেছে। আপনার নাম। ওটা বড় বড় করে আপনার স্যুটকেসের সামনেই লেখা আছে!'
ডয়েলকে নিয়ে আরেকটা মজা আছেঃ তিনি ব্রিটেনের রানির কাছ থেকে সম্মানসূচক উপাধি নাইটহুড উপাধি পেয়েছিলেন। এই উপাধি পেলে নামের আগে ‘স্যার’বলা যায়। নাইটহুড পেয়েছিলেন বলেই আমরা তাকে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল বলি। অনেকের ধারণা তিনি নাইটহুড পেয়েছিলেন শার্লক হোমসের জন্য। আসলে কিন্তু তিনি শার্লক হোমসের জন্য নাইটহুড পাননি। বরং নাইটহুড পেয়েছিলেন বোয়ার যুদ্ধের উপর লেখা তার নন-ফিকশন রচনাগুলোর জন্য।
আর্থার কোনান ডয়েলের জীবন ছিল বহুমাত্রিক এবং রোমাঞ্চপূর্ণ। বাস্তব জীবনে তিনি দু-দুবার গোয়েন্দাগিরি করে অন্যায়ভাবে দোষী-সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সফল হন। উন্মোচন করেছিলেন দুটি সত্যিকার রহস্য। বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন দুজনকে। প্রথম রহস্যটিতে ভুক্তভোগী ছিলেন জর্জ এডালজি নামের এক ভদ্রলোক। আরেকটিতে ভুক্তভোগী ছিলেন অস্কার স্ল্যাটার। জর্জ এডালজির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পশু নির্যাতনের। পরে কোনান ডয়েল দেখালেন, এডালজির বিরুদ্ধে যে সব পশু নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে, সেসব পশুদের নির্যাতন করার মতো শারীরিক শক্তি-ই নেই এডালজির। তাছাড়াও, তার বিরুদ্ধে যে সব প্রমাণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ঠিক না।
জর্জ এডালজির ভাগ্য ভালো ছিল, কোনান ডয়েলের বদৌলতে তিনি বেঁচে যান। তবে অস্কার স্ল্যাটারের ভাগ্য ততটাও ভালো ছিল না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এক মহিলাকে খুন করার। কোনান ডয়েল এখানেও দেখালেন, প্রমাণগুলো সবই ভুল। খুনের সময় তিনি অন্যত্র ছিলেন। কিন্তু ততদিনে স্ল্যাটারের রায় হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৮ বছর কারাভোগের পর ছাড়া পান স্ল্যাটার।
ডয়েলকে বোয়ের যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান এক মাঠ-চিকিৎসাকেন্দ্রে অবদান রাখার জন্য ১৯০২ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। আত্মিকবাদী এই লেখক ৭১বছর বয়সে ১৯৩০ সালের ৭ জুলাই জুলাই যুক্তরাজ্যের ইস্ট সাসেক্স, ক্রোবোরাফে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
কোবিদ বলেছেন:
আর্থার কোনান ডয়েল প্রথমে একজন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক
ছোট গল্পকার ও কবি। শার্লক হোমস তার সৃষ্টি। একজন
স্রষ্টাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনা তার সৃষ্টি। সুতরাং বি কুল!
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আশরাফুল মাহমুদ মুন্নার সাথে সহমত।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
কোবিদ বলেছেন:
এবার আমার সাথে একমত পোষণ করেন !
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ..
যুক্তি হিসেবে ঠিক আছে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে - বেশীর ভাগ মানুষ স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের নামই জানে না। সত্যিই তাই। কিন্তু শার্লক হোমসের নাম জানে। বাচ্চারা পর্যন্ত শার্লক হোমস নিয়ে মিছেমিছি অভিনয় করে করে খেলা করে।
এক্ষেত্রে "সৃষ্টি, শার্লক হোমস" তার স্রষ্টা, "স্যার আর্থার কোনান ডয়েল"-কে ছাড়িয়ে গেছে।
স্রষ্টা ও সৃষ্টির ক্ষেত্রে এরকম দু'একটি নজির আরো আছে, বিরল হলেও।
কবিতা, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও এরকম প্রায়শঃই দেখা যায়। অনেক চিত্রকর্ম আছে যার আকিঁয়ের নাম অনেকেই জানে না। যেমনঃ মোনালিসা। অনুরুপভাবে, টাইটানিক ছবির পরিচালক প্রযোজকের নাম ক'জনে বলতে পারে। কিন্তু তার নায়ক নায়িকার নাম চট্ করে বলে দেবে। এরকম আরো ভূরি ভূরে নজির আছে - যেখানে "সৃষ্টি" তার "স্রষ্টাকে" ছাড়িয়ে যায় বা গেছে।
তর্ক করার প্রয়োজন নেই। আমি যা' বলেছি, তাই-ই বাস্তব।
ধন্যবাদ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
কোবিদ বলেছেন:
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ..যুক্তি হিসেবে ঠিক আছে।
এবার আমি আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করে বলছি, যুক্তি হিসেবে ঠিক আছে" হা হা হা
সুতরাং তর্ক করার প্রয়োজন নেই। আমি যা' বলেছি, তাই-ও অবাস্তব নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৫
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
একজন মানুষের অনেক পরিচয় থাকতে পারে। থাকতে পারে নানামুখী প্রতিভা ও দক্ষতা। কিন্তু সব পরিচয়ের মাঝে একটিতে তিনি হন অধিকতম পরিচিত। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলও তাই।
তার সব পরিচয়ের মধ্যে তিনি গোয়েন্দা গল্পের নায়ক শার্লক হোমসের স্রষ্টা। বিশ্বের মানুষের অমর চরিত্র শার্লক হোমসের স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত।
তাই, আমি মনে করি শিরোনাম তার ঐ পরিচিতিটি থাকা উচিৎ ছিলো।
পোষ্টে প্লাস।
ধন্যবাদ।