নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একুশে টেলিভিশন বা ইটিভি (Ekushey Television বা ETV) বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দর্শক নন্দিত একটি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র। ২০০০ সালের ১৪ই এপ্রিল এর সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিকে একুশে টেলিভিশন উন্মুক্ত টেরিষ্টোরিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্র হিসেবে সম্প্রচারিত হয়। একুশে টেলিভিশন খবরে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব থাকার কারণে দর্শকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। শুরুতে একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন সাইমন ড্রিং এবং বার্তা সম্পাদক ছিলেন মিশুক মুনীর। যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশেষত: সংবাদের জন্য একুশে টেলিভিশনই হয়ে ওঠে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচারে বৈচিত্র্য, বাঙালি ও বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতির অনুপম প্রতিচ্ছবি একুশে টেলিভিশনকে কোটি কোটি মানুষের সহজাত অনুভূতির সঙ্গে একাত্ম করে দেয়। টিভি সাংবাদিক হিসেবে জ ই মামুন, মুন্নী সাহা, সামিয়া জামান, সামিয়া রহমান প্রমুখ জনপ্রিয়তা অর্জন লাভ করেন।
স্বল্প সময়ে একুশে টিভির জনপ্রিয়তা একটি বিশেষ মহলের কোপানলে পড়ে গণমানুষের হৃদয় জয় করা একুশে টেলিভিশনের অধিকার হরণ করা হয় ২০০২ সালের আজকের দিনে। একুশে টেলিভিশনের বিরুদ্ধে তথাকথিত জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে আইনী জটিলতা তৈরি করে আইনী মারপ্যাঁচে ফেলে ম্প্রচার আইন লঙ্ঘনজনিত মামলার শেষ পর্যন্ত আদালত একুশে টেলিভিশন বন্ধের রায় দেয়। আদালতের রায়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকার মুহুর্তের মধ্যে ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট একুশে টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আদালতের রায়ে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এ সময় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
আজ ২৯ আগষ্ট। একুশে টেলিভিশনের অধিকার হরণের ১১ বছর। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর অবরুদ্ধ ছিলো চ্যানেলটি । কিন্তু একুশে টেলিভিশনের কন্ঠরোধ করা হলেও তাকে চিরতরে স্তব্ধ করে রাখা সম্ভব হয়নি। নানা চড়াই উৎরাই পার করে ২০০৫ সালের ১৪ই এপ্রিল পুণরায় সম্প্রচারের অনুমতি লাভ করে একুশে টেলিভিশন। তবে একুশের উন্মুক্ত টেরিষ্টোরিয়াল সম্প্রচার ক্ষমতা বিলোপ করা হয়। আদালতের রায়ে টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি থাকলেও আজও একুশে টেলিভিশন সেই অধিকার ফিরে পায়নি। যে কারণে দেশের তৃণমূলের সাধারণ জনগণ একুশে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখা থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন।
একুশে টেলিভিশন আবার ফিরে এসেছে স্বমহিমায় । ২০০৭ সালের ২৯শে মার্চ থেকে একুশে টেলিভিশন পূর্ণাঙ্গভাবে স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।টেলিভিশন চ্যানেলটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিইও হিসেবে রয়েছেন - জনাব আব্দুস সালাম। আর এইসবই সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র দর্শক, শুভানুধ্যায়ী, কেবল অপারেটর, বিজ্ঞাপনদাতা ও অগনিত মানুষের ভালোবাসায়।
একুশে টেলিভিশনের অধিকার হরণেরে একাদশ বর্ষে আমাদের প্রত্যাশা অচিরে একুশে টেলিভিশন আবার তার খর্ব করা টেরিস্ট্রোরিয়াল সম্প্রচারের অধিকার ফিরে পাবে, আর যায়গা করে নিবে বাংলার প্রতিটি ঘরের প্রতিটি দর্শকের হৃদয়ের মনি কোঠায়।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
মহাপাগল বলেছেন: জনস্বার্থ কাকে বলে জানেন? একুশে টেলিভিশন দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে সম্প্রচার করছিল যা ছিল বেআইনী। আদালতের রায়ে সেটি বন্ধ হয়। এখন আপনি মনে করছেন তৎকালীন সরকার এটা বন্ধ করেছিল আদালতের মাধ্যমে।
ভাল ভাল কৃষ্ণ করলে লীলা আর আমি করলে দোষ তাই না?
বর্তমানে চ্যানেল ওয়ান কেন বন্ধ, দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি কোন ক্ষমতায় বন্ধ হয়েছে বলতে পারেন?
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
এস এইচ খান বলেছেন: ব্লগে দিনকে দিন নির্লজ্জ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে! কি আশ্চর্য্য !!
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: নিয়তির কি নির্মম পরিহাস!! যারা দিগন্ত টিভি বন্ধে কান্নাকাটি কর্তেছে তারাই আবার একুশে টিভির বন্ধকে জাস্টিফাই করতে চাইতেছে.........
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার টাইটেলটা মেনে নিতে পারলাম না।
মনে করেন আমি একজন ডাক্তার। আমি যদি আপনার বাসার একটা রুম নিয়ে ডাক্তারি ব্যবসা করতে চাই কিন্তু আপনাকে কোন ভাড়া দিতে পারব না আপনি কি রাজি হবেন???
আমি তো মানুষের সেবাই করতেছি।
বিএনপি যদি তাদের অধিকার হরনই করে থাকে তবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কেন তাদের মামলা খারিজ করে দিল দয়া করে বলবেন কি???