নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজি ভাষার বিখ্যাত কবি, সমালোচক, প্রাবন্ধিক ও অভিধান প্রণেতা ডঃ স্যামুয়েল জনসনের ৩০৪তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫



স্যামুয়েল জনসন, ইংরেজি ভাষার একজন বিখ্যাত কবি, সমালোচক, প্রাবন্ধিক, অভিধান প্রণেতা এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর লন্ডনের একজন শ্রেষ্ঠ আড্ডাবাজ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। নানা ধরণের লেখার পাশাপাশি তিনি ইংরেজি ভাষার অভিধান রচনা করেন এবং অভিধানের চল্লিশ হাজার শব্দ প্রমাণ করেছিলো জনসনের জ্ঞানের গভীরতা। জনসন আজীবন শেক্সপীয়রের একজন ছাত্র ছিলেন, কিন্তু তিনি কখনও তাঁর পূজারী ছিলেন না। তাঁর রচিত ‘ডঃ স্যামুয়েল জনসনের জীবনী’ ইংরেজি ভাষায় শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৭০৯ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আজ স্যামুয়েল জনসনের ৩০৪ তম জন্মদিন। ইংরেজী ভাষার বিখ্যাত কবি স্যামুয়েল জনসনের জন্মদি্নে শুভেচ্ছা।



(Elizabeth "Tetty" Porter, Johnson's wife)

আজ থেকে ৩০৩ বছর আগে ১৭০৯ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর ইংল্যাণ্ডের লিচফিল্ডে জন্মগ্রহণ করেন স্যামুয়েল জনসন। তাঁর পিতা পুস্তক বিক্রেতা মাইকেল জনসন এবং মাতা সারাহ ফোর্ড। ১৭৫৫ সালে ২৫ বছর বয়সে স্যামুয়েল তার চেয়ে কয়েক বছর বেশী বয়সের এলিজাবেথ টেট্টি পোর্টারকে (৪৬) বিয়ে করেন। ডঃ স্যামুয়েল জনসন যে দুইটি জিনিসকে একজন শক্তিমান লেখকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা বলে অভিহিত করেছেন তা হলো- নৈমত্তিককে আগন্তুক আর আগন্তুককে দৈনন্দিনে পরিণত করা। (The two most engaging powers of an author are to make new things familiar and familiar things new.) ডঃ স্যামুয়েল জনসন লেখার আগে তাঁর প্রিয় বিড়ালটি কোলে নিয়ে বসতেন। বিড়ালটি যখন আদরে গড়গড় করত তখনই তিনি লিখতে শুরু করতেন। ১৭৩৮ সালে স্যামুয়েল জনসনের প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘লন্ডন’ প্রকাশিত হয়। ১৭৪৪ সালে তাঁর ‘মিস্টার রিচার্ড স্যাবেজের জীবনের পরিচিতি’ বইটি প্রকাশিত হয়।১৭৪৫ সালে ম্যাকবেথের ট্রাজেডির উপর একটা বই প্রকাশ করেন। তাঁর প্রথম বই এর জন্য তিনি পাঁচটি গিনি সোনা পেয়েছিলেন।



শব্দকোষ রচনায় অষ্টাদশ শতকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল জনসন। ১৭৫৫ সালে তিনি একক হাতে A Dictionary of the English Language নামক এই শব্দকোষটি রচনা করেন। তাঁর জীবনীকার জেমস বসওয়েল বলেন, ‘পৃথিবীর এক বিস্ময় যে, এমন একটি বিরাটাকার কাজ কিভাবে একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব হল, যখন অন্যান্য দেশসমূহ এ ধরনের কাজে হাত দিতে পুরো একটি একাডেমীর প্রয়োজন বোধ করত।’ পূর্বতন শব্দকোষবিদগণ মূলত শব্দের ব্যবহার ও বানানের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। কিন্তু জনসন আধুনিকযুগের মত অধিক লক্ষ্য রেখেছেন শব্দের সমসাময়িক ব্যবহারের দিকে। শব্দের অর্থ বর্ণনার চেয়ে ব্যবহাররীতি দেখানোকেই তিনি বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোন জীবিত ভাষার ডিকশনারী পুরোপুরি যথার্থ হতে পারে না। কেননা যখন সেটি মুদ্রণের তাড়া আসে তখন কোন শব্দ হয় বাদ পড়ে যায় অথবা অন্তর্ভুক্ত হলেও তা হয়ত আর ব্যবহার হয় না’। জনসনই প্রথম ব্যক্তি যিনি শব্দের বিভিন্ন ব্যবহার দেখাতে চিত্র ও উদাহরণ উল্লেখ করেছেন।



বিশ্বের শ্রেষ্ট এই সাহিত্যিক সর্ম্পর্কে দু'টি মজার তথ্যঃ

স্যামুয়েল জনসন বেশী বিখ্যাত তার অভিধান রচনার জন্য। তার সেই অভিধান প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিন পর দুজন মহিলা তার কাছে সে বলেন, ডক্টর জনসন আপনার অভিধান খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে আপনি আপনার অভিধানে কোন অশ্লীল শব্দ রাখেন নি।

জনসন বেশ অবাক হয়ে সাথে সাথেই বললেন, ও ! আপনারা তাহলে ওইরকম শব্দ আছে কি না খুঁজে দেখেছেন?

মহিলাদ্বয় বিব্রত হয়ে প্রসঙ্গ বদলাতে বাধ্য হন।

স্যামুয়েল জনসনকে নিয়ে আরেকটা গল্প।



এক লোকের বিবাহিত জীবন অসুখী ছিল। স্ত্রী মারা যাবার কিছুদিন পর দেখা গেল সে আবার বিয়ে করেছে। জনসন কে একজন এই খবরটা দিতেই তিনি বলে উঠেন, এটা হচ্ছে অভিজ্ঞতার উপর প্রত্যাশার বিজয়।



স্যামুয়েল জনসন ১৭৮৪ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ৭৫ বছর বয়সে ইংল্যাণ্ডের লণ্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। স্যামুয়েল জনসন স্মরণে প্রতি বছর প্রদান করা হয় স্যামুয়েল জনসন প্রাইজ। যুক্তরাজ্যে নন-ফিকশনের সবচেয়ে দামি স্যামুয়েল জনসন পুরস্কার-২০১৩'এর জন্য মনোনীত বইয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ হাজার ইউরো মূল্যমানের এ পুরস্কারের তালিকায় এ বছর মোট আঠারোটি সাহিত্য স্থান পেয়েছে। পুরস্কারের এ তালিকায় রয়েছে চার্লস ম্যুর, সিমন চামাসহ বিখ্যাত লেখকরা। সিমন চামার ‘দ্য স্টোরি অব জিউস’, চার্লস ম্যুরের ‘মার্গারেট থেচারের জীবনীসহ রিচার্ড মরিসের ‘টাইমস এনভিল’, এডওয়ার্ড হলিসের ‘দ্য মেমোরি প্যালেস’ও তালিকার অন্তর্ভুক্ত। পুরস্কারের এ দীর্ঘ তালিকা থেকে বাছাইকৃত সাহিত্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। ৪ নবেম্বর চূড়ান্তভাবে মনোনীত পুরস্কার বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।



আজ এই মহান লেখকের ৩০৪তম জন্মদিন, জন্মদিনে লেখকের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জন্মদিনে লেখকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইলো ।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

তুহিন সরকার বলেছেন: ডঃ স্যামুয়েল জনসনের ৩০৪তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন।

ধন্যবাদ কোবিদ সাহেব। ভাল থাকবেন, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.