নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথাবিরোধী ধর্মদর্শনের প্রাচীন ধারাবাহিকতার বাংলাদেশী রূপকার হলেন আরজ আলি মাতুব্বর। তিনি মনে করতেন পশু যেমন সামান্য জ্ঞান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে ধর্মবাদী ব্যক্তিগণও তেমনি সামান্য জ্ঞান নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়। নিজের প্রান্তিক জীবনের সাধারণ কয়েকটি ঘটনাতেই তিনি বুঝে নিয়েছেন তার ও তার সমাজের আচরিত ধর্মের স্বরূপ। ক্রমাগত গ্রন্থ পাঠে বুঝে নিয়েছেন এর কারণাবলী। এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। তাই তিনি অনবরত প্রশ্নবাণে দগ্ধ করেছেন তথাকথিত সমাজপিতা ও তাদের আচরিত-প্রচারিত ধর্ম ও দর্শনকে। স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং বিজ্ঞানমনস্ক লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের লেখায় জগত ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা উঠে এসেছে যা থেকে তার প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। তবে শহুরে মধ্যবিত্ত কিংবা গ্রামীণ ক্ষমতাবান কারও কাছেই আরজ আলী মাতুব্বর গ্রহণযোগ্যতা পাননি। দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলি মাতুব্বরের ১১৩তম জন্ম দিন আজ। আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।
আরজ আলী মাতুব্বর ১৯০০ ইংরেজী সালের ১৭ই ডিসেম্বর মোতাবেক বাংলা ১৩০৭ সালের ৩রা পৌষ বরিশাল শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত লামছড়ি গ্রামে এক গরীব কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। স্ব-শিক্ষিত, দার্শনিক এই লেখকের প্রকৃত নাম ছিলো “আরজ আলী”। আঞ্চলিক ভূস্বামী হওয়ার সুবাধে তিনি “মাতুব্বর” নাম ধারণ করেন। তাঁর পিতার নাম এন্তাজ আলী মাতুব্বর। ১২বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবাকে হারান। এর পরে দুই একরের (৮১০০ মিটার২) বসতবাড়িটি নিলামে উঠে। জমিজমাহীন বালক আরজ আলী স্থানীয় সুদখোরদের কাছে তখন তাঁদের পরিবারটি দেনার দায়ে পূর্বপুরুষের ভিটামাটি হারিয়ে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পড়ে যায়। অন্যের দয়া দাক্ষিণ্যে বহু কষ্টে খেত খামারে কাজ করার কারণে আর দরিদ্র আরজ আলী আর স্কুলে পড়ার সুযোগ পান নি।
আরজ আলী নিজ গ্রামের মুন্সি আবদুল করিমের মসজিদ দ্বারা পরিচালিত মক্তবে সীতানাথ বসাকের কাছে 'আদর্শলিপি' পড়তেন। দরিদ্রতার কারণে নিয়মানুবর্তিতার অভাবে তাঁকে মক্তব ছাড়তে হয়। এরপর তিনি কৃষিকাজে নিয়োজিত হন। পরে এক সহৃদয় ব্যক্তির সহায়তায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। সাথে সাথে তিনি নিজের ঐকান্তিক চেষ্টায় লেখাপড়া শিখতে থাকেন। নিজের জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে তিনি বরিশাল লাইব্রেরীর সমস্ত বাংলা বই একজন মনোযোগী ছাত্রের ন্যায় পড়েন। দর্শন ছিলো তাঁর প্রিয় বিষয়। কিন্তু পাঠাগারে পর্যাপ্ত বই ছিলো না। পরে বিএম মহাবিদ্যালয়ের দর্শনের এক শিক্ষক – কাজী গোলাম কাদির তাঁর জ্ঞানগর্ভ বিচার দেখে মোহিত হন এবং তিনি মহাবিদ্যালয়ের পাঠাগার থেকে বই ধার দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
এভাবেই তাঁর মানসিক আকৃতি গঠিত হয়। তিনি নিজ চেষ্টায় বিজ্ঞান ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করেন। জগত ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা তাঁর লেখায় উঠে এসেছে যা থেকে তাঁর প্রজ্ঞা, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। আর্থিক সঙ্কটের কারণে, মাতুব্বর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স বা ডিগ্রী লাভ করতে পারেন নি। কৃষিকাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি জমি জরিপ বা আমিনের কাজ শিখে নেন। এরপর জমি জরিপের কাজকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। কৃষি ক্ষেতের জন্য এভাবে কিছু পুঁজি জমা করেন। একসময় মানুষ ও জীবন সম্পর্কে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগলে তিনি এ বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিজস্ব ধরনের চিন্তাভাবনা শুরু করেন।
আরজ আলী মাতুব্বর সাম্যবাদী ঢঙের, অনেক অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন। তাঁর লেখার জন্য তাঁকে ধর্মীয় ভাবমূর্তির প্রতিমাধ্বংসকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ইসলামের বংশগতির ধারা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেন এবং স্বকীয় মত-বৈশিষ্ট্য একমতে আনতে ব্যর্থ হন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ঘাটতি সত্ত্বেও সাহসীকতার সাথে তিনি কতিপয় বই লেখেন। বিশ্ব ও জীবন সম্পর্কে তাঁর দার্শনিক লেখা বিতর্কিত হয়ে পড়ে এবং তিনি ইসলাম-বিরোধী কর্মী হিসেবে সমালোচিত হন। তাঁর বইগুলো প্রকাশে অনেক বাধা পেরোতে হয়েছিলো কারণ তাঁর বইগুলো সর্বদাই সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধের হুমকিতে থাকত, কারণ তাঁর লেখনী রাষ্ট্রের সংখ্যাগুরু লোকদের মতের বিরুদ্ধাচারিত নির্দিষ্ট দাবিকৃত ধর্মীয় মত বা ভাবাদর্শ ধারণ করত। মাতুব্বরকে তাঁর বই - “সত্যের সন্ধানে”র (Sotyer Shondhaney) জন্য বন্দী করা হয় এবং পুলিশ হাজতে নেয়া হয়।
লেখনীর কারণে তিনি যতবার ধর্মীয় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ততবার তাঁকে হুমকি ও হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। বাংলাদেশে, তাঁর লেখা যে সব বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ (সেন্সর) করা হয় সেগুলো হলঃ
১। সত্যের সন্ধানে, (The Quest for Truth) (১৯৭৩)
২। সৃষ্টির রহস্য, (The Mystery of Creation) (1১৯৭৭)
৩। অনুমান, (Estimation) (১৯৮৩)
৪। মুক্তমন (Free Mind) (১৯৮৮)
১৩৯২ সালে বাংলা একাডেমী আরজ আলী মাতুব্বরকে আজীবন সদস্য পদ প্রদান এবং বাংলা ১৩৯২ সালের ১লা বৈশাখ নববর্ষ সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে।১৩৮৫ বঙ্গাব্দে হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন, ১৩৯২ বঙ্গাব্দে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কর্তৃক বরণীয় মনীষী হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়াও বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ প্রতি বছর তার স্মরনে আরজ আলী মাতুব্বর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে থাকে।
আরজ আলী মাতুব্বর ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ মোতাবেক বাংলা ১৩৯২ সালের ১লা চৈত্র ৮৬ বছর বয়সে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন। মানবতার সেবায় তিনি মরণোত্তর তার চক্ষুদান করেন এবং মেডিকেলের ছাত্রদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ-এর এনাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহদান করেন আরজ আলি মাতুব্বর ।
মৃত্যুর পরে তাঁর কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি আরজ আলী মাতুব্বরের রচনাবলী শিরোনামে প্রকাশিত হয়। তাঁর কিছু লেখা ইংরেজীতে ভাষান্তর করা হয় এবং পাঠক সমাবেশ কর্তৃক সেগুলো খন্ডাকারে আবদ্ধ করা হয়। এছাড়া তার আরো কতিপয় প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে -
১। ম্যাকগ্লেসান চুলা (১৯৫০)
২। স্মরণিকা (১৯৮২)
দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলি মাতুব্বরের ১১৩তম জন্ম দিন আজ। আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
কোবিদ বলেছেন:
বিদ্রেহী ভৃগু ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আগ্রহের জন্য। আপনি নিচের লিংক এ ভিজিট করলে আশা করি আরজ আলী মাতুব্বরের বই ফ্রি ডাউন লোড করতে পারবেন। সফল হলে জানাবেন। ধন্যবাদ আবারো আপনাকে সাথে থাকার জন্য।
Aroj Ali Matubbar books download
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: পড়লাম, ভালো।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
কোবিদ বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠক
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: বইগুলো পড়েছি, খুব ভাল লেখেন তবে একটু অন্য দর্শনের হওয়াতে সবার কাছে একরকম লাগবেনা। ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: প্রকৃত জ্ঞান সাধক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
মেংগো পিপোল বলেছেন: ভদ্রলো আমার এলাকার মানুষ। ওনার লেখায়ও কিছু প্রচীন শোনা কথায় কান দেবার প্রবনতা লক্ষ করা যায়, আশ্চর্য বিষয় কি জানেন উনি নিজে কটুক্তি বা খোচা যাই বলেন করে গেছেন ধর্মের বিরুদ্ধে, আর ধর্মের সেই বিরুদ্ধাচরন করতে গিয়ে উনি যে যুক্তি গুলো উত্থাপন করেছেন তার অধিকাংশই প্রমানিত সত্য না। ধরনার উপরে দেয়া তথ্যের ঘারে ভর দিয়ে ধর্মকে বানোয়াট বলাটা এক প্রকার ধৃষ্টতা।
যেমন একটা উধারন দেইঃ
ওনার ভাষায়ঃ
এখানে (নাকি) শব্দ টা প্রয়গের মাধ্যমে উনি নিজেই এই গল্পটার ব্যাপারে কনফিউশন প্রকাশ করেছেন অথচ শেষে গিয়ে এই গল্পের পিঠে ভর দিয়ে তিনি জাহান্নাম কে বানোয়াট প্রমান করার চেষ্টা করলেন।
@লেখক আপনি হয়তো বলবেন বাদ দেন ভাই এই পোষ্ট আপনি কেবল ওনার জন্মদিন উইস করার জন্য লিখেছি, অযথা তর্কের দরকার কি? আমি বলিকি ভাই- উনি নিজেই এই সবের ব্যাপারের বিরোধি ছিলেন, জন্মদিন পালনের রিতি এসেছে যিশুর জন্মদিন পালন থেকে, যে লোক যিশুকেই মানতো না। সে আবার যিশুর পালিত আচারে তুষ্ট হবে কি ভাবে? আমার বোধে আসেনা।
ভালো থাকবেন।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
কাফের বলেছেন: সারা জীবন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাওয়া এই মানবতাবাদী মহান মানুষটির জম্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
মুস্তফা আল কারীম বলেছেন: এমন ব্যাক্তি এই যুগে বহু দরকার!!! নইলে আসিফেরা খোরাক পাবে কুতায়?
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দার্শনিক ও লেখক আরজ আলি মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা!
তার লেখা প্রথম বই - সত্যের সন্ধানে পড়েছিলাম।
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
সোহানী বলেছেন: @মেংগো পিপোল কে বলছি, আপনি একটি শব্দ প্রয়োগ নিয়ে কথা না বলে উনি যে মূল বিষয় নিয়ে লিখেছেন তা নিয়ে বললে ভালো হতো। আমার বিশ্বাস, যে বিষয় নিয়ে উনি লিখেছেন তা বোঝার বা উপলব্ধি করার ক্ষমতা খুব কমই আছে.....
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও প্রথাবিরোধী স্ব-শিক্ষিত এই লেখক লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্ম দিনে শুভেচ্ছা।
তার রচনা মোটামুটি সবই পড়া। আজকালকার যুগে তার মত মুক্তমনা, বিজ্ঞানমনস্ক স্ব-শিক্ষিত মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন।
ধন্যবাদ কোবিদ দারুন একটা পোস্টের জন্য।
১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
মেংগো পিপোল বলেছেন: @সোহানী আপু আমি ওনার একটা বই থেকে কেবল একটা উদহারন দিয়েছি, এরকম অনেক জায়গায় আছে। ভাত রান্না কেমন হয়েছে? সেটা বোঝার জন্য একটা ভাতে টিপদিলেই হয়, যাহোক ওনার লেখার মুল বিষয় নিয়ে কমেন্টসে লেখা সম্ভব না, যদি কখোন প্রয়জন বোধ করি তাহলে পোষ্ট দিবো। আর একটা প্রচীন বাক্য লিখি (যে কথা জজে বোঝেনা না, সে কথা আদালতে মুল্য হীন।) যে লেখা সাধারন মানুষে বোঝেনা সেটা লিখেই বা কি লাভ!
অনেকেই লিখছেন ধর্মিয়ক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে উনি লিখেছেন, তারা হয়তো খেয়ালই করেন নি, উনি ধর্মিয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে ধর্মেরই বিরুদ্ধেই লিখে ফেলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও লেখক আরজ আলি মাতুব্বরের জন্মবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।
+++
উনার বইয়ের কোন লিংক শেয়ার করা যাবে কি??