নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু মৃত্যুশোক কখনোই ভোলা যায় না।কিছু কিছু শোক বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। আজ তেমনি একটি শোকের দিন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সকাল আটটা।বাজছে বিউগলের কঠিন সুর। আজকের বিউগলের আওয়াজটা অন্যান্ন দিনের চেয়ে করুণ সুরে বেজে উঠছে যেন। BDR সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে দরবার হলে, হন হন করে নিঃসব্দে ঢুকছে সৈনিকরা, আজও ওদের হাতে কোন অস্ত্র নেই, কারন আইন-শৃক্ষলা রক্ষায় সুধুমাত্র বাহিরে ডিউটির সময়ই কেবল অস্ত্র ও গুলি দেয়া হয়। সকাল ৯টায় পুর্বনির্ধারিত মিটিং। যা দরবার নামে প্রচলিত। এই দরবার হলেই ঘটে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড। যা বিডিআর বিদ্রোহ নামে পিরিচিতপিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ৫ম বার্ষিকী আজ।
২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। অনেকেই নানা ভাবে সেদিনের দরবার হলের ঘটনার বিবরন দেন, কিন্তু সেগুলো পরে ঘটনার নিষ্ঠুরতা জানার পর এবং সজনের কান্নাকাটিতে পরিস্থিতির চাপে কিছুটা মোটিভেটেড বলে মনে হয়েছে। বিপুল সংখক বিভৎস মৃতদেহ দেখে তীব্র প্রতিক্রীয়া, আবেগের ভেতর থেকে আসল সত্য বের করে আনা সত্যই কঠিন ছিল। কিন্তু কেন এ হত্যাজগ্য, এই ঘটনা কি পুর্ব পুর্বপরিকল্পিত? না নিছক উত্তেজনার বসে? কি ঘটেছিল সেদিন?
বিডিআর সৈনিকদের চাপা ক্ষোভ অনেক বছর আগে থেকেই ছিল। নব নির্বাচিত সরকার অপেক্ষাকৃত কম রক্ষনশীল, কম সেনা তোষনকারি এবং উদার মনে হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কিছুদিন আগেই তৈরি করা মুল তিনটি দাবি সহ ৬ দফা দাবি সহ একটি স্মারক লিপি দেয়ার উদ্যোগ চলছিল, তাদের ধারনা হয়েছিল নবনির্বাচিত আওয়ামি সরকারই তাদের জুলুম কিছুটা নিরসন করতে পারবে। কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংসদ তাপস জিগাতলা দলীয় ক্যাম্পে এলে তার কাছে কিছু সৈনিক পরামর্শের জন্য আসে, তিনি সুধু রেশনের ব্যাপারটা ছাড়া অন্য ব্যাপার গুলো তার আওতার বাইরে বলে জানান। পরে তাদেরকে প্রপার চ্যানেলে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়। পরে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যেয়েও কোন সুবিধা পায়নি। এরপরের মাসে বিডিআর সপ্তাহে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিজি সাকিল এভাবে দেয়া ঠিক হবেনা মন্তব্য করেন, নিজেই প্রধানমন্ত্রির হাতে তুলে দিয়ে কথা বলবেন বলে মত দেন। কিন্তুি প্রধানমন্ত্রী প্যারেডে সালাম গ্রহন করার জন্য পিলখানায় আসলে তিনি তা দেননি বা আলোচনার চেষ্টাও করেন নি।
পরদিন সকালে দরবার হলে পুর্ব নির্ধারিত BDR DG সাকিলের বক্তব্য সুরু করার কিছুক্ষন পরই উত্তেজনা বাগ-বিতন্ডা। স্মারকলিপি কেন দেয়া হয়নি, UN মিশনে না নেয়া, ডালভাত, সপিং মলের হিসাব। সিমান্তের চোরাই মাল আটকের-লুন্ঠনের ভাগ আফিসার সৈনিক অনুপাত ৮৯:১১ কেন? ৬০:৪০ চাই। এ সবের কোন সুরাহা না হওয়ায় একটা হট্টগলের সুত্রপাত। উচ্চস্বরে ধমকের সব্দ।
এরপর ডিজি সাকিল এভাবে হৈচৈ না করে একজনকে সামনে এসে বক্তব্য দিতে বলেন। সামনে একজনের যায়গায় দুজন এসেছিল বলে জানা যায়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে একজন জোয়ান কে স্টেজের উপরে দেখা যায়। … হুমকির সুরে কিছু একটা বলে এবাউট টার্ন করে চলে যেতে চায়। তখন একজন অফিসার তাকে ধরে ফেলে, বলেঃ “কি বলছ পাগলের মত” অপমানিত ডিজি সাকিলের হাতে পিস্তল। হট্টগোলের ভেতর স্টেজের সৈনিকটি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। সাধারন সৈনিকরা সাভাবিক ভাবেই ভুল বোঝে। যে লুটিয়ে পরা সৈনিকটি বুঝি শাকিলের গুলিতেই মারা গেছে। এর পর উপস্থিত সৈনিকরা একযোগে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে। এর পর সবাই হল ছেড়ে চলে যায়। এরপরের ঘটনা ভয়াবহ। সৈনিকেরা দরবার হলে ত্যাগ করার পর বাইরে গুজব ছড়িয়ে যায় যে জেঃ সাকিল এক সৈনিক কে গুলিকরে হত্যা করেছে। এর পর সংগবদ্ধ হয়ে অস্ত্রাগার রক্ষীকে মারধর করে চাবি কেড়ে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বের করা, ভিন্ন আরেকটি গোলাবারুদের গুদাম থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন তুলে নেয়া। একটি দল দরবার হলের দিকে যায়, এর পর প্রথম গুলিবর্ষনের শব্দ, অটোমেটিক রাইফেলের, ব্রাস ফায়ার। প্রত্যক্ষদর্শি সৈনিকের বক্তব্যে জানা যায় যে হত্যাকারিরা প্রথমে আকাশের দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষন করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে, পর উত্তেজনা বেড়ে গেলে কয়েক জন দরবার হলের দেয়াল, বদ্ধ দরজা-জানালা লক্ষ করে এলোপাথারি ব্রাশফায়ার করতে থাকে। ডিজি সাকিল ও অফিসাররা বার বার ধমক দিয়ে সৈন্যদের দরবারে ফিরে আসতে বলতে থাকে , এর ভেতর সেনাপ্রধানের সাথে ফোনে কথা হয়। এর কিছু পরেই একপশলা গুলি ছুটে আসে, কিছু গুলি নরম দেয়াল-পার্টিশন কাঁচের দরজা ভেদ করে সাকিল সহ অন্যান্নদের দেহে বিদ্ধ হয়, অনেকেই মাটিতে শুয়ে প্রানে রক্ষা পান, কর্নেল কামরুজ্জামান সহ অনেকে স্টেজের পাসের উইংসে ঢুকে পরে গুলির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও কোন বিদ্রহীকেই দরবার হলে ঢুকে দেখে গুলিকরতে দেখা যায়নি। দরবার হল লক্ষ করে হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তার গায়ে কোন গুলি লাগেনি। হত্যাকারিরা হত্যা নিশ্চিত করতে একবারও হলে ঢুকেনি। বা লক্ষস্থির করে গুলি করতে দেখা যায় নি। বিডিআর এর ১৬,০০০ উচ্ছঙ্খল জোয়ানের গুলিবর্ষণে প্রান হারায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৭৭জন উর্ধ্বস্থানীয় কর্মকর্তা। বিদ্রোহী জোয়ানরা হত্যা ছাড়াও পিলখানা অভ্যন্তরে বসবাসরত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদরে পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে।
(উপর থেকে নীচে ১ম সারির ৪র্থ শহীদ কর্ণেল বি,এম জাহিদ হোসেন)
এ ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডে বিদ্রোহী বিডিআর এর গুলিতে কয়েকজন পথচারী ও ছাত্র নিহত হয়। কিছু রক্তপিপাসু সৈনিক ঘটনার পরপরই সাকিলের বাসভবন আক্রমন করে, অগ্নিসংযোগ-লুন্ঠন করে এতে মিসেস সাকিল নিহত হয়। সন্ধার পর কিছু দুষ্কৃতিকারি সৈনিক কিছু অফিসারের বাসা লুন্ঠনের সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে ভিতরে আটকে পড়া শিশু ও মহিলাদের বিডিআর সদরদপ্তরের ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিলো। বিদ্রহের ১২ ঘন্টা পর বহুল আলোচিত প্রাক্তন বিডিয়ার মহাপরিচলক জেনারেল অবঃ ফজলুর রহমান সহ দুজন প্রাক্তন BDR প্রধান BBC কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি এই বিদ্রহের কারন হিসাবে সরাসরি BDR পরিচালকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। ডিজি সাকিল গং দের তীব্র সমালোচনা করে বলেন দুর্নিতি, অনিয়ম এবং পরবর্তিতে “কমান্ড ফেইলিওরের” কারনে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। তত্তাবধায়ক সরকারের সেইসময়ের কিছু কর্মকান্ডও সৈনিক অসন্তোষের কারন বলে উল্লেখ করেন। BBC কে তিনি আরো বলেন তার আমলেও সৈনিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছিল। তিনি কতৃপক্ষকে শক্তিপ্রয়োগ না করে শান্তিপুর্ন ভাবে মোকাবেলা করতে পরামর্শ দেন। বিষ্ময়কর ব্যাপার হল এর দুদিন পর এই ফজলুর রহমানই ভোল পালটে ফেলেন। তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করে বলেন প্রথম দিন ঘটনার পর পরই আলোচনায় সময় নষ্ট না করে সেনা অভিযান চালানো হলে নাকি অনেক জীবন বাঁচানো যেত.!! কিন্তু তিনি কোন ব্যখ্যা দেন নি। ভেতরে প্রায় ৯০ জন সেনা জিম্মি আর পরিবার বর্গ সহ তিনশতাধিক বেসামরিক ব্যক্তি, ১৬,০০০ বিদ্রোহী। সেইসময় সেনা অভিযান চালানো হলে লাশের সংখা ২-৩ হাজার হত, আর দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ক্যাম্পের সৈনিকদের প্রতিশোধমুলোক পালটা হামলায় দেশজুড়ে উম্মত্ত তান্ডব শুরু হয়ে যেত তখন এই স্বঘোষিত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাই বলতেন সরকারের আনাড়ী সিদ্ধান্তের কারনেই এই বিপুল রক্তপাত।
(শহীদ কর্ণেল বি,এম, জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ছন্দার আহাজারী)
ঘটনার পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে বিডিআর এর সদস্যদের একাংশ আত্মসমর্পণ করে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পে উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। ঐদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে, বিডিআরকে আবারও তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
২৬শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বিডিআর এর সকল সদস্যগণ তাদের অস্ত্র জমা দেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিডিআর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়েছে। মামলায় মোট আসামী ছিল ৮৫০ জন। এর মধ্যে ৪ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যহতি দেয়া হয়। বাকি ৮৪৬ জনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা ডিএডি তৌহিদ সহ ১৫৪ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ২৭১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিন্টু ও তোরাব আলীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ২০ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
২০০৯ সালের এইদিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার দরবার হলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনানীদের মৃত্যুতে আজো স্বজনদের আহাজারি,আকাশ বাতাস করে তোলে প্রকম্পিত।
দেশবাসী আজ সেইসব শহীদদের স্মরন করছে গভীর বেদনায়। দেশের অকুতভয় বীর সেনানী বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
কোবিদ বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার মতো অনেকেই
২৫ ফেব্রুয়ারির গভীর ক্ষত
নিয়ে দিনগুজরাণ করছে।
আমার এক ভাইকে হারিয়েছি
সেই দিনের নিষ্ঠুরতায়।
আপনার জন্য সহমর্মিতা
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা বলে বাজারে যথেষ্ট গুজব রয়েছে। এ কারনেই ১০০+ সেপাইয়ের ফাসির আদেশ হলেও আদালত ঐ দিনের ঘটনার মোটিভ প্রকাশ করেনি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
কোবিদ বলেছেন:
মহান আল্লহ তা'য়ালা ভালো জানেন,
তিনিই সঠিক বিচারকর্তা। একদিন
ঠিকই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে
তার দরবারে।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
েশখ েসিলম বলেছেন: পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ বিচার আওয়াশী লীগ সরকারের আমলে সম্ভব নয়। কারণ এ হত্যাকান্ডের পেছনে আওয়ামী লীগ এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' সরাসরি জড়িত। তাই আওয়ামী সরকার কর্তৃক দায়সারা গোছের এক প্রহসনমূলক বিচারের আয়োজন করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ড নাটকের মাধ্যমে বিডিআর এর পরিবর্তে বিজিবি নামকরণ করা হয় এবং অনেক গৌরব ও প্রশংসার দাবীদার এ বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করা হয়। কোন না কোন একদিন পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ বিচার হবেই হবে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
কোবিদ বলেছেন:
এ বিশ্বাস আপনার মতো সকল ধর্মপ্রান মা্নুষের
" কোন না কোন একদিন পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ বিচার হবেই হবে। "
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
----------------
প্রসঙ্গঃ ষ্টিকি পোষ্ট।
----------------
================================
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ কারা দখল করে রেখেছে? কি তাদের পরিচয়? প্রশাসনের টনক নড়বে কবে?
===============================
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা-জমি কে বা কারা হাতিয়ে নিয়েছে - এমন ফালতু পোষ্ট ষ্টিকি হয় !!!!
আর
বাংলাদেশের জাতীয় জীবন এতবড় শোহাবহ, পৈশাচিক, কলঙ্কজনক ঘটনা যেখানে জাতির শ্রেষ্ঠ ও বীরদের নিয়ে রচিত পোষ্ট ষ্টিকি হয় না।
হায়! সামু!
হায়! আওয়ামী সামু!
হায়! নির্লজ্জ সামু!
হায়! বিচার-বিবেকহীন সামু! , তুই এ লজ্জা কোথায় রাখবি।
ধিক সামু! ধিক সামু! ধিক সামু!
আর এই পোষ্টের বিষয়ে যা' লেখা হয়েছে, তা' হচ্ছে আইওয়াশ। সবাই জানে কী হয়েছিলো সেদিন। আসল ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে। কারো অজানা নেই। মানুষকে এত উল্লু মনে করা আহাম্মকি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ আশরাফ ভাই
আজ এই শোকের দিনে
বিতর্কে যেতে চাইনা।
আমরা কী বুঝিতে
পারবো ব্যথিতের বেদন?
শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে
এখানেই তাঁরা হয়ে আছে
আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা।
তার আত্মার মাগফেরাত
কামনা করছি।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
কোবিদ বলেছেন:
সময় আর স্রোত
কারো জন্যই অপেক্ষা
করেনা।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০০
সুজন দেহলভী বলেছেন: ভাই। র্ববরতম শব্দটার মানে কি ? সবচেয়ে র্ববর ?
তবে ৫২ ভাষা আন্দোলনে নিরস্ত্র মিছিলে গুলি ,১৯৭১ এর গনহত্যা, ১৫ই আগষ্ট , রমনায় বোমা হামলা, উদিচী বোমা হামলা এবং ২১ আগষ্ট বোমা হামলা ইত্যাদি সব কি তারচেয়ে কম বর্বরচিত ?
আশা করি শব্দটার ওজন অনুপাতে শিরনামটা সংশোধন করবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
কোবিদ বলেছেন:
যুদ্ধের ময়দানে সৈনিকে সৈনিকে যুদ্ধ হয়।
কিন্তু একদল নিরস্ত্র মানুষের উপর
অতর্কিতে হামলা করে জঘন্যভাবে হত্যা
করাকি বর্বরতম নয়? আর কত নিষ্ঠুরতা
প্রকাশ হলে তা বর্বরতম হতো?
প্রশ্ন আপনার কাছে..............
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিলের পুত্র রাকিন আহমেদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নঃ
১) বিদ্রোহের ঘটার পর সেনাবাহিনী যখন উপস্থিত হয় সরকার কেন ঢুকতে বাঁধা দিল ?
২) এটা একটা মিলিটারি সিচুয়েশন। এখানে সেনাবাহিনী ট্যাকল করবে। সেনাবাহিনী না পাঠিয়ে তারা কেন কোন ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই রাজনীতিক নেতাদের পাঠালো? নিরাপত্তা ছাড়া নেতাদের পাঠিয়ে সরকার কীভাবে এতো আত্মবিশ্বাসী ছিল?
৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরেও আশেপাশের ৩কিলোমিটার জায়গায় কেন সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হলো এবং জওয়ানদের পালাতে সুযোগ দেয়া হল?
৪) ৫৭ জন অফিসারকে খুন করে শরীরকে বিক্ষত করা হয়েছে, বেয়নেট দিয়ে খোচানো হয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমরা এতো অফিসারকে হারাইনি। আমার আরেকটা প্রশ্ন, এই ঘটনার ২-৩ দিন আগে কর্ণেল গুলজারসহ আরো কয়েকজন চৌকস অফিসারকে তাড়াহুড়ো করে কেন র্যাব থেকে বিডিআরে আনা হলো?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
কোবিদ বলেছেন:
বিতর্ক থেকেই যাবে!
হয়তো এই বিতর্কের উৎস
খুঁজতে ঘুর পাক খেতে হবে অনন্তকাল।
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
রমিত বলেছেন:
Click This Link
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
কোবিদ বলেছেন:
চমৎকার।
গল্পচ্ছলে সুন্দর বর্ণনা।
ধন্যবাদ রমিত'দা
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৭
জাহাঈীর হোসেন রবিন বলেছেন: এর বিচার কি ঠিক মত হয়েছে
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
কোবিদ বলেছেন:
হয়তো হয়েছে,
হয়তো বা নয়
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
শহীদের আত্মা শান্তি পাক
আমরা ন্যায় বিচার দেখতে চাই
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
কোবিদ বলেছেন:
আমিন।
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধা , আমরা আর এমন চাইনা
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে
আমরা আর এমন ঘটনার
পুনরাবৃত্তি চাইনা
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
জুন বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধা
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
কোবিদ বলেছেন:
শহীদরে রুহের মাগফেরাত ও
তাদের জন্য গভীর শ্রদ্ধা
১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
আশিক হাসান বলেছেন: অনেক না বলা কথা রয়ে গেল মনেরই অগোচরে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
কোবিদ বলেছেন:
ইচ্ছা হলে বলতে পারেন আপনার না বলা কথা।
১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
মাটি আমার মা বলেছেন: সেই সূর্যসন্তানদের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলী।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কোবিদ বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব।
ভালো থাকবেন
১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার পোষ্টের ৮০% লেখা হুবুহু আমার। ২০১২ মে মাসের একটি লেখা থেকে নেয়া হয়েছে।
লেখকের বিনা অনুমতিতে এ ধরনের কাজ অনভিপ্রেত। আপনার মত নামী লেখকের কাছে এটা আসা করিনি।
তবে পোষ্টের শেষে রেফারেন্স হিসাবে আমার নাম থাকলে এটা মেনে নেয়া যেত।
আমার মুল লেখার লিঙ্ক-
Click This Link
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১২
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান কাল বৈশাখী আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমেই আপনি উল্লেখ করেছেন আমার অত্র লেখার ৮০ ভাগ
আপনার লেখা থেকে নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ আপনি
আপনার লেখার লিংকও দিয়েছেন। আমি আপনার লেখাটি পাঠ
করলাম এবং জানলাম আপনি সূত্রগুলো বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও
সাময়িকী থেকে সংগ্রহ করেছেন। এ কথা অনস্বীকার্য যে,আমার
লেখাতেও তৎকালীন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে
সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতিহাস কোন লেখকের ভাবাবেগের বিষয় নয়।
ইতিহাস আপনি লিখলেও যা হবে ১০০ বছর পর অন্য জেনারেশনের কেউ
লিখলেও তাই হবে। সুতরাং ইতিহাস বিকৃতির দ্বায় আমি কেন নিবো বলেন।
ইতিহাস চলে তার নিজস্ব গতিতে।
২৫ ফেব্রুয়ারি যা ঘটেছিলো তা আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে অবলোকন করিনাই। যারা
এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারাই কেবল জানেন কি ঘটেছিলো সেদিন। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের
৪ বছর পরেও অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। যার উত্তর হয়তো একদিন প্রকাশ হবে। আপনার সাথে আমার কোন বিরোধ নাই, আমি পত্র পত্রিকা থেকে যতদূর জানতে ও বুঝতে পেরেছিলাম শুধু সেটুকুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
যদি কাকতালীয় ভাবে তা আপনার লেখার সাথে ৮০ভাগ মিলে যায় (যে হেতু এটি কোন গল্প কহিনী নয়। তাই মিল থাকাই স্বাভাবিক) তা হলে এর ৮০ভাগ কৃতিত্ব আপনার জন্য তুলে রাখলাম। বাকীটা থাকুক আমার। এবার খুশী!
ধন্যবাদ আপনাকে
১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: কালপ্রিটদের পরিণতি দুনিয়াতে দেখতে চাই
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ, অপেক্ষায় থাকুন
অপরাধী তার সাজা ভোগ করবেই
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সকল বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য
১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০
কালীদাস বলেছেন: বিচার হবে একদিন...অবশ্যই।
কথা হইল, বারো ঘন্টার মধ্যেই পোস্ট রিপোস্ট মারতে হইল?? আরেকটু ধৈর্য্য ধরা যাইত না??
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৯
কোবিদ বলেছেন:
আমারও তাই বিশ্বাস,
অপরাধীর সাজা হবেই।
কালীদাস বাবু এটা রিপোস্ট না
লেখার লিংক ছিলো।
২০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
সুজন দেহলভী বলেছেন: বর্বর হত্যাকান্ড বললে কোন সমস্যা ছিল না। 'বর্বরতম' শব্দটার অর্থ বুঝতে আমার ভুল হলে দয়া করে সংশোধন করুন অথবা আপনার ভুল হলে দয়া করে শিরোনাম সংশোধন করুন।
আর একটা প্রশ্ন, কোন হত্যকান্ড বর্বর নয় ?
২১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
জুন বলেছেন:
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ জুন
কৃতজ্ঞতা জানবেন
২২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ কবিদ ভাই।
আপনার প্রতিউত্তরের শেষাংশে "৮০ভাগ কৃতিত্ব" আমার জন্য তুলে রেখেছেন জেনে সন্তুষ্ট হলাম। মুল ঘটনা সবাই জানুক, এটাই তো চাই।
আমার পরবর্তি লেখা দুটি অবস্যই পড়বেন, কমেন্টের জবাব সহ।
part2
Click This Link
Part 3
Click This Link
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
কোবিদ বলেছেন:
আপনি খুশি হয়েছেন যেনে ভালো লাগলো।
আপনার দেয়া লিংকে ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমার মন্তব্য দেখবেন।
২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: বিচার হবে একদিন...অবশ্যই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: ইশ্বর থাকে ঐ ভদ্র পল্লীতে ....... খালি ৫৭ আর ৫৭ ???? ৫৮০০+ পরিবারের কথা কি কেউ কখন বলে?? ওরা যে থাক কি আর বলব?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ পিলখানা থাকালীন আমার অভিজ্ঞতা..... ও কিছু অপ্রিয় কথা
Click This Link