নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী মুসলিম মহিলা কবিদের অন্যতম কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার ৩৭তম মৃত্যুৃবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২২



বাঙালী মুসলিম মহিলা কবিদের অন্যতম কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা। উনিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার মুসলিম নারী কবিদের মধ্যে ইতিহাসে যাঁরা অমরত্ব লাভ করেছেন কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা তাঁদের মধ্যে অন্যতম যিনি সরাসরি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। মাহমুদা খাতুন ধার্মিক ও কলকাতার পীর সাহেবের মুরিদ হওয়া সত্বেও কুসংস্কার, পর্দা, অশিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন সব সময়। মুসলিম বাঙালী মহিলা কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম সনেট ও গদ্য ছন্দে কবিতা লিখেছেন। আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার প্রথম কাব্যগ্রন্থ পসারিণী প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরশমনি কাব্যগ্রন্থের পূর্বে আর কোন বাঙালী মুসলিম মহিলা কবির কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। ১৯৭৭ সালের আজকের দিনে ঢাকায় মৃত্যুৃবরণ করেন কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা। আজ তার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার মৃত্যুৃবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।



মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা ১৯০৬ সালেল ১৬ ডিসেম্বর পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার নিয়াজতবাড়ি গ্রামে। তার পিতার নাম খান বাহাদুর মহম্মদ সোলায়মান। তিনি ছিলেন ডিভিশনাল ইস্কুল ইন্সপেক্টর। পিতার চাকুরীর সুবাদে তিনি রাজশাহী মিশন স্কুল, বরিশাল ও পাপনায় শিক্ষা লাভ করেন। তবে তার প্রদিষ্ঠানিক শিক্ষার শেষ ধাপ ছিলো ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত। রাজশাহী মিশনারী স্কুলে পড়ার সময় তার গৃহ শিক্ষক ছিলেন আনোয়ারা উপন্যাসের প্রখ্যাত লেখব মোহাম্মদ নজিবর রহমান। ১৯২৮ সালে মাহমুদা খাতুন হাইজিনে ডিপ্লোমা এবং রন্ধন প্রণালীতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। ছবি আঁকা ও সঙ্গীতের প্রতিও ছিলো তাঁর বিশেষ ঝোক। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কালজয়ী কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে ছিলো তার ব্যক্তিগত পরিচয়। ১৯৩৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কলকাতার এলবার্ট হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের পক্ষ থেকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যাকে 'ডক্টর অফ লিটারেচার' উপাধি দেওয়া উপলক্ষ্যে যশোর সাহিত্য সংঘ কর্তৃক দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মান পত্রটি পাঠ করেছিলেন কবি মাহমুদা খাতুন। এ ছাড়াও ১৯৩৭ সালে তিনি কলকাতা সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দান করেন।



কবি মাহমুদা খাতুন অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কবিতা লিখে পরিচিতি লাভ করেন। এসময় পত্রপত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকলে অত্যন্ত অল্প সময়েই তাঁর কবি প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। প্রকৃতির রূপবৈচিত্র তাঁর কবিতায় প্রানের স্পর্শ লাভ করেছে। পশারিণী, মন ও মৃত্তিকা এবং অরন্যের সুর তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর কবিতায় মানুষের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার আন্তরিক প্রকাশ ঘটেছে। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমী ১৯৬৭ সালে তাকে একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকাকে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে 'যুক্ত' প্রকাশ করেছে "নির্বাচিত কবিতা সংকলন"



আজীবন কুমারী মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা ১৯৭৭ সালের ২ মে ঢাকায় মৃত্যুৃবরণ করেন। আজ কবির ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার মৃত্যুৃবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য!আমি উনার সম্পর্কে বলতে গেলে জানতাম ই না!! B:-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.