নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যই সুন্দর

আমি সত্য জানতে চাই

কোবিদ

আমি লেখালেখি করি

কোবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডিরেক্টর জন বার্নার্স-লি এর ৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:০৪



ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের WorldWideWeb (www) জনক ব্রিটীশ পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন বার্নার্স-লি। স্যার টিম বার্নার্স লি আশির দশকের শেষ নাগাদ ওয়েবের উদ্ভাবন করেন। তিনি তার উদ্ভাবন সম্পর্কে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে সঠিক উদ্ভাবন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা www এর সাথে বিশেষ পরিচিত। যেকোনো ওয়েবসাইটের শুরুতেই www লেখা লাগে। কি এই www? এটি হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। তবে ইন্টারনেট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয়। ওয়েব হল মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা একটা এপ্লিকেশন মাত্র। বহুল ব্যবহৃত এই তিনটি অক্ষর www নিয়ে কাজ করার অন্তরালের মানুষটির নাম স্যার টিমোথি জন বার্নার্সলি বা টিম বার্নার্সলি। TimBL নামেও যিনি সমধিক পরিচিত। টিম বার্নার্স-লি পেশায় একজন ব্রিটীশ পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী, MIT অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের পরিচালক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপার টেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার পক্রিয়ায় ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আন্তঃসংযোগকৃত তথ্যাদির একটি ভাণ্ডার। একটি ওয়েব ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে একজন দর্শক ওয়েবপাতা বা ওয়েবপেজ দেখতে পারে এবং সংযোগ বা হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করে নির্দেশনা গ্রহণ ও প্রদান করতে পারে। প্রতিভাধর এ মানুষটি ১৯৫৫ সালের আজকের মার্কিন যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৫৯তম জন্মবার্ষিকী। পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন বার্নার্স-লি এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।



টিম বার্নার্স-লি বা স্যার টিমোথি জন "টিম" জন বার্নার্স-লি ১৯৫৫ সালের ৮ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা কনওয়ে বার্নার্স লি এবং মাতা মেরী লি উডস। টিম বার্নার্স-লি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত শীন মাউন্ট প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন এবং পরবর্ত্তীকালে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের এমানুয়েল স্কুলে পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন এবং সেখানে প্রথম শ্রেণী অর্জন করেন। কর্ম জীবনে টিম বার্নার্স-লি ১৯৮০ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চে (সার্ন) এ কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে জন পুলি'স ইমেজ কম্পিউটার সিস্টেম কোম্পানিতে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় সার্ন এ যোগদান করেন। সেখানে তাঁর কাজ ছিল তথ্য দেওয়া যেখানে দেখা যেত, সবাই একই ধরনের তথ্য জানতে চায়। বারবার একই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বিরক্তিকরই বটে! বার্নার্স লির বিষয়টি একেবারেই পছন্দ হলো না। তিনি ভাবছিলেন কিভাবে এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া যায়! তাঁর প্রাথমিক ধারণাটি ছিল প্রতিষ্ঠানে না এসে বা ফোন না করেই যাতে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়। এ জন্য তিনি এমন একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবনে উদ্যোগী হলেন, যাতে মানুষ সহজেই ওই প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একটি বিশেষ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন। এ জন্য তিনি ১৯৮৯ সালের মার্চে পূর্ববর্তী হাইপারটেক্সট সিস্টেম হতে ধারনা নিয়ে, যে প্রস্তাবনা লেখেন তা হতেই উপত্তি ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের। বার্নার্স লি-র ধারণাকে আরো পাকাপোক্ত করার জন্য লির সঙ্গে যোগ দেন বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী রবার্ট কাইলিয়াউ। এসময় তারা উভয়েই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় CERNএ কর্মরত ছিলেন। ৯০ এর ডিসেম্বরে তাদের প্রকাশিত এক প্রস্তাবনায় তারা উল্লেখ করেন,‍ “হাইপারটেক্সট্-কে লিংক ও ওয়েব হতে নানবিধ তথ্যের সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে একজন ব্যাবহারকারি তার মর্জিমাফিক ওয়েব পরিভ্রমন করতে পারবে।” তারা প্রতিষ্ঠানের একটি বিভাগভিত্তিক ডেটাবেইসও তৈরি করেন। সেই ধারণা এবং পদক্ষেপেই আজকের কোটি কোটি ওয়েবসাইট এখন অবাধে তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে। তিনি সেমান্টিক ওয়েব তৈরিতেও ভূমিকা রাখা ছাড়াও মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ তৈরিতেও ভূমিকা রাখেন যার মাধ্যমে ওয়েবপেজ কম্পোজ করা হয়।



টিম বার্নার্স-লি'র ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবঃ

ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপারটেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW বা W3) নামে পরিচিত। হাইপারলিংকের সাহায্যে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী টেক্সট, চিত্র, ভিডিও ও অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ ওয়েব পেইজ দেখতে পারে। সাধারনত ব্রাউজারে ইউআরএল টাইপ করে বা কোন পাতা থেকে হাইপারলিঙ্ক অনুসরণ করে ওয়েব পেজে ঢোকার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ওয়েব ব্রাউজার কিছু বার্তা প্রদান করা শুরু করে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে। এরপরই ওয়েব পেজটি প্রদর্শিত হয়।প্রথমেই ইউআরএল এর সার্ভার আইপি অ্যাড্রেস ধারণ করে। এ জন্য এটি ডোমেইন নেম সিস্টেম নামে পরিচিত বিশ্বজনীন ইন্টারনেট ডাটাবেস ব্যবহার করে। এরপর ব্রাউজার নির্দিষ্ট ঠিকানাটিকে একটি এইচটিটিপির আবেদন জানায় ওয়েব সার্ভারের কাছে। সাধারণত ওয়েব পেজেটির এইচটিএমএল লেখার জন্য শুরুতে আবেদন জানানো হয়। এরপর ওয়েব ব্রাউজারটি ছবিসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় ফাইলের জন্য আবেদন পৌছে দেয়। ওয়েব সার্ভার থেকে আবেদনকৃত ফাইলসমূহ পাবার পর ওয়েব ব্রাউজারটি এইচটিএমএল, সিএসএস ও অন্যান্য ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ অনুযায়ী পাতাটিকে স্ক্রিনে সাজিয়ে ফেলে। অধিকাংশ ওয়েব পাতাগুলোতে নিজস্ব হাইপারলিঙ্ক থাকে যা ওয়েব নামে পরিচিত। টিম বার্নার্স-লি সর্বপ্রথম একে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে নামকরণ করেন।



কম্পিউটার বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য টিম বার্নার্স-লি ১। ১৯৯৪ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল অফ ফেম- এর ছয়জন সদস্যের মধ্যে একজন নির্বাচিত হন। ২। ১৯৯৫ সালে তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম) এর কাছ থেকে সফটওয়্যার সিস্টেম অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ৩। ১৯৯৭ সালে তিনি গ্লোবাল কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এ অবদান রাখার জন্য তাকে কুইনস বার্থডে অনার প্রদান করা হয়। ৪। ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অফ এসেক্স তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে। ৫। ২০০০ সালে ‘দি ওপেন ইউনিভার্সিটি’ তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। ৬। ২০০১ সালে তিনি আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস এন্ড সায়েন্সেস এর একজন সহকর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন। ৭। ২০০২ সালে বিবিসি’র এক জরিপে ‘ 100 Greatest Britons’ এর মধ্যে একজন নির্বাচিত হন। ৮। ২০০৩ সালে কম্পিউটার হিস্টোরি মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ৯। ২০০৪ সালে তিনি ল্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অফ সায়েন্স ডিগ্রী গ্রহণ করেন। ১০। ২০০৭ সালে তিনি বিশ্বখ্যাত পত্রিকা 'দি টেলিগ্রাফ’ এর ‘100 greatest living geniuses’ এর মধ্যে যৌথভাবে প্রথম স্থান দখল করেন। ১১। ২০১১ সালে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অফ সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি ১। অর্ডার অব মেরিট, ২। নাইট কমান্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ৩। ফেলো অব দ্য রয়েল সোসাইটি. ৪। ফেলো অব দ্য রয়েল একাডেমী অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ৫। ফেলো অব দ্য রয়েল সোসাইটি অব আর্টস সম্মাননায় ভূষিত হন।



বর্তমানে ওয়েবের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তথ্য প্রচার, ডোমেইন নাম ও এইচটিএমএল-এর মান বজায় রাখা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। যুক্তরাজ্য সরকারের বেশ কিছু ওয়েব নিয়ে কাজ করছেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স লি। আজ তার ৫৯তম জন্মবার্ষিকী। পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন বার্নার্স-লি এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স লি-এর ৫৯ তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ, কোবিদ।

২| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

রাবার বলেছেন: পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন বার্নার্স-লি এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১২

হালি্ বলেছেন: ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স লি। আজ তার ৫৯তম জন্মবার্ষিকী। পদার্থবিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন বার্নার্স-লি এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: পৃথিবীকে ভারচুয়াল যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে তার সৃষ্টি বহুধাপ এগি্যে নিয়ে গেছে ।তার সৃষ্টি অমর রইবে অনাদিকাল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.