নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নির্বাচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপমহাদেশের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোস অধ্যাপক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে রীডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। বরেণ্য এই বাঙ্গালি ১৯৮১ সালের এই দিনে এই আকস্মিক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর ৩৩তম মৃত্যুৃবার্ষিকী। মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আব্দুল মতিন চৌধুরী ১৯২১ সালের ১ মে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি এন্ট্রান্স এবং ১৯৩৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি এবং এমএসসি পাস করেন। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের আগেই তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন। 'ইউনাইটেড প্রেস অব ইন্ডিয়া'র ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। যা পরে 'ইউনাইটেড প্রেস অব পাকিস্তান' নামে সেটি প্রতিষ্ঠা পায়। তিনি সেখানকার ব্যুরো চিফ ছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠালগ্নে মতিন ভাই প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৯ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি লন্ডন-নিবাসী ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি দ্বিতীয় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
পদার্থ বিজ্ঞানের জনপ্রিয় শিক্ষক, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডঃ আবদুল মতিন চৌধুরী তার সৃজনশীল প্রতিভা ও কর্মকান্ডের দ্বারা দেশের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করেন। তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পদার্থ বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার নির্বাচনী পরিষদের সদস্য নিযুক্ত করা হয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।....... ভারতের বিজ্ঞানী সিবি রামনের পর এবার বিজ্ঞানে স্মরনীয় অবদান রাখার স্বীকৃতি পেলেন পাকিস্তানের কৃতী পদার্থবিদ অধ্যপক আবদুস সালাম। তার এই দুর্লভ সম্মান প্রাপ্তির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কসূত্র আরও নিবিড় হলো এ কথা জেনে যে, সুইডিশ বিজ্ঞান একাডেমী ১৯৭৬ সালে আমাদের কৃতী বিজ্ঞানী, 'বোস অধ্যাপক' আবদুল মতিন চৌধুরীকে একজন সুপারিশকারী সদস্য হিসাবে মনোনীত করেছিলো। বাংলাদেশ সরকার এই বিশাল মানুষটিকে সম্মান জানিয়ে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার পর ড. চৌধুরীকে তৎকালীন সামরিক সরকার কারাগারে প্রেরণ কারন রাজনৈতিক কারণে। কারা মুক্ত হয়ে ড. চৌধুরী ১৫ আগস্ট পরবর্তী বিপন্ন বঙ্গভূমিতে, রাজাকার অধিকৃত পরিবেশে ড. চৌধুরী ঝাড়োগতিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করলেন। অমন ঘোর দুর্দিনে একমাত্র তার মত বঙ্গবন্ধু প্রেমিক-বুদ্ধিজীবী সমস্ত পিছটান ঝেড়ে ফেলে, তেজস্বী পদক্ষেপে, নির্ভীক চিত্তে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুরাগী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা ড. আবদুল মতিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফোরামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারি আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব এবং বঙ্গবন্ধুর নাম টিকিয়ে রাখার ঐতিহাসিক সংগ্রামে আবদুল মতিন চৌধুরী এবং তার প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুরাগী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা ড. আবদুল মতিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফোরামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু উপলদ্ধি করেছিলেন, 'ডঃ চৌধুরীর মত লোক তার প্রয়োজন।
১৯৮১ সালের ২৪ জুন আকস্মিক ভাবে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন ডা.আব্দুল মতিন চৌধুরী। মৃত্যুর পর লন্ডনের একটি কসমোপলিটান গোরস্তানে সমাহিত করা হয়। তিনি আজ নেই, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি তার সারা জীবনের কর্মের ফসল আমাদের সঙ্গে থাকছে। এভাবেই একজন মানুষ মৃত্যুকে অতিক্রম করেও বেঁচে থাকেন। উপমহাদেশের স্বনামধন্য বিজ্ঞানীর আজ ৩৩তম মৃত্যুৃবার্ষিকী। মৃত্যুদিনে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
ডি মুন বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।
পোস্টে ভালো লাগা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ২৩তম নয় ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।